আমাদের তিরুমালা তিরুপতি কোয়েম্বাটুর আদিয়োগী চেন্নাই মহাবলীপূরম ভাইজাগ ভ্রমণ
প্রায় দুই বছর কোথাও যাওয়া হয়নি । তাই এবারে একটা বড় ট্যুর করবো ভেবেছিলাম । কিন্তু উত্তর ভারতের বিশাল চাহিদা । ট্রেন অমিল। তাই ঠিক হলো দক্ষিণ ভারত যাবো । দক্ষিণ ভারত তো প্রচুর দর্শনীয় স্থানে পরিপূর্ন । কোথায় যাওয়া যায় খুঁজতে খুঁজতে শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর আমাদের মধ্যে তাঁর দর্শনের অভিলাষ জাগ্রত করলেন । আমরা স্বাদর আগ্রহে সেই আহ্বান গ্রহণ করলাম । সঙ্গে জুড়ে নিলাম অ্যাদিযোগী, কোয়েম্বাটুর , মহাবলিপূরম, চেন্নাই ও ভাইজাগ।
এই ধরনের ভ্রমণে প্রস্তুতিটা খুবই আনন্দের আর আমার খুবই ভালো লাগে নতুন নতুন জায়গা সম্বন্ধে জানতে পড়তে । যাত্রার দিন থেকে 4 মাস আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা, রুম বুক করা এগুলি ক্রমান্বয়ে চলতে থাকে ।
এবারে অনেক ট্রেন জার্নি আছে । তাই অনেকগুলি টিকিট কাটার ছিল । কিন্তু ঈশ্বর সহায় থাকলে কোনো চাপ ই থাকে না । তাই প্রত্যেকটি ট্রেনের টিকিট খুবই সুন্দর ভাবে কোনো তাড়াহুড়া না করে কাটা সম্পন্ন হয়ে যায় । সেই সঙ্গে হোটেল ও বুক করা হয় । এরপর আসে দর্শনের টিকিট কাটা । 300 টাকার টিকিট রাত 8 টার সময়ে দর্শনের কেটে নেওয়া হয় । তারপর আসে তিরুমালাতে রুম বুকিং। 100 টাকার রুম , খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন । সেটাও বুক হয়ে যায় নির্বিঘ্নে ।
এবার অপেক্ষার পালা ।
12 ই অক্টোবর 2022 ।।
ভোর বেলায় 4 টার সময় উঠে নিজেদের তৈরি করে চললাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে । 5 টা 30 মিনিটের লোকাল ধরে 7 টা 10 নাগাদ পৌঁছালাম শিয়ালদা স্টেশনে। সেখানে বসে ঘর থেকে তৈরি করা আলু মটর সিদ্ধ আর মুড়ি দিয়ে সকালের ব্রেকফাস্ট ভালই হলো । বাইরে বেরিয়ে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ থেকে 120 টাকা দিয়ে ট্যাক্সি নিয়ে চললাম হাওড়া স্টেশনে । 8 টা 45 মিনিটে হাওড়া পৌঁছে বড় পাখার নিচে বসে থেকে আর বিভিন্ন লোকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে করতে সময় কাটতে লাগলো । 10 টা 15 মিনিটে ট্রেন প্লাটফর্মে দিয়ে দিল , আর আমরা লাগেজ সহ ট্রেনে উঠে পড়লাম । ট্রেন ঠিক সময়ে অর্থাৎ 10 টা 50 মিনিটে ছেড়ে দিল । দুপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম ।
আমাদের টিকিটের সঙ্গে খাবার ও নেওয়া ছিল । প্রথমেই আমাদেরকে 2 লিটার করে রেলনীর জল দিয়ে গেলো । তারপর 12 টা 30 মিনিট নাগাদ আমাদের দুপুরের খাবার চলে এলো । ভাত , ডাল, চিকেন কারি , চাটনি । মোটামুটি খাবার । ট্রেনে পেট ভরানোর মত । আবার সন্ধ্যার সময় চা আর পুরি দিয়ে গেল । চা টা বেশ ভালো ছিল । এতক্ষণে আমরা থামলাম ভুবনেশ্বর, প্রথম স্টপেজ । এরপর রাতের বেলায় আবার সেই একই রকম খাবার ।
তবে ট্রেন খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বারে বারে পরিষ্কার করে দিয়ে যাচ্ছিল । অন্য কোনো যাত্রীদের অকারণ ভিড় ও ছিলোনা।
রাতের ঘুম ভালই হলো ।
আর সকালেই তো পৌঁছে গেলাম সেই স্বপ্নের দেশে । সকালে রুটি , মাখন আর দুটো করে ডিম সিদ্ধ টিফিন দিল । খেয়ে লাগেজ গুছিয়ে নামার প্রস্তুতি নেওয়া হলো ।
ঠিক 10 টার সময় মাত্র 10 মিনিট লেট করে ট্রেন রেনিগুটা স্টেশনে নামিয়ে দিল । স্টেশন থেকে ওভারব্রীজ পেরিয়ে আমরা বেরিয়ে এলাম আর একটু জিজ্ঞাসা করে তিরুমালার বাসে উঠে পড়লাম ।
ক্রমশ : ----
প্রায় দুই বছর কোথাও যাওয়া হয়নি । তাই এবারে একটা বড় ট্যুর করবো ভেবেছিলাম । কিন্তু উত্তর ভারতের বিশাল চাহিদা । ট্রেন অমিল। তাই ঠিক হলো দক্ষিণ ভারত যাবো । দক্ষিণ ভারত তো প্রচুর দর্শনীয় স্থানে পরিপূর্ন । কোথায় যাওয়া যায় খুঁজতে খুঁজতে শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর আমাদের মধ্যে তাঁর দর্শনের অভিলাষ জাগ্রত করলেন । আমরা স্বাদর আগ্রহে সেই আহ্বান গ্রহণ করলাম । সঙ্গে জুড়ে নিলাম অ্যাদিযোগী, কোয়েম্বাটুর , মহাবলিপূরম, চেন্নাই ও ভাইজাগ।
এই ধরনের ভ্রমণে প্রস্তুতিটা খুবই আনন্দের আর আমার খুবই ভালো লাগে নতুন নতুন জায়গা সম্বন্ধে জানতে পড়তে । যাত্রার দিন থেকে 4 মাস আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা, রুম বুক করা এগুলি ক্রমান্বয়ে চলতে থাকে ।
এবারে অনেক ট্রেন জার্নি আছে । তাই অনেকগুলি টিকিট কাটার ছিল । কিন্তু ঈশ্বর সহায় থাকলে কোনো চাপ ই থাকে না । তাই প্রত্যেকটি ট্রেনের টিকিট খুবই সুন্দর ভাবে কোনো তাড়াহুড়া না করে কাটা সম্পন্ন হয়ে যায় । সেই সঙ্গে হোটেল ও বুক করা হয় । এরপর আসে দর্শনের টিকিট কাটা । 300 টাকার টিকিট রাত 8 টার সময়ে দর্শনের কেটে নেওয়া হয় । তারপর আসে তিরুমালাতে রুম বুকিং। 100 টাকার রুম , খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন । সেটাও বুক হয়ে যায় নির্বিঘ্নে ।
এবার অপেক্ষার পালা ।
12 ই অক্টোবর 2022 ।।
ভোর বেলায় 4 টার সময় উঠে নিজেদের তৈরি করে চললাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে । 5 টা 30 মিনিটের লোকাল ধরে 7 টা 10 নাগাদ পৌঁছালাম শিয়ালদা স্টেশনে। সেখানে বসে ঘর থেকে তৈরি করা আলু মটর সিদ্ধ আর মুড়ি দিয়ে সকালের ব্রেকফাস্ট ভালই হলো । বাইরে বেরিয়ে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ থেকে 120 টাকা দিয়ে ট্যাক্সি নিয়ে চললাম হাওড়া স্টেশনে । 8 টা 45 মিনিটে হাওড়া পৌঁছে বড় পাখার নিচে বসে থেকে আর বিভিন্ন লোকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে করতে সময় কাটতে লাগলো । 10 টা 15 মিনিটে ট্রেন প্লাটফর্মে দিয়ে দিল , আর আমরা লাগেজ সহ ট্রেনে উঠে পড়লাম । ট্রেন ঠিক সময়ে অর্থাৎ 10 টা 50 মিনিটে ছেড়ে দিল । দুপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম ।
আমাদের টিকিটের সঙ্গে খাবার ও নেওয়া ছিল । প্রথমেই আমাদেরকে 2 লিটার করে রেলনীর জল দিয়ে গেলো । তারপর 12 টা 30 মিনিট নাগাদ আমাদের দুপুরের খাবার চলে এলো । ভাত , ডাল, চিকেন কারি , চাটনি । মোটামুটি খাবার । ট্রেনে পেট ভরানোর মত । আবার সন্ধ্যার সময় চা আর পুরি দিয়ে গেল । চা টা বেশ ভালো ছিল । এতক্ষণে আমরা থামলাম ভুবনেশ্বর, প্রথম স্টপেজ । এরপর রাতের বেলায় আবার সেই একই রকম খাবার ।
তবে ট্রেন খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বারে বারে পরিষ্কার করে দিয়ে যাচ্ছিল । অন্য কোনো যাত্রীদের অকারণ ভিড় ও ছিলোনা।
রাতের ঘুম ভালই হলো ।
আর সকালেই তো পৌঁছে গেলাম সেই স্বপ্নের দেশে । সকালে রুটি , মাখন আর দুটো করে ডিম সিদ্ধ টিফিন দিল । খেয়ে লাগেজ গুছিয়ে নামার প্রস্তুতি নেওয়া হলো ।
ঠিক 10 টার সময় মাত্র 10 মিনিট লেট করে ট্রেন রেনিগুটা স্টেশনে নামিয়ে দিল । স্টেশন থেকে ওভারব্রীজ পেরিয়ে আমরা বেরিয়ে এলাম আর একটু জিজ্ঞাসা করে তিরুমালার বাসে উঠে পড়লাম ।
ক্রমশ : ----