দার্জিলিং-কালিম্পং-লাভা-রিশপ-লোলেগাঁও
চা-বাগান, জঙ্গল, ডুয়ার্স ঘুরে এ বার যাওয়া যাক উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পাহাড়ি গন্তব্যে। আজদার্জিলিং
এই পাহাড়ে কারণে-অকারণে, যখন তখন চলে আসা যায়। যে পাহাড়ের কোলে মেঘ, কুয়াশা, রোদ্দুরের অবাধ আসা যাওয়া। আর ইচ্ছে হলেই হিমকন্যা কাঞ্চনজঙ্ঘা তার রূপের বাহার মেলে ধরে। টলিউড, বলিউড এই পাহাড়ে তাদের শুটিং সেরে নেয় যখন-তখন। টুং, সোনাদা, ঘুম, বাতাসিয়া লুপের সঙ্গে সাপলুডো খেলতে খেলতে একরাশ কালো ধোঁয়া ছেঁড়ে খেলনা রেল এসে দাঁড়ায় নস্ট্যালজিক এই শৈলশহরে। সেই পাহাড়ের রানির নাম, দার্জিলিং। শহর যতই ঘিঞ্জি হোক না কেন, কুছ পরোয়া নেহি! সারা বছর ভিড় লেগেই থাকে। পায়ে পায়ে চলে আসুন ম্যালে। জমজমাট, আড্ডাবাজ, সেলফিপ্রেমীদের ভিড় সবসময় লেগেই আছে। খাদের ধারে রেলিং আর তার ওপারে কাঞ্চনজঙ্ঘার বিস্তার। সন্ধ্যার আলোকমালায় সেজে ওঠে দার্জিলিং। কাকভোরে ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে নিজেকে আপাদমস্তক শীতবস্ত্রে মুড়ে চলে আসুন ১১ কিমি দূরে ২,৫৯০ মিটার উচ্চতায় টাইগার হিলে। ভোরের প্রথম আলো ছুঁয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘার শরীর। সে এক অসাধারণ মুহূর্ত। এর পর ঘুরে দেখে নিন দার্জিলিংকে। রক গার্ডেন, পিস প্যাগোডা, মহাকাল মন্দির, তেনজিং নোরগে মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, পদ্মজা নাইডু জুলজিকাল পার্ক, রক গার্ডেন, গঙ্গামাইয়া পার্ক। দার্জিলিং থেকে একটু দূরে শান্তিস্তূপ, ঘুম মনাস্ট্রি, সোনাদা মনাস্ট্রি দেখে নিন। পাখির চোখে চা বাগান দেখতে হলে অবশ্যই চড়ে বসুন কেবলকারে। এখান থেকে দার্জিলিং দেখতে অসাধারণ লাগে। আর অবশ্যই চেপে বসুন টয় ট্রেনের জয় রাইডে। পাহাড়, খাদের ধার ঘেঁষে দার্জিলিং দর্শন, এক অসাধারণ নস্ট্যালজিয়া।
পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে রয়েছে ছবির মতো দার্জিলিং
কী ভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে ট্রেনে অথবা বিমানে এনজেপি হয়ে গাড়িতে চলে আসুন দার্জিলিং।
কোথায় থাকবেন: এখানে থাকার জন্য রাজ্য পর্যটন দফতরের টুরিস্ট লজ (০৩৫৮-২২৫৪৪১২) ভাড়া ১,৬০০-৩,৮০০ টাকা। জি টি এ ম্যাপল ট্যুরিস্ট লজ (০৩৫৮- ২২৫৪৪১৩) ভাড়া ২,০০০-২,৭০০ টাকা।
প্রাইভেট হোটেলের মধ্যে মাউন্ট মেরিডিয়ান (২২৫৩৫৯১) ভাড়া ১,০৫০-৩,৫০০ টাকা। হোটেল এলিমেন্ট (২২৫৫৫২১) ভাড়া ১,২৫০-১,৮৫০ টাকা। বেলভিউ হেরিটেজ (২২৫৪১৭৮) ভাড়া ১,৫০০-২,৫০০ টাকা। অ্যালিস ভিলা ( ২২৫৪১৮১) ভাড়া ১,৮৫০-২,৫৫০ টাকা।
#দার্জিলিং #কালিম্পং #লাভা #রিশপ #লোলেগাঁও