Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionসঙ্কেত উদ্ধার করলেই পাওয়া যাবে রাজা বিম্বিসারের অগাধ সম্পদ ? Emptyসঙ্কেত উদ্ধার করলেই পাওয়া যাবে রাজা বিম্বিসারের অগাধ সম্পদ ?

more_horiz
সঙ্কেত উদ্ধার করলেই পাওয়া যাবে রাজা বিম্বিসারের অগাধ সম্পদ ?
----*------*-----*-----*------*------*-------*------*-----
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্ এবং ধর্ম-সংস্কৃতির অঙ্গ সব কিছু মিলিয়েই ভারতবর্ষ এক রহস্যময় দেশ। সেই প্রাচীন যুগ থেকেই এ দেশ ‘Land of Mysteries’ নামেই পরিচিত। সে রকমই এদেশের অতি পরিচিত একটি জায়গা প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ হিসেবে সেই স্থান পরিচিত। সেখানে পাহাড়ের গায়ে দুটি গুহার দেয়ালের দরজায় লেখা কিছু কথা থেকে রহস্যময় সোনার ভান্ডারের তথ্য পাওয়া গিয়েছিল অনেক আগেই। সেই ঐতিহাসিক রহস্যময় স্থানটি হল বিহারের রাজগির।

জানা যায়, বৈভর পর্বতের পাদদেশে দুটি গুহা নির্মাণ করেছিলেন এক জৈন সন্ন্যাসী। পাহাড়ের গায়ে রয়েছে সেই গুহা, যার দেওয়ালে রয়েছে দরজার মতো একটি কাঠামো। আর তার পাশে এক অজানা ভাষায় লেখা রয়েছে কিছু কথা। স্থানীয়রা মনে করেন, এই লেখা পড়তে পারলেই সন্ধান পাওয়া যাবে লুকনো সেই গুপ্তধনের, সোনার। এই দুটি গুহার নাম হল ‘সোন ভান্ডার’ ও ‘সোনে ভান্ডার’।

‘সোনা ভাণ্ডার’ নামে এই দুটি রহস্যময় গুহা রয়েছে বিহারের রাজগিরে। মনে করা এই দুটি গুহাই কৃত্রিম। সম্ভবত তৃতীয় বা চতুর্থ শতাব্দীতে এর খনন করা হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি ব্রিটিশরাও তাঁদের রাজত্বকালে কানিংহ্যাম নামে এক প্রত্নতত্ত্ববিদ এনে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছিলেন। তারপরে জানতে পেরেছিলেন, যে গুহা দুটি বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিক গুপ্তধনের আস্তানা।

এই স্বর্ণ ভান্ডারের দ্বিতীয় গুহার একটি দেয়ালে খোদাই করা রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি, যা মূলত জৈন তীর্থঙ্করদের। তবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ‘সপ্তপর্ণী’ গুহা রয়েছে সোন ভান্ডারের মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে। কথিত আছে যে, ইংরেজ আমলে ব্রিটিশরা অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও এখানে কোনও সোনার সন্ধান পাননি।

বিহারের রাজগিরে বৈভর পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত ‘সোন ভাণ্ডার গুহা’ প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের এক অন্যতম নিদর্শন। তবে গুহার গভীরে লুকিয়ে আছে রাজা বিম্বিসারের এক আশ্চর্য রহস্যগল্প । বৌদ্ধগ্রন্থ মহাবংশ থেকে জানা যায়, বিম্বিসার মাত্র পনেরো বছর বয়সে তাঁর পিতা মহাপদুম কর্তৃক মগধের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। বিম্বিসারের মায়ের নাম ছিল বিম্ব। প্রাচীন গ্রন্থানুসারে বিম্বিসার গৌতম বুদ্ধ অপেক্ষা পাঁচ বছরের ছোট ছিলেন। বোধিলাভের সাত বছর আগে মগধের রাজধানী রাজগৃহে সিদ্ধার্থ গৌতমের সঙ্গে বিম্বিসারের দেখা হয়। সিদ্ধার্থ নিজেকে শাক্য বংশজাত হিসেবে পরিচয় দিলে, বিম্বিসার তাঁকে রাজগৃহে বসবাস করার অনুরোধ করেন। এবং সিদ্ধার্থ তা প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু পরবর্তীকালে বোধিলাভের পর তিনি রাজগৃহে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্যই গৌতম বুদ্ধ বোধিলাভের দুই বছর পরে বিম্বিসারের সঙ্গে দেখা করেন।

এর পরবর্তীকালে দেবদত্তের প্ররোচনায় বিম্বিসারের পুত্র অজাতশত্রু তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেন রাজত্ব লাভের আশায়। বুদ্ধের মতাদর্শে বিশ্বাসী বিম্বিসার তাঁর পুত্রকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু পুনরায় দেবদত্তের প্ররোচনায় অজাতশত্রু বিম্বিসার ও তাঁর সহায়কদের গৃহবন্দি করে এবং নিজেকে মগধের শাসক হিসেবে ঘোষণা করেন।

রাজা বিম্বিসারের বিশ্রামের জায়গা ছিল পশ্চিম দিকের গুহাটি। ইতিহাস বলে যে নিজের ছেলের হাত থেকে তাঁর বিপুল ধন-সম্পত্তি রক্ষা করতে এই গুহারই কোনও এক গোপন স্থানে তা লুকিয়ে রাখেন তিনি। ৪৯১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গৃহবন্দি অবস্থায় বিম্বিসারের মৃত্যু ঘটে। প্রায় দু’হাজার বছর পরেও খুঁজে পাওয়া যায়নি সেই সব সোনাদানা। গুহার একটি বন্ধ দরজার উপর রয়েছে কিছু সাংকেতিক চিহ্ন। মনে করা হয় যে ওই চিহ্নগুলিই গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়ার সূত্র! তবে সেই সংকেতের মানে উদ্ধার হয়নি আজও। ব্রিটিশরা কামান দেগেও ভাঙতে পারেনি সেই দরজা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনার লোভে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছিল ইংরেজরা। পাহাড় ফাটিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনও সোনার সন্ধান পায়নি। তবে, অনেকে মনে করেন যে গুহা দুটির পাথর এক এক জায়গায় এতও বেশি মসৃণ ও চকচকে যে সোনা বলে ভুল হতেই পারে। এই জায়গার গুপ্তধনের রহস্য আজও আজনা সকলের কাছেই। গুপ্তধন থাকলেও তা কোথায় রয়েছে, সে সব আজও থেকে গিয়েছ রহস্য হয়েই।

----*------*------*-------*------*-------*-------*-------*------

descriptionসঙ্কেত উদ্ধার করলেই পাওয়া যাবে রাজা বিম্বিসারের অগাধ সম্পদ ? EmptyRe: সঙ্কেত উদ্ধার করলেই পাওয়া যাবে রাজা বিম্বিসারের অগাধ সম্পদ ?

more_horiz
[You must be registered and logged in to see this link.]
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply