যারা উত্তরবঙ্গে ঘুরতে আসবেন তাদের জন্য
********
অন্যরকম উত্তরবঙ্গ
উত্তরবঙ্গ ভ্রমন  (খাওয়াদাওয়া ) North. Bengal Tour (Fooding)  22nblf10


এ পর্বে হোক খাওয়াদাওয়া নিয়ে কথাবার্তা। শুধু ঘুরে বেড়ালে তো হবে না, দুবেলা চাড্ডি ভালোমন্দ খেতেও তো হবে, না কি? খাদ্যরসিক বাঙালিকে যদি সুস্বাদু খাওয়ার সন্ধান না দিতে পারি, তবে ভ্রমণে মজা কি করে হবে? সুখাদ্য ছাড়া বাঙালির ভ্রমণ কখনোই সম্পূর্ণ হয় না। আমি একটা জিনিস বরাবর খুব মন দিতে লক্ষ্য করেছি, অনেক সময় একটা জায়গা শুধু এই জন্যেই মনে দাগ কেটে যায় কারণ সেখানকার খাওয়াদাওয়া অতুলনীয় ছিলো। এই বারের লেখায় গোটা কয়েক খাবারের কথা লিখছি, দেখা যাক আপনাদের পছন্দ হয় কি না।

বোরোলি মাছ:

বোরোলি মাছ বা বৈরালী মাছ কে মোটামুটি ভাবে উত্তরবঙ্গের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর বলা যেতে পারে। বাড়িয়ে বলছি না। স্বর্গীয় স্বাদের এই রুপোলি মাছ পাওয়া যায় উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ পাহাড়ি নদীগুলোতেই, মূলত: তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, কালজানী, মানসাই এবং এদের শাখাপ্রশাখা গুলোতে । ঈষৎ মিষ্টি স্বাদ, মুখে দিলে গলে যায়। ভাজা খেতে পারেন, সরু বেগুন কেটে, আলু দিয়ে, ধনে পাতা দিয়ে পাতলা ঝোল খেতে পারেন, সর্ষে বাটা দিয়ে ইলিশ স্টাইলে ভাপা খুব প্রচলিত। তবে সবচেয়ে ভালো লাগবে, পেঁয়াজ বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, ধনেপাতা বাটা দিয়ে না ভেজে সাঁতলে রান্না করলে। স্বাদটা, বিশ্বাস করুন, অনেকদিন আপনার জিভে লেগে থাকবে।

এবার আপনি অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন করবেন, বেড়াতে গিয়ে তো আর ভাই আমি রান্না করে খাবো না। তবে এই সুস্বাদু মাছ খাবো কোথায়? বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে শিবমন্দিরে "চলাচল" এর একসময় নাম ছিলো। অস্বাভাবিক দাম আর মানুষের সাথে দুর্ব্যবহারের জন্যে আজকাল লোকে যায়না। সেবক রোডে ICICI BANK এর পাশে "বরুন" এ খুব ভীড় হয়, অপেক্ষা করতে হয়। খোঁজ নিতে হবে সেদিন বোরোলি মাছ হয়েছে কি না? ওদের রান্না ভালো। পানিট্যাংকি মোড়ে "কল্পতরু" তে যাবেন না। শহর ছেড়ে জলপাইগুড়ি গেলে "যাযাবর" এ খেতে পারেন। খোঁজ নেবেন বোরোলি হয়েছে কি না। দামটা ওদেরও খুব বেশি। তবে রান্না ভালো। কোচবিহারে গেলে পুরোনো বাজারে "কোচবিহার হোটেলে" খাবেন। আর আলিপুরদুয়ারে গেলে শামুকতলা মোড়ে "পাগলাবাবার ধাবা"তে অবশ্যই খাবেন। কাঁসার থালায় সাজিয়ে ভালো চালের ভাত, আলু সেদ্দ, ঘি দিয়ে আদর করে খাওয়াবে মাসিমা I বোরোলি ছাড়াও, নদীর বোয়াল, পাঁঠা, দেশি মুরগি, সবই পাবেন I মুখে লেগে থাকবে।

