Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionপাতাল ভুবনেশ্বর গুহা,  উত্তরাখন্ড Emptyপাতাল ভুবনেশ্বর গুহা, উত্তরাখন্ড

more_horiz
পাতাল ভুবনেশ্বর গুহা,
উত্তরাখন্ড
[You must be registered and logged in to see this link.]

বর্তমান নৈনিতাল এর থেকে প্রায় 175 km দূরে পিথরাগড় জেলার গঙ্গোলিহাট এ অবস্থিত, খুবই গভীর গুহা 90 ফুট গভীরে মাটির নিচে অবস্থিত আর চওড়াও কম নয় প্রায় 500 ফুট।

গুহামুখ দেখে তো বেশ হতাশ, মুখ বলতে একজন মানুষ সোজা বসে ঢুকতে পারবেনা আর একটা মোটা শিকল শুধু চলে গেছে ভেতরে। বুঝতে পারছিনা কিভাবে ঢুকবো এই ছোট মুখে। শেষে guide কাম পূজারী মশাই করলেন মুশকিল আসান আর গেলেন আমাদের আগে আগে। ওনার যাওয়ার style দেখে বুঝলাম এটা শেষনাগের গুহা তাই নাগের style এই সবাইকে ঢুকতে হবে। যস্মিন দেশে যদাচার। উপায় নেই আর কিছু, তাই পা জোড়া আগে ঢুকিয়ে দিয়ে শিকল ধরে ধরে পুরো শরীরকে ঢোকাতে হবে আর স্লিপ কেটে কেটে একটু একটু করে ভেতরে ঢুকতে হবে। অগত্যা তাই। মুখে নিলাম টর্চ টা। বুঝলাম head torch থাকলে বেশ সুবিধা হত। আমার সাথে সাথেই চলেছে Sudipta। বেশ কয়েক জায়গায় মাথা ঠুকে ঠুকে শেষ অব্দি নামলাম নীচে। মনে হচ্ছিল রাস্তা যেন শেষ হয়না।

নিচে নেমে দেখলাম অবাক কান্ড। কি বিশাল লম্বা হলঘর চলেছে একে বেঁকে। আর মৃদুমন্দ হাওয়া চলছে কিন্তু মাটির এত নীচে কোন গুমোট গরম বা গন্ধ নেই।

গুহার শুরুতেই দেখলাম পাতালেশ্বরি দেবী আর তার বাহন বাঘ দেখছেন আমাদের। ভেতরে
33 কোটি মানে 33 প্রকার দেবতার সাথে মহাদেব শিবসংকর এখানে বসবাস করছেন।

এখানে একসাথে রয়েছেন রামগঙ্গা গুপ্তগঙ্গা আর সরযূ নদী, এই তিন নদীর জল আর চুনা পাথরের মিশ্রনে গঠন হয়েছে এই গুহার বিভিন্ন স্থাপত্য বলে বিজ্ঞানীদের অভিমত।

পুরান অনুসারে এই গুহা কাহিনী শুরু হচ্ছে নল দময়ন্তী র সময় থেকে। নল রাজা একবার এক হরিণের পিছু নিয়েছিলেন আর এসে পড়েছিলেন এই গুহামুখে সেখানে শেষনাগের সাথে দেখা হয়। আর উনি নিজে রাজা নলকে নিয়ে আসেন এই গুহাতে।
আর তারপরে শেষ নাগ বন্ধ করে দেন গুহামুখ বলেন যে বিশেষ বিশেষ প্রয়োজন অনুযায়ী খুলা হয়ে থাকে এই গুহামুখ তবে কলিযুগের শেষে এই গুহা খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের জন্যে। এই বর্ণনা টা দিলাম স্কন্দপুরান এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী।

এই গুহা কলিযুগে খুঁজে পেয়েছিলেন প্রথম শঙ্কর-আচার্য। ধ্যানযোগে উনি জানতে পারেন এই গুহার অবস্থান আর তারপরে উনি করেন পুনরুদ্ধার এই গুহার। আর তখন থেকেই চলে আসছে সাধারণ মানুষ এই গুহা দর্শনে।
এর মাঝে স্বর্গের রাজা ইন্দ্র এখানে একটি যজ্ঞ করেন পারিজাত গাছ এনে আর তারপরে আসেন বনবাসকালে পাণ্ডবরা আর এখানে এসে দেখেন তাদের পাশা খেলার বর্ননা এখানে রয়েছে দেখে খুব চমৎকৃত হন। আর তারপরে আসেন অর্জুনের নাতি পরীক্ষিত পুত্র রাজা জন্মেনজয়, আর করেন স্বর্পমেধ যজ্ঞ।

ইন্দ্র রাজার যজ্ঞ স্থল দেখলাম। পাশেই রয়েছে ফসিলিকৃত পারিজাত গাছ। অনতি দূরেই রয়েছে ঐরাবত হাতির 1000 পা। সাথে মুনির কমন্ডলু আর ঝোলা।

দেখলাম রাজা জন্মেনজয় এর করা সর্পমেধ যজ্ঞ স্থল। সর্পমেধ যজ্ঞ স্থল অব্দি গেছে একটি বিশাল সাপের কংকাল। লেজের দিক থেকে ক্রমশ মাথার দিকে মোটা হয়ে গেছে কঙ্কালের আর মাথা রয়েছে সর্পমেধ যজ্ঞ এর দিকে। আমরা ওই ফসিলিকৃত কঙ্কালের ওপর দিয়েই হেঁটে ঢুকলাম।

এছাড়াও দেখলাম মহাদেবের ত্রিশূল এ কেটে যাওয়া গণেশের মাথা। হ্যাঁ সেই আসল কেটে যাওয়া মাথা রয়েছে এখানেই।

রয়েছে চারর্ধাম-কেদার বদ্রি গঙ্গোত্রী জমুনত্রী। এখানেও দেওয়া হল পুজো।
এই গুহার মধ্যে রয়েছে 4 টি ছোট সুড়ঙ্গ, যা চলে গেছে 4 ধামের দিকে।

এছাড়াও আরো 4 টি দরজা রয়েছে। দরজা গুলোর নাম- ধর্মদ্বার, মোক্ষদ্বার, রনদ্বার আর পাপদ্দ্বার। পাপদ্দ্বার আর রণদ্বার দুটো বন্ধ হয়েছে রামায়ণ আর মহাভারতের যুদ্ধের ঠিক পরে পরে। বাকি দুটি দ্বার খোলা আছে এখনও। কে জানে কি মানে এর- হয়ত বোঝাচ্ছে- ধর্ম পথে থাকলেই এই ঘোর কলি যুগেই মিলবে মোক্ষ।

আর দেখলাম সেই 33প্রকার দেবতাদের নিয়ে মহাদেব আর শ্রীবিষ্ণু কে পাশে বসিয়ে প্রজাপতি ব্রহ্মার করছেন যজ্ঞ।উদ্দেশ্য জগৎ সংসার সৃষ্টি।
আমরা পুজো দিলাম এখানেও, পুরোহিত মশাই বেশ যত্ন সহকারে পুজো করলেন।

এছাড়াও রয়েছে মহাভারতের সেই বিখ্যাত পাশা খেলার দৃশ্য। কৌরব আর পাণ্ডবদের মধ্যে আর উপস্থিত ভীষ্ম দ্রণ ধৃতরাষ্ট্র সহ বাকি সভাসদ। যা দেখে চমৎকৃত হন পান্ডবরাও।

আরো রয়েছে 4 টি যুগের symbolic 4 টি ছোট ছোট পিলার, তার মধ্যে 3 টি গিয়ে লেগেছে উপরে একটা ছোট পাথরে। একটি ছোট আর সেটি কলিযুগের। এখনো অনেকটাই ছোট, বুঝলাম কলিযুগের শেষ হতে অনেকটা সময় বাকি। আর অন্তত আমার জীবদ্দশায় শেষ হচ্ছে না। (আমার খুব ইচ্ছে কলি শেষে সত্য যুগ আসছে এই চর্ম চোখে দেখে যাওয়ার-বুঝলাম সে গুড়ে বালি)।

সব ঘুরিয়ে দেখালেন পুরোহিত মশাই। ওনারা ভান্ডারী বংশীয়। আদি সংকরাচার্য্য এর সময় থেকেই এনারা এখানে পুজো করে আসছেন বংশ পরম্পরায়। বর্তমানে 20 তম বংশ চলছে। কোন রাগ ক্ষোভ দেখলাম না। দক্ষিনা নিয়ে উনি বিদায় নিলেন। তার আগে আমার প্রশ্ন একটু বেশি ছিল উনি বিরক্ত না হয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন ধৈর্য ধরে।

সব দেখা হল শেষ। আবার পৌঁছলাম সেই গুহামুখের দোর গোড়ায়। একবার আবার ভালো করে দেখে নিলাম গুহাটা যতটা যায় দৃষ্টি। শেষ বারের মত দেখে নেওয়া আর কি।
আবার সেই রাস্তা এবারে উল্টো মুখে উঠতে হচ্ছে তাই মাথা ঠুকা একটু বেশি খেলাম তবে যা দেখলাম তার জন্যে এটুকু কিছুই না। আর কথাতেই আছে- কষ্ট না করলে মিলবে না যে কেষ্ট।

সবে মিলে শেষ হল ঘোর লাগা এক দৃশ্যপট। আজীবন মনে রয়ে যাবে এই এক অসাধারণ অভিজ্ঞতার সফর। বিশ্বাস আর বিস্ময়ের এক অদ্ভুত বাস্তবায়ন।
শুধু দুঃখ রয়ে গেল একটাই ছবি তোলা নিষিদ্ধ।

#সাধারনের ছবি তোলা নিষেধ তাই দিলাম net থেকে সংগৃহীত কিছু ছবি***

descriptionপাতাল ভুবনেশ্বর গুহা,  উত্তরাখন্ড EmptyRe: পাতাল ভুবনেশ্বর গুহা, উত্তরাখন্ড

more_horiz
[You must be registered and logged in to see this link.]
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply