পুনাখা পরিক্রমা..
পুনাখা পরিক্রমা ভুটান Punakha Bhutan Traveling  17-06-10
পুনাখা পরিক্রমা ভুটান Punakha Bhutan Traveling  17-06-11

ভূটান টুর ২০১৬।পুজো শেষেই বেরিয়ে পড়েছিলাম ভূটান ভ্রমণে,,আমাদের বিশ্বস্ত ট্রাভেল এজেন্সির সাথী হয়ে প্যাকেজড টুরে।শুরুটা সুখপ্রদ হয়নি হাসিমারায়,,,ট্রেন থেকে নামার পরে তুমুল বৃষ্টিতে কাকভেজা অবস্থা।মন মেজাজ খুবই খারাপ।জানিনা ভূটানে কিরকম আবহাওয়া পাব,,,,এই চিন্তায় মন বিভোর!

কিন্তু থিম্পু পৌঁছেই ওয়েদার দেখে মেজাজ শরিফ হয়ে গেল,,,কিন্তু থিম্পুর গল্প অন্য একদিন বলব,,,,,।আজ আসি পুনাখার কথায়।থিম্পু তে দুদিন কাটিয়ে চললাম পুনাখার উদ্দেশ্যে,,,,,যা একদা ছিল ভূটানের রাজধানী।১৯৫৫ সালে ভূটানের রাজধানী এখান থেকে থিম্পুতে সরানো হয়।

পথে দোচুলা হয়ে আমরা এলাম পুনাখায়,,,প্রায় ৭২ কিমি পথ পেরিয়ে,,,৩ ঘন্টার জার্নি সেরে।এসেই মন টা দারুন ভাল হয়ে গেল,,,,আদিগন্ত বিস্তৃত সবুজ উপত্যকা,,পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পুনাখা নদী,,,দূরের পাহাড়,,নীল আকাশ!এ যেন এক অন্য জগত!স্বর্গরাজ্য!

দুপুরের খাওয়া সেরে দিবানিদ্রা শিকেয় তুলে চললাম পুনাখা জং দেখতে,কারন এই একটি দিন ও রাত ই বরাদ্দ ছিল পুনাখার জন্য।সময় নষ্ট করলে চলত বলুন?

জং অর্থে দুর্গ।পুনাখা জেলার এই দুর্গ এখন সরকারি কার্যালয় এখানকার,,,একটি ছোট্ট বৌদ্ধ মনাস্ট্রিও আছ এর ভেতর।ফো-চু আর মো-চু নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত এই পুনাখা জং।(চু অর্থে নদী)..

শেষ বিকেলের আলোয় রাঙানো পুনাখা জং কে দেখলাম দূর থেকে দাঁড়িয়ে।সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য!চিরকাল মনের মণিকোঠায় সযত্নে সাজিয়ে রাখার মত।ফিরে এলাম হোটেলে।আমাদের হোটেল ছিল একদম নদীর পাশেই,,,সব ছবি ব্যালকনি থেকেই তোলা।সন্ধ্যাটা ব্যালকনি তে বসে কাটল দিব্যি।
পরদিন ফিরে চলা,,,,এবারের গন্তব্য পারো।কিন্তু বারান্দায় এসে আমি অবাক!পুরো পুনাখা উপত্যকা জুড়েই ঘন কুয়াশার চাদর।অদ্ভুত সে দৃশ্য!নদীর বুকেও কুয়াশা আর মেঘের মাখামাখি।

পুনাখার কিছু ছবি আজ শেয়ার করলাম,,,,আশাকরি ভাল লাগবে আপনাদের।