ফুলবাড়ীর লালমোহন:

শিলিগুড়ি শহরের সীমানা ছাড়িয়ে জলপাইগুড়ির পথে পা বাড়ালেই ফুলবাড়ীতে আপনার সাথে দেখা হবে লালমোহনবাবুর। না ফেলুদার লালমোহনবাবু নয়, ফুলবাড়ীর বিখ্যাত লালমোহন মিষ্টি। বড়ো কড়াইতে গরম গরম লালমোহনগুলো দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না। যদিও দেখতে লালমোহন অনেকটাই গোলাপ জামের মতো, দুটোর মধ্যে স্বাদে অনেকটাই তফাৎ। লালমোহন এতটাই নরম, মুখে দিলে সাথে সাথে গলে যাবে।

লালমোহনের একটা ছোট্ট ইতিহাস আছে। এই মিষ্টির শেকড় হলো গিয়ে বাংলাদেশে। প্রয়াত মনীন্দ্র নাথ ঘোষ মহাশয় ১৯৫৪ সালে তদানীন্তন ইস্ট পাকিস্তান থেকে ভারতে আসেন। তিনি নিজে হাতে এই মিষ্টি বানাতেন এবং বাঁকে করে রাস্তায় রাস্তায় ফেরি করতেন। দোকানটি স্থাপিত হয় ১৯৫৫ সালে। বাকিটা, ইতিহাস।

বর্তমান মালিক রতন ঘোষ দেয়ালে ফ্রেম করে রাখা বিভিন্ন সেলেব্রিটিদের স্বাক্ষর দেখাচ্ছিলেন, যারা লালমোহনের স্বাদ উপভোগ করে গেছেন। মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়, কার সই নেই সেখানে !!

গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দই:

গঙ্গারামপুর দক্ষিণ দিনাজপুরে, বালুরঘাট থেকে ৩৮ কিমি দূরে অবস্থিত একটি ছোট মফস্সল শহর। এই লেখায় গঙ্গারামপুরের দইয়ের কথা না লিখলে বড়ো অন্যায় হয়ে যাবে। ধর্মে সইবে না।

দই একটি বিতর্কিত খাদ্য। যেমন সবজায়গায় লোকেরাই বলে থাকে, আমাদের এখানকার সূর্যাস্ত পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর, তেমনি দই নিয়েও এমন কথা প্রচলিত আছে। সবাই বলে তাদের দই নাকি পৃথিবীর বেস্ট I কোচবিহারের "সম্রাটের" ক্ষীর দই, দিনহাটার গোধূলি বাজারের ক্ষীর দই, নদীয়া এবং কৃষ্ণনগরের দই খাবার পর আমার বিচারে গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দই এক নম্বর। অতুলনীয় স্বাদ। সত্যিই হাড়ি গড়িয়ে দিলে বা উল্টো করে ধরে রাখলে দই পড়ে যায়না। চামচ দিয়ে কেটে খেতে হয়। যে একবারও এই স্বর্গীয় বস্তুটি আস্বাদন করেনি, তার জীবন বৃথা।

গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দইয়ের স্বাদের মতো এর ইতিহাসটিও ততোধিক আকর্ষণীয়। বাংলাদেশের বগুড়ার দই ইতিহাস বিখ্যাত। পূর্বপুরুষদের শেকড় ওদেশে থাকলে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। বগুড়ার দইয়ের কাহিনী শুরু হয় বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলাতে। স্থানীয় লোকেদের কথায়, গৌরগোপাল চন্দ্র ঘোষ নামের এক ব্যাক্তি ভারত থেকে বাংলাদেশের শেরপুরে গিয়ে হাজির হন। তার পেশা ছিলো দই তৈরী করা। তিনি বগুড়া বাজারে একটি দোকান খুলে দই বিক্রি করতে শুরু করেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই প্রচুর সুনাম নাম অর্জন করেন। তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী মোহাম্মদ আলী বোগড়া মহাশয় তার দই খেয়ে এতটাই মোহিত হন যে, তিনি গৌরগোপাল চন্দ্র ঘোষকে আর্থিক সহায়তা করেন দই তৈরির কারখানা খোলার জন্যে। আজও গৌরগোপাল দধি ঘর বগুড়া বাজারে সুনামের সঙ্গে দইয়ের ব্যবসা করে যাচ্ছে।

আর বর্ডারের এপারে ভারতের গঙ্গারামপুরের নয়া বাজারে গৌরগোপাল চন্দ্র ঘোষের বংশধর শ্রী যোগেশ চন্দ্র ঘোষ ছোট্ট একটি টিনের দোকান দধি ভাণ্ডারে সেই স্বর্গীয় স্বাদ, সেই অতুলনীয় গন্ধ পরিবেশন করছেন। প্লিজ বালুরঘাট গেলে দই টা মিস করবেন না ।

কচি পাঁঠা - আলিপুরদুয়ারের বৌদির হোটেল:

কচি পাঁঠার চলটা উত্তরবঙ্গে বেশি, এখানে কলকাতার মতো খাসি খুব একটা চলেনা। আলিপুরদুয়ারের বৌদির হোটেল খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। নাম নেই, ধাম নেই, ঠিকানা বাস স্ট্যান্ড। হ্যাঁ ঠিকই বলছি। একেবারেই বেনামি, ফুটপাতি এই খাবার ঠিকানাটি। অলিপুরদুয়ার শহরে গেলে, আসাম বাস স্ট্যান্ড খুঁজে চলে যান। বাস স্ট্যান্ডের পেছন দিকটায় একটা ছোট্ট টিনের ঘরে চলে বৌদির হোটেল। কোনো সাইন বোর্ড নেই। কচি পাঁঠার প্লেট ১০০ টাকা। সাথে ছোট মাছের চচ্চড়ি। দুপুর ১২.৩০ পেরিয়ে গেলে আর পাবেন না। মাল শেষ। কাজের সূত্রে মাঝে মাঝে আমায় আলিপুরদুয়ার যেতে হতো। কখনো যদি কাজের চাপে দুপুর ১ টা গড়িয়ে যেত, বৌদির হোটেলে খাবার পেতাম না। আসলে আসাম থেকে আসা বেশ কিছু লোক বৌদির হোটেলে দুপুরের খাবারটা খায়। কাজেই সময় গড়িয়ে গেলে, খাবার পাওয়া মুশকিল। এতো ভালো ঘরোয়া কচি পাঁঠা, এতো নরম আর সুস্বাদু, এ তল্লাটে সচরাচর পাবেন না।

দেশি মুরগি - সাংমার ধাবা:

আবার আলিপুরদুয়ার। শহর থেকে দমনপুরের দিকে বেরিয়ে পড়ুন। সোজা আসাম হাই রোড। বা দিকে এগোন হাসিমারার দিকে। একটু গেলেই দেখতে পাবেন লাইন দিয়ে সারি সারি টিনের ছোট ছোট ধাবা। এরা একটু অন্যভাবে অপারেট করে। আপনাকে মুরগির মাংস কিনে দিতে হবে। এরা রান্না করে দেবে এবং তা বাবদ একটা খরচ নেবে আপনার কাছ থেকে। একটু জিজ্ঞেস করুন, এর মধ্যে সাংমার ধাবা কোনটা। কোনো সাইন বোর্ড নেই যদিও। দেশি মুরগির মাংস কিনে দিয়ে আপনাকে প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু অপেক্ষা টা সার্থক। আদিবাসী সাংমাদার হাতের রান্না অসাধারণ I বাঙালি এবং আদিবাসী স্টাইলে মিলিয়ে অনন্য। গরম গরম রুটির সাথে সাংমাদার কষা মুরগির মাংস, আহা অনবদ্য I মনে রাখবেন সাংমা দা শুধু রাতেই ধাবা চালায়, দিনে বন্ধ রাখে। মেনু শুধুমাত্র মুরগির মাংস আর রুটি। অন্য কিছু পাবেননা। বক্সা টাইগার রিসার্ভ, জয়ন্তী, চিলাপাতা, ভুটানঘাট যেতে আসতে আপনাকে সাংমার হোটেলের সামনে দিয়েই যেতে হবে । ভুলবেন না প্লিজ। একবার খেলে আমাকে আশীর্বাদ করবেন জানি।

দেশি মোরগ - খানের হোটেল, পাঞ্জিপাড়া, ইসলামপুর:

এটা তাদের জন্যে যারা রোডট্রিপ করতে ভালোবাসেন, গাড়ি চালিয়ে কলকাতা থেকে নর্থবেঙ্গল আসতে চাইছেন। কিষাণগঞ্জ ছাড়াবার ঠিক ১০ কিমি পরে আপনি পাবেন পাঞ্জিপাড়া। লম্বু খানের হোটেল পড়বে আপনার ডান হাতে, অর্থাৎ উল্টো ফুটে। যেহেতু মাঝে ডিভাইডার আছে, একটু কেয়ারফুলী দেখে দেখে চলতে হবে, নইলে মিস হয়ে যাবে কিন্তু। কিছুটা গিয়ে গাড়ি U টার্ন নিয়ে আসতে হবে। পাঞ্জিপাড়া পেরিয়ে যাবেননা যেন। বুঝতে না পারলে স্থানীয় লোকেদের জিজ্ঞেস করে নেবেন। খানের হোটেল মোটামুটি বিখ্যাত।

ছোট্ট একটি ধাবা, বেশিরভাগ কাস্টমার বিহার থেকে আগত, যেহেতু স্টেট বর্ডার খুব কাছে। লম্বু খানের বিশেষত্ব হলো, এখানে শুধু দেশি মোরগ কাটা হয়। আর রান্নার রেসিপিটি সম্পূর্ণ অন্যধরণের। সম্ভবত রান্নায় তেঁতুল ব্যবহার করা হয় বলে একটু টক টক স্বাদ হয়। রুটি দিয়ে খেতে এ কষা মাংস সত্যি অপূর্ব।

অনেক তো খাওয়াদাওয়া হলো। এবার একটা ছোট্ট জায়গা ঘুরে আজকের মতো ভ্রমণ বৃত্তান্ত শেষ করি। একটু ঘুরলে খাওয়া হজমও হয়ে যাবে বৈকি। এবারের গন্তব্যস্থল একটু এডভেঞ্চারাস, যদিও বেশি দূরে নয়, রাতে থাকবার বালাই নেই।

সিকিয়া ঝোড়া নৌকা সাফারি:

আলিপুরদুয়ার শহর থেকে মাত্র ১২ কিমি দূরে দমনপুর রেঞ্জে রয়েছে উত্তরবঙ্গের আমাজন অববাহিকা, সিকিয়া ঝোড়া । বক্সা টাইগার রিসার্ভের গহীন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে সিকিয়া ঝোড়া নদী। একে ঠিক নদী বলা যায় না যদিও, ঝোড়া মানে হলো স্ট্রিম বা রিভ্যুলেট। সিকিয়া ঝোড়ার বিশেষত্ব হলো, এটি বক্সার বিখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল এলিফ্যান্ট করিডোরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এই করিডোর দিয়ে ডুয়ার্সের হাতিরা ভুটানে যাতায়াত করে। আপনারা যারা ওয়াইল্ড লাইফ সম্মন্ধে আগ্রহ রাখেন, তারা জানবেন হাতি এক বছরে বহু মাইল হেটে চলে যায়। আসামের কাজিরাঙা থেকে ভুটান অবধি এদের যাতায়াত। বছরে একবার অন্তত এরা এই দূরত্ব হেটে পার হয়। আর হাতি সচরাচর নিজের যাতায়াতের পথ বদলায় না। বছরের পর বছর একই পথে চলে। এই কারণে এলিফ্যান্ট করিডোরগুলো হাতিদের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আলিপুরদুয়ার শহর থেকে বেরিয়ে আসাম হাই রোড ধরে উত্তর পানিয়ালগুড়িতে মাত্র ১২ কিমি দূরে রয়েছে সিকিয়া ঝোড়া নৌকা বিহার কেন্দ্র। হাইওয়ে থেকে বা দিকে ঢুকে যেতে হবে, মা গ্রিনারি ভিউ হলিডে রিসর্টের পাশ দিয়ে। একটি স্বনির্ভর নারীগোষ্ঠী এই নৌকা বিহার কেন্দ্রটি চালায়। যারা জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে থাকছেন, অথবা বক্সা, জয়ন্তী কভার করবেন বলে এসেছেন, তাদের জন্যে এখানে পৌঁছনো খুব সহজ। বিকেল ৪টা নাগাদ পৌঁছে যান নৌকা বিহার কেন্দ্রে । টিকিট কেটে বসে পড়ুন নৌকোতে। ব্যাস, আপনার আমাজন টুর শুরু। নিমেষে পৌঁছে যাবেন বক্সা টাইগার রিসার্ভের গভীরে। চাদ্দিকে ঘন জঙ্গল, গাছ গুলো ঝুঁকে পরে যেন জলের সাথে কথা বলছে, শুধু কিছু পাখির ডাক, বাতাসের ফিসফাস, আর কোনো শব্দ নেই। মাঝে মাঝে দেখতে পাবেন জলের ওপর ঝুঁকে পড়া গাছের ডালে ঝুলছে মৌচাক। দুএকটা ডাল থেকে ঝুলছে সাপ। এবার ভাবুন, ৪ কিমি এই নৌকা ভ্রমণের ঠিক মাঝটায় আপনি দেখতে পেলেন, প্রায় ৩০-৪০ টা হাতির একটি দল সিকিয়া ঝোড়া পার হচ্ছে আর আপনি ওদের থেকে ৫০ মিটার ধরে নৌকোতে বসে আছেন দম আটকে । হ্যাঁ, এমনটা হয় মাঝে মাঝে, বিশেষ করে সূর্য ডোবার মুহূর্তে। ঘাবড়াবার কিছুই নেই, চুপচাপ আওয়াজ না করে বসে থাকুন, হাতির পাল আপনার দিকে ফিরেও তাকাবে না। আপনার সাথে যারা নৌকো চালাচ্ছে, তার এসব ব্যাপারে এক্সপার্ট।

এ ছাড়াও, জল খেতে আসা বাইসনের পাল, সম্বর হরিণ পেতে পারেন। বার্ড ওয়াচারদের জন্যে স্বর্গরাজ্য এই সিকিয়া ঝোড়া। ভালো ক্যামেরা সঙ্গে রাখতে হবে, বলাই বাহুল্য। ৪ কিমি দূরত্ব কভার করতে যা থ্রিল আর এড্রিনালিন রাশ হবে, ঘন্টার পর ঘন্টা জঙ্গল সাফারিতে হয় না। আমার নিজের তোলা একটা বেশ ভালো ভিডিও ছিল, কিছুতেই ওটাকে আপলোড করতে পারলাম না। বোধহয় সাইজে বড়ো। তাই কয়েকটা ষ্টীল ছবি দিলাম।

চলুন এবার ফেরা যাক, সন্ধে হয়ে এলো। আজ একবার সাংমা দার কষা মুরগি ট্রাই করবেন নাকি?