সিলারি গাঁও (২৮-০৫-২০১৬)
সূচী অনুসারে আজ আমাদের গন্তব্য সিলারি গাঁও | শিলিগুড়ি থেকে ঘণ্টা চারেকের পথ | কিন্তু রাস্তায় চা, প্রাতরাশ ঘটিত বিলম্ব এবং গা গোলানো ও বমির মত খুচরো সমস্যা সামলে আমাদের সময় লাগল ঘণ্টা পাঁচেক |
পাহাড়ের বুক চিঁড়ে সর্পিল পাক দণ্ডি রাস্তা বেয়ে, তিস্তাকে সঙ্গী করে, নিবিড় বনানী ভেদ করে মোহময়ী যাত্রাপথ | দুপাশে শাল , সেগুন গাছের সারি | দূরে পাহাড়ের ধাপে ধাপে অসংখ্য বাক্সবাড়ি | আর পাহাড়ী পথে সুশৃঙ্খল চালকের নিয়মানুবর্তিতা |
সিলারি গাঁও পাহাড়ের কোলে ছোট্ট একটি জনপদ বা গ্রাম | শহুরে আদবকায়দা বর্জিত আন্তরিক হোমস্টের আয়োজন | কোলাহল , প্রযুক্তি নির্ভর জীবনযাত্রার বাইরে এসে প্রকৃতির সাথে নিরালা উপভোগের আদর্শ স্থান এই গ্রাম | কিন্তু "স্পট" কেন্দ্রিক মানসিকতায় "কি কি দেখার আছে" যদি ভাবনা থাকে, তবে এ জায়গা তার জন্যে নয় | যারা সেলস টার্গেটের মত লিস্টি মিলিয়ে "কোলকাতার কোন কোন দূর্গাপূজা দেখলাম" এর ছকে অসংখ্য জিনিষ দেখেবেড়াতে ভালবাসেন , এ জায়গা তাদের হতাশ করবেই |
পাহাড়, মেঘের কোলে, গাছগাছালির ছত্রছায়ায় এ এক অদ্ভুত জায়গা | ইতিউতি ঘুরে বেড়ানো আর প্রকৃতির সাথে একাত্ব হয়ে হারিয়ে যাবার অসংখ্য উপকরণ | ব্যালকনিতে বসে চায়ের কাপ হাতে, পাহাড়ের বুক জোড়া জোনাকির মত প্রচুর আলোক বিন্দু দেখেই কেটে যেতে পারে কত অলস সন্ধ্যে | কত অজানা জংলী ফুল, কত সুন্দর পাহাড়ী মানুষ |
বেড়ানো মানেই কত বিচিত্র অজানা মানুষের সাথে পরিচয় | কত রকমের মানব চরিত্রের সংস্পর্শে আসা | প্রকৃতির ফ্রেমকে মনে না বেঁধে বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরায় বেঁধে রাখার আমাদের কি আকুল প্রচেষ্টা | প্রকৃতির সুরকে না ছুঁয়ে, মোবাইলে গান/ ভিডিও তে ব্যস্ত রাখার কি ব্যর্থ আকুতি | মোবাইলে ইন্টারনেট না আসায় কি অদ্ভুত মানসিক অবসাদ | প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ব না হয়ে, লাল জল আর অন্যান্য কৃত্রিম উত্তেজনার পর শে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা | জটিলেশ্বর বাবুর কথার বলতে ইচ্ছে করে "এ কোন সকাল , রাতের চেয়েও অন্ধকার?" |
প্যারেন (গতবার ডুয়ার্সের সময় গিয়েছিলাম)এর মত সিলারি গাঁও তেও আবার আসার ইচ্ছে রইল | বিশেষত যদি ৭২ ঘণ্টার একটা আউটবাউন্ড করা যায় উদ্যোগপতিদের জন্য |
এখনও ট্যুরিস্ট এর ভীড়ে ভারাক্রান্ত নয় এখানকার পরিবেশ | প্রকৃতি এখনো অকৃপন অকৃত্রিম এই পাহাড় , মেঘের স্বর্গরাজ্যে:
পাহাড় ডাকে, মেঘের নাও,
হাত বাড়িয়ে সিলারি গাঁও |
শান্ত, নিবিড় গ্রামের স্বাদ,
প্রকৃতির এক আশীর্ব্বাদ |
জংলী ফুল, পাইন গাছ,
প্রাণের সুখ , মনের আঁচ |
জড়িয়ে দাও, ভরিয়ে দাও,
মিষ্টি মধুর সিলারি গাঁও |
সূচী অনুসারে আজ আমাদের গন্তব্য সিলারি গাঁও | শিলিগুড়ি থেকে ঘণ্টা চারেকের পথ | কিন্তু রাস্তায় চা, প্রাতরাশ ঘটিত বিলম্ব এবং গা গোলানো ও বমির মত খুচরো সমস্যা সামলে আমাদের সময় লাগল ঘণ্টা পাঁচেক |
পাহাড়ের বুক চিঁড়ে সর্পিল পাক দণ্ডি রাস্তা বেয়ে, তিস্তাকে সঙ্গী করে, নিবিড় বনানী ভেদ করে মোহময়ী যাত্রাপথ | দুপাশে শাল , সেগুন গাছের সারি | দূরে পাহাড়ের ধাপে ধাপে অসংখ্য বাক্সবাড়ি | আর পাহাড়ী পথে সুশৃঙ্খল চালকের নিয়মানুবর্তিতা |
সিলারি গাঁও পাহাড়ের কোলে ছোট্ট একটি জনপদ বা গ্রাম | শহুরে আদবকায়দা বর্জিত আন্তরিক হোমস্টের আয়োজন | কোলাহল , প্রযুক্তি নির্ভর জীবনযাত্রার বাইরে এসে প্রকৃতির সাথে নিরালা উপভোগের আদর্শ স্থান এই গ্রাম | কিন্তু "স্পট" কেন্দ্রিক মানসিকতায় "কি কি দেখার আছে" যদি ভাবনা থাকে, তবে এ জায়গা তার জন্যে নয় | যারা সেলস টার্গেটের মত লিস্টি মিলিয়ে "কোলকাতার কোন কোন দূর্গাপূজা দেখলাম" এর ছকে অসংখ্য জিনিষ দেখেবেড়াতে ভালবাসেন , এ জায়গা তাদের হতাশ করবেই |
পাহাড়, মেঘের কোলে, গাছগাছালির ছত্রছায়ায় এ এক অদ্ভুত জায়গা | ইতিউতি ঘুরে বেড়ানো আর প্রকৃতির সাথে একাত্ব হয়ে হারিয়ে যাবার অসংখ্য উপকরণ | ব্যালকনিতে বসে চায়ের কাপ হাতে, পাহাড়ের বুক জোড়া জোনাকির মত প্রচুর আলোক বিন্দু দেখেই কেটে যেতে পারে কত অলস সন্ধ্যে | কত অজানা জংলী ফুল, কত সুন্দর পাহাড়ী মানুষ |
বেড়ানো মানেই কত বিচিত্র অজানা মানুষের সাথে পরিচয় | কত রকমের মানব চরিত্রের সংস্পর্শে আসা | প্রকৃতির ফ্রেমকে মনে না বেঁধে বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরায় বেঁধে রাখার আমাদের কি আকুল প্রচেষ্টা | প্রকৃতির সুরকে না ছুঁয়ে, মোবাইলে গান/ ভিডিও তে ব্যস্ত রাখার কি ব্যর্থ আকুতি | মোবাইলে ইন্টারনেট না আসায় কি অদ্ভুত মানসিক অবসাদ | প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ব না হয়ে, লাল জল আর অন্যান্য কৃত্রিম উত্তেজনার পর শে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা | জটিলেশ্বর বাবুর কথার বলতে ইচ্ছে করে "এ কোন সকাল , রাতের চেয়েও অন্ধকার?" |
প্যারেন (গতবার ডুয়ার্সের সময় গিয়েছিলাম)এর মত সিলারি গাঁও তেও আবার আসার ইচ্ছে রইল | বিশেষত যদি ৭২ ঘণ্টার একটা আউটবাউন্ড করা যায় উদ্যোগপতিদের জন্য |
এখনও ট্যুরিস্ট এর ভীড়ে ভারাক্রান্ত নয় এখানকার পরিবেশ | প্রকৃতি এখনো অকৃপন অকৃত্রিম এই পাহাড় , মেঘের স্বর্গরাজ্যে:
পাহাড় ডাকে, মেঘের নাও,
হাত বাড়িয়ে সিলারি গাঁও |
শান্ত, নিবিড় গ্রামের স্বাদ,
প্রকৃতির এক আশীর্ব্বাদ |
জংলী ফুল, পাইন গাছ,
প্রাণের সুখ , মনের আঁচ |
জড়িয়ে দাও, ভরিয়ে দাও,
মিষ্টি মধুর সিলারি গাঁও |