লৌহগড়।
সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ অতিক্রান্ত। দাক্ষিণাত্যে বিজাপুরের আদিলশাহী সাম্রাজ্য এসে দাঁড়িয়েছে খাদের কিনারায়। ঠিক এমন সময়ে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার গিরিবর্ত্ম গুলি থেকে শোনা গেল এক নুতন রণহুঙ্কার..... ‘হর হর মহাদেব।’ এক তরুণ ভোঁসলে নায়কের হাত ধরে জেগে উঠল মারাঠি স্বাজাত্যভিমান। কখনত্ত মাভাল পদাতিক বা মারাঠা অশ্বারোহী আবার কখনও সুসংহত তেলেঙ্গি মাস্কেটিয়ার্স. ..... সেই স্বাজাত্যভিমানের বার্তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল আদিলশাহী সাম্রাজ্যের উপর। তবে মারাঠি জাতীয়তাবাদের প্রকৃত বজ্র নির্ঘোষ শোনা গেল সহ্যাদ্রি পর্বতমালার দুর্গ শ্রেণী গুলি থেকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্থাপত্য নৈপুণ্য এবং সামরিক কুশলতার সংমিশ্রণে তৈরী এক একটি দুর্গ বহন করে চলেছে মানব সভ্যতার বহু উত্থান পতনের ইতিহাস। এর বাতাসে যেমন মিশেছে বিজয়ী নায়কের উল্লাস তেমনি মিশেছে পরাজিত সেনানীর অন্তিম দীর্ঘশ্বাস.... আজও কি ভীষণ রকম জীবন্ত।
লৌহগড় দুর্গটির অবস্থান লোনাভলা স্টেশন থেকে প্রায় ১০ কিমি ভিতরে সহ্যাদ্রি রেঞ্জে...... সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০৩৩ মিটার বা ৩৩৮৯ফুট উচ্চতায়। এর গঠনশৈলী অনেকটা কাঁকড়াবিছার মত। মধ্যযুগীয় সামরিক কৌশল সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ একজন মানুষের পক্ষেও এর দুর্ভেদ্যতা আন্দাজ করা মোটেও কঠিন নয়। ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবার ছত্রপতি শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা সেনাবাহিনী এই দুর্গের দখল নেয়। ১৬৬৫ সালে মোঘল সেনাপতি আম্বের রাজ জয় সিংহ ও শিবাজীর মধ্যে স্বাক্ষরিত পুরন্দরের সন্ধির শর্তানুসারে লৌহগড় মারাঠাদের হাতছাড়া হয়। কিন্তু ১৬৭০ সালে এক ঝটিতি আক্রমণে শিবাজী এই দুর্গ পুনরুদ্ধার করেন এবং এর দুর্ভেদ্যতার কথা মাথায় রেখে এটিকে নিজের কোষাগার হিসাবে ব্যবহার করতে থাকেন। পরবর্তীতে পেশোয়াদের শাসনকালে ভারতের মেকিয়াভেলি নানা ফড়নবিশ এই কেল্লার দ্বায়িত্ব নেন। ১৮১৮ সালে তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে কর্নেল প্রথার ( Prother) এর বাহিনী এই অঞ্চলে অভিযান শুরু করে এবং নিকটবর্তী ভিসাপুর দুর্গের পতনের সাথে সাথেই মারাঠা বাহিনী লৌহগড় ত্যাগ করে। ইংরেজ সেনা বিনা বাধায় এর দখল নেয়। বর্তমানে Archeological Survey of India এই দুর্গের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।
তথ্যসূত্র: mumbaihikers.net
Wikipedia
#Mumbai #lonavela #Maharashtra #history #Maratha
সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ অতিক্রান্ত। দাক্ষিণাত্যে বিজাপুরের আদিলশাহী সাম্রাজ্য এসে দাঁড়িয়েছে খাদের কিনারায়। ঠিক এমন সময়ে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার গিরিবর্ত্ম গুলি থেকে শোনা গেল এক নুতন রণহুঙ্কার..... ‘হর হর মহাদেব।’ এক তরুণ ভোঁসলে নায়কের হাত ধরে জেগে উঠল মারাঠি স্বাজাত্যভিমান। কখনত্ত মাভাল পদাতিক বা মারাঠা অশ্বারোহী আবার কখনও সুসংহত তেলেঙ্গি মাস্কেটিয়ার্স. ..... সেই স্বাজাত্যভিমানের বার্তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল আদিলশাহী সাম্রাজ্যের উপর। তবে মারাঠি জাতীয়তাবাদের প্রকৃত বজ্র নির্ঘোষ শোনা গেল সহ্যাদ্রি পর্বতমালার দুর্গ শ্রেণী গুলি থেকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্থাপত্য নৈপুণ্য এবং সামরিক কুশলতার সংমিশ্রণে তৈরী এক একটি দুর্গ বহন করে চলেছে মানব সভ্যতার বহু উত্থান পতনের ইতিহাস। এর বাতাসে যেমন মিশেছে বিজয়ী নায়কের উল্লাস তেমনি মিশেছে পরাজিত সেনানীর অন্তিম দীর্ঘশ্বাস.... আজও কি ভীষণ রকম জীবন্ত।
লৌহগড় দুর্গটির অবস্থান লোনাভলা স্টেশন থেকে প্রায় ১০ কিমি ভিতরে সহ্যাদ্রি রেঞ্জে...... সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০৩৩ মিটার বা ৩৩৮৯ফুট উচ্চতায়। এর গঠনশৈলী অনেকটা কাঁকড়াবিছার মত। মধ্যযুগীয় সামরিক কৌশল সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ একজন মানুষের পক্ষেও এর দুর্ভেদ্যতা আন্দাজ করা মোটেও কঠিন নয়। ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবার ছত্রপতি শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা সেনাবাহিনী এই দুর্গের দখল নেয়। ১৬৬৫ সালে মোঘল সেনাপতি আম্বের রাজ জয় সিংহ ও শিবাজীর মধ্যে স্বাক্ষরিত পুরন্দরের সন্ধির শর্তানুসারে লৌহগড় মারাঠাদের হাতছাড়া হয়। কিন্তু ১৬৭০ সালে এক ঝটিতি আক্রমণে শিবাজী এই দুর্গ পুনরুদ্ধার করেন এবং এর দুর্ভেদ্যতার কথা মাথায় রেখে এটিকে নিজের কোষাগার হিসাবে ব্যবহার করতে থাকেন। পরবর্তীতে পেশোয়াদের শাসনকালে ভারতের মেকিয়াভেলি নানা ফড়নবিশ এই কেল্লার দ্বায়িত্ব নেন। ১৮১৮ সালে তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে কর্নেল প্রথার ( Prother) এর বাহিনী এই অঞ্চলে অভিযান শুরু করে এবং নিকটবর্তী ভিসাপুর দুর্গের পতনের সাথে সাথেই মারাঠা বাহিনী লৌহগড় ত্যাগ করে। ইংরেজ সেনা বিনা বাধায় এর দখল নেয়। বর্তমানে Archeological Survey of India এই দুর্গের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।
তথ্যসূত্র: mumbaihikers.net
Wikipedia
#Mumbai #lonavela #Maharashtra #history #Maratha