. ️️#গঙ্গাসাগর_বারবার!️️
. ️️ #Gangasagar ️️
.
বারবার দীঘা-মন্দারমনি-তাজপুর গিয়ে গিয়ে একটু একঘেয়েমি এসে গেছে? ভিড় থেকে পালিয়ে একটু স্বাদ বদলাতে চাইলে অবশ্যই একবার গঙ্গাসাগর ঘুরে আসুন। যদি আপনার আগে যাওয়া না হয়ে থাকে তাহলে দিন দুয়েকের জন্য একদম পারফেক্ট ডেস্টিনেশন হলো এই পূণ্যতীর্থ।
বঙ্গবাসী বোধ হয় বরাবরই এই সাগর যাত্রাকে একটু আলাদা চোখে দেখে এসেছে। তাই এই ভ্যাপসা গরমে যখন সাগর যাত্রার কথা বললাম তখন বেশিরভাগ লোকজনই কেমন সন্দেহের চোখে দেখে ছিটকে গেলো(এমনকি মা-বৌ পর্যন্ত!)। শেষে চার মূর্তি(সহকর্মী) মিলেই রহনা দিলাম। যেহেতু পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ধরে গিয়েছিলাম তাই সময়, যাত্রার খুঁটিনাটি ও খরচের হিসেব ধরে লিখলাম...
#প্রথম_দিন
6.45am.......চন্দননগর/ভদ্রেশ্বরের বাড়ি থেকে থেকে টোটোতে(10টাকা) তেলিনীপাড়া ফেরিঘাট।
7.00.........লঞ্চে(6টাকা) 7/8 মিনিটে ওপারে শ্যামনগর। 2 মিনিটের হাঁটা পথে শ্যামনগর স্টেশন।
7.20.........শান্তিপুর লোকাল।(শ্যামনগর থেকে কাকদ্বীপ, ভাড়া 30টাকা)
8.15.........শিয়ালদা। সাউথ সেকশনে গিয়ে কাকদ্বীপগামী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা।(সঙ্গে মিও আমোরে চিকেন স্যান্ডুইচ আর লেমন টি। মাথাপিছু 45 টাকা)
9.16.........লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল। ভিড় নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু সবাই বসার জায়গা পেয়েছিলাম। এগারোটা নাগাদ এলো লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশন। এখানে ট্রেন প্রায় 20-25 মিনিট দাড়িয়ে নাম বলদে ফের নামখানা লোকাল হয়ে ছাড়লো। ততক্ষণে প্ল্যাটফর্মে নেমে ঘুগনি-মুড়ি-ডিম সেদ্ধ-চা সাঁটালাম আরেক প্রস্থ।(30 টাকা)
12.00pm........কাকদ্বীপ স্টেশন। এখান থেকে টোটো(20 টাকা) আছে লট নাম্বার আট অবধি।
12.30........টিকিট(9 টাকা) কেটে ভেসেলে উঠলাম। 45 মিনিটের যাত্রায় বুড়ি গঙ্গার হওয়া খেতে খেতে পৌঁছলাম সাগর দ্বীপের কচুবেড়িয়া ঘাটে।
1.30.........ঘাটের সামনেই সারি দিয়ে ম্যাজিক গাড়ি দাঁড়িয়ে। একটু এগিয়ে বাস স্ট্যান্ড। গঙ্গাসাগর যাবার বাস ভাড়া মাথা পিছু 40 আর ম্যাজিক গাড়িতে 50 টাকা।
2.30.........30 কিমি মসৃণ রাস্তায় ঝড়ের গতিতে পৌঁছে গেলাম গঙ্গাসাগর বাস স্ট্যান্ডে। খিদেয় পেট তখন জ্বলছে। সামনেই ফুড কোর্ট। ভরপেট সবজি ভাত খেলাম 60 টাকায়।
3.00.........এবারে হাঁটা লাগালাম কপিল মুনির মন্দিরের দিকে।10 মিনিটের পথ। মন্দির থেকে সি বীচের দিকে আরও 5 মিনিটের হাঁটা পথে বাঁদিকে পড়বে সাগর কটেজ(আমাদের থাকার আস্তানা)
3.30.........রুমে পৌছে চানটান সেরে ফ্রেস হয়ে নিয়ে এসিতে ঘণ্টা দুয়েকের রেস্ট।(সি বিচ আর মন্দিরের সংযোগকারী রাস্তায় রয়েছে পঞ্চায়েত পরিচালিত এই সাগর কটেজ। 5টি ডবল বেড AC রুম আছে। ভাড়া 1500 টাকা। তিনজন ভালোভাবে থাকা যাবে। খাবার ব্যবস্থা নেই। এদের নন এসি রুম 700/800 টাকা। বুকিং -8116305212/7797927193
5.30.........রোদের তেজ কিছুটা কমতে চলে এলাম সি বিচে। প্রায় ফাঁকা সমুদ্রতটে চা সহযোগে বেশ খানিকটা সময় কাটালাম।
7.00........মন্দির ও তার চারপাশ ঘুরে দেখতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। মন্দির লাগোয়া ধর্মশালা, কৃত্রিম জলাশয়, ডালা আর্কেড, পার্ক ইত্যাদি। সাথে চপ- মুড়ির সাথে আরেক প্রস্থ চা।
8.00........মন্দিরের আরতি দেখে হোটেলে ফিরলাম।অপূর্ব লাগবে এই সন্ধ্যা আরতি। মিস করবেন না।
9.00........দমকা হাওয়া আর টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যে ডিনারের জন্য বেরোলাম। মন্দিরের পিছনদিকে মিনিট দশেকের হাঁটা পথে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নবনির্মিত ট্যুরিস্ট লজ। এখানেই রুটি আর চিলি চিকেন নিয়ে ভাগ করে নিলাম(সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরিয়ে আগেই কথা বলে এসেছিলাম)। মাথাপিছু 170 টাকা। এখানে আধুনিক কটেজ গুলির ভাড়া 3000টাকা।(12% GST আলাদা)।
10.30........যখন খেয়েদেয়ে আমাদের হোটেলে ফিরছি রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান। মন্দির আর সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। ট্যুরিস্ট লজে অনুরোধ করায় ওনারাই ব্যাটারির গাড়ি করে আমাদের ছেড়ে দিয়ে গেলেন।
#দ্বিতীয়_দিন
6.00am.........কিছুতেই দুজনকে ঘুমথেকে তোলা গেলোনা। অগত্যা বাকি দুজনেই হাঁটতে বেরোলাম। সমুদ্রের ধার ধরে গিয়ে অন্য একটি রাস্তায় পরপর রয়েছে বেশ কিছু আশ্রম ও সরকারি গেস্ট হাউস। ওঙ্কারনাথ ঠাকুরের আশ্রমটি বেশ সুন্দর ও গাছপালায় ঘেরা। দোতলায় থাকার ঘর গুলির ভাড়া 400/500 টাকা। ছুটির দিনে এলে কিন্তু ফোনে জানিয়ে আসাই ভালো।
9.00.........হোটেলে ফিরেই এবার বেরোলাম সমুদ্র স্নানের উদ্দেশ্যে। সাগরতট তখন যেনো এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র! গুজরাট,মহারাষ্ট্র,মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ,রাজস্থান ইত্যাদি রাজ্য থেকে বেশকিছু পুণ্যার্থীরা এসেছেন। আমরাও ডুব লাগালাম পবিত্র সাগরে। জল বেশ পরিষ্কার আর যথেষ্ট ঢেউও রয়েছে। বাড়ির জন্য কিছুটা জল নিলাম।(জলের ফাঁকা জার এখানেই বিক্রি হচ্ছে)
10.30........মন্দিরের সামনেই রয়েছে দক্ষিণেশ্বরের ধাঁচে ডালা আর্কেড। চারজন আলাদা চারটি দোকান(দোকানদারদের অনুরোধে) থেকে পুজোর সামগ্রী নিয়ে(50/100 টাকা) মন্দিরে পুজো দিলাম। বর্তমান কপিল মুনির মন্দিরটি নাকি 5 নম্বর মন্দির। বাকি গুলি সব এখন সমুদ্রের গ্রাসে। একটি মন্দিরের অবশিষ্ট এখনও সমুদ্রের তীরে রয়েছে। তবে নতুন মন্দিরে মূর্তি গুলি কিন্তু সেই প্রাচীন। মা গঙ্গা,কপিল মুনি ও রাজা সাগরের। ফাঁকা মন্দিরে বেশ শান্তিতে পুজো দেওয়া গেলো। প্রণামি আপনার যা ইচ্ছা তাই বক্সে ফেলবেন। কোনো পান্ডা বা জুলুমবাজি নেই।
11.30.........মন্দিরের সামনেই সারি দিয়ে খাবারের দোকান। ছেঁড়া পরোটা-ঘুগনি আর রসগোল্লা সহযোগে ভরপেট টিফিন সারা হলো। এরপরে সারাদিন খাবার সুযোগ নাও মিলতে পারে।
12.00pm........এবার বিদায় গঙ্গাসাগর। ফেরার সময় একটু অ্যাডভেঞ্চারের লোভে অন্য রুট ধরলাম। মাথাপিছু 50 টাকায় টোটোতে(30 মিনিট) এলাম বেনুবন ফেরি ঘাটে। গাছপালায় ঘেরা এই ঘাট থেকেই নামখানার লঞ্চ ছাড়ে। তবে পরবর্তী লঞ্চ নাকি এখনও এক ঘন্টা বাদে ছাড়বে! কি আর করা যায়, এক চক্কর লাগালাম এদিক সেদিক। সামনেই একটা ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। ওঠবার মতলবও করলাম। কিন্তু দরজা বন্ধ!
1.30.........এক ঘণ্টার যাত্রাপথ এককথায় ভয়ঙ্কর সুন্দর! নামখানা পৌঁছতে লঞ্চকে কোনাকুনি গঙ্গায় অনেকটা চলতে হবে। বেনুবনের খাঁড়ি কাটিয়ে লঞ্চ যখন গঙ্গার মাঝ বরাবর তখন নদী সমুদ্রের মতোই উত্তাল। জলের ঝাপটা ভিতরে ভিজিয়ে দিচ্ছে আর গুটি কয়েক পর্যটক আমরা শুকনো মুখে বসে আছি! যদিও স্থানীয়রা নির্লিপ্তই। ভাড়া 40 টাকা। সাধারনভাবে বললে এর চেয়ে কচুবেরিয়া হয়ে ফেরাই শ্রেয়।
2.30.........নামখানা ফেরিঘাট থেকে টোটোতে(ভাড়া 15 টাকা) নামখানা স্টেশন। এখানে পৌঁছে কিছুটা টিফিন করে নিতে পারেন। ভাত থেকে ডিম টোস্ট সবকিছুই হাজির রেল প্ল্যাটফর্মে।
3.00.........লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল। যেটা আবারও লক্ষ্মীকান্তপুরে নাম পাল্টে শিয়ালদা পৌঁছাবে। যেহেতু এখান থেকেই ট্রেন ছাড়ছে তাই অনায়াসেই সিট পেয়ে যাবেন। কিন্তু এর পরে ভিড় বেশ বাড়বে।
6.35.........নৈহাটি লোকাল।
7.30.........শ্যামনগর ফেরি।
8.00pm..........বাড়ি।
#খরচপাতি_(মাথাপিছু)
ফেরি ঘাট টোটো (যাওয়া+ফেরা)..10+10
ফেরি (যাওয়া+ফেরা)......................6+6
ট্রেন (যাওয়া+ফেরা)....................30+30
যাবার সময় টিফিন...........................75
লট নাম্বার আট যাবার টোটো.............20
যাবার ভেসেল....................................9
সাগর যাবার গাড়ি.............................50
লাঞ্চ....…..........................................60
চা-স্ন্যাকস.........................................30
ডিনার............................................170
পরের দিনের টিফিন..........................40
হোটেল(1500/2)............................750
বেনুবন যাবার টোটো.........................50
নমাখানা যাবার লঞ্চ..........................40
নামখানা স্টেশন যাবার টোটো............15
দুপুরের খাবার..................................60
অন্যান্য............................................39
মোট............................................1500
#থাকার_ব্যবস্থা
গঙ্গাসাগরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের বেশ কিছু ধর্মশালা,লজ বা হোটেল আছে। এরমধ্যে কয়েকটির তথ্য...
#সাগর_কটেজ
পঞ্চায়েত পরিচালিত। সবচেয়ে ভালো লোকেশন। মন্দির থেকে সি বিচ যাবার পথে বাঁদিকে পড়বে। নন এসি রুম 700/800 এবং এসি কটেজ 1500 টাকা। নন এসি রুমগুলো অতি সাধারণ মানের। মেইনটেনেন্সের অভাব রয়েছে। খাবার ব্যবস্থা নেই।
(অ্যাডভান্স বুকিং কনফার্ম করেই যাবেন, নাহলে স্পটে পৌঁছে শুনতেও পারেন যে রুম নেই!)
বুকিং -8116305212/7797927193
#ওয়েস্ট_বেঙ্গল_ট্যুরিস্ট লজ
পর্যটন দপ্তর পরিচালিত নবনির্মিত ব্র্যান্ড নিউ লজ। অনেকটা জায়গা জুড়ে বেশ কয়েকটি লাক্সারি কটেজ গড়ে উঠেছে। ডবল বেড 2900 টাকা(ব্রেকফাস্ট সমেত,GST আলাদা)। রেস্টুরেন্ট আছে।
বুকিং -wbtdcl.wbtourismgov.in
6292217656
#ইউথ_হোস্টেল
গঙ্গাসাগরে থাকার জন্য অন্যতম ভালো অপশন।এদের ডরমিটরি 225 টাকা। নন এসি রুম 800/900 টাকা এবং এসি কটেজ 2000 টাকা।(GST আলাদা)। খাবার ব্যবস্থা আছে।কেবলমাত্র অনলাইনেই বুকিং হয়।
বুকিং - www.youthhostelbooking.wb.gov.in
#গঙ্গাসাগর_ট্যুরিস্ট_লজ
GBDA পরিচালিত। নন এসি রুম 600 টাকা। এসি রুম 1100 টাকা।
বুকিং - 9932583670
#যোগেন্দ্র_মঠ(লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির)
ওঙ্কারনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত। নিরিবিলি পরিবেশে অ্যাটাচ বাথরুম ও ব্যালকনি সমেত বেশ কয়েকটি ঘর আছে। ভাড়া 400/500 টাকা। দুপুরের খাওয়া 70 টাকা ও রাতে 50 টাকা।
বুকিং - 8293237251
#ভারত_সেবাশ্রম সংঘ
বিশাল ক্যাম্পাসে প্রায় 240 টি রুম আছে। অনায়াসেই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
#খাওয়া_দাওয়া
মন্দির সংলগ্ন রাস্তায় বেশ কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। যেখানে ভাত বা রুটি পাওয়া যায়। জলখাবারের জন্য মুড়ি,পরোটা বা টোস্ট রয়েছে। প্রায় সবই নিরামিষ হোটেল। এছাড়াও রয়েছে কয়েকটি ফুড কোর্ট যেখানে আমিষ খাবারও পাবেন। এছাড়া পর্যটন দপ্তরের লজেও খেতে পারেন। দাম বাইরের থেকে বেশি হলেও কোয়ালিটি বেশ ভালো। সেক্ষেত্রে ফোনে আগে থেকে অর্ডার দিয়ে দেবেন।(6292217656)
#বিশেষ_কিছু_কথা
মকর সংক্রান্তি মেলার সময় বাদ দিয়েই সাগরে যাওয়া ভালো। ফাঁকায় ভালোভাবে ঘুরতে পারবেন।
শনি-রবি বা বিশেষ দিনে গেলে একটু খোঁজ নিয়ে বা বুকিং করে যাবেন। বাকি দিন সাধারণত ফাঁকাই থাকে।
হাতে সময় থাকলে একটা টোটো/অটো রিজার্ভ করে চারপাশ ঘুরে দেখতে দেখতে পারেন।(মোহনা,লাইট হাউস ইত্যাদি)
কাকদ্বীপ-কচুবেড়িয়া হয়েই সাগরে যাওয়া ভালো। ভেসেল যাত্রা বা সাগরের রাস্তা দুটোই স্বস্তিদায়ক। অন্যদিকে বেনুবন-নামখানা লঞ্চ যাত্রা উত্তাল ও ভয়াল!
জোয়ার-ভাটার ও ঝড়ের ওপরে ভেসেল ছাড়ার সময় অনেকটা নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে ভেসেল নাও চলতে পরে। তাই টিকিট কেটে অপেক্ষা করতে হবে এটা মনস্থির করেই যাবেন।
>>> ভেসেল সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে ফেসবুকে gongasagar.com সার্চ করুন । প্রতিদিনের ভেসেল চলাচলের লিস্ট পাবেন ।
নিজস্ব গাড়ি ভেসেলে পেরিয়ে নিয়েও যেতে পারেন। কিন্তু সেই ধরনের ভেসেলের সংখ্যা খুবই কম এবং লাইনও পড়ে। তাই গাড়ি আট নম্বর লটের পার্কিংয়ে রেখে যাওয়াই ভালো।(পার্কিং ফি 75 টাকা প্রতি দিন)
ফেরার ট্রেন কাকদ্বীপ থেকে দুপুর 3.14 এ। এটা কিন্তু মিস করা যাবে না।(যেটা দুটো স্টেশন পিছনে নামখানা থেকে তিনটের সময় ছেড়ে আসে)
কেনাকাটার জন্য সেরকম উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। প্লাস্টিকের খেলনা,ব্যাগ বা ঝিনুকের তৈরি জিনিস পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো হলো ছোটো প্লাস্টিকের জার কিনে তাতে সাগরের জল ভরে আনুন। বাড়ি ফিরে সকলকে শান্তির জল ছিটিয়ে দিন(আমি করেছিলাম)।
ধন্যবাদ
অমিত প্রামাণিক
Last edited by Admin on Mon Jun 20, 2022 8:53 am; edited 1 time in total
. ️️ #Gangasagar ️️
.
বারবার দীঘা-মন্দারমনি-তাজপুর গিয়ে গিয়ে একটু একঘেয়েমি এসে গেছে? ভিড় থেকে পালিয়ে একটু স্বাদ বদলাতে চাইলে অবশ্যই একবার গঙ্গাসাগর ঘুরে আসুন। যদি আপনার আগে যাওয়া না হয়ে থাকে তাহলে দিন দুয়েকের জন্য একদম পারফেক্ট ডেস্টিনেশন হলো এই পূণ্যতীর্থ।
বঙ্গবাসী বোধ হয় বরাবরই এই সাগর যাত্রাকে একটু আলাদা চোখে দেখে এসেছে। তাই এই ভ্যাপসা গরমে যখন সাগর যাত্রার কথা বললাম তখন বেশিরভাগ লোকজনই কেমন সন্দেহের চোখে দেখে ছিটকে গেলো(এমনকি মা-বৌ পর্যন্ত!)। শেষে চার মূর্তি(সহকর্মী) মিলেই রহনা দিলাম। যেহেতু পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ধরে গিয়েছিলাম তাই সময়, যাত্রার খুঁটিনাটি ও খরচের হিসেব ধরে লিখলাম...
#প্রথম_দিন
6.45am.......চন্দননগর/ভদ্রেশ্বরের বাড়ি থেকে থেকে টোটোতে(10টাকা) তেলিনীপাড়া ফেরিঘাট।
7.00.........লঞ্চে(6টাকা) 7/8 মিনিটে ওপারে শ্যামনগর। 2 মিনিটের হাঁটা পথে শ্যামনগর স্টেশন।
7.20.........শান্তিপুর লোকাল।(শ্যামনগর থেকে কাকদ্বীপ, ভাড়া 30টাকা)
8.15.........শিয়ালদা। সাউথ সেকশনে গিয়ে কাকদ্বীপগামী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা।(সঙ্গে মিও আমোরে চিকেন স্যান্ডুইচ আর লেমন টি। মাথাপিছু 45 টাকা)
9.16.........লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল। ভিড় নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু সবাই বসার জায়গা পেয়েছিলাম। এগারোটা নাগাদ এলো লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশন। এখানে ট্রেন প্রায় 20-25 মিনিট দাড়িয়ে নাম বলদে ফের নামখানা লোকাল হয়ে ছাড়লো। ততক্ষণে প্ল্যাটফর্মে নেমে ঘুগনি-মুড়ি-ডিম সেদ্ধ-চা সাঁটালাম আরেক প্রস্থ।(30 টাকা)
12.00pm........কাকদ্বীপ স্টেশন। এখান থেকে টোটো(20 টাকা) আছে লট নাম্বার আট অবধি।
12.30........টিকিট(9 টাকা) কেটে ভেসেলে উঠলাম। 45 মিনিটের যাত্রায় বুড়ি গঙ্গার হওয়া খেতে খেতে পৌঁছলাম সাগর দ্বীপের কচুবেড়িয়া ঘাটে।
1.30.........ঘাটের সামনেই সারি দিয়ে ম্যাজিক গাড়ি দাঁড়িয়ে। একটু এগিয়ে বাস স্ট্যান্ড। গঙ্গাসাগর যাবার বাস ভাড়া মাথা পিছু 40 আর ম্যাজিক গাড়িতে 50 টাকা।
2.30.........30 কিমি মসৃণ রাস্তায় ঝড়ের গতিতে পৌঁছে গেলাম গঙ্গাসাগর বাস স্ট্যান্ডে। খিদেয় পেট তখন জ্বলছে। সামনেই ফুড কোর্ট। ভরপেট সবজি ভাত খেলাম 60 টাকায়।
3.00.........এবারে হাঁটা লাগালাম কপিল মুনির মন্দিরের দিকে।10 মিনিটের পথ। মন্দির থেকে সি বীচের দিকে আরও 5 মিনিটের হাঁটা পথে বাঁদিকে পড়বে সাগর কটেজ(আমাদের থাকার আস্তানা)
3.30.........রুমে পৌছে চানটান সেরে ফ্রেস হয়ে নিয়ে এসিতে ঘণ্টা দুয়েকের রেস্ট।(সি বিচ আর মন্দিরের সংযোগকারী রাস্তায় রয়েছে পঞ্চায়েত পরিচালিত এই সাগর কটেজ। 5টি ডবল বেড AC রুম আছে। ভাড়া 1500 টাকা। তিনজন ভালোভাবে থাকা যাবে। খাবার ব্যবস্থা নেই। এদের নন এসি রুম 700/800 টাকা। বুকিং -8116305212/7797927193
5.30.........রোদের তেজ কিছুটা কমতে চলে এলাম সি বিচে। প্রায় ফাঁকা সমুদ্রতটে চা সহযোগে বেশ খানিকটা সময় কাটালাম।
7.00........মন্দির ও তার চারপাশ ঘুরে দেখতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। মন্দির লাগোয়া ধর্মশালা, কৃত্রিম জলাশয়, ডালা আর্কেড, পার্ক ইত্যাদি। সাথে চপ- মুড়ির সাথে আরেক প্রস্থ চা।
8.00........মন্দিরের আরতি দেখে হোটেলে ফিরলাম।অপূর্ব লাগবে এই সন্ধ্যা আরতি। মিস করবেন না।
9.00........দমকা হাওয়া আর টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যে ডিনারের জন্য বেরোলাম। মন্দিরের পিছনদিকে মিনিট দশেকের হাঁটা পথে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নবনির্মিত ট্যুরিস্ট লজ। এখানেই রুটি আর চিলি চিকেন নিয়ে ভাগ করে নিলাম(সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরিয়ে আগেই কথা বলে এসেছিলাম)। মাথাপিছু 170 টাকা। এখানে আধুনিক কটেজ গুলির ভাড়া 3000টাকা।(12% GST আলাদা)।
10.30........যখন খেয়েদেয়ে আমাদের হোটেলে ফিরছি রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান। মন্দির আর সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। ট্যুরিস্ট লজে অনুরোধ করায় ওনারাই ব্যাটারির গাড়ি করে আমাদের ছেড়ে দিয়ে গেলেন।
#দ্বিতীয়_দিন
6.00am.........কিছুতেই দুজনকে ঘুমথেকে তোলা গেলোনা। অগত্যা বাকি দুজনেই হাঁটতে বেরোলাম। সমুদ্রের ধার ধরে গিয়ে অন্য একটি রাস্তায় পরপর রয়েছে বেশ কিছু আশ্রম ও সরকারি গেস্ট হাউস। ওঙ্কারনাথ ঠাকুরের আশ্রমটি বেশ সুন্দর ও গাছপালায় ঘেরা। দোতলায় থাকার ঘর গুলির ভাড়া 400/500 টাকা। ছুটির দিনে এলে কিন্তু ফোনে জানিয়ে আসাই ভালো।
9.00.........হোটেলে ফিরেই এবার বেরোলাম সমুদ্র স্নানের উদ্দেশ্যে। সাগরতট তখন যেনো এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র! গুজরাট,মহারাষ্ট্র,মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ,রাজস্থান ইত্যাদি রাজ্য থেকে বেশকিছু পুণ্যার্থীরা এসেছেন। আমরাও ডুব লাগালাম পবিত্র সাগরে। জল বেশ পরিষ্কার আর যথেষ্ট ঢেউও রয়েছে। বাড়ির জন্য কিছুটা জল নিলাম।(জলের ফাঁকা জার এখানেই বিক্রি হচ্ছে)
10.30........মন্দিরের সামনেই রয়েছে দক্ষিণেশ্বরের ধাঁচে ডালা আর্কেড। চারজন আলাদা চারটি দোকান(দোকানদারদের অনুরোধে) থেকে পুজোর সামগ্রী নিয়ে(50/100 টাকা) মন্দিরে পুজো দিলাম। বর্তমান কপিল মুনির মন্দিরটি নাকি 5 নম্বর মন্দির। বাকি গুলি সব এখন সমুদ্রের গ্রাসে। একটি মন্দিরের অবশিষ্ট এখনও সমুদ্রের তীরে রয়েছে। তবে নতুন মন্দিরে মূর্তি গুলি কিন্তু সেই প্রাচীন। মা গঙ্গা,কপিল মুনি ও রাজা সাগরের। ফাঁকা মন্দিরে বেশ শান্তিতে পুজো দেওয়া গেলো। প্রণামি আপনার যা ইচ্ছা তাই বক্সে ফেলবেন। কোনো পান্ডা বা জুলুমবাজি নেই।
11.30.........মন্দিরের সামনেই সারি দিয়ে খাবারের দোকান। ছেঁড়া পরোটা-ঘুগনি আর রসগোল্লা সহযোগে ভরপেট টিফিন সারা হলো। এরপরে সারাদিন খাবার সুযোগ নাও মিলতে পারে।
12.00pm........এবার বিদায় গঙ্গাসাগর। ফেরার সময় একটু অ্যাডভেঞ্চারের লোভে অন্য রুট ধরলাম। মাথাপিছু 50 টাকায় টোটোতে(30 মিনিট) এলাম বেনুবন ফেরি ঘাটে। গাছপালায় ঘেরা এই ঘাট থেকেই নামখানার লঞ্চ ছাড়ে। তবে পরবর্তী লঞ্চ নাকি এখনও এক ঘন্টা বাদে ছাড়বে! কি আর করা যায়, এক চক্কর লাগালাম এদিক সেদিক। সামনেই একটা ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। ওঠবার মতলবও করলাম। কিন্তু দরজা বন্ধ!
1.30.........এক ঘণ্টার যাত্রাপথ এককথায় ভয়ঙ্কর সুন্দর! নামখানা পৌঁছতে লঞ্চকে কোনাকুনি গঙ্গায় অনেকটা চলতে হবে। বেনুবনের খাঁড়ি কাটিয়ে লঞ্চ যখন গঙ্গার মাঝ বরাবর তখন নদী সমুদ্রের মতোই উত্তাল। জলের ঝাপটা ভিতরে ভিজিয়ে দিচ্ছে আর গুটি কয়েক পর্যটক আমরা শুকনো মুখে বসে আছি! যদিও স্থানীয়রা নির্লিপ্তই। ভাড়া 40 টাকা। সাধারনভাবে বললে এর চেয়ে কচুবেরিয়া হয়ে ফেরাই শ্রেয়।
2.30.........নামখানা ফেরিঘাট থেকে টোটোতে(ভাড়া 15 টাকা) নামখানা স্টেশন। এখানে পৌঁছে কিছুটা টিফিন করে নিতে পারেন। ভাত থেকে ডিম টোস্ট সবকিছুই হাজির রেল প্ল্যাটফর্মে।
3.00.........লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল। যেটা আবারও লক্ষ্মীকান্তপুরে নাম পাল্টে শিয়ালদা পৌঁছাবে। যেহেতু এখান থেকেই ট্রেন ছাড়ছে তাই অনায়াসেই সিট পেয়ে যাবেন। কিন্তু এর পরে ভিড় বেশ বাড়বে।
6.35.........নৈহাটি লোকাল।
7.30.........শ্যামনগর ফেরি।
8.00pm..........বাড়ি।
#খরচপাতি_(মাথাপিছু)
ফেরি ঘাট টোটো (যাওয়া+ফেরা)..10+10
ফেরি (যাওয়া+ফেরা)......................6+6
ট্রেন (যাওয়া+ফেরা)....................30+30
যাবার সময় টিফিন...........................75
লট নাম্বার আট যাবার টোটো.............20
যাবার ভেসেল....................................9
সাগর যাবার গাড়ি.............................50
লাঞ্চ....…..........................................60
চা-স্ন্যাকস.........................................30
ডিনার............................................170
পরের দিনের টিফিন..........................40
হোটেল(1500/2)............................750
বেনুবন যাবার টোটো.........................50
নমাখানা যাবার লঞ্চ..........................40
নামখানা স্টেশন যাবার টোটো............15
দুপুরের খাবার..................................60
অন্যান্য............................................39
মোট............................................1500
#থাকার_ব্যবস্থা
গঙ্গাসাগরে থাকার জন্য বিভিন্ন মানের বেশ কিছু ধর্মশালা,লজ বা হোটেল আছে। এরমধ্যে কয়েকটির তথ্য...
#সাগর_কটেজ
পঞ্চায়েত পরিচালিত। সবচেয়ে ভালো লোকেশন। মন্দির থেকে সি বিচ যাবার পথে বাঁদিকে পড়বে। নন এসি রুম 700/800 এবং এসি কটেজ 1500 টাকা। নন এসি রুমগুলো অতি সাধারণ মানের। মেইনটেনেন্সের অভাব রয়েছে। খাবার ব্যবস্থা নেই।
(অ্যাডভান্স বুকিং কনফার্ম করেই যাবেন, নাহলে স্পটে পৌঁছে শুনতেও পারেন যে রুম নেই!)
বুকিং -8116305212/7797927193
#ওয়েস্ট_বেঙ্গল_ট্যুরিস্ট লজ
পর্যটন দপ্তর পরিচালিত নবনির্মিত ব্র্যান্ড নিউ লজ। অনেকটা জায়গা জুড়ে বেশ কয়েকটি লাক্সারি কটেজ গড়ে উঠেছে। ডবল বেড 2900 টাকা(ব্রেকফাস্ট সমেত,GST আলাদা)। রেস্টুরেন্ট আছে।
বুকিং -wbtdcl.wbtourismgov.in
6292217656
#ইউথ_হোস্টেল
গঙ্গাসাগরে থাকার জন্য অন্যতম ভালো অপশন।এদের ডরমিটরি 225 টাকা। নন এসি রুম 800/900 টাকা এবং এসি কটেজ 2000 টাকা।(GST আলাদা)। খাবার ব্যবস্থা আছে।কেবলমাত্র অনলাইনেই বুকিং হয়।
বুকিং - www.youthhostelbooking.wb.gov.in
#গঙ্গাসাগর_ট্যুরিস্ট_লজ
GBDA পরিচালিত। নন এসি রুম 600 টাকা। এসি রুম 1100 টাকা।
বুকিং - 9932583670
#যোগেন্দ্র_মঠ(লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির)
ওঙ্কারনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত। নিরিবিলি পরিবেশে অ্যাটাচ বাথরুম ও ব্যালকনি সমেত বেশ কয়েকটি ঘর আছে। ভাড়া 400/500 টাকা। দুপুরের খাওয়া 70 টাকা ও রাতে 50 টাকা।
বুকিং - 8293237251
#ভারত_সেবাশ্রম সংঘ
বিশাল ক্যাম্পাসে প্রায় 240 টি রুম আছে। অনায়াসেই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
#খাওয়া_দাওয়া
মন্দির সংলগ্ন রাস্তায় বেশ কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। যেখানে ভাত বা রুটি পাওয়া যায়। জলখাবারের জন্য মুড়ি,পরোটা বা টোস্ট রয়েছে। প্রায় সবই নিরামিষ হোটেল। এছাড়াও রয়েছে কয়েকটি ফুড কোর্ট যেখানে আমিষ খাবারও পাবেন। এছাড়া পর্যটন দপ্তরের লজেও খেতে পারেন। দাম বাইরের থেকে বেশি হলেও কোয়ালিটি বেশ ভালো। সেক্ষেত্রে ফোনে আগে থেকে অর্ডার দিয়ে দেবেন।(6292217656)
#বিশেষ_কিছু_কথা
মকর সংক্রান্তি মেলার সময় বাদ দিয়েই সাগরে যাওয়া ভালো। ফাঁকায় ভালোভাবে ঘুরতে পারবেন।
শনি-রবি বা বিশেষ দিনে গেলে একটু খোঁজ নিয়ে বা বুকিং করে যাবেন। বাকি দিন সাধারণত ফাঁকাই থাকে।
হাতে সময় থাকলে একটা টোটো/অটো রিজার্ভ করে চারপাশ ঘুরে দেখতে দেখতে পারেন।(মোহনা,লাইট হাউস ইত্যাদি)
কাকদ্বীপ-কচুবেড়িয়া হয়েই সাগরে যাওয়া ভালো। ভেসেল যাত্রা বা সাগরের রাস্তা দুটোই স্বস্তিদায়ক। অন্যদিকে বেনুবন-নামখানা লঞ্চ যাত্রা উত্তাল ও ভয়াল!
জোয়ার-ভাটার ও ঝড়ের ওপরে ভেসেল ছাড়ার সময় অনেকটা নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে ভেসেল নাও চলতে পরে। তাই টিকিট কেটে অপেক্ষা করতে হবে এটা মনস্থির করেই যাবেন।
>>> ভেসেল সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে ফেসবুকে gongasagar.com সার্চ করুন । প্রতিদিনের ভেসেল চলাচলের লিস্ট পাবেন ।
নিজস্ব গাড়ি ভেসেলে পেরিয়ে নিয়েও যেতে পারেন। কিন্তু সেই ধরনের ভেসেলের সংখ্যা খুবই কম এবং লাইনও পড়ে। তাই গাড়ি আট নম্বর লটের পার্কিংয়ে রেখে যাওয়াই ভালো।(পার্কিং ফি 75 টাকা প্রতি দিন)
ফেরার ট্রেন কাকদ্বীপ থেকে দুপুর 3.14 এ। এটা কিন্তু মিস করা যাবে না।(যেটা দুটো স্টেশন পিছনে নামখানা থেকে তিনটের সময় ছেড়ে আসে)
কেনাকাটার জন্য সেরকম উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। প্লাস্টিকের খেলনা,ব্যাগ বা ঝিনুকের তৈরি জিনিস পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো হলো ছোটো প্লাস্টিকের জার কিনে তাতে সাগরের জল ভরে আনুন। বাড়ি ফিরে সকলকে শান্তির জল ছিটিয়ে দিন(আমি করেছিলাম)।
ধন্যবাদ
অমিত প্রামাণিক
Last edited by Admin on Mon Jun 20, 2022 8:53 am; edited 1 time in total