Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionতিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ Emptyতিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ

more_horiz
আমাদের তিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ ভ্রমণ
প্রায় দুই বছর কোথাও যাওয়া হয়নি । তাই এবারে একটা বড় ট্যুর করবো ভেবেছিলাম । কিন্তু উত্তর ভারতের বিশাল চাহিদা । ট্রেন অমিল। তাই ঠিক হলো দক্ষিণ ভারত যাবো । দক্ষিণ ভারত তো প্রচুর দর্শনীয় স্থানে পরিপূর্ন । কোথায় যাওয়া যায় খুঁজতে খুঁজতে শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর আমাদের মধ্যে তাঁর দর্শনের অভিলাষ জাগ্রত করলেন । আমরা স্বাদর আগ্রহে সেই আহ্বান গ্রহণ করলাম । সঙ্গে জুড়ে নিলাম অ্যাদিযোগী, কোয়েম্বাটুর , মহাবলিপূরম, চেন্নাই ও ভাইজাগ।
এই ধরনের ভ্রমণে প্রস্তুতিটা খুবই আনন্দের আর আমার খুবই ভালো লাগে নতুন নতুন জায়গা সম্বন্ধে জানতে পড়তে । যাত্রার দিন থেকে 4 মাস আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা, রুম বুক করা এগুলি ক্রমান্বয়ে চলতে থাকে ।
এবারে অনেক ট্রেন জার্নি আছে । তাই অনেকগুলি টিকিট কাটার ছিল । কিন্তু ঈশ্বর সহায় থাকলে কোনো চাপ ই থাকে না । তাই প্রত্যেকটি ট্রেনের টিকিট খুবই সুন্দর ভাবে কোনো তাড়াহুড়া না করে কাটা সম্পন্ন হয়ে যায় । সেই সঙ্গে হোটেল ও বুক করা হয় । এরপর আসে দর্শনের টিকিট কাটা । 300 টাকার টিকিট রাত 8 টার সময়ে দর্শনের কেটে নেওয়া হয় । তারপর আসে তিরুমালাতে রুম বুকিং। 100 টাকার রুম , খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন । সেটাও বুক হয়ে যায় নির্বিঘ্নে ।
এবার অপেক্ষার পালা ।
12 ই অক্টোবর 2022 ।।
ভোর বেলায় 4 টার সময় উঠে নিজেদের তৈরি করে চললাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে । 5 টা 30 মিনিটের লোকাল ধরে 7 টা 10 নাগাদ পৌঁছালাম শিয়ালদা স্টেশনে। সেখানে বসে ঘর থেকে তৈরি করা আলু মটর সিদ্ধ আর মুড়ি দিয়ে সকালের ব্রেকফাস্ট ভালই হলো । বাইরে বেরিয়ে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ থেকে 120 টাকা দিয়ে ট্যাক্সি নিয়ে চললাম হাওড়া স্টেশনে । 8 টা 45 মিনিটে হাওড়া পৌঁছে বড় পাখার নিচে বসে থেকে আর বিভিন্ন লোকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে করতে সময় কাটতে লাগলো । 10 টা 15 মিনিটে ট্রেন প্লাটফর্মে দিয়ে দিল , আর আমরা লাগেজ সহ ট্রেনে উঠে পড়লাম । ট্রেন ঠিক সময়ে অর্থাৎ 10 টা 50 মিনিটে ছেড়ে দিল । দুপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম ।
আমাদের টিকিটের সঙ্গে খাবার ও নেওয়া ছিল । প্রথমেই আমাদেরকে 2 লিটার করে রেলনীর জল দিয়ে গেলো । তারপর 12 টা 30 মিনিট নাগাদ আমাদের দুপুরের খাবার চলে এলো । ভাত , ডাল, চিকেন কারি , চাটনি । মোটামুটি খাবার । ট্রেনে পেট ভরানোর মত । আবার সন্ধ্যার সময় চা আর পুরি দিয়ে গেল । চা টা বেশ ভালো ছিল । এতক্ষণে আমরা থামলাম ভুবনেশ্বর, প্রথম স্টপেজ । এরপর রাতের বেলায় আবার সেই একই রকম খাবার ।
তবে ট্রেন খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বারে বারে পরিষ্কার করে দিয়ে যাচ্ছিল । অন্য কোনো যাত্রীদের অকারণ ভিড় ও ছিলোনা।
রাতের ঘুম ভালই হলো ।
আর সকালেই তো পৌঁছে গেলাম সেই স্বপ্নের দেশে । সকালে রুটি , মাখন আর দুটো করে ডিম সিদ্ধ টিফিন দিল । খেয়ে লাগেজ গুছিয়ে নামার প্রস্তুতি নেওয়া হলো ।
ঠিক 10 টার সময় মাত্র 10 মিনিট লেট করে ট্রেন রেনিগুটা স্টেশনে নামিয়ে দিল । স্টেশন থেকে ওভারব্রীজ পেরিয়ে আমরা বেরিয়ে এলাম আর একটু জিজ্ঞাসা করে তিরুমালার বাসে উঠে পড়লাম ।
ক্রমশ : ----

descriptionতিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ EmptyRe: তিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ

more_horiz
দ্বিতীয় পর্ব :
একটু পরেই বাস ছেড়ে দিল। আর আমরা আমাদের স্বপ্নের দেশের আরো কাছাকাছি আসতে থাকলাম । কিছুক্ষণ চলার পর বাস এসে একটা জায়গায় থামলো । আর আমাদের সবাইকে লাগেজ সহ নামতে হলো চেকিং এর জন্য । এখানে খুব নিয়মের বিধিনিষেধ । কোনো প্লাস্টিক বোতল নিয়ে উপরে যাওয়া যাবে না । আমরা 5 লিটারের জলের জার কিনেছিলাম । সেটাও নিয়ে যেতে দেয়নি ।
যাইহোক তিরুপতি থেকে তিরুমালা সাকুল্যে ৪৫ মিনিট লাগে বাসে করে (কম -বেশী হতে পারে ) . আমি বলবো জানলার ধারে বসেই যান ,যদি পরের বাসে তা পান তবে তাই করুন।
কারণ এই ৪৫ মিনিট আপনার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ৪৫ মিনিট হতে চলেছে। পাহাড়ের বুক দিয়ে যখন বাস ওপরের দিকে উঠে চলবে, যখন খুব উপর থেকে নিচের তিরুমালা শহর দেখতে পাবেন , যখন দূরে উইন্ডমিল গুলো আপনাকে উঁকি মারবে, আর বাসের মধ্যে গোবিন্দা গোবিন্দা রব আপনাকে কোলাহল পূর্ণ জীবন থেকে অন্য এক মায়াবী জগৎ এ নিয়ে যাবে।

বাস থেকে নামতে মন চাইছিলো না। তিরুমালা তে পৌঁছে আরো ভালো লাগলো কারণ, পাহাড়ের ওপরের পরিবেশ সবসময় ই ভালো লাগে। চারিদিকে ভক্তের সমাবেশ, দোকান ঘরে কেনা বেচার রব , দূরে পাহাড়ের ওপরে ভাসমান মেঘ সত্যিই মনে করাচ্ছিল আমরা কোনো এক স্বপ্নপুরী তে প্রবেশ করে ফেলেছি।
আমাদের রুম বুকিং ছিল । তাই আমরা আইন রক্ষক দের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম ASR বিল্ডিং এ আমাদের যেতে হবে । খুঁজে খুঁজে সেখানে গিয়ে দেখি লম্বা লাইন । লাইন দ্রুত এগিয়ে গেল আর আমাদের প্রিন্ট আউটের স্কান নিয়ে বললো একটু অপেক্ষা করুন । আপনাদের ফোনে মেসেজ যাবে কোথায় রুম allotment হয়েছে সে বিষয়ে । কিছুক্ষণ পর মেসেজ এলো ---- বিল্ডিং এর 77 ও 44 নম্বর ঘর আমাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে । সেই বিল্ডিং এ গিয়ে সেখানের কাউন্টারে আমাদের প্রিন্ট জমা দিয়ে অরিজিনাল আধার দেখিয়ে এবং তাঁরা আমাদের ফটো তুলে তবে রুমের চাবি দিলেন । এতক্ষণ রুম নেওয়ার দৌড়াদৌড়িতে খাওয়ার কথা ভুলে গেছিলাম । এখন রুমে পৌঁছে স্নান সেরে খুব খিদে পেয়েছে । তাই সবাই মিলে চললাম অন্নপ্রসাদম। এখানে পায় সারা দিন লক্ষাধিক ভক্তদের বিনামুল্যে প্রসাদ দেওয়া হয় । খুব আনন্দের সঙ্গে প্রসাদ গ্রহণ করে আমাদের পরিচয় হলো এক ইনোভা গাড়ির চালকের সঙ্গে । জন প্রতি 200 টাকার বিনিময়ে আমাদেরকে তিনি সাইট সিয়িং করাবেন ।
----

descriptionতিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ EmptyRe: তিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ

more_horiz
তৃতীয় পর্ব
আমরা রুমে এসে একটু ফ্রেস হয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম ।
উদ্দেশ্য তিরুমালায় বালাজি মন্দির ছাড়াও যে দ্রষ্টব্য স্থান আছে সেগুলো দেখে নেওয়া।
ছয়টি স্থান দেখাবে ঠিক হলো ।

1) Srivari Padalu
2) Venugopalswamy
3) Sila Thornam
4) chakra tirthan
5) Akash ganga
6)  Papanasam
1) বনের মধ্যে অবস্থিত, নারায়ণদ্রি পাহাড়ের চূড়ায়, শ্রী ভরি পাডালু হল তিরুমালার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি সেই জায়গা যেখানে ভগবান নারায়ণ বৈকুণ্টম থেকে নেমে এসে প্রথম পা রাখেন। "শ্রী ভরি পাডালু”, ইংরেজিতে মানে “ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের পা"। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এটি সেই জায়গা যেখানে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বর প্রথম পৃথিবীতে পা রেখেছিলেন। পায়ের ছাপ এখানে পাওয়া যায় এবং ভক্তরা ঐশ্বরিক দর্শনের জন্য নারায়ণগিরি পাহাড়ের চূড়ায় এই স্থানে যান। এই স্থান থেকে সুন্দর তিরুমালা মন্দির কমপ্লেক্স এবং শহর সম্পূর্ণরূপে দেখা যায়। শ্রী ভরি পাডালু এখন একটি শক্ত পাথরের প্ল্যাটফর্মে কাঁচের ফ্রেমে সুরক্ষিত এবং তীর্থযাত্রীরা পায়ের ছাপ স্পর্শ করতে পারে না। তিরুমালার মূল মন্দির থেকে এই জায়গায় যাওয়ার রাস্তাটি সবুজ গাছপালা ভরা ঘন জঙ্গলের সাথে খুবই মনোরম। মূল মন্দির থেকে এই জায়গায় অনেকগুলি ক্যাব উপলব্ধ, শেয়ার্ড এবং ব্যক্তিগত উভয়ই। তীর্থযাত্রীদের এই ঐশ্বরিক স্থানে পৌঁছানোর জন্য 300 টি সিঁড়ি ধাপে ধাপে উঠতে হবে যেখান থেকে মন্দির শহর 'তিরুমালা'-এর একটি সুন্দর শীর্ষ দৃশ্য দেখতে খুবই আনন্দদায়ক লাগে।


আমার Srivari Padalu খুব ভালো লাগলো। তাই দুচারটে কথা বলে নিই।
এমনিতেই তিরুপতি থেকে তিরুমালা যাতায়াতের পথের সৌন্দর্য কোনো হিল স্টেশনের থেকে কোন দিক থেকে কম নয়।
Srivari Padalu তিরুমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গে অবস্থিত।
বালাজী মন্দিরের পাশেই এঁকেবেঁকে রাস্তা । কিছুটা উপরে গেলেই দেওদার বন। মাঝে মাঝে নীচে দেখা যাচ্ছে তিরুপতি শহর।
তারপর একদম শৃঙ্গের প্রায় মাথায়। গাড়ির পথ শেষ এবার বাঁধানো শিড়ি দিয়ে উঠে একবারে পাহাড়ের চূড়ায়। কোন মন্দির নেই এখানে। রাখা আছে কালো পাথরের মধ্যে পদচিহ্ন।
কথিত আছে বালাজী প্রথমে এই খানেই পদার্পণ করেন। তারপর নীচে তিরুমালায় অধিষ্ঠিত হন।

পরের গন্তব্য Venugopalswamy
শ্রী বেণু গোপাল স্বামী মন্দিরটি তিরুমালার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর প্রধান মন্দির থেকে প্রায় 5 কিমি দূরে অবস্থিত। স্বামী হাতিরামজি মঠ দ্বারা পরিচালিত এই মন্দিরে এখানে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পূজা করা হয়। ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের দর্শন শেষ করার পরে, তীর্থযাত্রীরা শ্রী বেণু গোপাল স্বামী জির আশীর্বাদ পেতে এখানে আসেন। টি.টি.ডি. এই স্থানে বিনামূল্যে বাস চালায় এবং আপনি একটি ক্যাব ভাড়া করেও তিরুমালার পাহাড়ে অবস্থিত এই সুন্দর মন্দিরে যেতে পারেন।
এখানে প্রবেশ মূল্য 5 টাকা । অতি মনোরম এই স্থান ।

তারপর silatornam এবং চক্র তির্থম
তিরুপতিতে থাকাকালীন পরিদর্শন করা আবশ্যক Natural Stone Arch বা
Silathoranam। সিলাথোরানাম এশিয়ায় পাওয়া কয়েকটি প্রাকৃতিক সেতু বা খিলানগুলির মধ্যে একটি। এটি একটি প্রাকৃতিক শিলা গঠন এবং এর অদ্ভুত আকৃতি রয়েছে যা একটি সাপ এবং একটি শঙ্খের ফণা বলে মনে হয় ।
তিরুমালা বাস স্ট্যান্ড থেকে 2 কিমি দূরে এবং তিরুমালা তিরুপতি বালাজি মন্দির থেকে 3 কিমি দূরে অবস্থিত, চক্র তীর্থম হল সিলাতোরানামের কাছে একটি জলাশয়ের স্থান এবং এটি একটি আকর্ষণীয় কিংবদন্তির সাথে জড়িত। কিংবদন্তি অনুসারে, ভগবান ব্রহ্মা তপস্যা করতে চেয়েছিলেন এবং এই স্থানটি পরিষ্কার করতে, ভগবান বিষ্ণু তার সুদর্শন চক্রকে পাঠান, যেখানে সুদর্শন চক্র পাহাড়ে আঘাত করেছিল সেই জায়গায় একটি গর্ত তৈরি হয়েছিল এবং সেই গর্ত থেকে জল প্রবাহিত হতে শুরু করে, এইভাবে একটি জলপ্রপাত তৈরি করে। এটি তিরুমালার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি।

এই সাইটটি পরিদর্শন করা ভগবানের চরণ পদ্মের  স্পর্শ করার মতোই ভাল বলে মনে করা হয়, যা ভক্তদের তাদের কষ্ট থেকে উদ্ধার করবে। এখানকার জলপ্রপাতটি দেখার মতো একটি আশ্চর্যজনক দৃশ্য এবং এটি সেই স্থান যেখানে ব্রহ্মোৎসব উদযাপনের সময় ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মূর্তি আনা হয়।
পরবর্তী গন্তব্য Akash Ganga
আকাশ গঙ্গা তিরুমালা বালাজির মন্দির থেকে প্রায় 4 কিমি দূরে অবস্থিত, আকাশ গঙ্গা তীর্থ ভক্তদের আকৃষ্ট করে এবং আকাশ গঙ্গার নির্মল জলপ্রপাত আমাদের মোহিত করে। নিঃসন্দেহে এটি তিরুমালা/তিরুপতি দেখার সেরা স্থানগুলির মধ্যে একটি।দেশের সবচেয়ে পবিত্র জলপ্রপাতগুলির মধ্যে একটি আকাশ গঙ্গার জলপ্রপাত প্রায় সমস্ত ভক্তদের দ্বারা পরিদর্শন করা হয় যারা ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের আশীর্বাদের সন্ধানে তিরুমালায় আসেন। এই জলপ্রপাতটিরও মহান ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে, কারণ এর পবিত্র জল ভগবানের অভিষেকামের জন্য ব্যবহৃত হয়। ভগবান শ্রীনিবাসের দৈনিক তিরুমঞ্জনম (ঐশ্বরিক স্নানের) জন্য আচার্যদের সাতটি পরিবারের একটি এই তীর্থম থেকে প্রতিদিন রূপার পাত্রে জল নিয়ে আসে। আকাশগঙ্গা আক্ষরিক অর্থে স্বর্গ থেকে গঙ্গা। বিশ্বাস করা হয় যে তীর্থের উৎপত্তি ভগবান বিষ্ণুর পাদপদ্ম থেকে।
পরবর্তী গন্তব্য Papanasam
পাপবিনাসনম তীর্থম তিরুমালা

পাপাভিনাসম তীর্থম  তিরুমালা, মূল মন্দির থেকে প্রায় 5 কিমি দূরে অবস্থিত এবং এই অঞ্চলের একটি সুন্দর জলপ্রপাত। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই স্থানের পবিত্র জল ভক্তদের পাপ ধুয়ে দেয়। তাই এই স্থানটি পাপবিনাসনম নামে পরিচিত। এই জল ভগবানের চরণ থেকে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। এখানে একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত ছিল, তবে এখন জলধারা সিংহের মুখ থেকে প্রবাহিত হওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। . এই স্থানে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা ড্রেসিং রুম রয়েছে, যেখানে তারা তাদের পোশাক পরিবর্তন করতে পারে। এখানে একটি জলাধার তৈরি করা হয়েছে, যা পুরো তিরুমালাকে জল সরবরাহ করে। পাপাভিনাসম তীর্থমে স্নান করলে ভক্তদেরকে পূর্ববর্তী জন্মের পাপের ফল থেকে মুক্তি দেয়। এই জলে স্নান সত্যিই সতেজতাদায়ক এবং বলা হয় এই তীর্থমে স্নান করলে মন্দকে ধুয়ে দেয় এবং ভক্তরা সৌভাগ্য লাভ করে। তিরুমালা তিরুপতিতে আসা প্রত্যেক তীর্থযাত্রীর অবশ্যই এই স্থানটি পরিদর্শন করা উচিত। পাপাভিনাসনম তীর্থম তিরুমালা দেখার সর্বোত্তম সময় হল বর্ষাকালে, বর্ষাকালে এই জায়গাটিকে আরও সুন্দর দেখায় চারপাশে সবুজের সাথে এবং পাথর থেকে সাদা জল বেরিয়ে আসায়।

কিভাবে পাপাভিনাসম তীর্থম পৌঁছাবেন:

তীর্থযাত্রীরা বিনামূল্যে বাস  নিয়ে এই স্থানগুলি দেখতে পারেন। T.T.D এই পবিত্র জলপ্রপাত দেখার জন্য বিনামূল্যে বাস চালায়, আপনি একটি ট্যাক্সি / ব্যক্তিগত গাড়িতেও এই পবিত্র স্থানটি দেখতে পারেন।

সবগুলি স্থান দর্শন করে আমাদের গাড়ি পৌঁছে দিল আমাদের হোটেলের কাছে ।
আমরা হোটেলে এসে ফ্রেস হয়ে চললাম দর্শনের উদ্দেশ্যে । স্থানীয় দের জিজ্ঞাসা করে জানলাম যে , যেখানে শ্রী বালাজির মূর্তি আছে ওই খানে ফ্রি বাস আসবে । সেই বাসে আমাদের যেতে হবে , যেখান থেকে দর্শন করার জন্য প্রবেশ করতে হবে , সেখানে নামিয়ে দিয়ে বাস তার পরবর্তী গন্তব্যে চলে গেল । আমরা আবারও জিজ্ঞাসা করতে করতে প্রবেশ করলাম মন্দিরে।
ক্রমশ . .

