দিয়ে ছক কষে বিবেচিত করা ভ্রমনসূচি তৈরি হল।সেইমত ট্রেন,গাড়ি,একটি হোটেলও বুক ।
ওপর তলার কাছে ২৪শে মার্চ থেকে ৫ই জুন পর্যন্ত ছুটির আবেদন ।
Half home ministry পদ থেকে কয়েকদিনের ইস্তফা।
২৪শে মে, শিয়ালদহ স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু হতে চলেছে দিল্লির দিকে।
উত্তরাখান্ড ডায়েরির পাতা খোলাও শুরু ---------------
গন্তব্য : দিল্লি,হরিদ্বার,দেওরিয়াতাল,চোপতা,তুঙ্গনাথ,কেদারনাথ,বদ্রীনাথ।
সহযাত্রী বন্ধু: রঞ্জনা,ঐন্দ্রিলা,ইতালী ।
শিয়ালদহ- রাজধানী এস্কপ্রেস ,২৪শে মার্চ,২০১৯,বিকেল ৪:৫০ ,সিট নাম্বার ৭১
থেকে ডায়েরি লিখছি ------------
{ এক }
স্টেশনে আমি আমার লোটর-পটর নিয়ে ট্ড়েনের ভিতর এমনভাবে Entry নিলাম যা দেখে আমাকে বাকিরা 'কচ্ছপ' উপাধি দিয়ে দিলো।
কি আর করা যাবে এই যাত্রায় আমি সবার ছোট তাই সব ঝড় ঝাপটা আমার উপর দিয়েই যাবে।
(ঝড়-ঝাপটা মানে ইয়ে ---- মসকরা করার লোক চাইত নাকি ! )
তিন সুন্দরিরা যে যার মতন করে বিরাজমান। আর আমি Home ministry ছেড়ে ততকালীন Caretaker পদ প্রাপ্ত করেছি।
রঞ্জনা দিকে দেখেই মনে হল (অভ্যেসের দাস) একবার সবার লোটর গুলোর হিসেব নিয়ে রাখি। ঘাম মুছে ------ রঞ্জনা দির ৪টে লোটর,
ইতালি দির ৩টে লোটর,
ঐন্দ্রিলার ২টো লোটর,
আমারও ২টো লোটর,
অতিরিক্ত ৩টে ছোট পটর।
মা-কালী পাশে বসা বাকি যাত্রীরা আমাদের দিকে এমনভাবে দেখছিল যাতে করে বোঝাই যাচ্ছিল যে তাদের মস্তিস্কে অনেকরকম প্রশ্ন আড়ি পাচ্ছে যার সঠিক উত্তর পাওয়া মুশকিল।
যাইহোক রঞ্জনাদির ফ্ল্যাস্ক থেকে বেরোনো ঠান্ডা কফিতে চুমুক দিতে দিতে প্রথম ষ্টপ দূর্গাপুরের দিকে।
অনিন্দ্যসুন্দর আকন্ঠ পান করছি জান্লার ধারে বসে।রাজধানী তার আপন গতিতে ছুটে চলেছে। দ্রুতগামী ট্রেনে প্যান্টিকার থাকলেও তার খাবারের মান উন্নত নয়। আর এইসবের জন্য কাকে দায়ী করা যাবে। এইসব ট্রেনে হকার ওঠেনা,স্থানীয় যাত্রীদের ওঠা নামা নেই --- এই যা সুবিধা।
দিনের আলোও নিভে গেছে।বাইরের দৃশ্যও এখন কালো পটে ঢাকা।
এরমধ্যে আমার আর রঞ্জনাদির খিদে লাগছে। চরিয়ে নিলাম রঞ্জনাদির বানানো আলু পরোটা ২ই পিস তাও আচাঁর সহযোগে।
আমার মতে ধানবাদের আগে অনেক তারাতারি ডিনার সেরে নিয়েছিলাম।শুতে যাবার আগে আমি আর ইতালীদি কিছুক্ষণ জানলার পর্দা টেনে বাইরের কালো Background তারায় ভরা আকাশ দেখতে লাগলাম।
সাথে মোবাইল ফোনে 'Umrao Jaan 'এর গান ' Yeh kya jagah hai doston ' ------------
দুজনেই যে যার মতন করে অল্প সময়ের জন্য থেমে গেছিলাম।
আজকে রাতে শারীরিক অসুবিধার দরুন ঠিক মতন ঘুমাতে পারিনি আমি।
ভোড় ৪:৩০ মিনিট পেরিয়ে এখন একটু ঘুমানোর চেষ্টা করবো।
( চলবে )
[ If you like my travel post, please give your valuable comments and Share .Thank you ]