কাঞ্চনজঙ্ঘা .. The name of Miracle as well as Fantasy..পেলিং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা সব থেকে কাছে দেখা যায় | রাভাংলা বুদ্ধ পার্ক ঘোরার পর যাত্রা শুরু হল পেলিং এর উদ্দ্যেশ্যে | পেলিং এর প্রাকৃতিক শোভা অবর্ননীয় | রাস্তার পাশে বিভিন্ন রঙের ফুলের সমাহার | হঠাৎ রৌদ্রজ্জ্বল দিন ঢেকে যাচ্ছে সারি সারি মেঘের আগমনে | বর্ননা কখনো প্রাকৃতিক শোভাকে ছুঁতে পারে না হয়ত | driver বলে দিলেন সকাল ৫-৭ টার মধ্যে হোটেল এর ঘর থেকেই দেখা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা | বিকালে পৌঁছাবার পর তাই বেরিয়ে পড়লাম চারপাশটা দেখতে | পেলিং এর আবহাওয়া ৩টার পর থেকেই পাল্টাতে শুরু করে | ওখানে ঠান্ডাটাও বেশ জোরদার বলেই মনে হচ্ছিল | লোকের মুখ থেকে আরও দূরে যাওয়া যায় কিনা জানতে চাইলাম | শুনলাম একজন travel agent আছেন মাত্র যিনি আরও কাছে নিয়ে যান ,কিন্তু বেশীর ভাগ বিদেশিদের | সন্ধ্যা পেরোতেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আর রাতের পরিস্কার আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘার রহস্যময় আবেদন মন ভরিয়ে দিল | সেই রাতটা নিদ্রাহীন কটল প্রায় | কত শুনেছি তোমার রূপের কথা আর কত দেখেছে তোমাকে অন্যের চোখে কাঞ্চনজঙ্ঘা | এবার আমার স্বপ্ন সত্যি হবে | কিন্ত হায় !!!! বিধি বাম | ভোর থেকেই মেঘলা আকাশ | বৃষ্টি শুরু হল প্রচন্ড| সময় কত তাড়াতাড়ি চলে যায় | সেদিন বৃষ্টি ছাড়ল বেলা ১০টায় | মন ভারাক্রান্ত সকলেরই | পেলিং আসার অন্যতম কারনই তো তাকে কাছ থেকে দেখার তীব্র আকুতি | পরদিন যে সকলকেই বাগডোগরা থেকে বিমানে উঠতে হবে | তাহলে কি আর দেখা হবে না! বিক্ষপ্ত মন নিয়ে চলে গেলাম sight scene দেখতে | First half এ ছিল রিম্বি ফলস,খিচিপিরি লেক্ আর কাঞ্চনজঙ্ঘা ফলস্ | ভাল লাগল কিন্তু মন কি ভরে! দ্বিতীয়ার্ধে আর ঘোরার ইচ্ছেটা রইল না | কিছুটা মন আর কিছুটা শারীরিক অসুস্থতার জন্য | পেলিং এর ঝরনার জল এ রান্না বেশীর ভাগ হোটেলে | তাই হজমশক্তির একটা মারাত্মক পরীক্ষা দিতেই হয় | বাচ্ছারা ও আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়লেন| প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ফেরার তাগাদার মধ্যেও আশা নিরাশার দোলা | পরদিন সকাল ৭টায় গাড়ীতে ওঠার আগে তোমার দেখা কি পাব? নাহলে যে এত কষ্ট সব বৃথা যাবে ! অবশেষে পেলাম বৃষ্টি স্নাত কিছুটা অস্পষ্ট মূহূর্ত | না ...শূন্য হৃদয়ে যে ফিরি নি এটাই বা কম কি??!