Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionpataya fuket bankok পাটায়া ফুকেট ব্যাংকক  Emptypataya fuket bankok পাটায়া ফুকেট ব্যাংকক

more_horiz
#দেশীয় ট্যুরের খরচে কিভাবে বিদেশ ট্যুর করা সম্ভব#
এই লেখাটি যারা বাজেট ট্রাভেলার মূলত তাদের জন্য, আর যারা লাক্সারি ট্রাভেলার তারা এই পোস্টটি এড়িয়ে যেতে পারেন।
অনেক দিন ধরে ইচ্ছা ছিল কোনো ট্যুর অপারেটরের সাহায্য ছাড়াই নিজের মতো করে বিদেশ ভ্রমণ করার। কিন্তু আমার মতো মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে বাজেট একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। তাই গবেষণা শুরু করলাম কিভাবে কম খরচে বিদেশ ট্যুর সম্ভব। আমরা কোলকাতা থেকে কেরালা বা রাজস্থান বা কাশ্মীর ট্যুর করলে 60/70K খরচ হয় দুজনের।এর থেকেও কম খরচে থাইল্যান্ড ট্যুর করা সম্ভব বলে মনে হল।তাই এবার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের পালা।
অবশেষে সাহস করে দুটো টিকিট কেটে ফেললাম এয়ার এশিয়াতে পেটিএম থেকে। মাত্র ২২,৫০০ টাকা, দুজনের যাওয়া আসা। ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ তারিখ যাত্রা। যাত্রার এক সপ্তাহ খানেক আগে প্রয়োজনীয় থাই ভাট কিনে নিলাম। 1 THB = 2.41 INR ছিল তখন। কখনো এয়ারপোর্ট থেকে মুদ্রা বিনিময় করবেন না, অনেকটাই লসের সম্মুখীন হতে হয়। আমি আর আমার স্ত্রীরত্ন বেরিয়ে পড়লাম দুটো কেবিন ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ১০ দিনের জন্য। গন্তব্য পাটায়া, ফুকেট, ব্যাঙ্কক। এখানে বলে রাখা ভালো, এয়ার এশিয়ার এই ভাড়ায় শুধু কেবিন ব্যাগ অ্যালাউড। check in luggage এর জন্য এক্সট্রা পে করতে হয়। তাই আমরা শুধু কেবিন ব্যাগ নিয়েছিলাম যা যথেষ্ট ছিল। রাত ১:৪০ ফ্লাইট✈ ছিল কলকাতা থেকে সরাসরি ব্যাঙ্কক। বিমান বন্দরে ঢোকার আগে একটু হালকা টেনসন ছিল, তবে ভীতরে যাওয়ার পর বেশ আনন্দই হচ্ছিল। একের পর এক ফরমালিটিস পার করার পর এসে পড়লাম ইমিগ্রেশন কাউন্টারের সামনে। কি করেন, কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন, এরকম কিছু প্রশ্ন করার পর পাসপোর্টে সশব্দে স্টাম্প মেরে ভীতরে যাওয়ার অনুমতি দিল।
যখন ব্যঙ্কক শহরের মাটিতে নামলাম তখন ওখানে ভোর। ভিসা অন অ্যারাইভাল সম্পূর্ণ ফ্রি। ঘন্টা দুই পর মিলে গেল ভিসা অন অ্যারাইভাল। ওখানকার ইমিগ্রেশন কাউন্টারে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই পা দিলাম ডন মিয়ুং এয়ারপোর্টের বাইরে। প্রসঙ্গত একটা কথা বলে রাখি, কেও যদি ভাবেন যে ওখানে গিয়ে ওদের সাথে কিভাবে কমিউনিকেট করবেন,আপনি ইংরেজিতে খুব একটা সড়গড় নন, তাহলে বলব আপনি বেশি ভালো কমিউনিকেট করতে পারবেন। আমি প্রথমে শুদ্ধ ইংরেজিতে কথা বলছিলাম কিন্তু দেখলাম ওরা ঠিক মতো বুঝতে পারছে না। আপনাকে শুধু মেন শব্দগুলো বলতে হবে এবং ব্যকরণ না মেনে, যেমন আমি সিম কার্ড নেওয়ার জন্য একটা মোবাইলের দোকানে জানতে চাইলাম সিম কার্ড আছে কিনা। তিনি উত্তর দিলেন সিম কার্ড নট হ্যাভ। যাইহোক,আমাদের প্রথম গন্তব্য পাটায়া । সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি পাটায়া বাস আছে কিন্তু ডন মিয়ুং থেকে সরাসরি পাটায়া যাওয়ার বাস নেই। তাই ওখান থেকে প্রথম A1 বাস ধরে ৩০ ভাট দিয়ে যাওয়া হল মো চিত বাস টার্মিনাল, আর সেখান থেকে সোজা পাটায়া (১২০ ভাট) । সব গুলোই ঝা চকচকে বাতানুকূল বাস। পুরো ট্যুরে আমার টার্গেট ছিল যতটা সম্ভব ট্যাক্সি বর্জন করা এবং পাবলিক যানবাহন ব্যবহার করা। যাইহোক, বেলা ১২ টার মধ্যে পাটায়া পৌঁছে গেলাম এবং বাস থেকে নেমে গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে হোটেল। আমি সাধারণত booking.com থেকে হোটেল বুক করি। এখানেও তাই করেছিলাম। বুকিং এর সময় পে করতে হয় না। ৬০০ থেকে ১৫০০ ভাটের মধ্যে ২/৩ স্টার হোটেল পাওয়া যায় ওখানে। পাটায়া বীচে হেটে যাওয়ার পথে কয়েকটা বাঙালী হোটেল পেয়েছিলাম। দুজনের খাওয়া দাওয়া ২৫০- ৩০০ ভাটের মধ্যে হল। এদিন বিকেল বেলাটা সমুদ্র সৈকতে কাটিয়ে সন্ধ্যায় হাটতে হাটতে যাওয়া যায় বিখ্যাত ওয়াকিং স্ট্রিট ও স্থানীয় বাজার। পরদিনের জন্য আজ রাতেই কোরাল আইল্যান্ড ট্যুর বুক করা হল। সকাল আটটায় হোটেল থেকে পিক আপ, স্পীড বোর্ডে আইল্যান্ডে যাওয়া আসা, দুপুরে বুফে লাঞ্চ, আবার গাড়ি করে হোটেলে ড্রপ -- সব কিছুই প্যাকেজের মধ্যে (৩০০ ভাট জন প্রতি) । এই আইল্যান্ডে সমুদ্রের জল অসম্ভব স্বচ্ছ। গলা অবধি জলে দাড়িয়েও পায়ের তলার বালিগুলো পরিস্কার দেখা যায়। সাদা বালুকা বেলার একদিকে সমুদ্র আর একদিকে উচু পাহাড়। অসামান্য সুন্দর। বিকাল বেলা এই ট্যুর শেষে আমরা হোটেলে না ফিরে গেলাম আর একটা আকর্ষণীয় স্থানে -- আর্ট ইন প্যারাডাইস। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেওয়াল জোড়া 3D আর্ট গ্যালারি।(টিকিট মূল্য 400 ভাট জন প্রতি)। ছবি তোলার স্বর্গ রাজ্য বলা যায়। কখনও মনে হয় প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার মধ্যে রয়েছি, কখনও আবার ভেনিস, কখনও ভয়ঙ্কর জীব জানোয়ারের কাছে দাড়িয়ে আছি, তো কখনও সমুদ্রের তলদেশে প্রাণীজগৎ ইত্যাদি। ওখান থেকে বেরিয়ে বানজারা মার্কেট ঘুরে স্থানীয় কিছু খাবার খেয়ে ঘরে ফিরলাম। পাটায়াতে স্থানীয় যাতয়াত করার জন্য ভাট বাস নামে এক ধরনের ছোট গাড়ি পাওয়া যায়, শহরের বিভিন্ন রুটে চলে। এই গাড়িতে 10 ভাট ভাড়া, যত দূরে বা কাছে যাওয়া হোক না কেন। পরদিন সকালে প্রাতরাশ সেরে আমরা জমটিয়েন বীচ ঘুরে গেলাম ফ্লোটিং মার্কেট (200 ভাট জন প্রতি)। তবে এই মার্কেটটা আমাদের খুব একটা ভালো লাগেনি, এর থেকে ব্যাঙ্ককের ফ্লোটিং মার্কেট অনেক ভালো। এছাড়াও স্যাংচুয়ারী অফ ট্রুথ, শ্রীরাচা জু, বুদ্ধিস্ট মন্দির, লেডি বয়দের অ্যালকাজার সো ইত্যাদি আছে, এগুলোতেও যেতে পারেন আপনার পছন্দ মতো যদি হাতে সময় থাকে। এভাবে আমাদের তিন দিন দুই রাতের পাটায়া সফর শেষ হোল। এবার আমার স্বপ্নের ফুকেট যাওয়ার পালা।
এইখানে 4500 ভাটের মতো ব্যয় হয়েছিল। এর থেকেও কম খরচে এই সব জায়গাগুলো দেখা যায়, সেই টিপস শেষে দেওয়ার ইচ্ছা আছে। যদি আমার এই অভিজ্ঞতা আপনাদেরকে কিছুটা অনুপ্রাণিত করে বিদেশ ভ্রমণের জন্য তাহলে আমার এই লেখা সার্থক হবে এবং ফুকেট ও ব্যঙ্ককের অভিজ্ঞতা সেয়ার করার ইচ্ছা রইল।

descriptionpataya fuket bankok পাটায়া ফুকেট ব্যাংকক  EmptyRe: pataya fuket bankok পাটায়া ফুকেট ব্যাংকক

more_horiz
দ্বিতীয় পর্ব:
#দেশীয় ট্যুরের খরচে কিভাবে বিদেশ ট্যুর করা সম্ভব#
এই লেখাটি যারা বাজেট ট্রাভেলার মূলত তাদের জন্য, আর যারা লাক্সারি ট্রাভেলার তারা চাইলে এই পোস্টটি এড়িয়ে যেতে পারেন।
এর আগের পর্বে পাটায়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছিলাম যা পড়ে অজস্র ভ্রমণ পিপাসু মানুষ আমাকে উৎসাহিত করেছেন পরবর্তী পর্বগুলো লিখতে। আমি তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমাদের পূর্ব পরিকল্পিত প্লান অনুযায়ী এবার ফুকেট যাওয়ার পালা। ফুকেট যাওয়ার সবচেয়ে ভালো অপসান ফ্লাইট✈, দু তিন মাস আগে বুকিং করলে 2000 থেকে 4000 টাকার মধ্যে এক জনের ব্যঙ্কক - ফুকেট যাওয়া আসা হয়ে যায়। কিন্তু সেটা ব্যাঙ্কক থেকে। সেক্ষেত্রে প্রথমে পাটায়া না গিয়ে আগে ব্যঙ্কক ঘুরে নিত হবে অথবা কানেক্টিং ফ্লাইট ধরে প্রথমেই ফুকেট যাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের প্লান ছিল শেষে ব্যঙ্কক করে বাড়ি ফেরা। তাই পাটায়া থেকে আমরা বাসে করে ফুকেট গিয়েছিলাম।
বাস বেছে নেওয়ার পিছনে অন্য কারনও ছিল। শহরের বাইরে চলার পথে একটা নতুন দেশে অনেক কিছু দেখার সুযোগ মেলে। তাছাড়া এটি একটি ওভার নাইট জার্নি হওয়ায় এক রাতের হোটেল ভাড়া বেচে যায়। যাইহোক আমাদের ডাবল ডেকার বাতানুকূল লাক্সারি বাস(বায়ো টয়লেট যুক্ত) ছাড়ল বিকাল ৫টার সময়।ভাড়া ছিল জন প্রতি 780 ভাট। অবশ্য সাথে বাচ্চা ও বয়স্ক মানুষ থাকলে বাসে না যাওয়াই ভালো। বাসে চড়ে বসতেই চালকের একজন সহকারী একটা জলের বোতল, ব্লাঙ্কেট, ও ফুড প্যাকেট দিয়ে গেল। এছাড়াও আমরা কিছু হালকা খাবার নিয়েছিলাম সাথে ডিনার করার জন্য। রাতে এক জায়গায় বাস থামে আধ ঘন্টা খানেকের জন্য। আমরা ফুকেট পৌছালাম পরদিন সকাল ৯ টা। ফুকেটে দুটি বাস টার্মিনাল রয়েছে। টার্মিনাল- ১ যেখান থেকে শহরতলির বাসগুলি যাতয়াত করে এবং টার্মিনাল- ২ যেখান থেকে দূর পাল্লার বাসগুলি যাতয়াত করে। সুতরাং আমরা এসে উপস্থিত হলাম টার্মিনাল-২ তে। এখন থেকে পাটং বীচ বেশ কিছুটা দূরে। এখান থেকে ট্যাক্সিতে গেলে ভাড়া পড়ে 400 ভাট। ফুকেটে গোলাপি রঙের এক ধরনের বাস চলে, এই বাসগুলি এখান থেকে সরাসরি পাটং বীচ এলাকায় যায় না। তাই এই বাস ধরে জন প্রতি 15 ভাট দিয়ে পৌছালাম বাস টার্মিনাল-১ এবং সেখান থেকে আর একটা বাসে 50 ভাট দিয়ে পৌছে গেলাম আমাদের হোটেলের একেবারে কাছে। আমি হোটেল বুক করেছিলাম পাটং বীচ থেকে ৫০০ মিটার দূরে। ৬/৭ মিনিটের হাটা রাস্তা।মাত্র 550 ভাটে ৩ স্টার হোটেল মিলেছিল। বীচ লাগোয়া বা বীচ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে হোটেলগুলো কিন্তু অনেক ব্যয়বহুল। আমরা হোটেল রুমে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে একটু বিশ্রাম নিলাম। তারপর বিকেলের দিকে হাটতে হাটতে চলে গেলাম পাটং বীচ। ফুকেটের রাস্তায় হাটলে এদিকে ওদিকে প্রচুর স্টল দেখা যায় যারা বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজ সেল করে। তিন চারটে স্টলে যাচাই করে এক জায়গায় বার্গেনিং করে পরের দিনের জন্য ফি ফি আইল্যান্ড ট্যুর বুক করলাম জন প্রতি 750 ভাটে।পাটং বীচে নেমে উপভোগ করতে লাগলাম তার রূপ। সামনে আদিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশির উপর দিয়ে ছোট ছোট শান্ত ঢেউগুলো সাদা বালির তীরে এসে গড়াগড়ি খাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ল সূর্য। তার রক্তিম আভা রাঙিয়ে দিল নীল জলরাশিকে। সন্ধ্যার পর দুজনে হাটতে হাটতে চলে গেলাম বাংলা রোড। এটি নাইট লাইফ উপভোগ করার একটি আদর্শ জায়গা। এরপর কিছু আনাজ ও মুদিখানার মালপত্র কিনে ঘরে ফিরলাম কারন আমরা এখানে দুবার নিজেরা রান্না করে খেয়েছিলাম। কাছে পিঠে কোন বাঙালী হোটেল পাইনি, তাই একটু কষ্ট হলেও রান্না করে তৃপ্তি ভরে বাড়ির মতো খেতে পেরেছিলাম। হোটেলেই সুসজ্জিত কিচেন ছিল। আপনারা কেউ এভাবে রান্না করতে চাইলে হোটেল বুক করার সময় হোটেলের সাথে কিচেন আছে কিনা দেখে নেবেন। এখানে বাঙালী হোটেল না থাকলেও অবশ্য ইন্ডিয়ান হোটেল পাওয়া যায় যেখানে দুজনের একবার সব্জি ভাত খাওয়ার জন্য অন্তত ৫০০ ভাট বিল মেটাতে হয়।
পরদিন সকালে ফি ফি আইল্যান্ড ট্যুরর জন্য ঠিক সকাল ৭:৩০ টায় গাড়ি এলো আমাদের পিক আপ করার জন্য। মনে রাখবেন ওরা কিন্তু ভীষণ সময়নিষ্ঠ, ট্যুর বুক করার সময় ওরা যে সময়ে রেডি হতে বলবে তার অন্তত ১০ মিনিট আগে রেডি হয়ে থাকবেন। আমাদের নিয়ে যাওয়া হল সমুদ্রের ধারে একটা জায়গায় যেখানে আরও অনেক গাড়িতে অনেকে এসে উপস্থিত হল। সেখানে আমাদের গাইড কিছুক্ষণ বক্তব্য রাখলেন আমরা কোথায় কোথায় যাব, পথে কি অসুবিধা হতে পারে ইত্যাদি। মিনিট চল্লিশেক পর আমাদের গাইড ২০/২২ জনের একটা দল নিয়ে স্পীড বোটে রওনা দিলেন। এটা ছিল ফি ফি আইল্যান্ড সহ চারটি আইল্যান্ড ট্যুর। প্রথমে গেলাম গ্রীন আইল্যান্ড। এখানকার স্বচ্ছ জলে সবাই হুটোপুটি করে নেমে পড়লাম স্নোরকেলিং এর জন্য। বেশ কিছুক্ষণ তারা মাছ সহ আরো অনেক রঙবেরঙের সামুদ্রিক মাছ দেখে আবার উঠে পড়লাম বোটে। বোটে যাওয়া আসার পথে পর্যাপ্ত ঠান্ডা পানিয় এবং ফলাহারের ব্যবস্থা ছিল। এবার চললাম মায়া বে -এর উদ্দেশ্যে, এখানে অবশ্য নামা হল না; কাছ থেকে দেখে আবার চলতে লাগলাম ফি ফি আইল্যান্ডের দিকে। পথে মানকি আইল্যান্ড দেখা হল, মাঝ সমুদ্রে শৈলশিরার গায়ে বাস করে বানরের দল। যাত্রা পথে দেখা যায় অসংখ্য শৈলশিরা যেগুলো সমুদ্রের উপরে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে পর্যটকদের অভিনন্দন জানায়। ফি ফি আইল্যান্ড যখন পৌছালাম তখন প্রায় বেলা বারোটা। অসম্ভব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল আন্দামান সাগরের বুকে এই দ্বীপ। জলরাশি কোথাও নীল রঙের আবার কোথাও বা সবুজ। চারিদিকে চিকচিক করা সাদা বালুকা বেলা, উচু উচু সবুজ পাহাড়, নারকেল গাছের মেলা, আর ওখানে বসবাসরত সরল মানুষগুলো-- সব মিলিয়ে মনমুগ্ধকর। ওখানে ঘোরার জন্য আমরা ঘন্টা তিনেক সময় পেয়েছিলাম। গাইড আমাদেরকে প্রথম নিয়ে গেল একটা রেস্টুরেন্টে, সেখানে বুফে লাঞ্চের ব্যবস্থা ছিল। লাঞ্চ সেরে আমরা যে যার মতো ঘুরতে বের হলাম। কখন যে সময় পেরিয়ে গেল বুঝতে পারলাম না। স্পীডবোটের কাছে আসতেই দেখলাম আমাদের গাইড হাক দিচ্ছে - পাইন অ্যাপল টি-ই-ই-ম, আমাদের টিমের নাম ছিল এমনটি। এবার আমরা চললাম খায় আইল্যান্ডের দিকে। এটি একটি জনবসতিহীন ছোট্ট দ্বীপ। চারিদিক থেকে ধেয়ে আসা ঢেউগুলো ভারি সুন্দর। এখানকার জলে নামলে পায়ের কাছে ঘুরে বেড়ায় ছোট ছোট রঙবেরঙের 🐟🐠 মাছ। এবার ফেরার পালা। সন্ধ্যার পর সেই গাড়ি আবার আমাদেরকে হোটেলে ড্রপ করে গেল। আজ সারাদিনের এই সবকিছুই প্যাকেজের অন্তর্গত ছিল। আজ রাতেই আবার বুক করে নিলাম পরের দিনের জন্য হাফ ডে সিটি ট্যুর। জন প্রতি 300 ভাট। পরদিন সকাল ঠিক ৭:৩০ টায় গাড়ি এলো হোটেলের সামনে আমাদের তুলে নিতে। এই গাড়িগুলো সবই সেয়ারড্ গাড়ি। আজকের প্যাকেজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল কাটা(একটা বীচ) ভিউ পয়েন্ট, বিগ বুদ্ধা, কাজু ফ্যাক্টরি, মধু ফার্ম, চালং টেম্পল এবং ওল্ড ফুকেট মার্কেট। মাঝে এক বার কফি ব্রেক। এই ট্যুর শেষ হয় বেলা একটায়। তবে বাইক ভাড়া(200 ভাট) নিয়েও ফুকেট চষে বেড়ানো যায় গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে। কেউ দ্বিতীয়ার্ধে এই ট্যুর বুক করলে তা হয় বেলা একটা থেকে ছটা। ফুকেটে আর একটা দিন সময় থাকলে জমস্ বণ্ড আইল্যান্ড ট্যুরে যাওয়া যায়, এটিও ভীষণ সুন্দর। যাইহোক, আজ বিকেলেই আমাদের ব্যাঙ্ককের বাস ধরার কথা তাই আমরা দিনের প্রথমার্ধে ট্যুর বুক করেছিলাম।
প্রথম পর্বে অনেকে জানতে চেয়েছিলেন সম্পূর্ণ ট্যুরে আমাদের মোট কেমন খরচ হয়েছিল, তাদের বলব একটু অনুগ্রহ করে ধৈর্য্য ধরুন, এর পরের পর্বে জানানো হবে।

descriptionpataya fuket bankok পাটায়া ফুকেট ব্যাংকক  EmptyRe: pataya fuket bankok পাটায়া ফুকেট ব্যাংকক

more_horiz
তৃতীয় পর্ব:
#দেশীয় ট্যুরের খরচে কিভাবে বিদেশ ট্যুর করা সম্ভব#
দ্বিতীয় পর্ব লেখার পর আবারও বহু ভ্রমণ পিপাসু মানুষ আমাকে তৃতীয় তথা শেষ পর্বটি লিখতে উৎসাহিত করেছেন। তাদের সকলকে আমার অজস্র ধন্যবাদ।
ফুকেটে দুই রাত তিন দিনের ভ্রমণ শেষে ব্যঙ্কক যাওয়ার বাস ধরার জন্য বাস টার্মিনাল-২ তে পৌছালাম যেটা ওল্ড ফুকেট টাউনের কাছে। আমাদের ডাবল ডেকার লাক্সারি বাস ফুকেটকে বিদায় জানাল বিকাল ৫ টায়। ভাড়া ছিল জন প্রতি 660 ভাট। এবারেও বাসে উঠতেই একজন এসে একটা জলের বোতল, ব্লাঙ্কেট, ও একটা ছোট ফুড প্যাকেট দিল। এছাড়াও আমরা কিছু শুকনো খাবার সাথে নিয়েছিলাম রাতের ডিনার হিসেবে।
আমরা ব্যঙ্কক পৌঁছে গেলাম ভোর ৫ টার মধ্যে। আমাদের বাস এসে থামল দক্ষিণ অঞ্চলিয় বাস টার্মিনাল "সাই তাই মাই "। এখান থেকে দক্ষিণ থাইল্যান্ড অঞ্চলের অর্থাৎ ফুকেট,ক্রাবি,সুরাট থানি ইত্যাদি জায়গার বাসগুলি যাতয়াত করে। এখানে একটা কথা বলে রাখি, ব্যঙ্ককে আসা ভারতীয় পর্যটকদের মধ্যে আশি শতাংশই সুকুম্ভিট এলাকাতে কোন না কোন হোটেলে ওঠেন। এখানে অনেক ইন্ডিয়ান হোটেল পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা ছিলাম খাওসান রোড এলাকায় যেখানে পশ্চিমী পর্যটকদের আনাগোনা প্রচুর পরিমাণে এবং কোন হোটেল নয় হোস্টেল বুক করেছিলাম। আমরা এর আগে কখনো কোথাও হোস্টেলে থাকিনি। তাই এখানে হোস্টেলে থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চেয়েছিলাম। খারাপ লাগেনি। সারাদিন তো থাকাই হয় না, রাতে ফিরে যে যার বেডে নিজের মতো থাকে। প্রত্যেকের জন্য আলাদা লকার থাকে। দুটি বেড দুই রাতের জন্য মোট ভাড়া ছিল মাত্র 486 ভাট সাথে কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট এবং চা। যাইহোক আমরা বাস থেকে নেমে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে ওখান থেকেই আর একটা লোকাল বাস ধরে জন প্রতি 30 ভাট দিয়ে পৌঁছে গেলাম খাওসান রোড এলাকায়, তারপর গুগল ম্যাপের সাহায্যে ৫/৭ হেটে পৌছালাম আমাদের হোস্টেল, সকাল ৮ টার মধ্যে। কিন্তু চেক ইন হবে বেলা ২ টার সময়। তাই ওখানে কিছুক্ষণ বসে লাগেজ ওদের জিম্মায় রেখে বেরিয়ে পড়লাম কিছু লোকাল সাইট সিয়িং এর জন্য। একটা টুকটুক (স্থানীয় অটোরিক্সা) ধরলাম। সে আমাদের কয়েকটি বৌদ্ধ মন্দির ঘুরিয়ে শেষে গ্রান্ড প্যালেস বা রয়াল প্যালেসে ছেড়ে দিল 100 ভাট ভাড়া নিয়ে। বিশাল প্রাচীরের ভেতরে অসংখ্য সুরম্য প্রাসাদ। আছে একটা রাজ মিউজিয়াম। প্রবেশ মূল্য 500 ভাট। আমরা অবশ্য প্রবেশ করিনি। কারণ ভীতরে আছে রাজাদের ব্যবহৃত সামগ্রী, ঐতিহাসিক কিছু ইত্যাদি যা আমাকে খুব একটা আকৃষ্ট করে না। আপনারা চাইলে দেখতেই পারেন। তবে গ্রান্ড প্যালেসে প্রবেশের জন্য হাত পা ঢাকা পোশাক পরিধান করতে হবে। হাটুর উপর পোশাক চলবে না। যাইহোক এখান থেকে আমরা ট্যাক্সি ধরে হোস্টেলে ফিরে চেক ইন করলাম।
ব্যঙ্কক শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে চ্যও ফ্রায়া নদী। এই নদীতে সন্ধ্যা বেলা নদীর দুই তীরের শোভা দেখতে দেখতে ক্রুজ বিহার করা যায় সাথে উদ্যম পার্টি চলে এবং বুফে ডিনার ও ড্রিংকস। প্যাকেজ জন প্রতি 1000 থেকে 1200 ভাট। আবার এই নদীতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে চ্যও ফ্রায়া ট্যুরিস্ট বোট। সন্ধ্যার আগে আমরা খাওসান থেকে ১০/১২ মিনিট হেটে গিয়ে এই বোট ধরলাম জন প্রতি ভাড়া 60 ভাট। বোট থামতেই ছুটে দোতালার ছাদে উঠে সামনের দিকে দুটো সিট দখল করলাম। মৃদু স্বরে লাউড স্পিকারে চলছে স্থানীয় ভাষার গান, পড়ন্ত বিকেলের মনোরম বাতাস বইছে, আর নদীর দুই তীরের শোভা দেখতে দেখতে চললাম। কিছুক্ষণ পর ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে এলো। দুই তীরের বড় বড় অট্টালিকা, বাজার, সপিং মলগুলোতে অজস্র আলো জ্বলে উঠল। সে এক অনির্বচনীয় সৌন্দর্য। আমাদের এই যাত্রায় শুধু পার্টি আর ডিনার ছিল না কিন্তু সান্ধ্য নদীর রূপ আমরা ষোল আনা উপভোগ করেছিলাম। আমরা নামলাম "সাথর্ন পিয়ার"। এখান থেকে মিনিট পাচেক হেটে উঠলাম ব্যাঙ্কক স্কাই ট্রেনে, এটি BTS নামে পরিচিত। কয়কটি স্টেশন পর নামা হল "চং ননসি" স্টেশন। এই স্টেশনের পাশেই রয়েছে ব্যঙ্ককের একটা বড় আকর্ষণ। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় তথা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্কাইওয়াক। জন প্রতি 880 ভাট দিয়ে টিকিট কেটে রাত আটটার সময় উঠলাম King Power Mahanakhan Skywalk এর ৭৮ তম ফ্লোরে। এখান থেকে পাখির চোখ দিয়ে দেখা রাতের পুরো ব্যঙ্কক শহরের সৌন্দর্য আর এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এখানে ১০৩০ ফুট উচ্চতায় আছে একটি বৃহৎ গ্লাস ট্রে যার উপর দিয়ে হাটা রীতিমতো অ্যাডভেঞ্চার।কোন দুর্বল মনের মানুষ নীচে তাকালে এর উপর উঠতে পারবেন না। এখানে অবস্থান করার সময় সীমা নেই, যতক্ষণ খুশি থাকা যায়। তবে এইখানে আসার সবচেয়ে ভালো সময় সন্ধ্যার একটু আগে, তাহলে দিনের আলোতে এবং রাতের অন্ধকারেও ব্যাঙ্ককের রূপ দেখার সুযোগ মেলে, আবার সূর্যাস্তও🌅 দেখতে পাবেন। ঘন্টা খানেক পর আমরা নেমে এলাম। তারপর একটা ট্যাক্সি ধরে ফিরে আসলাম হোস্টেলে। এইভাবে আজ ব্যঙ্ককে একসাথে অনেক অভিজ্ঞতা হল। আর একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, আজ দুপুরে আগামী কালের জন্য মেরিন পার্ক ও সাফারি ওয়ার্ল্ডের ট্যুর বুক করেছিলাম। জন প্রতি 1200 ভাট।
আজ সকালে ঠিক আটটায় একটা ১৫ সিটের গাড়ি এলো আমাদের পিক আপ করার জন্য। পরে আরো অনেক হোটেল থেকে অনেকেই তুলে নিয়ে গাড়ি চলল । এটা মূল শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে। এখানে আসার পর আমাদের গাইড প্রত্যেকের বুকে একটা করে স্টিকার সেটে দিল। তাকে অনুসরন করে আমরা ঢুকে পড়লাম মেরিন ওয়ার্ল্ডে যেখানে দেখা হল ডলফিন সো, তরুণ তরুণী ট্রেনারদের ইশারায় ডলফিনের দল একের পর এক নানান ধরনের কসরত করে যাচ্ছে। এরপর প্রশিক্ষিত শীল মাছের নানান কসরত দেখলাম। আরও দেখলাম হাতির খেলা -- হাতির ছবি আঁকা, ফুটবল খেলা, ম্যাসাজ করা, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের খেলা। ওরাং ওটাং সো টাও ভীষণ মজাদার। এছাড়াও বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই পার্কের ভীতরে ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি। রয়েছে একটি ছোট বাঘ যাকে কোলে নিয়ে ছবি ওঠানো যায় 700 ভাটের বিনিময়ে। সর্বক্ষণ আমাদের সাথে ছিল গাইড। এরপর দুপুর একটার দিকে আমাদের দলের সকলেই গেলাম একটা বিশাল ডাইনিং হলে। সেখানে গাইডের দেখিয়ে দেওয়া একটি নিদ্দিষ্ট টেবিলে লাঞ্চ করে নিলাম। আমরা এরপর তিনটের দিকে আমাদের গাড়িতে অগ্রসর হলাম সাফারি ওয়ার্ল্ডের দিকে। এটি একটি পশু পাখিদের উন্মুক্ত বিচরণ ক্ষেত্র। আমরা গাড়ির ভীতরে আর পশু পাখিরা বাইরে ঘুরছে। ধীরে ধীরে গাড়ির চাকা গড়াচ্ছিল। কখনও বন্যপ্রাণী আমাদের পথ আটকে দাড়িয়ে আছে তো কখনও একেবারে পথের পাশে। এইসব কিছুর পর এবার আবার হোস্টেলে ফেরার পালা। হোটেল থেকে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হোটেলে ড্রপ করা, সবই প্যাকেজের মধ্যে। তবে আমরা পথেই নেমে গিয়েছিলাম ইন্দ্র স্কোয়ার সপিং মলে কিছুটা সপিং করার জন্য। এখানকার প্রচুর সংখ্যক দোকানী হিন্দি ভাষী। এখানে অনেক ইন্ডিয়ান হোটেলও আছে। এখান থেকে আমরা রাতে ট্যাক্সি ধরে ফিরে এলাম খাওসান রোড। রাতে খাওসান রোড আলাদা রূপ ধারণ করে। এখানে কিছুক্ষণ ঘুরলাম। এখানে কিছু বিচিত্র স্ট্রিট ফুড চোখে পড়ল যেমন কুমীরের কাবাব, কাকড়া বিছার পকোড়া ইত্যাদি। খানিকটা রাত হলে ক্লান্ত পায়ে হোস্টেলে ফিরলাম।
আজ ব্যাঙ্ককে আমাদের শেষ দিন। আজ রাত ১২:০৫ -এ কোলকাতা ফেরার ফ্লাইট। আজ সারাদিনটা হাতে রয়েছে কিন্তু কোন নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম রাখিনি। আজ দিনটা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেড়িয়ে আর সপিং করে কাটালাম। আপনারা চাইলে ফ্লোটিং মার্কেট ট্যুরে যেতে পারেন, অর্ধেক বেলা জন্য। 450 ভাট প্যাকেজ, কিম্বা ব্যাঙ্কক ওসান ওয়ার্ল্ডও দেখে নিতে পারেন। এভাবে আমাদের দুই রাত তিন দিনের ব্যাঙ্কক সফর শেষে সন্ধ্যা বেলা খাওসান থেকে A4 বাস ধরে সরাসরি ডন মিয়ুং এয়ারপোর্টে পৌছে গেলাম। বিদায় ব্যাঙ্কক, বিদায় থাইল্যান্ড Crying or Very sadCrying or Very sad
এর আগের পর্বগুলোতে অনেকে জানতে চেয়েছিলেন মোট কেমন খরচ হয়েছিল। বিমান ভাড়া 22500 আর ওখানে খরচ হয়েছিল প্রায় 43000, দুজনের মোট 65500 টাকা (INR) । বাজেট ট্রাভেলাররা ভালো করে হোম ওয়ার্ক করে গেলে অনেক কম খরচে বিদেশ সফরও করতে পারেন।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আমার এই খরচের থেকেও কিছু কম খরচে এই ট্যুর সম্ভব। তার কিছু টিপস। (১) যদি ৪/৫ জন বা তার থেকে বেশি লোক হন তাহলে air bnb থেকে অ্যাপার্টমেন্ট বুক করতে পারেন। ওখানে কিচেন থাকে, নিজেরা রান্না করে খেলে অনেক সস্তা পড়বে। তৃপ্তি ভরে খেতেও পারবেন।এছাড়াও থাকার জন্য হোস্টেল গুলো অনেক সস্তা, সাথে ফ্রি ব্রেকফাস্ট থাকে, কিচেন থাকে। ৪,৬,৮,১০ বেডের মেল, ফিমেল ও মিক্সড ডরমিটরি থাকে। (২) থাইল্যান্ডের সমস্ত শহরে 7/11 স্টোর আছে প্রায় ১০০ মিটার অন্তর। এটি একটি আন্তর্জাতিক ব্রান্ড। এখানে সমস্ত খাদ্য, পানীয়, ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায় সুলভ মূল্যে। এখানে রেডি মেড লাঞ্চ ও ডিনার পাওয়া যায়, বললে ওরা সাথে সাথে গরম করে দেয়। এগুলো ট্রাই করা যেতে পারে। 60 থেকে 80 ভাটের মধ্যে একটা মিল হয়ে যাবে। (৩) আমি ট্যুর বুক করেছিলাম সবগুলো কাউন্টার থেকে অফলাইনে। এই একই ট্যুর অনলাইনে klook বা make my trip থেকে আগাম বুকিং করলে বেশ কিছুটা কম হয়।
যদি কিছুটা আপনাদেরকে উৎসাহিত করে থাকতে পারি বিদেশ ভ্রমণের জন্য,তাহলে আমার এই পর্বগুলি লেখা সার্থক হবে। (শেষ)

descriptionpataya fuket bankok পাটায়া ফুকেট ব্যাংকক  EmptyRe: pataya fuket bankok পাটায়া ফুকেট ব্যাংকক

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply