Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionAmarkantak অমরকণ্টক  EmptyAmarkantak অমরকণ্টক

more_horiz
Amarkantak অমরকণ্টক

পর্ব - 1

আমরা 'অমরকণ্টক' এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। রাত 12:20 samarsata sf expre.. (12152) Adra to Bilaspur. বেশ রাতেই ট্রেন, তাই আগে থেকেই টোটো বলে রেখেছিলাম। কিন্তু,, সঠিক সময়ে টোটো না আসায় আমাদের ব্যাগ প্যাটরা নিয়ে হেঁটেই যেতে হলো প্রায় এক কিলোমিটার আদ্রা স্টেশনে । যাইহোক মন্দ কপাল নিয়েই যাত্রা শুরু হল☹

যথাসময়ে ট্রেনে উঠে পড়লাম । উঠেই শুয়ে পড়া আর কী,,,, বেশ ঠান্ডা লাগছিল। Purulia, Chakradharpur, Rourkela পার করার পর সকাল ছয়'টায় ঘুম ভাঙলো। মুখ ধুয়ে বাড়ির তৈরী পরোটা আলু ভাজা খেয়ে বাইরের দিকে দেখতে দেখতে Raigarh পেরিয়ে Bilaspur পৌছালাম 10:30 তে।

এবার আমাদের যেতে হবে Pendra Road. 11:45 এ সাত নাম্বার প্লাটফর্ম এ Narmada Expre.. (18234) এ চেপে বসলাম নির্ধারিত সীটে। Bilaspur to Pendra Road প্রায় 100 km. মাঝে শুধু Uslapur এ থামে। দেখতে দেখতে Pendra তে পৌঁছে গেলাম দুপুর 2:08 এ।

এবার গন্তব্য অমরকণ্টক,,, Pendra to Amarkantak প্রায় 30km, এক ঘণ্টা রাস্তা। একটা car ঠিক করলাম 500টাকায় । গাড়ি ভাড়া কম হওয়ার কারণ সেই car অন্য যাত্রী কে ছাড়তে Pendra এসেছিল। তাই কম টাকাতেই চলে যেতে পারলাম। শেয়ার গাড়ি ও পাওয়া যায়। গাড়ি ভাড়া করলে 1000-1200 টাকার মতো পরে।

অবশেষে গাড়িতে "কিত্থে চলি" হিন্দি গান শুনতে শুনতে লোকালয় ছাড়িয়ে আঁকা বাঁকা পাহাড়ি পথে আমাদের গাড়ি চলছিল। পুরো রাস্তাটি ছিল গভীর জঙ্গলের বুক চিঁরে। খুব সুন্দর মনোরম দৃশ্য। সবার ভালো লাগবেই,,,,,,, হলফ করে বলতে পারি।

আমাদের হোটেলের সামনে গাড়ি দাঁড়ালো। ' The Residency ' তিনতলা হোটেল। দেখতে তো ভালোই। ঘড়িতে 3:30 বাজে। বুকিং আছে বলাতেই রুম দেখিয়ে দিলো।
রুমে গিয়ে স্নান করে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পড়লাম ভাতের খোঁজে😁
খুঁজে খুঁজে বাঙ্গালী হোটেল বের করলাম,,, "মা দাদা বৌদি " হোটেল। 100টাকায় থালি। ভাত, রুটি,ডাল, সয়াবিন আলুর তরকারি, ফুলকপির তরকারি, পাপড় সেঁকা, আচার, চাটনি সহযোগে ভুরিভোজ সারলাম। এবার শান্তি🙂
বাঙালি বলে কথা🙂

আর একটা কথা,,,, এখানে আমিষ খুঁজলেও আপনি পাবেন না। সব হোটেল ও বাড়ি সম্পূর্ণ নিরামিষ।

খাওয়ার পর এদিক ওদিক একটু ঢুঁ মেরে আসা যাক্, এই ভেবে হেঁটে হেঁটে একটু সামনে যেতেই দেখলাম শ্রী যন্ত্র মহামেরু মন্দির।