Last edited by Admin on Mon Mar 20, 2023 6:13 am; edited 1 time in total

descriptionতিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ EmptyRe: তিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ

more_horiz
চতুর্থ পর্ব
শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরের দর্শন:
সন্ধ্যায় যখন আমরা তিরুমালা বালাজি মন্দিরে প্রবেশ করলাম, ততক্ষনে সন্ধা আরতি শুরু হয়ে গেছে। বাইরে থেকে মন্ত্রের মোহনীয় শব্দ শোনা যাচ্ছে। একটা ঐশ্বরিক অনুভূতি সাথে পরিবেশটা ছিল চমৎকার।মন্দির সংলগ্ন পুকুরের জলে আলোয় সজ্জিত একটি সুন্দর মন্দির দাঁড়িয়ে আছে।শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের অনুভূতি এই অগণিত ভক্তদের দর্শন নিতে চালিত করেছে।
তিন ধরণের দর্শন হয়ে থাকে -
১) সর্বদর্শন - এটি ফ্রি , টোকন নিয়ে আপনি লাইনএ দাঁড়াতে পারেন, কতক্ষন লাগবে বলা মুস্কিল।
২) দিব্য দর্শন - যারা পায়ে হেটে তিরুপতি থেকে মন্দির আসে তাদের জন্য, এটি তে সর্বদর্শন এর থেকে একটু তাড়াতাড়ি হয়।
৩) স্পেশাল এন্ট্রি দর্শন - এটি র জন্য ttd এর ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কেটে রাখতে হয়। ৩০০ টাকা করে জন প্রতি লাগে। এতে সময় অনেক কম লাগে। এছাড়াও ইনফ্যান্ট দর্শন,স্পেশাল এন্ট্রি ফর ফিজিক্যাল ডিসেবিলিটি পার্সনস , vip ব্রেক দর্শন আছে। তরুণদের বলবো তারা যেন দিব্য দর্শনে যায়।
পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে মন্দির দর্শন এর মজাটাই আলাদা। আমরাও তাই প্ল্যান করেছিলাম , কিন্তু সময় এর অভাবে হয়ে ওঠেনি। তাই আমরা 300 টাকার দর্শন টিকিট 3 মাস আগে থেকে বুক করে রেখেছিলাম ।
ভিতরে প্রবেশ করে তার জালি ঘেরা সরু পথে আমাদের সবাইকে লাইন দিয়ে যেতে বলা হলো ।
যদিও খুব সুন্দর জুতো রাখার তাক আছে , তবুও বলব যাঁরা তিরুমালা তে থাকবেন তাঁরা যেন জুতো আর মোবাইল হোটেল রুমে রেখে যান । আমরা সেই সরু পথের ভিতর দিয়ে এগোতে থাকলাম , কখনো সিড়ি দিয়ে উপরে উঠছি তো কখনো নিচে নামছি । কখনো সামনে ফাঁকা পেয়ে ছোটরা দৌড়াচ্ছে , সঙ্গে আমরাও । এভাবে আমরা এসে পৌঁছালাম একটি চেকিং গেটে । প্রথমে দর্শন টিকিট চেকিং হবে । প্রত্যেকের হাতে যে যার টিকিট ও আসল আধার কার্ড দিতে বলা হলো । চেকিং সম্পন্ন হয়ে গেলে আমরা এগোতে থাকলাম । কিছু দূর গিয়ে একটি স্থানে ভিড় দেখে জিজ্ঞাসা করে জানলাম যে এখানে মোবাইল জমা নেওয়া হয় এবং যদি লাগেজ থাকে তাও জমা দেওয়া যায় । বিনামূল্যে । যদিও যিনি জমা নিচ্ছিলেন তিনি টিপস চাইলেন । 10 টাকা , 20 টাকা , যার যেমন খুশি দিয়ে মোবাইল জমা করা হলো । এবার আবার লাইন দিয়ে এগোতে থাকলাম । আমাদের সঙ্গে একটি 2/3 বছরের বাচ্চা ছিল । সে আমাদের লিডার ছিল । সে যখনই বলছিল গোও বিন্দা আমরাও সমস্বরে বলছিলাম গো ওওওও বিনদা। এভাবে সময় ও কাটছিল আর লাইন ও এগোচ্ছিল । কিছুক্ষণ পর একটা বড় স্থানে এলাম যেখানে অনেক সিড়ি করা আছে । সেখানের আইন রক্ষকরা আমাদের বসতে বললেন । বুঝলাম অপেক্ষা করতে হবে । ওইখানে বাথরুমের সুন্দর ব্যবস্থা আছে । আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম আর মনে মনে ঈশ্বরকে ডাকছিলাম ।
বেশ কিছক্ষন অপেক্ষা করার পর একটা বড়ো পাত্রে অন্ন প্রসাদ বিতরণ শুরু হল । আমরা দোলাচলে পড়ে গেলাম । প্রসাদ নেব না লাইনে থাকব । আমরা লাইনের একদম সামনে ছিলাম । ঠিক তখনই আমাদের দরজা খুলে দেওয়া হয় । আর আমরাও সমস্বরে গোবিন্দা নাম স্মরণ করে লাইন দিয়ে এগোতে থাকি । এই সময় অনেক দিকের লাইন একসঙ্গে মেশে তাই একটু ঠেলা ঠেলি হয় । আমরা এভাবে এগিয়ে যেতে থাকলাম । কিছক্ষনের মধ্যে মূল মন্দিরে প্রবেশ করি । আর ভিতরের শান্ত সুন্দর পরিবেশে বিক্ষিপ্ত মন ধীরে ধীরে একাগ্র হতে শুরু করে । শম্বুক গতিতে এগোতে এগোতে আমরা এমন এক জায়গায় আসি যেখানে ঘিয়ের খুবই সুন্দর সুগন্ধ আসছিল ।
তারপর এলো সেই সময় । একেবারে শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরের সামনে উপস্থিত । এখানে দুদিকে লাইন ভাগ হয়ে গেছে । বাম দিক আর ডানদিক । আমরা ডানদিকের লাইন ধরে এগোতে থাকলাম । আর যেন ধৈর্য্য ধরছে না । কখন দেখা পাবো ? অবশেষে সেই সন্ধিক্ষণ উপস্থিত । প্রভু আমাদের দেখা দিলেন । প্রাণ ভরে দর্শন করলাম । বেশ কিছুক্ষণ ধরে দর্শন করার সুযোগ পেলাম । দুচোখ বেয়ে আনন্দ ধারা নেমে এলো । এত কৃপা তাঁর । কোথায় পশ্চিমবঙ্গের এক অজ্ঞাত গ্রাম থেকে প্রভুর সামনে নির্বিঘ্নে পৌঁছে গেছি ।
দর্শন সম্পন্ন করে লাড্ডু নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম । বহু মানুষ তখন খোলা আকাশের নিচে শুয়ে আছে । তখন বাজে রাত 10 টা 30 মিনিট । মাত্র 3 ঘণ্টার মধ্যে দর্শন সম্পন্ন করে বাইরের কাউন্টার থেকে মোবাইল নিয়ে অনেক ফটো তুললাম । আর আসতে আসতে হোটেলের পথে এগোতে থাকলাম । একটা অসাধারণ দিনের সমাপ্তি হলো। রাত্রে বেশ ঠান্ডা লাগছিল । তাই কিছুটা ঠান্ডার পোশাক নিয়ে যাওয়া উচিত ।
ক্রমশ ...

descriptionতিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ EmptyRe: তিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply