আজ ছেড়ে যেতে হবে সৈকত শহর পুরী, গত সাতদিন ধরে আমি আর আমার উনি এইখানেই আস্তানা করেছিলাম, পুরী বাঙালীর অতি প্রিয় জায়গা, প্রত্যেক বাঙালী একাধিক বার পুরী এসেছেন পুরী পুরান হয় না, মহাপ্রভু জগবন্ধুর দর্শন, সমুদ্র, খাজা গজা, বাসন কোষন, ঝিনুক কড়ির হরেক জিনিষ আর তার সাথে ফেরীওয়ালাদের ডাক "ধাঁই ধাঁই কিরি কিরি আস" সব মিলিয়ে পুরী সদাই নতুন।
তবে এইবারে আমরা কিছু অন্যরকম ভাবে ধরা দিল পুরী আমাদের কাছে, আশ্রম পরিক্রমার সাথে দেখলাম সৌন্দর্য, ময় পুরী। শঙ্করাচার্যের আশ্রম ও তার ছোট ছোট বালক শিষ্যদের বেদপাঠ মন ভরয়ে দিয়েছে, মোহনার কাছাকাছি বিপত্তারিণী মায়ের মন্দির ও তার আরতি এবং তার শান্ত পরিবেশের অদ্ভুত মাদকতা মনকে মাতাল করে দিল।এলাম কাঠিয়া বাবার আশ্রম, সুন্দর শান্ত আর পরিচ্ছন্নতা মানুষ কে আকৃষ্ট করবেই আরতির সময়ে বিভিন্ন পাথরের গহনা পরে কৃষ্ণ আরাধনা মনকে এক আধ্যাত্মিক ওম এ পৌঁছে দেয়।আর ভারত সেবাশ্রমের অতিথি পরায়নতা সত্যি সেবার মন্ত্রে দিক্ষীত হবার ইচ্ছা জাগায়। একটি নতুন মন্দির দেখলাম জগবন্ধুর মন্দির থেকে আরো ২ কিলোমিটার ভিতরে উঁচু নিচু পথ দিয়ে জঙ্গলের ভিতরে শিবমন্দির, ইনি লোক্নাথ শিব বলে প্রচলিত কথিত আছে রামচন্দ্র এই শিব কে পুজা করেন,এই শিবের দর্শন পাওয়া যায় কেবল মাত্র শিব রাত্রিতে অন্যসময়ে উপরের খোলস টিকেই পুজা করতে হয়, কিন্তু এরপ্রাকৃতিক দৃশ্য মনমুগ্ধ কর।আমাদের মিশনের কথা তো বলাই বাহুল্য। রামকৃষ্ণ মিশন আমার গুরুস্থান সেখানে বসে কিছুক্ষন জপধ্যানে মন ভরে গেল।
এরপর দেখলাম এক অভিনব স্থান পটুয়া গ্রাম রঘুরাজ পুর সাক্ষীগোপাল থেকে আর ও ভিতরে এক অধুষ্যিত গ্রাম, উঁচুনিচু মেঠো রাস্তা গাছপালায় ঘেরা এক শান্ত পরিবেশ। আর সরল গ্রাম বাসীদের আপ্যায়ন, মনকে ভিজিয়ে দিল, দেখলাম তাদের পটে আঁকা চিত্র, কি অপূর্ব!কিভাবে তৈরী হয় প্রশ্ন করায় তারা যা বলল আমি তো অবাক শুনে, বলল পুরান ছেঁড়া কাপর কে প্রথমে পেষ্ট করে বেস টি বানান হয় তারপর ঘরে তৈরী আঠা মালিশ করা হয়, এবার পাথর দিয়ে পালিশ করে কোন জৈবিকপদার্থ ছাড়াই ঘরের তৈরী রঙ দিয়ে তার উপর নকশা করা হয়, এছাড়া তাল পাতাকে আঠা দিয়ে পালিশ করে পেন্সিল দিয়ে কোন নক্সা তুলে ছোট ছুঁচাল পেরেক দিয়ে খোদাই করা হয় তারপর প্রদীপের ভুষাকালি দিয়ে পুরো নকষাটি ঘষা হয়, তারপর রাবার দিয়ে ঘষেঘষে ভিতরে কালি টা ঢুকিয়ে দিতে হয় খোদাই অংশের মধ্যে কালিটি ঢুকে এক অপূর্ব শিল্প কলার সৃষ্টি হয়, অয়ামাদের দেশের এই অনবদ্য শিল্প মৃতপ্রায় একে উজ্জীবিত করা আমাদের কর্তব্য।
দেখলাম সমুদ্র আরতি শঙ্করাচার্যের মঠের সামনে মাঝসমুদ্রে বিশাল এক কর্পূর দানি নিয়ে আরতি আর সঙ্গে অনর্গল বেদ পাঠ এক স্বর্গীয় অনুভুতির সৃষ্টি করে।।
আর সর্বপরি মহাপ্রভুর দর্শন জীবনের পরম পাথেয়,
পরিশেষে -----"জগন্নাথ স্বামি নয়নপথ গামী ভবতুমে।। জয় জগন্নাথ জয়হো পুরীধাম।।
তবে এইবারে আমরা কিছু অন্যরকম ভাবে ধরা দিল পুরী আমাদের কাছে, আশ্রম পরিক্রমার সাথে দেখলাম সৌন্দর্য, ময় পুরী। শঙ্করাচার্যের আশ্রম ও তার ছোট ছোট বালক শিষ্যদের বেদপাঠ মন ভরয়ে দিয়েছে, মোহনার কাছাকাছি বিপত্তারিণী মায়ের মন্দির ও তার আরতি এবং তার শান্ত পরিবেশের অদ্ভুত মাদকতা মনকে মাতাল করে দিল।এলাম কাঠিয়া বাবার আশ্রম, সুন্দর শান্ত আর পরিচ্ছন্নতা মানুষ কে আকৃষ্ট করবেই আরতির সময়ে বিভিন্ন পাথরের গহনা পরে কৃষ্ণ আরাধনা মনকে এক আধ্যাত্মিক ওম এ পৌঁছে দেয়।আর ভারত সেবাশ্রমের অতিথি পরায়নতা সত্যি সেবার মন্ত্রে দিক্ষীত হবার ইচ্ছা জাগায়। একটি নতুন মন্দির দেখলাম জগবন্ধুর মন্দির থেকে আরো ২ কিলোমিটার ভিতরে উঁচু নিচু পথ দিয়ে জঙ্গলের ভিতরে শিবমন্দির, ইনি লোক্নাথ শিব বলে প্রচলিত কথিত আছে রামচন্দ্র এই শিব কে পুজা করেন,এই শিবের দর্শন পাওয়া যায় কেবল মাত্র শিব রাত্রিতে অন্যসময়ে উপরের খোলস টিকেই পুজা করতে হয়, কিন্তু এরপ্রাকৃতিক দৃশ্য মনমুগ্ধ কর।আমাদের মিশনের কথা তো বলাই বাহুল্য। রামকৃষ্ণ মিশন আমার গুরুস্থান সেখানে বসে কিছুক্ষন জপধ্যানে মন ভরে গেল।
এরপর দেখলাম এক অভিনব স্থান পটুয়া গ্রাম রঘুরাজ পুর সাক্ষীগোপাল থেকে আর ও ভিতরে এক অধুষ্যিত গ্রাম, উঁচুনিচু মেঠো রাস্তা গাছপালায় ঘেরা এক শান্ত পরিবেশ। আর সরল গ্রাম বাসীদের আপ্যায়ন, মনকে ভিজিয়ে দিল, দেখলাম তাদের পটে আঁকা চিত্র, কি অপূর্ব!কিভাবে তৈরী হয় প্রশ্ন করায় তারা যা বলল আমি তো অবাক শুনে, বলল পুরান ছেঁড়া কাপর কে প্রথমে পেষ্ট করে বেস টি বানান হয় তারপর ঘরে তৈরী আঠা মালিশ করা হয়, এবার পাথর দিয়ে পালিশ করে কোন জৈবিকপদার্থ ছাড়াই ঘরের তৈরী রঙ দিয়ে তার উপর নকশা করা হয়, এছাড়া তাল পাতাকে আঠা দিয়ে পালিশ করে পেন্সিল দিয়ে কোন নক্সা তুলে ছোট ছুঁচাল পেরেক দিয়ে খোদাই করা হয় তারপর প্রদীপের ভুষাকালি দিয়ে পুরো নকষাটি ঘষা হয়, তারপর রাবার দিয়ে ঘষেঘষে ভিতরে কালি টা ঢুকিয়ে দিতে হয় খোদাই অংশের মধ্যে কালিটি ঢুকে এক অপূর্ব শিল্প কলার সৃষ্টি হয়, অয়ামাদের দেশের এই অনবদ্য শিল্প মৃতপ্রায় একে উজ্জীবিত করা আমাদের কর্তব্য।
দেখলাম সমুদ্র আরতি শঙ্করাচার্যের মঠের সামনে মাঝসমুদ্রে বিশাল এক কর্পূর দানি নিয়ে আরতি আর সঙ্গে অনর্গল বেদ পাঠ এক স্বর্গীয় অনুভুতির সৃষ্টি করে।।
আর সর্বপরি মহাপ্রভুর দর্শন জীবনের পরম পাথেয়,
পরিশেষে -----"জগন্নাথ স্বামি নয়নপথ গামী ভবতুমে।। জয় জগন্নাথ জয়হো পুরীধাম।।