. #পঞ্চলিঙ্গেস্বর
#Panchalingeswar
জঙ্গল-পাহাড়-সাগর-মেঘ-বৃষ্টি নিয়ে ভোলে বাবার এলাকায় ল্যাদ খেয়ে দুদিন কাটিয়ে আসুন তো দেখি...
আর যদি নেচার ওয়াক - বার্ড ওয়াচিং - রক ক্লাইম্বিং - বারবিকিউ - ক্যাম্প ফায়ার - ফোক ডান্স -ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির শখ থাকে তার ব্যবস্থাও হয়ে যাবে!!!
সত্যি বলছি হাতের নাগালেই এমন একটা সস্তায় পুষ্টিকর ভ্রমণ বাকিদের চোখ বুজে দশ গোল দেবে...
প্রথম দিন
_________
★ 7.25am................ হাওড়া থেকে ফলকনামা এক্সপ্রেসের স্লীপার ক্লাস।(সিটিং কামরা নেই/ভাড়া 185 টাকা)। সকাল 6 টায় Dhauli ধরলে আরো ভালো।
★10.40am............... বালাসোর স্টেশন।নেমেই রিসোর্টের নিজস্ব গাড়িতে(AC)উঠে মাত্র 45 মিনিটের পঞ্চলিঙ্গেস্বর যাত্রা।প্রয়োজনে রাস্তাতেই খাদ্য-পানীয় নিয়ে নিন।
★11.30am................একেবারে পাহাড়ের কোলে হিল ভিউ রিসোর্ট।প্রায় নতুন প্রপার্টি।AC/Non AC রুম/কটেজ আছে।আমরা ডবল বেডের 4টে ac রুম নিয়েছিলাম।(তিন তলা থেকে ভিউ সবচেয়ে ভালো)
★1.00pm...............রিসোর্টের ডাইনিংয়ে দুপুরের আহার।ভাত-ডাল-উচ্ছেভাজা-পাঁপড়-আলু পোস্ত-রুই মাছের কালিয়া-চাটনি।(আমরা কাঁচা পমফ্রেট নিয়ে গিয়েছিলাম,ওরা ফ্রাই করে দিয়েছিল)
★2.30pm...............রিসোর্টের গাড়িতেই চারপাশটা ঘুরতে বেরোনো।প্রথমে বিশ্বেস্বর মন্দির।টিলার ওপর থেকে দারুণ ভিউ।হনুমানের মতো কিছুক্ষণ লাফালাফি করে নেমে এলাম।এরপর চললাম খুমকূট ড্যামের দিকে।আমাদের কয়েকজন তো লোভ সামলাতে না পেরে মারলো ডাইভ যদিও জুলাইয়ের শেষে এসেও জল কিন্তু একেবারে তলানিতে!
★5.30pm.............. রিসোর্টে ফিরে চা বিস্কুট খেয়ে হাঁটতে বেরোলাম পঞ্চলিঙ্গেস্বর মন্দিরের দিকে।শ্রাবণ মাসে ঠিক তারকেশ্বর মতোই সবাই জল ঢালতে চলেছে। প্রায় এক কিমি মতো মৃদু চড়াই আলো আঁধারী বাঁধানো পথের দুপাশে এখন মেলার সারি।মন্দিরের গেট রাত এগারোটায় খুলবে তাই ফিরে এলাম রিসোর্টে।
★7.30pm.............. আর এক প্রস্থ চা আর সাথে চিকেন পাকোড়া।রিসোর্টের লনে সহকর্মী গনেশ বাবুর অসাধারণ সাঁওতালি গান আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে আসর পুরো জমে ক্ষীর।
★9.30pm.............. ডিনারে সবাই রুটি নিলাম সঙ্গে চিকেন কষা।এরপর তিনতলায় বারান্দার চেয়ারে বসে রেলিংয়ে ঠ্যাং দুটো তুলে দিয়ে জমাটি আড্ডা। অন্ধকার চারপাশের জঙ্গল থেকে তখন কত বিচিত্র সব শব্দ একটানা কানে আসছে।
★11.00pm............. এবার যেন চোখদুটো টেনে ধরছে।AC চালিয়ে যে যার বিছানায়। রাতে দুবার ঘুম ভাঙলে হালকা শব্দ কানে আসছিলো,সারা রাতই নাকি দলে দলে জলযাত্রী চলেছে।
দ্বিতীয় দিন
__________
★6.00am...............ঘুম ভাঙতেই দরজা খুলে বারান্দায়।মেঘলা আকাশ।সামনের টিলার মাথা ছুঁয়ে চলেছে বর্ষার নিচু মেঘ।আজ প্রকৃতি যেন আরো সবুজ-সতেজ।
★8.00am............... চান-টান করে সোজা বেরিয়ে পড়ুন পুজো দিতে।মন্দিরের গেট এখন খোলা। গেট থেকে 263 সিঁড়ি টপকে বাবার স্থান।পাথরের খাঁজ বেয়ে নেমে আসছে বৃষ্টির জলধারা আর তাতেই কনুই অবধি ডুবিয়ে পঞ্চলিঙ্গ স্পর্শ করুন।বেশ রোমাঞ্চকর ব্যাপার একটা।পুজো দিতে চাইলে তার ব্যবস্থাও আছে।
★10.00am..............রিসোর্টে ফিরে লুচি আর আলুর তরকারি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারুন।জঙ্গলের গল্প শুনুন মনোরঞ্জনদার(রিসোর্টের মালিক কাম সরকারি অনুমোদিত গাইড)কাছে।
★2.00pm................ব্যাগ গুছিয়ে লাঞ্চ করে নিন।বিল মিটিয়ে এবার একটু রেস্ট।
★3.00pm...............গাড়ি নিয়ে সোজা বালাসোর স্টেশনের দিকে।এবারের মতো বিদায় পঞ্চলিঙ্গেস্বর।
★4.24pm................Dhauli Exp.(2S ভাড়া-115)
★8.20pm........... ...হাওড়া(যদিও লেট করে)
◆ ফেরার দিন(দ্বিতীয় দিন) সাইড সিন করতে চাইলে পুজো দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরেই বেরিয়ে পড়ুন।প্রথমে ইমামি জগন্নাথ আর খিরচড়া মন্দির হয়ে শেষে চাঁদিপুর সৈকত ঘুরে স্টেশন পৌঁছোন।
সেক্ষেত্রে রিসোর্ট থেকে প্যাকেট লাঞ্চবক্স এর ব্যবস্থা করে দেবে।
◆ যদিও আমাদের প্ল্যানটা একটু পাল্টাতে হয়েছিল।শ্রাবন মাসের সোমবারে পঞ্চলিঙ্গেস্বর মন্দিরে সকালে খুব ভিড় থাকায় পুজো বেলায় দিতে হয়েছিলো।তাই একটু তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট করে ইমামী জগন্নাথ আর খিরচড়া মন্দির দেখে চাঁদিপুরের ভ্যানিসিং বিচে সমুদ্রে চান করেছিলাম।এরপর ফিরে পঞ্চলিঙ্গেস্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে রিসোর্টে লাঞ্চ সেরেই স্টেশনের দিকে গাড়ি নিয়ে ছুট।
◆ হাতে আরো একদিন বেশি থাকলে কুলডিয়া ফরেস্ট সাফারি(বর্ষায় বন্ধ), দেবকুন্ড জলপ্রপাত, সতী মন্দির ইত্যাদি ঘুরে আসা যায়।
◆ আমাদের মাথাপিছু খরচ
ট্রেন...........................................200+100
বালাসোর টু বালাসোর প্যাকেজ....2100
(AC গাড়ি+AC রুম+খাওয়া)
ট্রেনে খাওয়া...............................50+50
অন্যান্য......................................100
মোট..……....................................2600
(রিসোর্টের Non AC প্যাকেজ 1500/AC 2000/আমাদের 9 জনের 2100 করে পরেছিল)
◆ যোগাযোগ
মনোরঞ্জন দাস
পঞ্চলিঙ্গেস্বর, নীলগিরি,ওড়িশা
9937332552(whatsapp)
9937741030
(আমার কোনো কাটমানি নেই কিন্তু)
◆ সম্ভব হলে খুমকূট ড্যামে স্থানীয় আদিবাসী বাচ্ছাদের জন্য কিছু প্যাকেট খাবার বা জামাকাপড় নিয়ে যান। গ্যারান্টি দিতে পারি বা নামি রেস্তোরাঁয় খাইয়ে বা ব্র্যান্ডেড পোশাক কাউকে উপহার দেবার চেয়েও ঢের ঢের আনন্দ বেশি পাবেন।
.
#Panchalingeswar
জঙ্গল-পাহাড়-সাগর-মেঘ-বৃষ্টি নিয়ে ভোলে বাবার এলাকায় ল্যাদ খেয়ে দুদিন কাটিয়ে আসুন তো দেখি...
আর যদি নেচার ওয়াক - বার্ড ওয়াচিং - রক ক্লাইম্বিং - বারবিকিউ - ক্যাম্প ফায়ার - ফোক ডান্স -ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফির শখ থাকে তার ব্যবস্থাও হয়ে যাবে!!!
সত্যি বলছি হাতের নাগালেই এমন একটা সস্তায় পুষ্টিকর ভ্রমণ বাকিদের চোখ বুজে দশ গোল দেবে...
প্রথম দিন
_________
★ 7.25am................ হাওড়া থেকে ফলকনামা এক্সপ্রেসের স্লীপার ক্লাস।(সিটিং কামরা নেই/ভাড়া 185 টাকা)। সকাল 6 টায় Dhauli ধরলে আরো ভালো।
★10.40am............... বালাসোর স্টেশন।নেমেই রিসোর্টের নিজস্ব গাড়িতে(AC)উঠে মাত্র 45 মিনিটের পঞ্চলিঙ্গেস্বর যাত্রা।প্রয়োজনে রাস্তাতেই খাদ্য-পানীয় নিয়ে নিন।
★11.30am................একেবারে পাহাড়ের কোলে হিল ভিউ রিসোর্ট।প্রায় নতুন প্রপার্টি।AC/Non AC রুম/কটেজ আছে।আমরা ডবল বেডের 4টে ac রুম নিয়েছিলাম।(তিন তলা থেকে ভিউ সবচেয়ে ভালো)
★1.00pm...............রিসোর্টের ডাইনিংয়ে দুপুরের আহার।ভাত-ডাল-উচ্ছেভাজা-পাঁপড়-আলু পোস্ত-রুই মাছের কালিয়া-চাটনি।(আমরা কাঁচা পমফ্রেট নিয়ে গিয়েছিলাম,ওরা ফ্রাই করে দিয়েছিল)
★2.30pm...............রিসোর্টের গাড়িতেই চারপাশটা ঘুরতে বেরোনো।প্রথমে বিশ্বেস্বর মন্দির।টিলার ওপর থেকে দারুণ ভিউ।হনুমানের মতো কিছুক্ষণ লাফালাফি করে নেমে এলাম।এরপর চললাম খুমকূট ড্যামের দিকে।আমাদের কয়েকজন তো লোভ সামলাতে না পেরে মারলো ডাইভ যদিও জুলাইয়ের শেষে এসেও জল কিন্তু একেবারে তলানিতে!
★5.30pm.............. রিসোর্টে ফিরে চা বিস্কুট খেয়ে হাঁটতে বেরোলাম পঞ্চলিঙ্গেস্বর মন্দিরের দিকে।শ্রাবণ মাসে ঠিক তারকেশ্বর মতোই সবাই জল ঢালতে চলেছে। প্রায় এক কিমি মতো মৃদু চড়াই আলো আঁধারী বাঁধানো পথের দুপাশে এখন মেলার সারি।মন্দিরের গেট রাত এগারোটায় খুলবে তাই ফিরে এলাম রিসোর্টে।
★7.30pm.............. আর এক প্রস্থ চা আর সাথে চিকেন পাকোড়া।রিসোর্টের লনে সহকর্মী গনেশ বাবুর অসাধারণ সাঁওতালি গান আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে আসর পুরো জমে ক্ষীর।
★9.30pm.............. ডিনারে সবাই রুটি নিলাম সঙ্গে চিকেন কষা।এরপর তিনতলায় বারান্দার চেয়ারে বসে রেলিংয়ে ঠ্যাং দুটো তুলে দিয়ে জমাটি আড্ডা। অন্ধকার চারপাশের জঙ্গল থেকে তখন কত বিচিত্র সব শব্দ একটানা কানে আসছে।
★11.00pm............. এবার যেন চোখদুটো টেনে ধরছে।AC চালিয়ে যে যার বিছানায়। রাতে দুবার ঘুম ভাঙলে হালকা শব্দ কানে আসছিলো,সারা রাতই নাকি দলে দলে জলযাত্রী চলেছে।
দ্বিতীয় দিন
__________
★6.00am...............ঘুম ভাঙতেই দরজা খুলে বারান্দায়।মেঘলা আকাশ।সামনের টিলার মাথা ছুঁয়ে চলেছে বর্ষার নিচু মেঘ।আজ প্রকৃতি যেন আরো সবুজ-সতেজ।
★8.00am............... চান-টান করে সোজা বেরিয়ে পড়ুন পুজো দিতে।মন্দিরের গেট এখন খোলা। গেট থেকে 263 সিঁড়ি টপকে বাবার স্থান।পাথরের খাঁজ বেয়ে নেমে আসছে বৃষ্টির জলধারা আর তাতেই কনুই অবধি ডুবিয়ে পঞ্চলিঙ্গ স্পর্শ করুন।বেশ রোমাঞ্চকর ব্যাপার একটা।পুজো দিতে চাইলে তার ব্যবস্থাও আছে।
★10.00am..............রিসোর্টে ফিরে লুচি আর আলুর তরকারি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারুন।জঙ্গলের গল্প শুনুন মনোরঞ্জনদার(রিসোর্টের মালিক কাম সরকারি অনুমোদিত গাইড)কাছে।
★2.00pm................ব্যাগ গুছিয়ে লাঞ্চ করে নিন।বিল মিটিয়ে এবার একটু রেস্ট।
★3.00pm...............গাড়ি নিয়ে সোজা বালাসোর স্টেশনের দিকে।এবারের মতো বিদায় পঞ্চলিঙ্গেস্বর।
★4.24pm................Dhauli Exp.(2S ভাড়া-115)
★8.20pm........... ...হাওড়া(যদিও লেট করে)
◆ ফেরার দিন(দ্বিতীয় দিন) সাইড সিন করতে চাইলে পুজো দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরেই বেরিয়ে পড়ুন।প্রথমে ইমামি জগন্নাথ আর খিরচড়া মন্দির হয়ে শেষে চাঁদিপুর সৈকত ঘুরে স্টেশন পৌঁছোন।
সেক্ষেত্রে রিসোর্ট থেকে প্যাকেট লাঞ্চবক্স এর ব্যবস্থা করে দেবে।
◆ যদিও আমাদের প্ল্যানটা একটু পাল্টাতে হয়েছিল।শ্রাবন মাসের সোমবারে পঞ্চলিঙ্গেস্বর মন্দিরে সকালে খুব ভিড় থাকায় পুজো বেলায় দিতে হয়েছিলো।তাই একটু তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট করে ইমামী জগন্নাথ আর খিরচড়া মন্দির দেখে চাঁদিপুরের ভ্যানিসিং বিচে সমুদ্রে চান করেছিলাম।এরপর ফিরে পঞ্চলিঙ্গেস্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে রিসোর্টে লাঞ্চ সেরেই স্টেশনের দিকে গাড়ি নিয়ে ছুট।
◆ হাতে আরো একদিন বেশি থাকলে কুলডিয়া ফরেস্ট সাফারি(বর্ষায় বন্ধ), দেবকুন্ড জলপ্রপাত, সতী মন্দির ইত্যাদি ঘুরে আসা যায়।
◆ আমাদের মাথাপিছু খরচ
ট্রেন...........................................200+100
বালাসোর টু বালাসোর প্যাকেজ....2100
(AC গাড়ি+AC রুম+খাওয়া)
ট্রেনে খাওয়া...............................50+50
অন্যান্য......................................100
মোট..……....................................2600
(রিসোর্টের Non AC প্যাকেজ 1500/AC 2000/আমাদের 9 জনের 2100 করে পরেছিল)
◆ যোগাযোগ
মনোরঞ্জন দাস
পঞ্চলিঙ্গেস্বর, নীলগিরি,ওড়িশা
9937332552(whatsapp)
9937741030
(আমার কোনো কাটমানি নেই কিন্তু)
◆ সম্ভব হলে খুমকূট ড্যামে স্থানীয় আদিবাসী বাচ্ছাদের জন্য কিছু প্যাকেট খাবার বা জামাকাপড় নিয়ে যান। গ্যারান্টি দিতে পারি বা নামি রেস্তোরাঁয় খাইয়ে বা ব্র্যান্ডেড পোশাক কাউকে উপহার দেবার চেয়েও ঢের ঢের আনন্দ বেশি পাবেন।
.