ইচ্ছে ছিল আইসল্যান্ডে যাওয়ার।
কিন্তু ভিসা আমাকে এখন দিবে না এবং আমার সামর্থও নেই আইসল্যান্ড যাওয়ার। তাই ভাবলাম এটার অনুরুপ কিছু খুঁজে বের করা । যা আমার বাজেট এর মধ্যেও হবে।
খ
ুজতে গিয়ে পেয়ে গেলাম সিকিম কিছুটা সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও কাশমীরের মিশ্রন।
শিলিগুড়ি পৌঁছে খাবার খেয়ে গাড়ি খুজতে শুরু করলাম। গ্যাংটক এর জন্য, ওখান থেকে ২৫০ /- করে শেয়ারে যাওয়া যায় । অথবা বাসে যাওয়া যায় ১২০ এবং ১৮০ /- করে কিন্তু বাস খুবই আস্তে যায় এবং অনেক বার থামে। কিন্তু কথা হল গ্যাংটকে ঢুকার জন্য রংপো পোস্টে সিকিমের অনুমতি নিতে হয়। সেটা নিতে ৫ মিনিট ও লাগতে পারে ৩ ঘন্টায়ও লাগতে পারে তাই আমরা চিন্তা করলাম ভাড়ার জিপ আমাদের জন্য এতক্ষণ অপক্ষে করবে কিনা তাই একটা সুমূজিপ রিজার্ভ করলাম।
রওনা দিলাম গ্যাংটকের উদ্দেশ্য।
রংপো চেক পোষ্টে গিয়ে পৌছলাম ৩ ঘন্টার ভিতর । গিয়ে দেখি বিশাল লাইন প্রায় ২ ঘন্টা লাগল আমাদের অনুমতির নিতে। রংপো থেকে গ্যাংটক পৌছালাম ২ ঘন্টার ভিতর।
কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল তাই তাদের হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা রাস্তা এক দোকান থেকে তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে ডিনার করে নিলাম। এরপর গ্যাংটকের পুলিশের সাহায্যে খুব ভাল হোটেল এ উঠেছিলাম আমরা।
এম জি মার্গ এ হোটেল বাইউুল এ উঠেছিলাম আমরা ১৫০০ /- পার নাইট। আমাদের রুম থেকে পুরা এম জি মার্গ স্ট্রিট ভিউ দেখা যাচ্ছিল। আর সকালে ঘুম থেকে উঠেতো পুরাই অবাক কারণ রুম এর জানালা দিয়ে কাঞ্জনজঙ্গা বরফের পাহাড় দেখা যাচ্ছিল।
সকালে আমাদের প্ল্যান ছিল প্রথম দিন তসোমগো লেক যাবো এবং এখানে যেতেও পারমিশন করাতে হবে। কিন্তু পারমিশন ঐখানকার কোন লোকাল এজেন্সি অথবা গাড়ি চালকদের দিয়ে করালে ঝামেলা কম হবে। আমরা এজেন্সি থেকে পারমিশন, গাইড এবং মাহেন্দ্রা স্করপিও গাড়ি ২৫০০ /- নিয়ে নিলাম।
রাস্তার বরফে পরার জুতা ও শীতবস্ত্র ভাড়া পাওয়া যায় । আমরা শুধু জুতা ভাড়া নিয়েছিলাম ১০০/-- করে।
দেখে মনে হচ্ছিল আমরা আইসল্যান্ড এসে পড়েছি। ১৩০০ ফিট উপরে এই তসোমগো লেক। ক্যাবল কার ও ছিল ৩২৫ রুপি করে এক এক জনের জন্য। আমি ইয়াক( পাহাড়ি বড় পশম ওয়ালা গরু) সাফারিটা নিলাম যা পুরো লেকটা ঘুরিয়ে এনেছিল ১০০০ /- দিয়ে।
দুপুরে সব কিছু ঘোলা হয়ে যাচ্ছিল তখন জানতে পারলাম সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্কার থাকে তখনই সব কিছু সুন্দর দেখা যায় এর পর ঘোলা হয়ে যায়।
দুপুরে কিছুক্ষন পর আমরা রওনা দিয়ে দিলাম গ্যাংটকের জন্য। রাস্তায় পাহাড়ের উপর একটা ছোট রেস্টুরেন্ট থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম । কিছুক্ষন পর মেঘ কিছুক্ষন পর বরফ বৃষ্টি, কিছুক্ষন পর শুধু বৃষ্টি এই ২/৩ ঘন্টায় যে রুপ বদলাতে দেখলাম আবহাওয়ার।
বিকেল হয়েগেল গ্যাংটক পৌছাতে। এরপর গ্যাংটকের মার্কেট ঘুরে দেখলাম । এখানে ভালো বার , ক্লাব, রেস্টুরেন্ট ক্যাসিনো সবকিছু আছে। কিন্তু ওদের খাবার আমার খুব একটা ভাল লাগেনি। বেশী ভাগই ছিল ভেজিটেরিয়ান।
পরেরদিন প্ল্যান ছিল লাচুং যাওয়ার। একটি এজেন্সির কাছে আমরা টুর বুক করলাম । পার হেড নিয়েছিল ২৫০০ রুপি করে ( ১ রাত থাকা, ২ বেলা সকালের নাস্তা ২ বেলা দুপুরের খাবার এবং ১ বেলা রাতের খাবারসহ) লুচং এর ভিতর আমাদের প্লান ছিল ইয়্যামথান ভ্যালি এবং কাটাউ যাওয়ার।
সকালের রওনা দিলাম লাচুং এর উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ পর পর ঝর্ণা, পাহাড়ের পাথরের রোড খুবই সুন্দর লাগছিল। কিন্তু খুবই খারাপ রাস্তা খুবই চাপাচাপি করে বসতে হয়েছিল। সুমজিপে মোট ৯ জন জন ছিলাম। সকাল, দুপুরে খাওয়া সহ লাচুং যেতে যেতে প্রায় ৮ ঘন্টা লেগেছিল। হোটেলে উঠে ডিনার করে আমরা ঘুমিয়ে পরলাম।
পরের দিন সকালে উঠে দেখি আমাদের হোটেলের চারপাশে বড় বড় বরফের পাহাড়, ঝর্ণা এবং খুব সুন্দর সুন্দর কাঠের ছোট ছোট বাড়ি আর খুব সুন্দর সুন্দর রং বেরঙের ফুল।
এরপর আমরা রওনা দিলাম ইয়্যামথান ভ্যালির জন্য কিন্তু সেখানে পাহাড় ধস হওয়ার কারণে আমরা ভ্যালি পর্যন্ত যেতে পারিনি। কাছাকাছি পর্যন্ত গিয়েছিলাম। খুবই সুন্দর লাগছিল মনে হচ্ছিল সুইজারল্যান্ড।
এরপর দিন গ্যাংটকে ভোট হওয়ার কারণে ড্রাইভার তাড়াতাড়ি শহরে যাবে বলে আমাদের কাটাউ নিয়ে যায়নি। পরে আমরা বিকেলে লাচুং ঘুরে গ্যাংটকে এসে পরলাম।
ঐদিন সন্ধ্যায় গানেশটেক গিয়েছিলাম সেখান থেকে পুরো গ্যাংটক সিটি দেখা যায়। অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য ছিলো।
পরদিন সকালে শেয়ার করা সুমজিপ দিয়ে ২৫০ /- করে শিলিগুড়ি গেলাম এবং সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
সিকিম শহরটা খুবই সুন্দর ও পরিষ্কার। এখানে সব জায়গায় ধুমপান করা যায় না, ময়লা ফেলা যায় না। কিছুদূর পরপর ডাষ্টবিন এবং স্মোকিং জোন আছে।
আমরা চেষ্টা করব যেখানেই ঘুরতে যাই না কেন সব জায়গাগুলোর ময়লা এখানে সেখানে না ফেলা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
কিন্তু ভিসা আমাকে এখন দিবে না এবং আমার সামর্থও নেই আইসল্যান্ড যাওয়ার। তাই ভাবলাম এটার অনুরুপ কিছু খুঁজে বের করা । যা আমার বাজেট এর মধ্যেও হবে।
খ
ুজতে গিয়ে পেয়ে গেলাম সিকিম কিছুটা সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও কাশমীরের মিশ্রন।
শিলিগুড়ি পৌঁছে খাবার খেয়ে গাড়ি খুজতে শুরু করলাম। গ্যাংটক এর জন্য, ওখান থেকে ২৫০ /- করে শেয়ারে যাওয়া যায় । অথবা বাসে যাওয়া যায় ১২০ এবং ১৮০ /- করে কিন্তু বাস খুবই আস্তে যায় এবং অনেক বার থামে। কিন্তু কথা হল গ্যাংটকে ঢুকার জন্য রংপো পোস্টে সিকিমের অনুমতি নিতে হয়। সেটা নিতে ৫ মিনিট ও লাগতে পারে ৩ ঘন্টায়ও লাগতে পারে তাই আমরা চিন্তা করলাম ভাড়ার জিপ আমাদের জন্য এতক্ষণ অপক্ষে করবে কিনা তাই একটা সুমূজিপ রিজার্ভ করলাম।
রওনা দিলাম গ্যাংটকের উদ্দেশ্য।
রংপো চেক পোষ্টে গিয়ে পৌছলাম ৩ ঘন্টার ভিতর । গিয়ে দেখি বিশাল লাইন প্রায় ২ ঘন্টা লাগল আমাদের অনুমতির নিতে। রংপো থেকে গ্যাংটক পৌছালাম ২ ঘন্টার ভিতর।
কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল তাই তাদের হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা রাস্তা এক দোকান থেকে তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে ডিনার করে নিলাম। এরপর গ্যাংটকের পুলিশের সাহায্যে খুব ভাল হোটেল এ উঠেছিলাম আমরা।
এম জি মার্গ এ হোটেল বাইউুল এ উঠেছিলাম আমরা ১৫০০ /- পার নাইট। আমাদের রুম থেকে পুরা এম জি মার্গ স্ট্রিট ভিউ দেখা যাচ্ছিল। আর সকালে ঘুম থেকে উঠেতো পুরাই অবাক কারণ রুম এর জানালা দিয়ে কাঞ্জনজঙ্গা বরফের পাহাড় দেখা যাচ্ছিল।
সকালে আমাদের প্ল্যান ছিল প্রথম দিন তসোমগো লেক যাবো এবং এখানে যেতেও পারমিশন করাতে হবে। কিন্তু পারমিশন ঐখানকার কোন লোকাল এজেন্সি অথবা গাড়ি চালকদের দিয়ে করালে ঝামেলা কম হবে। আমরা এজেন্সি থেকে পারমিশন, গাইড এবং মাহেন্দ্রা স্করপিও গাড়ি ২৫০০ /- নিয়ে নিলাম।
রাস্তার বরফে পরার জুতা ও শীতবস্ত্র ভাড়া পাওয়া যায় । আমরা শুধু জুতা ভাড়া নিয়েছিলাম ১০০/-- করে।
দেখে মনে হচ্ছিল আমরা আইসল্যান্ড এসে পড়েছি। ১৩০০ ফিট উপরে এই তসোমগো লেক। ক্যাবল কার ও ছিল ৩২৫ রুপি করে এক এক জনের জন্য। আমি ইয়াক( পাহাড়ি বড় পশম ওয়ালা গরু) সাফারিটা নিলাম যা পুরো লেকটা ঘুরিয়ে এনেছিল ১০০০ /- দিয়ে।
দুপুরে সব কিছু ঘোলা হয়ে যাচ্ছিল তখন জানতে পারলাম সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্কার থাকে তখনই সব কিছু সুন্দর দেখা যায় এর পর ঘোলা হয়ে যায়।
দুপুরে কিছুক্ষন পর আমরা রওনা দিয়ে দিলাম গ্যাংটকের জন্য। রাস্তায় পাহাড়ের উপর একটা ছোট রেস্টুরেন্ট থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম । কিছুক্ষন পর মেঘ কিছুক্ষন পর বরফ বৃষ্টি, কিছুক্ষন পর শুধু বৃষ্টি এই ২/৩ ঘন্টায় যে রুপ বদলাতে দেখলাম আবহাওয়ার।
বিকেল হয়েগেল গ্যাংটক পৌছাতে। এরপর গ্যাংটকের মার্কেট ঘুরে দেখলাম । এখানে ভালো বার , ক্লাব, রেস্টুরেন্ট ক্যাসিনো সবকিছু আছে। কিন্তু ওদের খাবার আমার খুব একটা ভাল লাগেনি। বেশী ভাগই ছিল ভেজিটেরিয়ান।
পরেরদিন প্ল্যান ছিল লাচুং যাওয়ার। একটি এজেন্সির কাছে আমরা টুর বুক করলাম । পার হেড নিয়েছিল ২৫০০ রুপি করে ( ১ রাত থাকা, ২ বেলা সকালের নাস্তা ২ বেলা দুপুরের খাবার এবং ১ বেলা রাতের খাবারসহ) লুচং এর ভিতর আমাদের প্লান ছিল ইয়্যামথান ভ্যালি এবং কাটাউ যাওয়ার।
সকালের রওনা দিলাম লাচুং এর উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ পর পর ঝর্ণা, পাহাড়ের পাথরের রোড খুবই সুন্দর লাগছিল। কিন্তু খুবই খারাপ রাস্তা খুবই চাপাচাপি করে বসতে হয়েছিল। সুমজিপে মোট ৯ জন জন ছিলাম। সকাল, দুপুরে খাওয়া সহ লাচুং যেতে যেতে প্রায় ৮ ঘন্টা লেগেছিল। হোটেলে উঠে ডিনার করে আমরা ঘুমিয়ে পরলাম।
পরের দিন সকালে উঠে দেখি আমাদের হোটেলের চারপাশে বড় বড় বরফের পাহাড়, ঝর্ণা এবং খুব সুন্দর সুন্দর কাঠের ছোট ছোট বাড়ি আর খুব সুন্দর সুন্দর রং বেরঙের ফুল।
এরপর আমরা রওনা দিলাম ইয়্যামথান ভ্যালির জন্য কিন্তু সেখানে পাহাড় ধস হওয়ার কারণে আমরা ভ্যালি পর্যন্ত যেতে পারিনি। কাছাকাছি পর্যন্ত গিয়েছিলাম। খুবই সুন্দর লাগছিল মনে হচ্ছিল সুইজারল্যান্ড।
এরপর দিন গ্যাংটকে ভোট হওয়ার কারণে ড্রাইভার তাড়াতাড়ি শহরে যাবে বলে আমাদের কাটাউ নিয়ে যায়নি। পরে আমরা বিকেলে লাচুং ঘুরে গ্যাংটকে এসে পরলাম।
ঐদিন সন্ধ্যায় গানেশটেক গিয়েছিলাম সেখান থেকে পুরো গ্যাংটক সিটি দেখা যায়। অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য ছিলো।
পরদিন সকালে শেয়ার করা সুমজিপ দিয়ে ২৫০ /- করে শিলিগুড়ি গেলাম এবং সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
সিকিম শহরটা খুবই সুন্দর ও পরিষ্কার। এখানে সব জায়গায় ধুমপান করা যায় না, ময়লা ফেলা যায় না। কিছুদূর পরপর ডাষ্টবিন এবং স্মোকিং জোন আছে।
আমরা চেষ্টা করব যেখানেই ঘুরতে যাই না কেন সব জায়গাগুলোর ময়লা এখানে সেখানে না ফেলা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।