অমরকণ্টক এ এই মন্দিরটি বেশ সুন্দর। এর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সবই বাহান্ন ফুট। মন্দিরের গায়ে সর্বত্র বিভিন্ন দেবদেবীর সুন্দর কলার ভাস্কর্য বিদ্যমান। সেই একই চত্বরে আছে কেশব নারায়নের মন্দির। যদিও মন্দির বাইরে থেকেই দর্শন করতে হবে। ভেতরের গেট বন্ধ। বছরে শুধুমাত্র কালীপূজার দিনেই খোলা থাকে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারলাম। যাইহোক বাইরে থেকে দেখেই ক্ষান্ত হলাম ও কিছু ফটো তুলে বেরিয়ে আসলাম।
🙏🙏ভুল ভ্রান্তি হলে নিজগুনে মাফ করবেন 🙏🙏
চলবে,,,,,

descriptionAmarkantak অমরকণ্টক  EmptyRe: Amarkantak অমরকণ্টক

more_horiz

Amarkantak
Madhya Pradesh


পর্ব - 2

শ্রী যন্ত্র মহামেরু মন্দির দেখে আমরা হেঁটে চলে এলাম "নর্মদা উদ্ গম " এ, যেখানে মা নর্মদা নদীর উৎপত্তি। 'নর্মদে হর' কথাটি ওখানকার সকলের মুখে মুখে কুশল বিনিময়ের প্রথম আলাপ। আমরাও বলছিলাম,, খুব ভালো লাগছিল বলতে।

নর্মদা কমপ্লেক্সে সাতাশটি বিভিন্ন দেবদেবীর মন্দির রয়েছে। এখানে মা নর্মদা মন্দিরে কালো কষ্টিপাথরের তিন ফুট উঁচু মায়ের মূর্তি রয়েছে। চারিদিকে কাচেঁর দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। বাইরে জুতো খুলে প্রবেশ করতে হয়। পুরো চত্বর টা মার্বেলে বাঁধানো। ঠান্ডার সময় মোজা না পড়ে ঢুকলে পা একেবারে জমে যাবে। মন্দিরের সামনে ছোট্ট একটি পাথরের হাতি। কথিত আছে ঐ হাতির চার পায়ের সংকীর্ণ ফোকরের মধ্য দিয়ে গলে যেতে পারলে সেই ব্যক্তি নিষ্পাপ। আমি আর আমার মেয়ে পার হয়েছিলাম😊। আরেকজন চেষ্টাও করে নি।

"নর্মদা উদগমে" অতীতে স্নান করা গেলেও বর্তমানে স্নান ও কাপড় কাচা নিষিদ্ধ। তবে পাশেই কোটিতীর্থে স্নান করা যায়। এখানে নর্মদা নদী সৃষ্টি হয়ে প্রায় 1300 কিমি পথ অতিক্রম করে গুজরাটের কাম্বে উপসাগরের মিলিত হয়েছে।

এখানে গোরক্ষনাথ, মনসা, শ্রীদূর্গা, রোহিণী, পার্বতী, রাম সীতা, বজরংবলী এছাড়াও অনেক দেবদেবীর মন্দির রয়েছে। রাত ন' টায় মন্দির প্রাঙ্গণের দরজা বন্ধ হয়।
এই মন্দিরে আসলেই মনটা শান্তিতে ডুব দেয়। খুব সুন্দর পরিবেশ।

অনেকক্ষণ সময় কাটিয়ে ঐ বাঙালি হোটেল থেকে রাতের খাবার প্যাক করে রুমে ফিরলাম।

প্রচুর ফটো তুলে ফেলেছি😇 এই মন্দিরে চারবার গিয়েছিলাম এবার।

চলবে....

descriptionAmarkantak অমরকণ্টক  EmptyRe: Amarkantak অমরকণ্টক

more_horiz

" Amarkantak "
Madhya Pradesh


পর্ব - 3

Day 2
পরের দিন 20th February রবিবার সকাল ন'টার মধ্যে রেডি হয়ে বের হলাম আশেপাশের দর্শনীয় স্থানসমূহ দেখার জন্য। গাড়িতে নয়, পায়ে হেঁটে। প্রথমেই গেলাম শ্রী মার্কণ্ডেয় আশ্রম পঞ্চ অগ্নি পীঠ এ। হোটেল থেকে 100মিটারের বেশি হবে না। আশ্রমের বাবাজী ধ্যান করছিলেন। আমাদের দেখে আলাপ করলেন। আরো বললেন তিনি পুরুলিয়ার কাশিপুরের রাজবাড়ী তে এসেছিলেন অনেক দিন আগে। মূল মন্দিরের ভেতরে আর যাই নি। বাইরে থেকে দর্শন করে ও বাইরের চত্বরে ঘুরেই চলে এসেছি। বেশ শান্তিপূর্ন স্থান।

🙏 মাই কি বগিয়া 🙏
মা নর্মদা ছেলেবেলায় এখানে ফুল, ফল তুলতেন আর খেলতেন। এখানে যাওয়ার পথটা দূর্দান্ত ছিল। বড় বড় শাল, সেগুন গাছের জঙ্গল যেন ধ্যান মগ্ন হয়ে নীরবতা পালন করছিল।পথ চলতি দোকান থেকে জল কিনতেই দোকানি বাঁদর হইতে সাবধান করে দিলেন। এখানে খুব উৎপাত বাঁদরের। ছোট ব্যাগ, মোবাইল, চশমা, টুপি সাবধানে রাখতে হবে। খাবার কোন কিছু সঙ্গে রাখা যাবে না। নাহলে কেড়ে তো নেবেই এমনকি চড় থাপ্পড় ও খেতে হতে পারে🙂
গুল্ব কাউলি নামে এক ধরনের গুল্মজাতীয় ঔষধি শুধুমাত্র এখানেই পাওয়া যায়। এই ফুলের নির্যাস চোখের জ্যোতির জন্য অত্যন্ত উপকারী। দেখলাম প্রায় সব দোকানেই এই ঔষধ বিক্রি হচ্ছে।এখানে দূর্গা মায়ের মন্দির ও নর্মদা মায়ের মন্দির রয়েছে। একটু ঘোরাঘুরি করে পাহাড়ের সীমানা লাগোয়া আশ্রমের কাছে গেলাম। এক সবেদা গাছে প্রচুর সবেদা ধরেছে। অথচ বাঁদর গুলো ওগুলো খাচ্ছে না কেন জানি না 🤔আশ্রমের বাইরে পাহাড়ের ধারে কিছুটা বিশ্রাম নিলাম। মেয়ে ওর পুতুলের ভিডিও বানালো। আর আমি আবার ফটোস্যুটে,,,,, 😁😁

🙏 শোনমুরা 🙏

আবার পথ হাঁটা শুরু করলাম। প্রায় এক কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছে গেলাম " শোনমুরা " তে। যেখানে শোন নদের উৎস। যাবার পথে রাস্তায় মেয়েকে বাঁদর হামলা করেছিল। কিছুক্ষণ মুখ ভেঁচকিয়ে কাঁদলো😭। পরে অবশ্য ভয় কাটিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এখানে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ছিল। আমরা আখের রস খেলাম আর পরোটার অর্ডার দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলাম। অনেক গুলো সিড়ি বেয়ে নিচে নামলাম। ভালোই ভীড় ছিল। নেমেই ডানদিকে বিশাল এক বজরংবলীর মূর্তি ও মন্দির। মনটা ভরে গেল। ভীড় ছিল, তাই কিছুটা সময় দাড়িয়ে থেকে ভীড় হালকা হলে ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেলাম। প্রনাম করতেই পুরোহিত জী, আমাদের কপালে হলুদের গোলা বুলিয়ে ত্রিশূল ছাপের টিপ এঁকে দিলেন। মেয়েকে ডেকে গল্প করলেন, আর বললেন, "বড়া হোকে ডক্টর বনকে ফির আনা"। নিচে নেমে বাঁদর গুলোকে ছোলা ভাজা খাওয়ালাম নিজ হাতে। ওখানে গেটের সামনে অনেক লোক ছোলা ভাজা বিক্রি করছিল। যদিও আমারটা আদ্রা থেকে নিয়ে যাওয়া। শোন নদের উৎপত্তি দেখে চলে গেলাম ভিউ পয়েন্টে। ওখানে গিয়ে বাবা মা কে ভিডিও কল করে সবটুকু ঘুরে ঘুরে দেখালাম। আবার অনেক ফটো তুললাম । স্থানীয় ক্যামেরা ম্যানদের দিয়ে ও তিনটে ফটো তুলেছি। ওখান থেকে বের হতেই খুব জোরে হাওয়া শুরু হলো। তাই তড়িঘড়ি একটা শেডের তলায় দাড়ালাম। হাওয়া থেমে গেলে উপরে এসে অর্ডার দেওয়া প্লেইন ও আলুর পরোটা খেলাম। সঙ্গে ছিল ছোলার ঘুগনি আর আচার।

প্লেইন পরোটা প্রতি -30টাকা
আলুর পরোটা প্রতি-50টাকা

পরোটা গুলো বেশ বড়ো বড়ো ছিল, বাড়ির মতো ছোট না। একটা করে খেয়েই পেট ভরে গেল। ভালোই খেলাম। যে রাস্তা দিয়ে আমরা শোনমুরা গিয়েছিলাম, সেই রাস্তায় না গিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে হোটেলে এলাম।

চলবে,,,

descriptionAmarkantak অমরকণ্টক  EmptyRe: Amarkantak অমরকণ্টক

more_horiz

Amarkantak,
Madhya Pradesh

👇পর্ব 4
হোটেলে একটু বিশ্রাম নিয়ে বের হলাম কলচুরি রাজাদের তৈরী প্রাচীন মন্দির দেখতে।

🙏 কলচুরি মন্দির 🙏

নর্মদা উদগমের একেবারে সামনেই অবস্থিত কলচুরি রাজাদের তৈরী প্রাচীন মন্দির। প্রবেশ মূল্য 25টাকা জন প্রতি। বড়ো বড়ো পাথরের কাটিং করে ভেতরের রাস্তাটা তৈরী। এতটাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যে ভাবাই যায় না। পুরাতত্ত্ব বিভাগের আওতায় আছে এই মন্দির। মাঝখানে একটি বাধানো কুন্ড। চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক মন্দির। শিব মন্দির, কর্ণ মন্দির, বজরং বলীর মন্দির। ভেতরে একটি আশ্রম ও আছে দেখলাম। এত সুন্দর মন্দিরের কারুকার্য ,যা দেখলে চট করে বের হতেই মন চায় না। মনে হয় ওখানেই সময় কাটাই। ভীড় ছিল না বললেই চলে। ভালো কাটালাম সময় টা।
পরের দ্রষ্টব্য জৈন মন্দির।

🙏আদিনাথ জৈন মন্দির 🙏

পায়ে হেঁটে নির্মীয়মান আদিনাথ জৈন মন্দির দেখতে গেলাম। জৈন সম্প্রদায়ের পূজ্য আচার্য শ্রী শ্রী বিদ্যাসাগর মহারাজের প্রেরণায় মন্দির টির নির্মাণ কাজ চলছে। প্রায় 18 - 20 বছর ধরে এই কাজ চলছে। অসাধারণ কারুকার্যময় মন্দির টি দেখলে অবাক হতেই হবে। রাজস্থানী বেলেপাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই নতুন মন্দির। নিজের চোখ যেন ধন্য হয়ে গেল মন্দির টি দেখে।

এরপর নর্মদা নদীর ধারে বিকেলের বাজারে ঘুরে দেখলাম। কিছু কলা, পাউরুটি ও কেক কিনে তিনজনেই বসলাম নদীর ধারের বাধানো সিড়িতে । খাবার খেলাম । সূর্যের আলো কমে গিয়ে আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে গেল। নেমে এলো অন্ধকার। জনশূন্য নদীর পাড়। একজন পুরোহিত মন্ত্র পাঠ করছিলেন আর একজন করজোড়ে বসে মন্ত্র আওড়াচ্ছিলেন। কর্মকার্য্য সম্পন্ন হলে প্রদীপ জ্বালিয়ে শালপাতার বাটিতে করে নদীতে ভাসিয়ে দিলেন। বেশ সুন্দর তর তর গতিতে স্রোতের সঙ্গে ভাসমান প্রদীপ অনেক দূর চলে গেল। এবার আস্তে আস্তে একটা দুটো করে বাতি স্তম্ভ গুলো জ্বলে উঠল। আলোকিত হল নদীর তট। আমরাও ধীরে ধীরে পা চালিয়ে আবার সেই বাঙালী হোটেলে খেয়ে দেয়ে হোটেলে ফিরে এলাম।

ভাতের থালি 100টাকা
রুটি + ভাত থালি 100টাকা
ভাত, রুটি, ডাল দুই রকমের সবজি , আচার, চাটনি ও পাপর ভাজা।
আগেই বলেছি এখানে আমিষ কিছু পাওয়া যায় না।

পরের দিনের অটো ভাড়া ঠিক করে রাখলাম 800টাকায় । শুভ রাত্রি বন্ধুরা 🙏😊

আগামী কাল যাবো কবীর চবুতরা, কপিল ধারা, দুধ ধারা, অন্নপূর্ণা মন্দির, জলেশ্বর বা জুহিলার উৎপত্তি আর অমরেশ্বর।

চলবে,,,,,,,,,

descriptionAmarkantak অমরকণ্টক  EmptyRe: Amarkantak অমরকণ্টক

more_horiz

Amarkantak, Madhya Pradesh
পর্ব - 5
21 শে ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল আটটার মধ্যে রেডি হয়ে গেলাম। আটটার সময় অটো হোটেলের সামনে এসে হাজির। প্রথমেই চললাম কবীর চবুতরা। রাস্তায় পানের দোকান দেখে ড্রাইভার দাদা কিছু কিনছিলো, তাই আমরা ও চারটে মিষ্টি পান কিনে যাত্রা শুরু করলাম। চারটে পান ষাট টাকা। পার পিস্ 15 টাকা। সুপারি ছাড়া😃

কবীর চবুতরা ----
লোকালয় ছাড়িয়ে ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পাথুরে রাস্তা দিয়ে নেমে আধ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে গেলাম কবীর চবুতরা। গভীর নির্জনতায় ভরা এই জায়গাটা। অতি সাধারণ টিনের ছাউনি দেওয়া কুটির, নাম কবীর কুঠি। কথিত আছে ,সন্ত কবীর জগন্নাথ ধাম যাবার প্রাক্কালে এই খানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। মা নর্মদা , কবীরের সান্যিধ্য লাভের জন্য এখানে দেখা দিয়েছিলেন। তাই এখানেও নর্মদা কুন্ড দেখলাম। ঐ কুন্ড চারকোনা পাঁচিলে ঘেরা। খুব সকালে ভালো করে দেখলে দেখা যায়, সাদা সূতোর মতো জলের রেখা নীচ থেকে উপরে উঠে আসছে। এটি মা নর্মদার দুধ ধারা। আমরাও সেটা দেখতে পেলাম। আরেকটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা স্থান, যেখানে প্রচুর গুল্ব কাবলি ঔষধি গাছের সমাহার। বিশাল বটবৃক্ষের তলে, যেখানে কবীর সাধনা করেছিলেন, সেই বটবৃক্ষ এখনও বিদ্যমান। কথিত আছে কবীর এখানেই বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন। আরও অনেক গল্প শুনলাম ওখানকার। এখানে কবীরের পাদুকা রাখা আছে।

কিছু ফুলের বীজ বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিলাম পাহাড়ের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দেবো বলে। তাই এখানে কিছু বীজ ছড়িয়ে দিল মেয়ে🥰

পরের গন্তব্য "কপিল ধারা"----

প্রায় সাত কিমি. পথ অতিক্রম করে কপিল ধারার সামনে গাড়ি থামলো। এবার বেশ খানিকটা পথ হেঁটে নিচের দিকে গিয়ে দেখা মিললো কপিল মুনির আশ্রম ও কপিল ধারার ভিউ পয়েন্ট। চারিদিকে শুধু বাঁদর আর বাঁদর 😊
এবার ছোট্ট একটি ব্রীজ পার হয়ে চললাম কপিল ধারা যেখানে সজোরে আছড়ে পড়ছে সেখানে। প্রায় আড়াই শত সিড়ি বেয়ে নেমে এলাম নিচে। এখানে কপিল মুনি ধ্যান করেছিলেন, তাই এমন নাম। প্রায় দুশো ফুট নিচে সশব্দে আছড়ে পড়ছে এই জলপ্রপাত। এতোটাই জোরে সেই আওয়াজ যে, নিজেদের কথাই শোনা যাচ্ছিল না। যাইহোক বড়ো বড়ো পাথরের চাঁই এর উপর বসে কিছু ফটো তুলে নিলাম😊

" দুধ ধারা "
আগেই বলেছি যে, এখানে খুব বেশি বাঁদরের উৎপাত। আমাদের পিঠ ব্যাগ থেকে জিনিস নিয়ে পালিয়েছিল। তারপর একটা লাঠি যোগাড় করে তার সহযোগেই আরও নিচে প্রায় 100 সিড়ি বেয়ে চলে গেলাম দুধ ধারা তে।

কপিল ধারা থেকে বয়ে এসে জলস্রোত এখানে এই দ্বিতীয় জলপ্রপাত সৃষ্টি করেছে। যেন নিস্তব্ধ শান্তির রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছি। এই দুধ ধারার পাশেই রয়েছে দুর্বাশা মুনির গুহা। হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকলাম। ঘুটঘুটে অন্ধকার। অন্ধকারে হাতরাতে হাতরাতে বেশ কিছুটা ভিতরে এগিয়ে দেখলাম মা নর্মদার মূর্তি বিরাজমান ও একটি প্রদীপ জ্বলছিল। দুর্বাশা মুনির ধ্যানরত অবস্থায় একটি খুব বড়ো প্রস্তর নির্মিত মূর্তি রয়েছে গুহার ভেতরে। কথিত আছে এখানে ঋষি দুর্বাশা তপস্যা করেছিলেন।

চলবে,,,,,,

descriptionAmarkantak অমরকণ্টক  EmptyRe: Amarkantak অমরকণ্টক

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply