Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionরামেশ্বরম Rameshwaram Emptyরামেশ্বরম Rameshwaram

more_horiz
Rameshwaram
[You must be registered and logged in to see this image.]

শ্রীরামচন্দ্রের পদধূলি তে পুণ্য রামেশ্বরম ধাম ভারতে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ এর মধ্যে একটি । তামিলনাড়ু রাজ্যের রামানাথপুরম জেলার অন্তর্গত পাম্বান দ্বীপে অবস্থান রামেশ্বরমের। দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন‍্যতম শ্রী রামেশ্বরম।তামিলনাড়ুর রামেশ্বরে অবস্থিত এই রামেশ্বরম জ্যোতির্লিঙ্গ চারধামের মধ্যে অন্যতম ধাম।একে দক্ষিণ ভারতের কাশীও বলা হয়।দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের শেষ প্রান্তভূমি পক প্রণালীতে একটি দ্বীপের আকারে গড়ে উঠেছে রামেশ্বরম। রামেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গটি বিশাল। এই মন্দিরে রামেশ্বর স্তম্ভ অবস্থিত।সারা বছর ধরেই অসংখ্য পুণ্যার্থী এখানে পূজা দিতে আসে।
ভগবান রামচন্দ্র এখানে লঙ্কা যাবার পূর্বে এক পাথরের সেতু নির্মাণ করেছিলেন যার দ্বারা বানর সেনা লঙ্কা পৌঁছে বিজয় প্রাপ্ত হয়। পরে বিভীষণের অনুরোধে রামচন্দ্র ধনুষকোটি নামের একটি জায়গায় এই সেতুটি ভেঙে দিয়েছিলেন। আজও ত্রিশ মাইল লম্বা এই সেতুটির ভগ্নাংশ সাগরে দেখা যায়। রামেশ্বরম এর মন্দির ভারতীয় শিল্পকলা ও সংস্কৃতির এক অদ্ভুত নমুনা বহন করছে। এর প্রবেশ দ্বার লক্ষ্য করলে দেখা যায় এটি চল্লিশ ফুট উচ্চ এবং রামনাথয়ের চারদিকে পরিক্রমা করার জন্য তিনটি প্রাকার নির্মিত। এর মধ্যে তৃতীয় প্রাকারটি একশত বছর আগে নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে। এই প্রাকারটি চারশো ফুটেরও অধিক লম্বা ও পাঁচ ফুট সুউচ্চ। একদিকে পাথর নির্মিত লম্বা থাম রয়েছে। এই প্রাকার আর মন্দিরটির মধ্যে এরকম কয়েকশো বিশাল থাম রয়েছে যেগুলি দেখতে সবকটি একই ধরণের প্রায়। কিন্তু প্রতিটি থামের উপরে অঙ্কিত চিত্রগুলি প্রতিটি একটির থেকে আরেকটি আলাদা এবং দেশবিদেশের পর্যটকরা এগুলির নির্মাণ শৈলি ও সৌন্দর্য দেখে অবাক হয়ে যায়।

[You must be registered and logged in to see this link.]

সবথেকে অবাক করার বিষয়টি হল এখানে এই মন্দিরের আশেপাশে বা দূরবর্তী কোন পাহাড় নেই যেখান থেকে পাথর সহজেই এখানে নিয়ে আসা যায়। গন্ধমাদন পর্বত আসলে নামমাত্র একটি পর্বত। আসলে ওটি একটি টিলা আর প্রয়োজনীয় পাথরের সংস্থানের জন্য যথেষ্ট নয়। এরকম মানা হয় যে এখানে যে কয়েক লক্ষ টন পাথরের ব্যবহার, তা বহু দূর থেকে নৌকা করে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।রামনাথপুরমে একটি কালো পাথর রাখা রয়েছে যা মনে করা হয় রামচন্দ্র কেবটরাজাকে তাঁর রধাজতিলকের সময় চিহ্ন হিসাবে দিয়েছিলেন। রামেশ্বরমে যাত্রীগণ যাবার আগে এই কালো পাথরটি দেখার জন্য রামনাথপুরমে যান। রামনাথপুরম, রামেশ্বরম থেকে ৩৩ মাইল দূরে অবস্থিত।


[You must be registered and logged in to see this link.]

এবার রামেশ্বরম ধামের স্থাপনের বিষয় কিছু কথা বলি।যখন শ্রী রাম রাবণের বধ করার পরে বিজয়ী হয়ে অযোধ্যা ফিরছিলেন, তখন তিনি সমুদ্রের এই পারে গন্ধমাদন পর্বতে থেমে প্রথম বিশ্রাম করেছিলেন। তাঁর সাথে সীতাদেবী এবং অন্যান্যরাও ছিলেন। তাঁর আগমনের খবর পেয়ে বিভিন্ন ঋষিমুনিরা তাঁর দর্শনের জন্য ওখানে পৌঁছেছিলেন। তখন রামচন্দ্র তাঁদের বলেন যে তাঁর উপর ব্রক্ষ হত্যার পাপ লেগেছে এবং এই ব্রক্ষহত্যার পাপ থেকে মুক্তির উপায় কী। তখন সব ঋষিরা তাঁকে এই পরামর্শ দেন যে তিনি যদি কোন শিবলিঙ্গ স্থাপন করে তার পুজো করেন তাহলে তাঁর সকল পাপমুক্তি হবে। মুনিঋষিদের থেকে এই বিসয় জানার পরে তিনি মহাবীর হনুমানকে বলেন কৈলাস পর্বতে গমন করে সেখান থেকে শিবলিঙ্গ নিয়ে আসতে। কিন্তু হনুমান সেখানে শিবের দর্শন না পেয়ে শিবের তপস্যা করতে থাকেন। সেখানে হনুমানের তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে শিব তাঁকে দর্শন দেন এবং শিবলিঙ্গ পেয়ে হনুমান পুনরায় গন্ধমাদন পর্বতে পৌঁছে যান।


এই ঘটনায় প্রচুর সময় ব্যয়িত হয় এবং সঠিক সময়ের মধ্যে লিঙ্গস্থাপন না হবার আশঙ্কায় সকল মুনিঋষিগণ রামচন্দ্রের কাছে শিবলিঙ্গ স্থাপনের জন্য যত শীঘ্র সম্ভব অনুরোধ করেন।তখন সীতাদেবী বালুকা দ্বারা লিঙ্গ তৈরী করে বিধিসম্মত ভাবে তাই স্থাপন করে দিলেন। মহাবীর হনুমান তাঁর ফিরে আসার পূর্বেই লিঙ্গস্থাপনের ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত হয়ে পরেন এবং তখন শ্রী রামচন্দ্র তখন অত্যন্ত স্নেহভরে তাঁকে লিঙ্গস্থাপনের কারণ বর্ণনা করেন। তবুও মহাবীর সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট না হওয়ায় রামচন্দ্র তাঁকে বলেন বালুকা নির্মিত লিঙ্গটি তুলে ফেলে দিতে যাতে সেখানে তাঁর আনা পাথরের লিঙ্গটি প্রতিষ্ঠা করা যায়।



শ্রী রামচন্দ্রের কথায় মহাবীর ওই লিঙ্গটি তুলে ফেলার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরেন কিন্তু লিঙ্গটির থেকে নিজেই ধাক্কা খেয়ে তিন কিলোমিটার দূরে গিয়ে পরেন এবং মূর্ছা যান। বহুক্ষণ পরে জ্ঞান ফিরলে তিনি স্বয়ং রামচন্দ্রকে সামনে পান এবং তাঁর মধ্যে পরম ব্রক্ষকে দর্শন করেন। মহাবীরের খুব আত্মগ্লানি হয় আর অনুশোচনায় তিনি শ্রী রামের চরণাশ্রিত হন। তিনি ভাববিহ্বল হয়ে শ্রী রামের স্তূতি করেন আর ভগবান রামচন্দ্র তাঁকে বোঝান যে নিজের কর্মফলের জন্য তাঁকে এত কষ্ট পেতে হল।



শ্রী রামচন্দ্র বলেন যে তাঁর দ্বারা স্থাপিত ওই লিঙ্গটি দুনিয়ার কোন শক্তি তুলে ফেলতে পারবে না।হনুমান আনা কৈলাস থেকে শিবলিঙ্গটিকেওও ওখানেই রামচন্দ্র স্থাপন করেন এবং তার নাম রারাখেন হনুমতেশ্বর।যার জন্য হনুমান অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন। এটি আগে একটি ছোট ঝুপড়ির মধ্যে একজন সাধুর দেখভালে ছিল কিন্তু পরে বারোশ শতাব্দীতে শ্রী রামনাথস্বামী, শ্রী বিসলকোষ চারদিকে গর্ভগৃহের নির্মাণ করেন। এই মন্দিরের গর্ভগৃহে স্তাপিত লিঙ্গটি স্বয়ং ভগবান দ্বারা স্থাপিত বলে মনে করা হয়। এটি কোন সাধারণ মন্দির নয়। বরং ধর্ম আর আস্থার এক অসাধারণ মেলবন্ধন বলে মনে করা হয়। প্রতিবছর অগণিত মানুষ এই মন্দির দর্শনে আসেন। কথিত আছে যে ভক্ত গঙ্গাজল দ্বারা এই লিঙ্গ স্নান করাতে পারেন তিনি জীবনমৃত্যুর কালচক্র থেকে মুক্ত হয়ে যান আর পরম মোক্ষপ্রাপ্তি হয়।




Rameshwaram is one of the holiest places in India and is located on a beautiful island. It is separated by a small Pamban channel from Sri Lanka. According to the Hindu mythology, this is the place where Lord Rama created a bridge across the sea to Sri Lanka.

Rameshwaram is located on a beautiful island in the lower side of India. Lord Shiva too is worshipped in this place. Renowned for its magnificent prakaras with massive sculptured pillars on either side, The Ramanathaswamy Temple houses the longest corridor in the world. Agniteertham is famous for its sacred waters and Pilgrims perform poojas in honour of their ancestors at this seashore. The Five-faced Hanuman Temple holds the floating stone which was used to build the bridge between India and Sri Lanka.



#Rameshwaram #Tourism
#tamilnadu

descriptionরামেশ্বরম Rameshwaram Emptyধনুষকোডি Dhanushkodi Tourism

more_horiz
ধনুষকোডি
[You must be registered and logged in to see this link.]

ভারতের সবচেয়ে দক্ষিণের শহর ধনুষকোডি। যদিও এখন সে শহর জনমানবহীন। তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম জেলার এই দ্বীপ-শহর এমন একটা জায়গা, যেখানে প্রকৃতি এবং মানুষের বিস্ময়ের মেলবন্ধন ঘটেছে। আর বিস্ময়ের সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিশেলের জন্য এই ভুতুড়ে শহরের পর্যটকদের কাছে ব্যাপক চাহিদা। এই শহর থেকে শ্রীলঙ্কার দূরত্ব মাত্র ২৪ কিলোমিটার।

১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এই শহরের উপর দিয়েই ভারত আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে নিত্য যাতায়াত ছিল সাধারণ মানুষজনের। কখনও ব্যবসা, কখনও তীর্থের জন্য সেখানে যেতেন অনেকে। তার জন্য ধনুষকোডি থেকে শ্রীলঙ্কার শহর তালাইমানারের মধ্যে ফেরি পরিষেবাও ছিল। তখনও দু’দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা গড়ে ওঠেনি। ফলে যাতায়াতে বাধানিষেধও ছিল না।

দু’দেশের মধ্যে ১৯৭৪ সালে আন্তর্জাতিক জলসীমান্ত চুক্তি হয়। হিসাব মতো এর পরই দু’দেশের মধ্যে এই যাতায়াত বন্ধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়েছে তার অন্তত ১০ বছর আগে। একটা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর। এই ঘূর্ণিঝড়ই লণ্ডভণ্ড করে দেয় শহরটাকে। ১৯৬৪ সালের ২২-২৩ ডিসেম্বরের সেই ঘূর্ণিঝড় রামেশ্বরম সাইক্লোন বা ধনুষকোডি সাইক্লোন বলে পরিচিত। যা ২৮০ কিলোমিটার গতিবেগে বয়ে গিয়েছিল শহরটার উপর দিয়ে। দ্বীপ শহর ধনুষকোডির ২৩ ফুট উপরে লাফিয়ে উঠেছিল সমুদ্রের জলরাশি।লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা। শহরের বেশির ভাগটাই চলে গিয়েছিল জলের তলায়। অন্তত ১৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জানা যায়, ১১৫ যাত্রী নিয়ে রামেশ্বরমের পাম্বান থেকে ধনুষকোডি পর্যন্ত একটি যাত্রীবাহী ট্রেন যাচ্ছিল সে সময়। ঘূর্ণিঝড়ে ট্রেনের সমস্ত যাত্রীই মারা যান। পাম্বান থেকে ধনুষকোডি পর্যন্ত একটা রেলব্রিজ ছিল। সেটাও পুরো ধ্বংস হয়ে যায়। ক’জন মানুষ বেঁচে ছিলেন, তাঁরাও প্রাণভয়ে শহর ছেড়ে চলে আসেন তামিলনাড়ুর মূল ভূখণ্ডে।
[You must be registered and logged in to see this link.]

এর পরই তামিলনাড়ু সরকার শহরটাকে ‘ঘোস্ট টাউন’ বা ভুতুড়ে শহর হিসাবে ঘোষণা করে দেয়। এগুলো ছাড়াও আরও একটা কারণে বেশ জনপ্রিয় ধনুষকোডি। আর সেই কারণ হল রাম সেতু।

Dhanushkodi Tourism
Dhanushkodi is a small, sparsely populated beach town on the coast of Tamil Nadu. In the 1964, Dhanushkodi was hit by one of the worst storms India has ever seen. Ever since then, Tamil Nadu has rebuilt this town to become one of the most unique and unusual beach towns of India.

This small town redefines the term isolated. Cut off from the rest of the world, this town seems untouched by time. While the rest of India is vying to get ahead in the race for prosperity, this town seems frozen in history, reflecting it grandeur and beauty.

#Dhanushkodi #Tourism
#tamilnadu
#rameshwaram
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply