#Chardham
#চারধাম যাত্রা....
চারধাম যাত্রা উত্তরাখণ্ড
হিন্দু ধর্মে পূরান মতে যে ব্যাক্তি এই চারধাম যাত্রা সম্পুর্ণ করে সে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পায় ও জীবন মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ করে। চারধাম যাত্রা যুমনেত্রী থেকে শুরু হয়ে গঙ্গোত্রী, কেদেরনাথ হয়ে বদ্রীনাথে গিয়ে সম্পূর্ণতা লাভ করে।
এবার শুরু করা যাক আমাদের কথা ,
আমি, আমার শাশুড়ি মা আর আমার বর একদিন আমাদের স্বপ্নসম চারধাম যাত্রা সত্যি করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। অক্টোবর ২০১৮, আমরা কলকাতা থেকে ফ্লাইটে পৌছে গেলাম দেশের রাজধানী দিল্লী। আমার দিল্লী আই.এস.বি.টি.বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে হরিদ্বার পৌছালাম। পারি দিলাম দেবভূমি উত্তরাখন্ডে। হোটেলে পৌছে সারাদিন বিশ্রাম নিলাম। পরেরদিন যাত্রা শুরু।
প্রথম দিনের আমাদের যাত্রাপথ এরকম...
হরিদ্বার (হোটেল) - ঋষিকেশ – মুসইরি – বারকোট – জানকীচাট্টি (হোটেল) ।
পথে পাহাড়ের রানী মুসসইরি ঘুরে আমরা রাতে পৌছালাম জানকীচাট্টি। এখান থেকে হাটা পথে যমুনেত্রী আর মাত্র ৬ কিমি। ঠান্ডা রাতে আমাদের হোটেলে খুবই সুস্বাদু খাবার খেয়ে আমরা আগুন তেপে শুয়ে পড়লাম। মা খুব খুশি কাল প্রথম ধাম দর্শন হবে।
দ্বিতীয় দিন...... #যুমনেত্রী_দর্শন।
সূর্যপুত্রী, মা যমুনা যমের বোন। তাই বলা হয় যে এই ধাম দর্শন করেন তাকে মৃত্যুকালে ভগবান যম কোনও কস্ট দেন না। সকাল ৮ টায় আমরা পায়ে হেটে আর মা ঘোড়ায় পারি দিলাম যমুনেত্রী ধামের উদ্দেশ্যে। শহরের কোলাহল থেকে অনেক অনেক দূরে, প্রাকৃতিক সৌংদর্যে ভরপুর, চারিদিকে বরফের পর্বতশৃঙ্গ যেন আমাদের ডাকছিল। কলকল বয়ে চলা যমুনা নদীর ধার দিয়ে পাহাড়ের গা বেয়ে আমরা পাহাড় চড়া শুরু করলাম। প্রায় ২.৫ ঘণ্টা যাত্রা করে আমরা পৌছালাম যমুনা মায়ের মন্দিরে। যমুনেত্রী ধামের দর্শন জীবনকে ধন্য করে দিল। মায়ের পুজো দিয়ে, পুন্য জল ভরে, সূর্যকুণ্ড (গরম জলের) থেকে প্রসাদ হিসাবে ভাত গ্রহণ করে এবার ফেরার পালা। শরীর মনে বিন্দুমাত্র ক্লান্তি ছিল না। বেশ অনেকক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা আবার পাহাড়ী পথ ধরে নিচে আমাদের হোটেলে নেমে এলাম।
তৃতীয় দিন.......
জানকীচাট্টিতে সকালে আমরা শনিদেবের প্রাচীন মন্দির ও যমুনা মায়ের শীতকালীন মন্দির দর্শন করে আমরা রওনা দিলাম উত্তরকাশি। প্রায় ১২২ কিমি পথ আমরা চার ঘণ্টায় অতিক্রম করে আমরা উত্তরকাশিতে আমাদের হোটেলে গিয়ে বিশ্রাম নিলাম
চতুর্থ দিন...... #গঙ্গোত্রী_দর্শন।
গঙ্গোত্রী ধাম হল সেই জায়গা যেখানে ভগবান রামের পূর্বজ শ্রী ভগিরথ মহারাজ ৫৫০০ বছর পিতৃপুরুষের উদ্ধারের জন্য তপস্যা করায়, মা গঙ্গা পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। “গঙ্গা উতরী” তাই এই জয়গাই নাম গঙ্গোত্রী। সকাল সকাল আমরা বেরিয়ে পড়লাম প্রায় ৯৯ কিমি দূরে আমরা গঙ্গোত্রী ধামের উদ্দেশ্যে। গাড়িতে সরাসরি গঙ্গোত্রী পৌছে যাওযায় মা এর কোনও সমস্যা হল না। এখানে আমরা গঙ্গোত্রী মায়ের মন্দির, রাজা ভগিরথের তপস্যাস্তল দর্শন করে, মা গঙ্গার পুজো দিয়ে, আমরা আমাদের পূর্বজদের প্রতি শ্রধ্যা জ্যাপন করলাম। ফেরবার সময় প্রায় ৬ লিটার গঙ্গা জল সঙ্গে নিলাম। পথে অ্যাপল ভ্যেলি থেকে সবার জন্য ২০ টাকা কিলো দরে ২ বাস্ক গ্রীন অ্যাপল তুলে নিলাম।
পঞ্চম দিন........
আমরা সকালে রওনা হলাম উত্তরকাশি থেকে গুপ্তকাশী। ভাতৃহত্যার পাপ থেকে মুক্তি পেতে পাণ্ডবরা যখন মহাদেবের খোজে হিমালয় এসেছিল, তখন মহাদেব এই জায়গায় গুপ্ত ভাবে ছিলেন। তাই এই জায়গার নাম হয় গুপ্তকাশী। হোটেলে পৌছে আমরা বিশ্রাম নিলাম।
ষষ্ঠ দিন.... #কেদেরনাথ_ধাম
যমুনা ও গঙ্গার পুন্যজল নিয়ে পরবর্তি ধাম যেতে হয় কেদারনাথ ধাম। মহাদেবের ১২ জ্যোতির্লিঙ্গএর মধ্যে এটি একটি অন্যতম জ্যোতির্লিঙ্গ ও পঞ্চকেদারের এক কেদার। পুরাণের মান্যতা অনুযায়ী নর নারায়ণ ঋষির তপস্যায় খুশি হয়ে মহাদেব এখানে জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে বাস করার আশীর্বাদ দেন, এছাড়াও এও বলা হয় যে পঞ্চপাণ্ডব এই মন্দিরের নির্মাণ করেছেন।
হর হর মহাদেব। মহাদেবের নাম নিয়ে আজ কেদেরনাথ যাত্রা। যাত্রাপথ হল, গুপ্তকাশী (হোটেল) – সোনপ্রয়াগ – গৌরীকুণ্ড – কেদারনাথ অথবা গুপ্তকাশী থেকে ফাটা , ফাটা থেকে হেলিকপ্টার করে কেদারনাথ।
আমরা হেলিকপ্টার করে উঠে, আর হেটে নামার ঠিক করলাম, মায়ের জন্য দুদিকের হেলিকপ্টার বূক করলাম, ভাড়া ৩৫০০ জন প্রতি একদিকের। জীবনে প্রথমবার হেলিকপ্টার চরবার খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা হলো। আমার সীট ছিল পাইলটের ঠিক পাশে। পাখির মত পাহাড়ের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে যেতে দেখতে পেলাম কেদেরনাথের অপরূপ সৌন্দর্য আর হিমালয়ের কোলে সাপের মত রাস্তা ধরে উঠে আশা পূর্ণার্থীর ভিড়, আর তারই পাশে বয়ে চলা মন্দাকিনী নদীর জলধারা সত্যিই অসাধারণ। প্রায় ১ কিমি হেটে আমরা মন্দিরে পৌছালাম অক্টোবর মাস থাকায় খুব কম ভিড় ছিলো। সামনে কেদারনাথ মন্দির, মাথা নিজেই ঝুকে যাবে ভক্তি ভরে। নন্দী মহারাজকে প্রণাম করে মন্দিরে প্রবেশমাত্র গায়ে শিহরণ দেয়, কিছু বছর আগে যখন পুরো কেদারনাথ প্রলয়ের সম্মুক্ষিন হয়েছিল, এই মন্দির বহু প্রাণ রক্ষা করেছিল, আশ্চর্যভাবে মন্দাকিনী নদীর প্রবল বেগ ও পকৃতির ভয়ানক বিকট রূপ এই মন্দিরের বিন্দু মাত্র ক্ষতি করতে পারে নি। আমরা মহাদেবের পুজো দিয়ে মন্দিরের ঠিক পিছনে সেই ভীমশিলা দর্শন করলাম যেটি প্রলয়ের সময় পাহাড় থেকে নেমে এসে এই মন্দিরকে রক্ষা করেছিল। মাকে হেলিকপ্টারে উঠিয়ে দিয়ে আরেকবার কেদেরনাথ দর্শন করলাম, তারপর একটি দোকান থেকে ৩০টাকা দিয়ে লাঠি কিনে প্রায় ১৭ কিমি যাত্রা শুরু করলাম। সেই পথ যেন কোনও সপ্নময় সুন্দর, পাশে কেও ঘোড়ায়, কেও বা হেটে চলে যাচ্ছে। কত ছোট ছোট চায়ের দোকান, খাবার বলতে শুধু ম্যাগী আর গরম চা প্রায় ৬কিমি দূরত্বে ক্যাম্প রয়েছে, যারা একদিনে যেতে পারেন না তাদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে ৩০০-৫০০ টাকার বিনিময়ে। তবে খুব বেশি নেই। পথে মহাদেবের জয়ধ্বনি হাটার ক্লান্তি দূর করে নতুন উদদমে চলার অনুপ্রেরণা যোগায়। আমরা প্রায় ৫ ঘণ্টা হেটে বহু সুন্দর সৃতি সঙ্গে করে ফিরলাম গৌরিকুণ্ডে, সেখান থেকে ২০ টাকা দিয়ে ভ্যানে করে পৌছালাম ৫কিমি দূরে সোনপ্রয়াগে, এখান থেকে গাড়ি করে আমরা হোটেলে পৌছালাম রাত ৮ টায়, মাজখানে রাস্তায় এক জয়গাই ভূস্খলনের ফলে প্রায় ২ ঘণ্টা গাড়িতে আটকে গেছিলাম। বর্ষাকালে অনেক সময় ভূস্খলনের ফলে দিনের পর দিন আটকে থাকতে হয়।
সপ্তম দিন.... #বদ্রীনাথ_ধাম
অলকনন্দা নদীর তীরে অবসতিত বদ্রীনাথ মন্দির আদিগুরু শঙ্করাচার্য দ্বারা স্তাপিত হয়েছিল। পৌরাণিক মান্যতা অনুযায়ী এটি ভগবান বিষ্ণুর বাসস্তান। এছাড়াও পাণ্ডবের স্বর্গ যাবার এটি শেষ সিড়ি। তাই বদ্রীনাথ ধাম কে মুক্তিলাভের দ্বার রূপে গন্য করা হয়। সক্ন্দ পুরাণ অনুযায়ী কেদারনাথ দর্শনের পরেই বদ্রীনাথ দর্শন করা উচিত , নাহলে বদ্রীনাথ দর্শন নিষ্ফলে যায়।
দেবাদিদেব মহাদেবের দর্শন করে এবার বদরী নারায়নয়ের দর্শন, আমরা সকল ৭ তাই গাড়ি করে বদ্রীনাথ রওয়ানা দিলাম। রাস্তায় একটা গাড়ির ওপর বড় পাথর পড়ে থাকতে দেখলাম। প্রায় ৫ ঘণ্টায় আমরা পৌছালাম বদ্রীনাথ। ওরে বাবারে এখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা, চারিদিকে হাল্কা তুষারপাট হচ্ছিল। আমরা হোটেলে জিনিস পত্র রেখে হেটে রওনা দিলাম বদ্রীনাথ ধাম, দূর থেকে মন্দির দেখতে পেলাম, অপরূপ সুন্দর লাগছিল, এই মুহূর্ত গুলো ফ্রেমবন্দী করে আমরা অলকানন্দা নদীর ওপর ব্রিজ পার করে পৌছেগেলাম নারায়ণের বাসস্তান। ওম, নম নারায়নাও নাম নিয়ে মন্দিরের প্রাঙ্গণে মাথা ঠেকিয়ে প্রবেশ করলাম মন্দিরে। ভগবানের দর্শন করে প্রসাদ নিয়ে অনেকক্ষণ মন্দির প্রাঙ্গণে কাটালাম, মন্দির ফাকা থাকায় বহুবার দর্শন করবার সুযোগ পেলাম। এমনকি একসময় বাইরের তুষারপাত থেকে বাচতে ভগবান আমাদের তার গৃহে স্তান দিলেন। অলকনন্দা নদীর জল মাথায় দিয়ে পরিবার ও বন্ধু বান্ধব দের জন্য পার্সবর্তি দোকান থেকে আমরা কিছু স্মিতি সংগ্রহ করলাম। আমাদের চারধাম যাত্রা পূর্ণতা লাভ করায় এক মানসিক পরিপূর্ণতা প্রাপ্তির আনন্দ অনুভুত হলো, যা মানব জীবন কে ধন্য করে তোলে। সবথেকে খুশি ছিলো মা।
আমারা হোটেলে ফিরে খাবার সেরে আবার সন্ধায় টিভি খুলে খবরে দেখলাম আজকেই কেদেরনাথে ভারী তুষারপথে হেলিকপ্টার বন্ধ হয়ে গেছে। ভাগ্যিশ আমারা কাল যেতে পেরেছিলাম না হলে মায়ের খুব অসুবিধা হতো। সবই তার ইচ্ছে, তার ইচ্ছে ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না।
অষ্টম দিন......
যাত্রা পথ
বদ্রীনাথ-চামোলী-শ্রীনগর-দেব্প্র্যগ –ঋষিকেশ-হরিদ্বার
আমরা সকাল ৮ টায় বেরিয়ে পড়লাম, রাস্তায় আমরা দেখলাম পঞ্চপ্রয়াগ- বিষ্ণুপ্রয়াগ, নন্দপ্রয়াগ, কর্ণপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ ও দেবপ্রয়াগ (এখানে ভাগীরথী গঙ্গা আর অলকনণ্দা নদী মিলিত হয়ে মূল গঙ্গা রূপে প্রবাহিত হচ্ছে), এছাড়া ঋষিকেশ ঘুরে হরিদ্বার পৌছাতে পৌছাতে রাত ৮টা হল।
নবম দিন..... #হরিদ্বার :
হরিদ্বারে সন্ধে আরতি দেখে মা গঙ্গার অনুমতি নিয়ে এবার বাড়ি ফিরবার পালা আর একটা কথা না বলে পারলাম না , উত্তরাখণ্ডের প্রত্যক লোক, হোটেলের কর্মচারী থেকে ঘোড়ার মালিক, আপেল বিক্রেতা থেকে মন্দিরের পূজারী সবাই খুব ভালো বিশেষকরে পাহাড়ের লোকজন । আর আমাদের দেশ খুব সুন্দর, আর একে সুন্দর রাখার দ্বায়িত্ত আমাদের.....
________________________
#খরচ সংক্রান্ত কিছু তথ্য-
দিল্লী – হরিদ্বার - নন এসি বাস ভাড়া- ২৮০-৩৫০ টাকা
হোটেল (দুজনের জন্য ব্রেকফাস্ট ও ডিনার যুক্ত)
হরিদ্বার- এসি, ভাড়া মূলত ১০০০-১৫০০ এছাড়া কিছু আশ্রম ৩০০-৫০০
পাহাড়ের হোটেল মূলত নন এসি ও গিজার ও গরম জলের ভাল ব্যবস্থা থাকে।
জানকীচাট্টি (যমুনোত্রী) হোটেল বাহুগুনা প্যালেস - ১8০০ টাকা প্রায় – মোটামুটি কিন্তু ভালো
উত্তরকাসি-হোটেল সহজ ভিলা-১৫০০ – ভালো
গুপ্তকাশী-হোটেল মৃত্যুঞ্জয় প্যালেস –১৫০০ – ভালো
বদ্রীনাথ-হোটেল ওম কুটির-১৮০০ – ভালো
অনন্যা খরচ-
যমুনোত্রী তে, ঘোড়া- ৭৫০ ওঠা নামা একজনের, পালকি ৪০০০, পীঠহু ২০০০, হেটে-ফ্রী
গঙ্গোত্রী-কোনও অতিরিক্ত খরচ নেই।
কেদারনাথ - হেলিকপ্টার ৩৫০০ জন প্রতি একদিক, ৭০০০ দুদিক, ঘোড়া ৪০০০ ওঠা নামা, পালকি ৮০০০-১০০০০ ওঠা নামা, হেটে-ফ্রী।
বদ্রীনাথ- কোনও অতিরিক্ত খরচ নেই।
খাওয়া দাওয়া থালি পিছু ১০০ টাকা ধরে রাখুন। পাহাড়ী রাস্তাপথে ছোটো ছোটো ধাবা থেকে সুস্বাদু খাবার অবশ্যই খাবেন। জল কিনবার দরকার নেই সব জলই পরিষ্কার আমরা পাহাড়ের ঝর্ণা ও রাস্তায় পাইপ থেকে জল খেয়েছি ....
#দরকারী_জিনিস সঙ্গে রাখবেন- থার্মল ইনার, পড়ার কাপড়, ফ্লিস জ্যাকেট, মোটা জ্যাকেট, টর্চ, মাথার টুপি, হাতের গ্লাভস, মোজা, রেনকোট বা ছাতা, বিস্কুট ও চকলেট, টাকা ও মনভরা ভক্তি....
#মোবাইল_সিম- এয়ারটেল খুব ভাল, আমরা কেদারনাথে ভিডিও কলিং করেছি।
#গাড়ি- সুইফ্ট ডিজায়র(৪ জনের) ২২০০০-২৫০০০ টাকা।
আবার হয়ত কোনদিন ফিরব তোমার দারে, জায়গা দিও মোরে॥ এই আশা নিয়ে আমার লেখা শেষ করলাম.......ধন্যবাদ।
সবাই খুব ভালো থাকবেন ... সুস্থ থাকবেন.... আর অবশ্যই ঘুরতে থাকবেন.... জীবনটা খুব ছোটো.... তাই...
#Chardham
#chardhamyatra
#Uttarakhand #Haridwar #Mussoorie #Rishikesh #Yamunotri #Gangotri #Kedarnath #Badrinath
#travelogue_competition_2019
#চারধাম যাত্রা....
চারধাম যাত্রা উত্তরাখণ্ড
হিন্দু ধর্মে পূরান মতে যে ব্যাক্তি এই চারধাম যাত্রা সম্পুর্ণ করে সে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পায় ও জীবন মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ করে। চারধাম যাত্রা যুমনেত্রী থেকে শুরু হয়ে গঙ্গোত্রী, কেদেরনাথ হয়ে বদ্রীনাথে গিয়ে সম্পূর্ণতা লাভ করে।
এবার শুরু করা যাক আমাদের কথা ,
আমি, আমার শাশুড়ি মা আর আমার বর একদিন আমাদের স্বপ্নসম চারধাম যাত্রা সত্যি করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। অক্টোবর ২০১৮, আমরা কলকাতা থেকে ফ্লাইটে পৌছে গেলাম দেশের রাজধানী দিল্লী। আমার দিল্লী আই.এস.বি.টি.বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে হরিদ্বার পৌছালাম। পারি দিলাম দেবভূমি উত্তরাখন্ডে। হোটেলে পৌছে সারাদিন বিশ্রাম নিলাম। পরেরদিন যাত্রা শুরু।
প্রথম দিনের আমাদের যাত্রাপথ এরকম...
হরিদ্বার (হোটেল) - ঋষিকেশ – মুসইরি – বারকোট – জানকীচাট্টি (হোটেল) ।
পথে পাহাড়ের রানী মুসসইরি ঘুরে আমরা রাতে পৌছালাম জানকীচাট্টি। এখান থেকে হাটা পথে যমুনেত্রী আর মাত্র ৬ কিমি। ঠান্ডা রাতে আমাদের হোটেলে খুবই সুস্বাদু খাবার খেয়ে আমরা আগুন তেপে শুয়ে পড়লাম। মা খুব খুশি কাল প্রথম ধাম দর্শন হবে।
দ্বিতীয় দিন...... #যুমনেত্রী_দর্শন।
সূর্যপুত্রী, মা যমুনা যমের বোন। তাই বলা হয় যে এই ধাম দর্শন করেন তাকে মৃত্যুকালে ভগবান যম কোনও কস্ট দেন না। সকাল ৮ টায় আমরা পায়ে হেটে আর মা ঘোড়ায় পারি দিলাম যমুনেত্রী ধামের উদ্দেশ্যে। শহরের কোলাহল থেকে অনেক অনেক দূরে, প্রাকৃতিক সৌংদর্যে ভরপুর, চারিদিকে বরফের পর্বতশৃঙ্গ যেন আমাদের ডাকছিল। কলকল বয়ে চলা যমুনা নদীর ধার দিয়ে পাহাড়ের গা বেয়ে আমরা পাহাড় চড়া শুরু করলাম। প্রায় ২.৫ ঘণ্টা যাত্রা করে আমরা পৌছালাম যমুনা মায়ের মন্দিরে। যমুনেত্রী ধামের দর্শন জীবনকে ধন্য করে দিল। মায়ের পুজো দিয়ে, পুন্য জল ভরে, সূর্যকুণ্ড (গরম জলের) থেকে প্রসাদ হিসাবে ভাত গ্রহণ করে এবার ফেরার পালা। শরীর মনে বিন্দুমাত্র ক্লান্তি ছিল না। বেশ অনেকক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা আবার পাহাড়ী পথ ধরে নিচে আমাদের হোটেলে নেমে এলাম।
তৃতীয় দিন.......
জানকীচাট্টিতে সকালে আমরা শনিদেবের প্রাচীন মন্দির ও যমুনা মায়ের শীতকালীন মন্দির দর্শন করে আমরা রওনা দিলাম উত্তরকাশি। প্রায় ১২২ কিমি পথ আমরা চার ঘণ্টায় অতিক্রম করে আমরা উত্তরকাশিতে আমাদের হোটেলে গিয়ে বিশ্রাম নিলাম
চতুর্থ দিন...... #গঙ্গোত্রী_দর্শন।
গঙ্গোত্রী ধাম হল সেই জায়গা যেখানে ভগবান রামের পূর্বজ শ্রী ভগিরথ মহারাজ ৫৫০০ বছর পিতৃপুরুষের উদ্ধারের জন্য তপস্যা করায়, মা গঙ্গা পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। “গঙ্গা উতরী” তাই এই জয়গাই নাম গঙ্গোত্রী। সকাল সকাল আমরা বেরিয়ে পড়লাম প্রায় ৯৯ কিমি দূরে আমরা গঙ্গোত্রী ধামের উদ্দেশ্যে। গাড়িতে সরাসরি গঙ্গোত্রী পৌছে যাওযায় মা এর কোনও সমস্যা হল না। এখানে আমরা গঙ্গোত্রী মায়ের মন্দির, রাজা ভগিরথের তপস্যাস্তল দর্শন করে, মা গঙ্গার পুজো দিয়ে, আমরা আমাদের পূর্বজদের প্রতি শ্রধ্যা জ্যাপন করলাম। ফেরবার সময় প্রায় ৬ লিটার গঙ্গা জল সঙ্গে নিলাম। পথে অ্যাপল ভ্যেলি থেকে সবার জন্য ২০ টাকা কিলো দরে ২ বাস্ক গ্রীন অ্যাপল তুলে নিলাম।
পঞ্চম দিন........
আমরা সকালে রওনা হলাম উত্তরকাশি থেকে গুপ্তকাশী। ভাতৃহত্যার পাপ থেকে মুক্তি পেতে পাণ্ডবরা যখন মহাদেবের খোজে হিমালয় এসেছিল, তখন মহাদেব এই জায়গায় গুপ্ত ভাবে ছিলেন। তাই এই জায়গার নাম হয় গুপ্তকাশী। হোটেলে পৌছে আমরা বিশ্রাম নিলাম।
ষষ্ঠ দিন.... #কেদেরনাথ_ধাম
যমুনা ও গঙ্গার পুন্যজল নিয়ে পরবর্তি ধাম যেতে হয় কেদারনাথ ধাম। মহাদেবের ১২ জ্যোতির্লিঙ্গএর মধ্যে এটি একটি অন্যতম জ্যোতির্লিঙ্গ ও পঞ্চকেদারের এক কেদার। পুরাণের মান্যতা অনুযায়ী নর নারায়ণ ঋষির তপস্যায় খুশি হয়ে মহাদেব এখানে জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে বাস করার আশীর্বাদ দেন, এছাড়াও এও বলা হয় যে পঞ্চপাণ্ডব এই মন্দিরের নির্মাণ করেছেন।
হর হর মহাদেব। মহাদেবের নাম নিয়ে আজ কেদেরনাথ যাত্রা। যাত্রাপথ হল, গুপ্তকাশী (হোটেল) – সোনপ্রয়াগ – গৌরীকুণ্ড – কেদারনাথ অথবা গুপ্তকাশী থেকে ফাটা , ফাটা থেকে হেলিকপ্টার করে কেদারনাথ।
আমরা হেলিকপ্টার করে উঠে, আর হেটে নামার ঠিক করলাম, মায়ের জন্য দুদিকের হেলিকপ্টার বূক করলাম, ভাড়া ৩৫০০ জন প্রতি একদিকের। জীবনে প্রথমবার হেলিকপ্টার চরবার খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা হলো। আমার সীট ছিল পাইলটের ঠিক পাশে। পাখির মত পাহাড়ের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে যেতে দেখতে পেলাম কেদেরনাথের অপরূপ সৌন্দর্য আর হিমালয়ের কোলে সাপের মত রাস্তা ধরে উঠে আশা পূর্ণার্থীর ভিড়, আর তারই পাশে বয়ে চলা মন্দাকিনী নদীর জলধারা সত্যিই অসাধারণ। প্রায় ১ কিমি হেটে আমরা মন্দিরে পৌছালাম অক্টোবর মাস থাকায় খুব কম ভিড় ছিলো। সামনে কেদারনাথ মন্দির, মাথা নিজেই ঝুকে যাবে ভক্তি ভরে। নন্দী মহারাজকে প্রণাম করে মন্দিরে প্রবেশমাত্র গায়ে শিহরণ দেয়, কিছু বছর আগে যখন পুরো কেদারনাথ প্রলয়ের সম্মুক্ষিন হয়েছিল, এই মন্দির বহু প্রাণ রক্ষা করেছিল, আশ্চর্যভাবে মন্দাকিনী নদীর প্রবল বেগ ও পকৃতির ভয়ানক বিকট রূপ এই মন্দিরের বিন্দু মাত্র ক্ষতি করতে পারে নি। আমরা মহাদেবের পুজো দিয়ে মন্দিরের ঠিক পিছনে সেই ভীমশিলা দর্শন করলাম যেটি প্রলয়ের সময় পাহাড় থেকে নেমে এসে এই মন্দিরকে রক্ষা করেছিল। মাকে হেলিকপ্টারে উঠিয়ে দিয়ে আরেকবার কেদেরনাথ দর্শন করলাম, তারপর একটি দোকান থেকে ৩০টাকা দিয়ে লাঠি কিনে প্রায় ১৭ কিমি যাত্রা শুরু করলাম। সেই পথ যেন কোনও সপ্নময় সুন্দর, পাশে কেও ঘোড়ায়, কেও বা হেটে চলে যাচ্ছে। কত ছোট ছোট চায়ের দোকান, খাবার বলতে শুধু ম্যাগী আর গরম চা প্রায় ৬কিমি দূরত্বে ক্যাম্প রয়েছে, যারা একদিনে যেতে পারেন না তাদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে ৩০০-৫০০ টাকার বিনিময়ে। তবে খুব বেশি নেই। পথে মহাদেবের জয়ধ্বনি হাটার ক্লান্তি দূর করে নতুন উদদমে চলার অনুপ্রেরণা যোগায়। আমরা প্রায় ৫ ঘণ্টা হেটে বহু সুন্দর সৃতি সঙ্গে করে ফিরলাম গৌরিকুণ্ডে, সেখান থেকে ২০ টাকা দিয়ে ভ্যানে করে পৌছালাম ৫কিমি দূরে সোনপ্রয়াগে, এখান থেকে গাড়ি করে আমরা হোটেলে পৌছালাম রাত ৮ টায়, মাজখানে রাস্তায় এক জয়গাই ভূস্খলনের ফলে প্রায় ২ ঘণ্টা গাড়িতে আটকে গেছিলাম। বর্ষাকালে অনেক সময় ভূস্খলনের ফলে দিনের পর দিন আটকে থাকতে হয়।
সপ্তম দিন.... #বদ্রীনাথ_ধাম
অলকনন্দা নদীর তীরে অবসতিত বদ্রীনাথ মন্দির আদিগুরু শঙ্করাচার্য দ্বারা স্তাপিত হয়েছিল। পৌরাণিক মান্যতা অনুযায়ী এটি ভগবান বিষ্ণুর বাসস্তান। এছাড়াও পাণ্ডবের স্বর্গ যাবার এটি শেষ সিড়ি। তাই বদ্রীনাথ ধাম কে মুক্তিলাভের দ্বার রূপে গন্য করা হয়। সক্ন্দ পুরাণ অনুযায়ী কেদারনাথ দর্শনের পরেই বদ্রীনাথ দর্শন করা উচিত , নাহলে বদ্রীনাথ দর্শন নিষ্ফলে যায়।
দেবাদিদেব মহাদেবের দর্শন করে এবার বদরী নারায়নয়ের দর্শন, আমরা সকল ৭ তাই গাড়ি করে বদ্রীনাথ রওয়ানা দিলাম। রাস্তায় একটা গাড়ির ওপর বড় পাথর পড়ে থাকতে দেখলাম। প্রায় ৫ ঘণ্টায় আমরা পৌছালাম বদ্রীনাথ। ওরে বাবারে এখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা, চারিদিকে হাল্কা তুষারপাট হচ্ছিল। আমরা হোটেলে জিনিস পত্র রেখে হেটে রওনা দিলাম বদ্রীনাথ ধাম, দূর থেকে মন্দির দেখতে পেলাম, অপরূপ সুন্দর লাগছিল, এই মুহূর্ত গুলো ফ্রেমবন্দী করে আমরা অলকানন্দা নদীর ওপর ব্রিজ পার করে পৌছেগেলাম নারায়ণের বাসস্তান। ওম, নম নারায়নাও নাম নিয়ে মন্দিরের প্রাঙ্গণে মাথা ঠেকিয়ে প্রবেশ করলাম মন্দিরে। ভগবানের দর্শন করে প্রসাদ নিয়ে অনেকক্ষণ মন্দির প্রাঙ্গণে কাটালাম, মন্দির ফাকা থাকায় বহুবার দর্শন করবার সুযোগ পেলাম। এমনকি একসময় বাইরের তুষারপাত থেকে বাচতে ভগবান আমাদের তার গৃহে স্তান দিলেন। অলকনন্দা নদীর জল মাথায় দিয়ে পরিবার ও বন্ধু বান্ধব দের জন্য পার্সবর্তি দোকান থেকে আমরা কিছু স্মিতি সংগ্রহ করলাম। আমাদের চারধাম যাত্রা পূর্ণতা লাভ করায় এক মানসিক পরিপূর্ণতা প্রাপ্তির আনন্দ অনুভুত হলো, যা মানব জীবন কে ধন্য করে তোলে। সবথেকে খুশি ছিলো মা।
আমারা হোটেলে ফিরে খাবার সেরে আবার সন্ধায় টিভি খুলে খবরে দেখলাম আজকেই কেদেরনাথে ভারী তুষারপথে হেলিকপ্টার বন্ধ হয়ে গেছে। ভাগ্যিশ আমারা কাল যেতে পেরেছিলাম না হলে মায়ের খুব অসুবিধা হতো। সবই তার ইচ্ছে, তার ইচ্ছে ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না।
অষ্টম দিন......
যাত্রা পথ
বদ্রীনাথ-চামোলী-শ্রীনগর-দেব্প্র্যগ –ঋষিকেশ-হরিদ্বার
আমরা সকাল ৮ টায় বেরিয়ে পড়লাম, রাস্তায় আমরা দেখলাম পঞ্চপ্রয়াগ- বিষ্ণুপ্রয়াগ, নন্দপ্রয়াগ, কর্ণপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ ও দেবপ্রয়াগ (এখানে ভাগীরথী গঙ্গা আর অলকনণ্দা নদী মিলিত হয়ে মূল গঙ্গা রূপে প্রবাহিত হচ্ছে), এছাড়া ঋষিকেশ ঘুরে হরিদ্বার পৌছাতে পৌছাতে রাত ৮টা হল।
নবম দিন..... #হরিদ্বার :
হরিদ্বারে সন্ধে আরতি দেখে মা গঙ্গার অনুমতি নিয়ে এবার বাড়ি ফিরবার পালা আর একটা কথা না বলে পারলাম না , উত্তরাখণ্ডের প্রত্যক লোক, হোটেলের কর্মচারী থেকে ঘোড়ার মালিক, আপেল বিক্রেতা থেকে মন্দিরের পূজারী সবাই খুব ভালো বিশেষকরে পাহাড়ের লোকজন । আর আমাদের দেশ খুব সুন্দর, আর একে সুন্দর রাখার দ্বায়িত্ত আমাদের.....
________________________
#খরচ সংক্রান্ত কিছু তথ্য-
দিল্লী – হরিদ্বার - নন এসি বাস ভাড়া- ২৮০-৩৫০ টাকা
হোটেল (দুজনের জন্য ব্রেকফাস্ট ও ডিনার যুক্ত)
হরিদ্বার- এসি, ভাড়া মূলত ১০০০-১৫০০ এছাড়া কিছু আশ্রম ৩০০-৫০০
পাহাড়ের হোটেল মূলত নন এসি ও গিজার ও গরম জলের ভাল ব্যবস্থা থাকে।
জানকীচাট্টি (যমুনোত্রী) হোটেল বাহুগুনা প্যালেস - ১8০০ টাকা প্রায় – মোটামুটি কিন্তু ভালো
উত্তরকাসি-হোটেল সহজ ভিলা-১৫০০ – ভালো
গুপ্তকাশী-হোটেল মৃত্যুঞ্জয় প্যালেস –১৫০০ – ভালো
বদ্রীনাথ-হোটেল ওম কুটির-১৮০০ – ভালো
অনন্যা খরচ-
যমুনোত্রী তে, ঘোড়া- ৭৫০ ওঠা নামা একজনের, পালকি ৪০০০, পীঠহু ২০০০, হেটে-ফ্রী
গঙ্গোত্রী-কোনও অতিরিক্ত খরচ নেই।
কেদারনাথ - হেলিকপ্টার ৩৫০০ জন প্রতি একদিক, ৭০০০ দুদিক, ঘোড়া ৪০০০ ওঠা নামা, পালকি ৮০০০-১০০০০ ওঠা নামা, হেটে-ফ্রী।
বদ্রীনাথ- কোনও অতিরিক্ত খরচ নেই।
খাওয়া দাওয়া থালি পিছু ১০০ টাকা ধরে রাখুন। পাহাড়ী রাস্তাপথে ছোটো ছোটো ধাবা থেকে সুস্বাদু খাবার অবশ্যই খাবেন। জল কিনবার দরকার নেই সব জলই পরিষ্কার আমরা পাহাড়ের ঝর্ণা ও রাস্তায় পাইপ থেকে জল খেয়েছি ....
#দরকারী_জিনিস সঙ্গে রাখবেন- থার্মল ইনার, পড়ার কাপড়, ফ্লিস জ্যাকেট, মোটা জ্যাকেট, টর্চ, মাথার টুপি, হাতের গ্লাভস, মোজা, রেনকোট বা ছাতা, বিস্কুট ও চকলেট, টাকা ও মনভরা ভক্তি....
#মোবাইল_সিম- এয়ারটেল খুব ভাল, আমরা কেদারনাথে ভিডিও কলিং করেছি।
#গাড়ি- সুইফ্ট ডিজায়র(৪ জনের) ২২০০০-২৫০০০ টাকা।
আবার হয়ত কোনদিন ফিরব তোমার দারে, জায়গা দিও মোরে॥ এই আশা নিয়ে আমার লেখা শেষ করলাম.......ধন্যবাদ।
সবাই খুব ভালো থাকবেন ... সুস্থ থাকবেন.... আর অবশ্যই ঘুরতে থাকবেন.... জীবনটা খুব ছোটো.... তাই...
#Chardham
#chardhamyatra
#Uttarakhand #Haridwar #Mussoorie #Rishikesh #Yamunotri #Gangotri #Kedarnath #Badrinath
#travelogue_competition_2019