অনুপাত ও সমানুপাত ( Ratio and Proportion )
● অনুপাত ও সমানুপাত ( Ratio and Proportion )
◆◆ অনুপাত ( Ratio ): - পাটিগণিতে দুটি বাস্তব সংখ্যার অনুপাতকে একটি ভগ্নাংশের আকারে প্রকাশ করা যায় । ভগ্নাংশের লব ও হর কে যথাক্রমে অনুপাতের পূর্বপদ ( Antecedent ) ও উত্তরপদ ( Consequent ) বলে । a ও b রাশির দুটির অনুপাতকে a : b আকারে লেখা হয়, এবং পড়া হয় " a অনুপাত b " ( a is to b ) .
তাহলে দেখা যাচ্ছে, a:b=a/b
[b ≠ 0]
[অনুপাতের দুটি পদের মধ্যে গ.সা.গু যেন 1হয় অর্থাৎ অনুপাতকে সবসময় সর্বনিম্ন আকারে প্রকাশ করা হয় । ]
অনুপাতের দুটি পদ সমান হতে পারে আবার নাও হতে পারে । যদি সমান হয়, যেমন a : a তাহলে তাকে বলে সাম্যানুপাত ( Ratio of equality ) । আর যদি অসমান হয় ,যেমন b : c তাহলে তাকে বলে বৈষম্যানুপাত ( Ratio of inequality ) ।
◆◆ গুরু অনুপাত ( Ratio of greater inequality ) ও লঘু অনুপাত ( Ratio of less inequality ):-
যেখানে পূর্বপদের মান উত্তরপদের মানের চেয়ে বড়ো (a : b, a > b অর্থাৎ ab>1
) হয়, সেখানে অনুপাতকে গুরু অনুপাত ( Ratio of greater inequality ) বলে । আর পূর্বপদের মান উত্তরপদের চেয়ে ছোট (c : d, c < d অর্থাৎ ab<1
) হলে তাকে লঘু অনুপাত ( Ratio of less inequality ) বলে ।
[ কোনো অনুপাতের পদ দুটিকে শূন্য ব্যতীত একই সংখ্যা দ্বারা গুণ বা ভাগ করলে অনুপাতের কোন পরিবর্তন হয় না ]
◆◆ ব্যস্ত-অনুপাত ( Inverse ratio ):-
দুটি অনুপাতের মধ্যে যদি প্রথমটির পূর্বপদ দ্বিতীয়টির উত্তরপদের সমান হয় এবং দ্বিতীয়টির পূর্বপদ প্রথমটির উত্তরপদের সমান হয়, তাহলে একটিকে অপরটির ব্যস্ত-অনুপাত ( Inverse ratio ) বলে ।
যেমন a : b এর ব্যস্ত-অনুপাত হবে b : a ।
[ব্যস্ত-অনুপাতে দুটি অনুপাতকে ভগ্নাংশের আকারে প্রকাশ করলে ওরা পরস্পরের অন্যোন্যক হবে ]
◆◆ যৌগিক বা মিশ্র-অনুপাত ( Composition of ratio ):
দুই বা ততোধিক অনুপাতের পূর্বপদগুলির এবং উত্তরপদগুলির গুণফলকে অনুপাতের আকারে প্রকাশ করলে যে অনুপাত পাওয়া যায় তাকে যৌগিক বা মিশ্র-অনুপাত ( Composition of ratio ) বলে ।
যেমন, a : b, c : d এবং e : f অনুপাতের যৌগিক বা মিশ্র-অনুপাত হবে a x c x e : b x d x f ।
◆◆ সমানুপাত ( Proportion ): - দুটি অনুপাত পরস্পর সমান হলে তাদের সমানুপাত বলে । যেমন 4 টাকা : 6 টাকা = 2 : 3; আবার 8 গ্রাম : 12 গ্রাম = 2 : 3; সুতরাং 4 টাকা : 6 টাকা ও 8 গ্রাম : 12 গ্রাম হলো সমান অনুপাত এদেরকে সমানুপাত বলে । সমানুপাতের পদগুলিকে সমানুপাতী বলে । a : b = c : d এখানে a, b, c এবং d কে সমানুপাতী বলে । সমানুপাতকে a : b : : c : d আকারে প্রকাশ করা হয়.সমানুপাতের প্রথম ও চতুর্থ পদকে বলা হয় প্রান্তীয় পদ ( extremes or end-terms ) এবং মাঝের পদগুলিকে বলে মধ্যপদ ( means or middle terms )। এখানে a এবং d কে বলে প্রান্তীয় পদ ও b এবং c কে বলে মধ্যপদ । আবার d কে a, b, c এর চতুর্থ সমানুপাতী বলে ।
◆◆ ক্রমিক সমানুপাতী ( Continued Proportion):
যদি a : b :: b : c হয় অর্থাৎ a/b=b/c
হয় তবে a, b, c কে ক্রমিক সমানুপাতী ( Continued Proportion) বলে । b কে a ও c এর মধ্য সমানুপাতী ( Mean Proportional ) বলে ।
এখন দেখা যাচ্ছে a , b ও c ক্রমিক সমানুপাতে থাকবে যদি তাদেরকে ac=b2
আকারে থাকে । অর্থাৎ তিনটি পদ ক্রমিক সমানুপাতী হলে প্রথম ও তৃতীয় পদের গুণফল মধ্য পদের বর্গের সমান হয় ।
[তিনটির অধিক পদও ক্রমিক সমানুপাতী হতে পারে । যদি a/b=b/c=c/d
হয় তবে a, b, c, d ক্রমিক সমানুপাতী । ]
● অনুপাত ও সমানুপাত ( Ratio and Proportion )
◆◆ অনুপাত ( Ratio ): - পাটিগণিতে দুটি বাস্তব সংখ্যার অনুপাতকে একটি ভগ্নাংশের আকারে প্রকাশ করা যায় । ভগ্নাংশের লব ও হর কে যথাক্রমে অনুপাতের পূর্বপদ ( Antecedent ) ও উত্তরপদ ( Consequent ) বলে । a ও b রাশির দুটির অনুপাতকে a : b আকারে লেখা হয়, এবং পড়া হয় " a অনুপাত b " ( a is to b ) .
তাহলে দেখা যাচ্ছে, a:b=a/b
[b ≠ 0]
[অনুপাতের দুটি পদের মধ্যে গ.সা.গু যেন 1হয় অর্থাৎ অনুপাতকে সবসময় সর্বনিম্ন আকারে প্রকাশ করা হয় । ]
অনুপাতের দুটি পদ সমান হতে পারে আবার নাও হতে পারে । যদি সমান হয়, যেমন a : a তাহলে তাকে বলে সাম্যানুপাত ( Ratio of equality ) । আর যদি অসমান হয় ,যেমন b : c তাহলে তাকে বলে বৈষম্যানুপাত ( Ratio of inequality ) ।
◆◆ গুরু অনুপাত ( Ratio of greater inequality ) ও লঘু অনুপাত ( Ratio of less inequality ):-
যেখানে পূর্বপদের মান উত্তরপদের মানের চেয়ে বড়ো (a : b, a > b অর্থাৎ ab>1
) হয়, সেখানে অনুপাতকে গুরু অনুপাত ( Ratio of greater inequality ) বলে । আর পূর্বপদের মান উত্তরপদের চেয়ে ছোট (c : d, c < d অর্থাৎ ab<1
) হলে তাকে লঘু অনুপাত ( Ratio of less inequality ) বলে ।
[ কোনো অনুপাতের পদ দুটিকে শূন্য ব্যতীত একই সংখ্যা দ্বারা গুণ বা ভাগ করলে অনুপাতের কোন পরিবর্তন হয় না ]
◆◆ ব্যস্ত-অনুপাত ( Inverse ratio ):-
দুটি অনুপাতের মধ্যে যদি প্রথমটির পূর্বপদ দ্বিতীয়টির উত্তরপদের সমান হয় এবং দ্বিতীয়টির পূর্বপদ প্রথমটির উত্তরপদের সমান হয়, তাহলে একটিকে অপরটির ব্যস্ত-অনুপাত ( Inverse ratio ) বলে ।
যেমন a : b এর ব্যস্ত-অনুপাত হবে b : a ।
[ব্যস্ত-অনুপাতে দুটি অনুপাতকে ভগ্নাংশের আকারে প্রকাশ করলে ওরা পরস্পরের অন্যোন্যক হবে ]
◆◆ যৌগিক বা মিশ্র-অনুপাত ( Composition of ratio ):
দুই বা ততোধিক অনুপাতের পূর্বপদগুলির এবং উত্তরপদগুলির গুণফলকে অনুপাতের আকারে প্রকাশ করলে যে অনুপাত পাওয়া যায় তাকে যৌগিক বা মিশ্র-অনুপাত ( Composition of ratio ) বলে ।
যেমন, a : b, c : d এবং e : f অনুপাতের যৌগিক বা মিশ্র-অনুপাত হবে a x c x e : b x d x f ।
◆◆ সমানুপাত ( Proportion ): - দুটি অনুপাত পরস্পর সমান হলে তাদের সমানুপাত বলে । যেমন 4 টাকা : 6 টাকা = 2 : 3; আবার 8 গ্রাম : 12 গ্রাম = 2 : 3; সুতরাং 4 টাকা : 6 টাকা ও 8 গ্রাম : 12 গ্রাম হলো সমান অনুপাত এদেরকে সমানুপাত বলে । সমানুপাতের পদগুলিকে সমানুপাতী বলে । a : b = c : d এখানে a, b, c এবং d কে সমানুপাতী বলে । সমানুপাতকে a : b : : c : d আকারে প্রকাশ করা হয়.সমানুপাতের প্রথম ও চতুর্থ পদকে বলা হয় প্রান্তীয় পদ ( extremes or end-terms ) এবং মাঝের পদগুলিকে বলে মধ্যপদ ( means or middle terms )। এখানে a এবং d কে বলে প্রান্তীয় পদ ও b এবং c কে বলে মধ্যপদ । আবার d কে a, b, c এর চতুর্থ সমানুপাতী বলে ।
◆◆ ক্রমিক সমানুপাতী ( Continued Proportion):
যদি a : b :: b : c হয় অর্থাৎ a/b=b/c
হয় তবে a, b, c কে ক্রমিক সমানুপাতী ( Continued Proportion) বলে । b কে a ও c এর মধ্য সমানুপাতী ( Mean Proportional ) বলে ।
এখন দেখা যাচ্ছে a , b ও c ক্রমিক সমানুপাতে থাকবে যদি তাদেরকে ac=b2
আকারে থাকে । অর্থাৎ তিনটি পদ ক্রমিক সমানুপাতী হলে প্রথম ও তৃতীয় পদের গুণফল মধ্য পদের বর্গের সমান হয় ।
[তিনটির অধিক পদও ক্রমিক সমানুপাতী হতে পারে । যদি a/b=b/c=c/d
হয় তবে a, b, c, d ক্রমিক সমানুপাতী । ]