Amarkantak অমরকণ্টক
পর্ব - 1
আমরা 'অমরকণ্টক' এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। রাত 12:20 samarsata sf expre.. (12152) Adra to Bilaspur. বেশ রাতেই ট্রেন, তাই আগে থেকেই টোটো বলে রেখেছিলাম। কিন্তু,, সঠিক সময়ে টোটো না আসায় আমাদের ব্যাগ প্যাটরা নিয়ে হেঁটেই যেতে হলো প্রায় এক কিলোমিটার আদ্রা স্টেশনে । যাইহোক মন্দ কপাল নিয়েই যাত্রা শুরু হল
যথাসময়ে ট্রেনে উঠে পড়লাম । উঠেই শুয়ে পড়া আর কী,,,, বেশ ঠান্ডা লাগছিল। Purulia, Chakradharpur, Rourkela পার করার পর সকাল ছয়'টায় ঘুম ভাঙলো। মুখ ধুয়ে বাড়ির তৈরী পরোটা আলু ভাজা খেয়ে বাইরের দিকে দেখতে দেখতে Raigarh পেরিয়ে Bilaspur পৌছালাম 10:30 তে।
এবার আমাদের যেতে হবে Pendra Road. 11:45 এ সাত নাম্বার প্লাটফর্ম এ Narmada Expre.. (18234) এ চেপে বসলাম নির্ধারিত সীটে। Bilaspur to Pendra Road প্রায় 100 km. মাঝে শুধু Uslapur এ থামে। দেখতে দেখতে Pendra তে পৌঁছে গেলাম দুপুর 2:08 এ।
এবার গন্তব্য অমরকণ্টক,,, Pendra to Amarkantak প্রায় 30km, এক ঘণ্টা রাস্তা। একটা car ঠিক করলাম 500টাকায় । গাড়ি ভাড়া কম হওয়ার কারণ সেই car অন্য যাত্রী কে ছাড়তে Pendra এসেছিল। তাই কম টাকাতেই চলে যেতে পারলাম। শেয়ার গাড়ি ও পাওয়া যায়। গাড়ি ভাড়া করলে 1000-1200 টাকার মতো পরে।
অবশেষে গাড়িতে "কিত্থে চলি" হিন্দি গান শুনতে শুনতে লোকালয় ছাড়িয়ে আঁকা বাঁকা পাহাড়ি পথে আমাদের গাড়ি চলছিল। পুরো রাস্তাটি ছিল গভীর জঙ্গলের বুক চিঁরে। খুব সুন্দর মনোরম দৃশ্য। সবার ভালো লাগবেই,,,,,,, হলফ করে বলতে পারি।
আমাদের হোটেলের সামনে গাড়ি দাঁড়ালো। ' The Residency ' তিনতলা হোটেল। দেখতে তো ভালোই। ঘড়িতে 3:30 বাজে। বুকিং আছে বলাতেই রুম দেখিয়ে দিলো।
রুমে গিয়ে স্নান করে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পড়লাম ভাতের খোঁজে
খুঁজে খুঁজে বাঙ্গালী হোটেল বের করলাম,,, "মা দাদা বৌদি " হোটেল। 100টাকায় থালি। ভাত, রুটি,ডাল, সয়াবিন আলুর তরকারি, ফুলকপির তরকারি, পাপড় সেঁকা, আচার, চাটনি সহযোগে ভুরিভোজ সারলাম। এবার শান্তি
বাঙালি বলে কথা
আর একটা কথা,,,, এখানে আমিষ খুঁজলেও আপনি পাবেন না। সব হোটেল ও বাড়ি সম্পূর্ণ নিরামিষ।
খাওয়ার পর এদিক ওদিক একটু ঢুঁ মেরে আসা যাক্, এই ভেবে হেঁটে হেঁটে একটু সামনে যেতেই দেখলাম শ্রী যন্ত্র মহামেরু মন্দির।
অমরকণ্টক এ এই মন্দিরটি বেশ সুন্দর। এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সবই বাহান্ন ফুট। মন্দিরের গায়ে সর্বত্র বিভিন্ন দেবদেবীর সুন্দর কলার ভাস্কর্য বিদ্যমান। সেই একই চত্বরে আছে কেশব নারায়নের মন্দির। যদিও মন্দির বাইরে থেকেই দর্শন করতে হবে। ভেতরের গেট বন্ধ। বছরে শুধুমাত্র কালীপূজার দিনেই খোলা থাকে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারলাম। যাইহোক বাইরে থেকে দেখেই ক্ষান্ত হলাম ও কিছু ফটো তুলে বেরিয়ে আসলাম।
ভুল ভ্রান্তি হলে নিজগুনে মাফ করবেন
চলবে,,,,,
পর্ব - 1
আমরা 'অমরকণ্টক' এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। রাত 12:20 samarsata sf expre.. (12152) Adra to Bilaspur. বেশ রাতেই ট্রেন, তাই আগে থেকেই টোটো বলে রেখেছিলাম। কিন্তু,, সঠিক সময়ে টোটো না আসায় আমাদের ব্যাগ প্যাটরা নিয়ে হেঁটেই যেতে হলো প্রায় এক কিলোমিটার আদ্রা স্টেশনে । যাইহোক মন্দ কপাল নিয়েই যাত্রা শুরু হল
যথাসময়ে ট্রেনে উঠে পড়লাম । উঠেই শুয়ে পড়া আর কী,,,, বেশ ঠান্ডা লাগছিল। Purulia, Chakradharpur, Rourkela পার করার পর সকাল ছয়'টায় ঘুম ভাঙলো। মুখ ধুয়ে বাড়ির তৈরী পরোটা আলু ভাজা খেয়ে বাইরের দিকে দেখতে দেখতে Raigarh পেরিয়ে Bilaspur পৌছালাম 10:30 তে।
এবার আমাদের যেতে হবে Pendra Road. 11:45 এ সাত নাম্বার প্লাটফর্ম এ Narmada Expre.. (18234) এ চেপে বসলাম নির্ধারিত সীটে। Bilaspur to Pendra Road প্রায় 100 km. মাঝে শুধু Uslapur এ থামে। দেখতে দেখতে Pendra তে পৌঁছে গেলাম দুপুর 2:08 এ।
এবার গন্তব্য অমরকণ্টক,,, Pendra to Amarkantak প্রায় 30km, এক ঘণ্টা রাস্তা। একটা car ঠিক করলাম 500টাকায় । গাড়ি ভাড়া কম হওয়ার কারণ সেই car অন্য যাত্রী কে ছাড়তে Pendra এসেছিল। তাই কম টাকাতেই চলে যেতে পারলাম। শেয়ার গাড়ি ও পাওয়া যায়। গাড়ি ভাড়া করলে 1000-1200 টাকার মতো পরে।
অবশেষে গাড়িতে "কিত্থে চলি" হিন্দি গান শুনতে শুনতে লোকালয় ছাড়িয়ে আঁকা বাঁকা পাহাড়ি পথে আমাদের গাড়ি চলছিল। পুরো রাস্তাটি ছিল গভীর জঙ্গলের বুক চিঁরে। খুব সুন্দর মনোরম দৃশ্য। সবার ভালো লাগবেই,,,,,,, হলফ করে বলতে পারি।
আমাদের হোটেলের সামনে গাড়ি দাঁড়ালো। ' The Residency ' তিনতলা হোটেল। দেখতে তো ভালোই। ঘড়িতে 3:30 বাজে। বুকিং আছে বলাতেই রুম দেখিয়ে দিলো।
রুমে গিয়ে স্নান করে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পড়লাম ভাতের খোঁজে
খুঁজে খুঁজে বাঙ্গালী হোটেল বের করলাম,,, "মা দাদা বৌদি " হোটেল। 100টাকায় থালি। ভাত, রুটি,ডাল, সয়াবিন আলুর তরকারি, ফুলকপির তরকারি, পাপড় সেঁকা, আচার, চাটনি সহযোগে ভুরিভোজ সারলাম। এবার শান্তি
বাঙালি বলে কথা
আর একটা কথা,,,, এখানে আমিষ খুঁজলেও আপনি পাবেন না। সব হোটেল ও বাড়ি সম্পূর্ণ নিরামিষ।
খাওয়ার পর এদিক ওদিক একটু ঢুঁ মেরে আসা যাক্, এই ভেবে হেঁটে হেঁটে একটু সামনে যেতেই দেখলাম শ্রী যন্ত্র মহামেরু মন্দির।
অমরকণ্টক এ এই মন্দিরটি বেশ সুন্দর। এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সবই বাহান্ন ফুট। মন্দিরের গায়ে সর্বত্র বিভিন্ন দেবদেবীর সুন্দর কলার ভাস্কর্য বিদ্যমান। সেই একই চত্বরে আছে কেশব নারায়নের মন্দির। যদিও মন্দির বাইরে থেকেই দর্শন করতে হবে। ভেতরের গেট বন্ধ। বছরে শুধুমাত্র কালীপূজার দিনেই খোলা থাকে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারলাম। যাইহোক বাইরে থেকে দেখেই ক্ষান্ত হলাম ও কিছু ফটো তুলে বেরিয়ে আসলাম।
ভুল ভ্রান্তি হলে নিজগুনে মাফ করবেন
চলবে,,,,,