Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionতিরূপতি বালাজি তিরুমালা ভ্রমন  Tirupati Tirumala Balaji Tour  Emptyতিরূপতি বালাজি তিরুমালা ভ্রমন Tirupati Tirumala Balaji Tour

more_horiz
তিরুপতি বালাজি।
তেলেগু ভাষায় ‘তিরু’ কথার অর্থ শ্রী বা লক্ষ্মী, অর্থাৎ লক্ষ্মীর পতি বা তিরুপতি। অনেকে তাঁকে গোবিন্দা, বিষ্ণু, লর্ড বালাজি কিংবা লর্ড ভেঙ্কটেশ নামে ডেকে থাকেন। এখানে ভক্তি, বিশ্বাস আর মনোরম প্রকৃতির এক অপরূপ মেলবন্ধন দেখা যায়। বালাজির কাছে কিছু মানত করলে তা পূরণ হয় বলে মানুষের বিশ্বাস। তাইতো হতদরিদ্র থেকে ক্রোড়পতি, মেগাস্টার, রাজনীতিবিদ, দেশের বাইরের কূটনীতিবিদরাও তিরুপতি মন্দিরে আসেন। দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের চিত্তুর জেলায় তিরুমালার শিখরে তিরুপতি বালাজির মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিজয়নগরের রাজা শ্রীকৃষ্ণ দেবরায়।

তামিল ভাষায় তিরুমালা কথার অর্থ হল পবিত্র পাহাড়। সমতলে তিরুপতি স্টেশন লাগোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে চড়ে পাড়ি দিতে হয় ৮৬০ মিটার উচ্চতার তিরুমালা মন্দির শহরে। চড়াই উৎরাই, ৫৭টি হেয়ার পিন বেন্ড পেরিয়ে ২৫ কিমি (৪৫ মিনিট) এই পাহাড়ি পথের শোভা আপনার ট্রেনযাত্রার ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে। উৎসাহী বা যারা মানত করেন তাদের জন্য অ্যালিপিরি থেকে ছাউনিযুক্ত হাঁটা-পথ (১৫ কিমি) রয়েছে। পথে বিশ্রামঘর, ডাক্তার, পানীয় জল, ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা এবং জঙ্গলের পথে (শ্রী ভেঙ্কটেশ অভয়ারণ্যের আওতাধীন) হরিণ, ময়ূর, শূকর, শেয়াল, বড় কাঠবিড়ালি, নানা পাখি দেখা যায়।


প্রায় ৪ বর্গকিমি এলাকা নিয়ে মন্দিরকে কেন্দ্র করে তিরুমালা শহর। শীতকালের গড় তাপমাত্রা থাকে ১৫ ডিগ্রি। মন্দির সংলগ্ন স্বামী পুষ্করিণীর জলে স্নান করে পবিত্র হয়ে বালাজির দর্শন করার প্রথা রয়েছে। অগ্রিম টিকিট কেটে কম সময়ে দেব দর্শন করা যায় আবার ফ্রি দর্শনেরও ব্যবস্থা আছে। মন্দিরে প্রবেশ করতে হলে প্রত্যেকের আইডি কার্ড থাকা দরকার এবং পোশাক ভারতীয় রীতির পরিধান করা আবশ্যক। পুরুষদের ধুতি-পাজামা-পাঞ্জাবি-জামা ও মহিলাদের শাড়ি- শালোয়ার কামিজ ও ওড়না পরা বাঞ্ছনীয়। মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার বা গোপুরমটি ২৫০ ফুট উঁচু দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্যের নিদর্শন। মন্দিরের মধ্যে সোনার পাতে মোড়া ধ্বজস্তমভ বা তালগাছ। মন্দিরের মধ্যে অসাধারণ পাথরের কারুকার্য, দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। মূল মন্দিরটির চূড়া সোনা দিয়ে মোড়া। উৎসবের সময় ছাড়া, প্রতিদিন গড়ে কুড়ি হাজার ভক্তের সমাগম হয়। তাই কমপক্ষে ৩-৫ ঘণ্টা দীর্ঘ লাইন অতিক্রম করেই তিরুপতি বালাজির দর্শন পাওয়া যায়। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রদীপের স্বল্প আলোয় দেবদর্শন। মনিমুক্তা, স্বর্ণালঙ্কার ও পুষ্পমালায় সজ্জিত ২ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট কষ্ঠিপাথরের চতুর্ভুজ দেবতা বালাজি দণ্ডায়মান, দুইহাতে শঙ্খ ও চক্র, অন্য হাত অভয়মুদ্রা ও আর এক হাত কোমরে ন্যস্ত, পাশে শ্রীদেবী ও ভূদেবী। বালাজি ছাড়াও মন্দিরের অন্য আকর্ষণ দান করা টাকা পয়সার গণনা ঘর, দেবতার পালকি, উৎসবে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্র, রাজা মহারাজাদের তৈলচিত্র, পেল্লায় সাইজের দাঁড়িপাল্লা (বাচ্চার ওজনে খুচরো পয়সা দান করার রীতি) ইত্যাদি। মানত করলে, পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে মস্তক মুণ্ডনের প্রথা রয়েছে। এখানে ফুল ফলের ডালি দিয়ে পূজো দেওয়ার রীতি নেই, ভগবানের উদ্দেশে প্রণামী হিসাবে অর্থ হুন্ডিতে (পয়সার ভান্ডার) দান করাই নিয়ম। ভক্তরা মন্দিরের বাইরে একটি স্থানে কর্পূরের দীপ জ্বালিয়ে, নারকেল ফাটিয়ে অর্ঘ্য দেয়। বালাজি দর্শনের পর প্রত্যেক দর্শনার্থীকে লাড্ডু অথবা পোলাও প্রসাদ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত লাড্ডু প্রসাদ নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে এক জন ব্যক্তি ৫০ টাকার বিনিময়ে সর্বাধিক দুটি ক্রয় করতে পারেন। এ ছাড়া দর্শন টিকিটে মাথাপিছু দুটি করে লাড্ডু ফ্রি পাওয়া যায়। মন্দিরের অদূরে বিশাল বড় চারটি ডাইনিং হলে (প্রতি হলে দু’হাজার লোক বসতে পারে) প্রতিদিন দুই বেলা নিঃশুল্ক অন্নপ্রসাদের ব্যবস্থা রয়েছে (ভাত, সাম্বার, রেশম, সবজি, চাটনি, নলেন গুড়ের পায়েশ ও ঘোল। অমৃতসম এই প্রসাদ প্রতিদিন ৫০,০০০ মানুষ গ্রহণ করে। উৎসবের সময়ে দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। ডাইনিং হলের পরিচ্ছন্নতা, একসাথে এতো লোককে খাওয়ানোর সুন্দর ব্যবস্থাপনা, কলাপাতায় খাদ্য পরিবেশন, ফিল্টার্ড পানীয় জল, হলের মধ্যে মাছি-মশার প্রবেশ আটকানোর জন্য মেসিন ইত্যাদি ব্যবস্থা আপনাকে মুগ্ধ করবে।




কী ভাবে যাবেন


হাওড়া ও সাঁতরাগাছি থেকে ৫টি ট্রেন সরাসরি তিরুপতি যাচ্ছে। এ ছাড়া দূরন্ত বা এসি স্পেশাল আরো ছ’টি ট্রেন রেনিগুন্টা হয়ে যাচ্ছে। কম বেশি ২৫ ঘণ্টার যাত্রাপথ। রেনিগুন্টা থেকে অটো/বাসে তিরুপতি বা সরাসরি তিরুমালা যাওয়া যায়। তিরুপতি স্টেশনের বাইরে তিরুমালার সরকারি বাসের টিকিট কাউন্টার। রিটার্ন টিকিট কেটে বাসের বাম দিকে জানালার ধারে অথবা ড্রাইভারের কেবিনে সিট দখল করুন। রিটার্ন টিকিট ৩ দিন বৈধ এবং মাথাপিছু ১০ টাকা ছাড় পাওয়া যায় (রাত ১২টা-সকাল ৩টা বাস সার্ভিস বন্ধ থাকে)। ২ কিমি এগিয়ে চেকিং পয়েন্ট। গাড়ি ভাড়া করেও যেতে পারেন। যাত্রী, লাগেজ, গাড়ি তল্লাশির পর পাহাড়ে ওঠার অনুমতি মেলে। তিরুমালা পাহাড় সম্পূর্ণ নিরামিষ এবং তামাক/অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য নিষিদ্ধ। এধরনের কোনও বস্তু সঙ্গে রাখবেন না।



কোথায় থাকবেন


“তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমস্”(TTD)-এর প্রচুর গেস্ট হাউস রয়েছে। ননএসি ১০০/৫০০ এসি ১০০০/১৫০০। অনলাইন রুম বুকিং করা যায়। Website : [You must be registered and logged in to see this link.] মনে রাখবেন, বুকিং করলে তা বাতিল হয় না (বুকিং অর্থ বালাজি ফান্ডে দান হয়ে যায়)।

ঘর একদিনের জন্য বুকিং হয়। বিশেষ অনুরোধে স্পট রিজার্ভেশন অফিস থেকে অতিরিক্ত এক দিন বর্ধিত করা যায়। পাহাড়ে নানা সংস্থার গেস্ট হাউস ও ধর্মশালা আছে। স্টেশনের আশেপাশে TTD-র গেস্ট হাউস ও লাক্সারী হোটেল আছে।



কি দেখবেন



মূল মন্দিরের আশেপাশে নানা দেব দেবীর মন্দির আছে….বরাহ স্বামী মন্দির, অঞ্জণা স্বামী মন্দির, রাম মন্দির, এছাড়া বিবাহ মন্ডপ, বৈদিক মন্ডপ, গোশালা, কল্যানকাটা ইত্যাদি। তিরুমালা থেকে সকালে জিপ/সুমো/মারুতি/মিনিবাস ভাড়া করে (মাথাপিছু ১০০ টাকা) ৫-৭ ঘন্টায় আটটি সাইট সিন ঘুরে আসা যায়….বেণুগোপাল স্বামী মন্দির, পাপবিনাশম তীর্থ, আকাশগঙ্গা ঝর্না, জপালী হনুমান মন্দির (গাড়ি থেকে নেমে ২ কিমি হাঁটাপথ), ঝুলন্ত পাথর, চক্রতীর্থম্, শ্রী হরি পাদালু (পদচিহ্ন)ও SV মিউজিয়াম।

তিরুপতিতেও (সমতলে) সাতটি দর্শনীয় মন্দির আছে। বাসস্ট্যান্ড বা গেস্ট হাউসের সামনে থেকে প্রচুর গাড়ি পাবেন। সকালে বেরিয়ে প্রথমে চলুন কপিলাতীর্থম। এখানে শিব পার্বতীর মন্দির ও ঝর্না, বর্ষা ও শীতে ঝর্নায় জল থাকে…স্নান করা যায়। এর পরে চলুন পদ্মাবতী মন্দির (বালাজির পত্নী)। এখানেও টিকিট কেটে বা ফ্রি দর্শন করতে হয়। তবে এখানে ভিড় বেশি হয় না। এখানেও ফ্রি অন্ন প্রসাদ পাওয়া যায় (জায়গা সীমিত)। এর পর শ্রীনিবাসা মঙ্গাপুরম, অগস্তস্বরা স্বামী মন্দির, কোদন্ডারামাস্বামী মন্দির, গোবিন্দরাজস্বামী মন্দির (দুপুরে বন্ধ থাকে) ও ইসকন মন্দির ঘুরে নেওয়া যাবে। এখান থেকে চন্দ্রগিরি দূর্গ (১১ কিমি), পুষ্পগিরি পাহাড় (১২ কিমি), শ্রীকালহস্তী (৩৭ কিমি), ভেলোর ফোর্ট (১২০ কিমি) ও আরও ৮ কিমি দূরে গোল্ডেন টেম্পল যেতে পারেন।

descriptionতিরূপতি বালাজি তিরুমালা ভ্রমন  Tirupati Tirumala Balaji Tour  EmptyRe: তিরূপতি বালাজি তিরুমালা ভ্রমন Tirupati Tirumala Balaji Tour

more_horiz
[You must be registered and logged in to see this link.]

descriptionতিরূপতি বালাজি তিরুমালা ভ্রমন  Tirupati Tirumala Balaji Tour  EmptyRe: তিরূপতি বালাজি তিরুমালা ভ্রমন Tirupati Tirumala Balaji Tour

more_horiz
আয়ের দিক থেকে পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং ভ্রমণার্থীর দিক থেকে পৃথিবীর প্রথম ধর্মীয় তীর্থক্ষেত্র। এই তীর্থস্থানের আয় থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয়, সাহিত্যক এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিজয়নগরের রাজা শ্রীকৃষ্ণ। তামিল ভাষায় তিরুমালা কথার অর্থ হল পবিত্র পাহাড়।

২৫ কিমি পাহাড়ী রাস্তা পেরিয়ে মূল মন্দিরে পৌঁছতে হয়। শহর থেকে বেরিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের গাড়ি মন্দিরে প্রবেশের চেক-পয়েন্টে এসে পৌঁছে। এখানে প্রয়োজনীয় তল্লাশী সেরে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে মূল মন্দিরে পৌঁছতে হবে আমাদের। এই তল্লাশী কোনো সামা-মাটা তল্লাশী নয়। সবাইকে গাড়ি থেকে নামতে হয়। সবার শরীর তল্লাশীর পাশাপাশি, প্রতিটি ব্যাগ এবং গাড়ি তন্ন করে চেক করা হয়। যেখানে দৈনিক ৫০ হাজারের বেশি দর্শণার্থী আসে, আবার পুরোটা এলাকা যেহেতু পাহাড় এবং বন-জঙ্গলে ভরা, তাই তল্লাশী সূচারু রুপে করা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের যে কোনো নাশকতার ঝুঁকি থেকে যায়। তল্লাশী সম্পন্ন হতে প্রায় ২০ মিনিটের মতো লেগে। এই ফাকে আমরা নিজদের স্মৃতির ফ্রেমে বাধতে ক্লিক ক্লিকে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তল্লাশী শেষে শুরু হলো পাহাড়ী পথে আমাদের যাত্রা। যেতে যেত উপর থেকে পাখির চোখে তিরুমালা শহর, চারদিকের পাহাড় আর মনোমুগ্ধকর সব দৃশ্য আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে। এই পাহাড়ি পথের শোভা আপনার যাত্রাকে এতই মনোমুগ্ধকর করবে যে, পথের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে তা যথেষ্ঠ।

descriptionতিরূপতি বালাজি তিরুমালা ভ্রমন  Tirupati Tirumala Balaji Tour  EmptyRe: তিরূপতি বালাজি তিরুমালা ভ্রমন Tirupati Tirumala Balaji Tour

more_horiz
তিরুমালা শহরটির আয়তন প্রায় ২৭ কিমি। তিরুমালা পাহাড়টি শেষাচলম পর্বতমালার অংশবিশেষ। এই পাহাড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৫৩ মিটার (২৮০০ ফুট) উঁচুতে অবস্থিত। এই পাহাড়ের সাতটি চূড়া রয়েছে। হিন্দুরা এই সাতটি চূড়াকে আদিশেষের সাতটি মাথা মনে করেন। বেঙ্কটেশ্বর মন্দির তথা বালাজী মন্দির সপ্তম চূড়া বেঙ্কটাদ্রিতে স্বামী পুষ্করিণীর পাশে অবস্থিত। এই জন্য এই মন্দিরটিকে ‘সপ্তগিরির মন্দির’ও বলা হয়।

বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরটি দ্রাবিড় স্থাপত্যশৈলীর একটি নিদর্শন। অনুমান করা হয়, খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দ নাগাদ এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল।

দৈনিক প্রায় ৫০,০০০ থেকে ১০০,০০০ (বছরে গড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি) তীর্থযাত্রী এই মন্দির দর্শন করতে আসেন। ব্রহ্মোৎসবম্ প্রভৃতি বার্ষিক উৎসবগুলিতে এই মন্দিরে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা ৫০০,০০০ ছাড়িয়ে যায়। এই কারণে বলা হয়, এই মন্দির বিশ্বের সেই ধর্মস্থান, যেখানে তীর্থযাত্রীর সমাগম সর্বাধিক সংখ্যায় হয়ে থাকে।
বাইরে থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশের জন্য তিনটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। প্রথম প্রবেশদ্বারটির নাম ‘মহাদ্বারম্’ বা ‘পদিকাবলি’। দ্বিতীয় প্রবেশদ্বারটির নাম ‘বেন্দিবাকিলি’ বা রৌপ্যদ্বার। গর্ভগৃহে প্রবেশের দরজাটির নাম হল ‘বঙ্গারুবাকিলি’ বা স্বর্ণদ্বার।

আমরা জুতো খুলে মন্দিরে প্রবেশ পরিদর্শন করতে লাগলাম। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রদীপের স্বল্প আলোয় দেবদর্শন করলাম। মনিমুক্তা, স্বর্ণালঙ্কার ও পুষ্পমালায় সজ্জিত ২ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট কষ্ঠিপাথরের চতুর্ভুজ দেবতা বালাজি দণ্ডায়মান, দুইহাতে শঙ্খ ও চক্র, অন্য হাত অভয়মুদ্রা ও আর এক হাত কোমরে ন্যস্ত, পাশে শ্রীদেবী ও ভূদেবী।

বালাজি ছাড়াও মন্দিরের অন্য আকর্ষণগুলো আমার ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। দান করা টাকা পয়সার গণনা ঘর, দেবতার পালকি, উৎসবে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্র, রাজা মহারাজাদের তৈলচিত্র, পেল্লায় সাইজের দাঁড়িপাল্লা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। মানত করলে, পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে সকলের মস্তক মুণ্ডনের প্রথা রয়েছে । ফুল ফলের ডালি দিয়ে পূজো দেওয়ার রীতি নেই, ভগবানের উদ্দেশে প্রণামী হিসাবে অর্থ দান করাই নিয়ম।

ভক্তদের মন্দিরের বাইরে একটি স্থানে কর্পূরের দীপ জ্বালিয়ে, নারকেল ফাটিয়ে অর্ঘ্য দিতে দেখলাম । বালাজি দর্শনের পর প্রত্যেক দর্শনার্থীকে লাড্ডু অথবা পোলাও প্রসাদ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত লাড্ডু প্রসাদ নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে এক জন ৫০ টাকার বিনিময়ে সর্বাধিক দুটি ক্রয় করতে পারেন। এ ছাড়া দর্শন টিকিটে মাথাপিছু দুটি করে লাড্ডু ফ্রি পাওয়া যায়। বিশাল লাইন ধরে এই লাড্ডু সংগ্রহ করতে দেখলাম দর্শণার্থীদের।

মন্দিরের অদূরে বিশাল চারটি ডাইনিং হলে প্রতিদিন দুই বেলা নিঃশুল্ক অন্নপ্রসাদের ব্যবস্থা রয়েছে (ভাত, সাম্বার, রেশম, সবজি, চাটনি, নলেন গুড়ের পায়েশ ও ঘোল। অমৃতসম এই প্রসাদ প্রতিদিন ৫০,০০০ মানুষ গ্রহণ করে। একসাথে এতো লোককে খাওয়ানোর সুন্দর ব্যবস্থাপনা, কলাপাতায় খাদ্য পরিবেশন আমাদের যারপরনাই মুগ্ধ করে।

এছাড়া মূল মন্দিরের আশেপাশে নানা দেব দেবীর মন্দির যেমন বেণুগোপাল স্বামী মন্দির, পাপবিনাশম তীর্থ, জপালী হনুমান মন্দির, শ্রী হরি পাদালু, মিউজিয়ামসহ বিভিন্ন স্থাপনা দর্শন করি। এছাড়া মন্দিরের অভ্যন্তরে রয়েছে বিশাল মার্কেট। এখানে সব রকমের সামগ্রী কেনা-বেচা হয়।
আস্তে আস্তে বেলা ফুরিয়ে আসে। এবার আমাদের ফেরার পালা। একরাশ ভালো লাগা ও মুগ্ধতা নিয়ে বালাজী মন্দিরকে পেছনে রেখে আমাদের গাড়ি চললো ফিরতি গন্তব্যে। সময় স্বল্পতায় আরো কিছু স্থাপনা না দেখার অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে আমাদের ফিরে আসতে হলো। কখনো সুযোগ হলে চমৎকার এই জায়গাটি ভ্রমণ করতে পারেন আপনিও।

descriptionতিরূপতি বালাজি তিরুমালা ভ্রমন  Tirupati Tirumala Balaji Tour  EmptyRe: তিরূপতি বালাজি তিরুমালা ভ্রমন Tirupati Tirumala Balaji Tour

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply