Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionChardham চারধাম যাত্রা.. EmptyChardham চারধাম যাত্রা..

more_horiz
#Chardham
#চারধাম যাত্রা.... 🙏

চারধাম যাত্রা উত্তরাখণ্ড

হিন্দু ধর্মে পূরান মতে যে ব্যাক্তি এই চারধাম যাত্রা সম্পুর্ণ করে সে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পায় ও জীবন মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ করে। চারধাম যাত্রা যুমনেত্রী থেকে শুরু হয়ে গঙ্গোত্রী, কেদেরনাথ হয়ে বদ্রীনাথে গিয়ে সম্পূর্ণতা লাভ করে।
এবার শুরু করা যাক আমাদের কথা ,
আমি, আমার শাশুড়ি মা আর আমার বর একদিন আমাদের স্বপ্নসম চারধাম যাত্রা সত্যি করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। অক্টোবর ২০১৮, আমরা কলকাতা থেকে ফ্লাইটে পৌছে গেলাম দেশের রাজধানী দিল্লী। আমার দিল্লী আই.এস.বি.টি.বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে হরিদ্বার পৌছালাম। পারি দিলাম দেবভূমি উত্তরাখন্ডে। হোটেলে পৌছে সারাদিন বিশ্রাম নিলাম। পরেরদিন যাত্রা শুরু।

▪প্রথম দিনের আমাদের যাত্রাপথ এরকম...
হরিদ্বার (হোটেল) - ঋষিকেশ – মুসইরি – বারকোট – জানকীচাট্টি (হোটেল) ।
পথে পাহাড়ের রানী মুসসইরি ঘুরে আমরা রাতে পৌছালাম জানকীচাট্টি। এখান থেকে হাটা পথে যমুনেত্রী আর মাত্র ৬ কিমি। ঠান্ডা রাতে আমাদের হোটেলে খুবই সুস্বাদু খাবার খেয়ে আমরা আগুন তেপে শুয়ে পড়লাম। মা খুব খুশি কাল প্রথম ধাম দর্শন হবে।

▪দ্বিতীয় দিন...... #যুমনেত্রী_দর্শন।
সূর্যপুত্রী, মা যমুনা যমের বোন। তাই বলা হয় যে এই ধাম দর্শন করেন তাকে মৃত্যুকালে ভগবান যম কোনও কস্ট দেন না। সকাল ৮ টায় আমরা পায়ে হেটে আর মা ঘোড়ায় পারি দিলাম যমুনেত্রী ধামের উদ্দেশ্যে। শহরের কোলাহল থেকে অনেক অনেক দূরে, প্রাকৃতিক সৌংদর্যে ভরপুর, চারিদিকে বরফের পর্বতশৃঙ্গ যেন আমাদের ডাকছিল। কলকল বয়ে চলা যমুনা নদীর ধার দিয়ে পাহাড়ের গা বেয়ে আমরা পাহাড় চড়া শুরু করলাম। প্রায় ২.৫ ঘণ্টা যাত্রা করে আমরা পৌছালাম যমুনা মায়ের মন্দিরে। যমুনেত্রী ধামের দর্শন জীবনকে ধন্য করে দিল। মায়ের পুজো দিয়ে, পুন্য জল ভরে, সূর্যকুণ্ড (গরম জলের) থেকে প্রসাদ হিসাবে ভাত গ্রহণ করে এবার ফেরার পালা। শরীর মনে বিন্দুমাত্র ক্লান্তি ছিল না। বেশ অনেকক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা আবার পাহাড়ী পথ ধরে নিচে আমাদের হোটেলে নেমে এলাম।

▪তৃতীয় দিন.......
জানকীচাট্টিতে সকালে আমরা শনিদেবের প্রাচীন মন্দির ও যমুনা মায়ের শীতকালীন মন্দির দর্শন করে আমরা রওনা দিলাম উত্তরকাশি। প্রায় ১২২ কিমি পথ আমরা চার ঘণ্টায় অতিক্রম করে আমরা উত্তরকাশিতে আমাদের হোটেলে গিয়ে বিশ্রাম নিলাম

▪চতুর্থ দিন...... #গঙ্গোত্রী_দর্শন।
গঙ্গোত্রী ধাম হল সেই জায়গা যেখানে ভগবান রামের পূর্বজ শ্রী ভগিরথ মহারাজ ৫৫০০ বছর পিতৃপুরুষের উদ্ধারের জন্য তপস্যা করায়, মা গঙ্গা পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। “গঙ্গা উতরী” তাই এই জয়গাই নাম গঙ্গোত্রী। সকাল সকাল আমরা বেরিয়ে পড়লাম প্রায় ৯৯ কিমি দূরে আমরা গঙ্গোত্রী ধামের উদ্দেশ্যে। গাড়িতে সরাসরি গঙ্গোত্রী পৌছে যাওযায় মা এর কোনও সমস্যা হল না। এখানে আমরা গঙ্গোত্রী মায়ের মন্দির, রাজা ভগিরথের তপস্যাস্তল দর্শন করে, মা গঙ্গার পুজো দিয়ে, আমরা আমাদের পূর্বজদের প্রতি শ্রধ্যা জ্যাপন করলাম। ফেরবার সময় প্রায় ৬ লিটার গঙ্গা জল সঙ্গে নিলাম। পথে অ্যাপল ভ্যেলি থেকে সবার জন্য ২০ টাকা কিলো দরে ২ বাস্ক গ্রীন অ্যাপল তুলে নিলাম।

▪পঞ্চম দিন........
আমরা সকালে রওনা হলাম উত্তরকাশি থেকে গুপ্তকাশী। ভাতৃহত্যার পাপ থেকে মুক্তি পেতে পাণ্ডবরা যখন মহাদেবের খোজে হিমালয় এসেছিল, তখন মহাদেব এই জায়গায় গুপ্ত ভাবে ছিলেন। তাই এই জায়গার নাম হয় গুপ্তকাশী। হোটেলে পৌছে আমরা বিশ্রাম নিলাম।
▪ষষ্ঠ দিন.... #কেদেরনাথ_ধাম
যমুনা ও গঙ্গার পুন্যজল নিয়ে পরবর্তি ধাম যেতে হয় কেদারনাথ ধাম। মহাদেবের ১২ জ্যোতির্লিঙ্গএর মধ্যে এটি একটি অন্যতম জ্যোতির্লিঙ্গ ও পঞ্চকেদারের এক কেদার। পুরাণের মান্যতা অনুযায়ী নর নারায়ণ ঋষির তপস্যায় খুশি হয়ে মহাদেব এখানে জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে বাস করার আশীর্বাদ দেন, এছাড়াও এও বলা হয় যে পঞ্চপাণ্ডব এই মন্দিরের নির্মাণ করেছেন।
হর হর মহাদেব। মহাদেবের নাম নিয়ে আজ কেদেরনাথ যাত্রা। যাত্রাপথ হল, গুপ্তকাশী (হোটেল) – সোনপ্রয়াগ – গৌরীকুণ্ড – কেদারনাথ অথবা গুপ্তকাশী থেকে ফাটা , ফাটা থেকে হেলিকপ্টার করে কেদারনাথ।
আমরা হেলিকপ্টার করে উঠে, আর হেটে নামার ঠিক করলাম, মায়ের জন্য দুদিকের হেলিকপ্টার বূক করলাম, ভাড়া ৩৫০০ জন প্রতি একদিকের। জীবনে প্রথমবার হেলিকপ্টার চরবার খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা হলো। আমার সীট ছিল পাইলটের ঠিক পাশে। পাখির মত পাহাড়ের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে যেতে দেখতে পেলাম কেদেরনাথের অপরূপ সৌন্দর্য আর হিমালয়ের কোলে সাপের মত রাস্তা ধরে উঠে আশা পূর্ণার্থীর ভিড়, আর তারই পাশে বয়ে চলা মন্দাকিনী নদীর জলধারা সত্যিই অসাধারণ। প্রায় ১ কিমি হেটে আমরা মন্দিরে পৌছালাম অক্টোবর মাস থাকায় খুব কম ভিড় ছিলো। সামনে কেদারনাথ মন্দির, মাথা নিজেই ঝুকে যাবে ভক্তি ভরে। নন্দী মহারাজকে প্রণাম করে মন্দিরে প্রবেশমাত্র গায়ে শিহরণ দেয়, কিছু বছর আগে যখন পুরো কেদারনাথ প্রলয়ের সম্মুক্ষিন হয়েছিল, এই মন্দির বহু প্রাণ রক্ষা করেছিল, আশ্চর্যভাবে মন্দাকিনী নদীর প্রবল বেগ ও পকৃতির ভয়ানক বিকট রূপ এই মন্দিরের বিন্দু মাত্র ক্ষতি করতে পারে নি। আমরা মহাদেবের পুজো দিয়ে মন্দিরের ঠিক পিছনে সেই ভীমশিলা দর্শন করলাম যেটি প্রলয়ের সময় পাহাড় থেকে নেমে এসে এই মন্দিরকে রক্ষা করেছিল। মাকে হেলিকপ্টারে উঠিয়ে দিয়ে আরেকবার কেদেরনাথ দর্শন করলাম, তারপর একটি দোকান থেকে ৩০টাকা দিয়ে লাঠি কিনে প্রায় ১৭ কিমি যাত্রা শুরু করলাম। সেই পথ যেন কোনও সপ্নময় সুন্দর, পাশে কেও ঘোড়ায়, কেও বা হেটে চলে যাচ্ছে। কত ছোট ছোট চায়ের দোকান, খাবার বলতে শুধু ম্যাগী আর গরম চা প্রায় ৬কিমি দূরত্বে ক্যাম্প রয়েছে, যারা একদিনে যেতে পারেন না তাদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে ৩০০-৫০০ টাকার বিনিময়ে। তবে খুব বেশি নেই। পথে মহাদেবের জয়ধ্বনি হাটার ক্লান্তি দূর করে নতুন উদদমে চলার অনুপ্রেরণা যোগায়। আমরা প্রায় ৫ ঘণ্টা হেটে বহু সুন্দর সৃতি সঙ্গে করে ফিরলাম গৌরিকুণ্ডে, সেখান থেকে ২০ টাকা দিয়ে ভ্যানে করে পৌছালাম ৫কিমি দূরে সোনপ্রয়াগে, এখান থেকে গাড়ি করে আমরা হোটেলে পৌছালাম রাত ৮ টায়, মাজখানে রাস্তায় এক জয়গাই ভূস্খলনের ফলে প্রায় ২ ঘণ্টা গাড়িতে আটকে গেছিলাম। বর্ষাকালে অনেক সময় ভূস্খলনের ফলে দিনের পর দিন আটকে থাকতে হয়।

▪সপ্তম দিন.... #বদ্রীনাথ_ধাম
অলকনন্দা নদীর তীরে অবসতিত বদ্রীনাথ মন্দির আদিগুরু শঙ্করাচার্য দ্বারা স্তাপিত হয়েছিল। পৌরাণিক মান্যতা অনুযায়ী এটি ভগবান বিষ্ণুর বাসস্তান। এছাড়াও পাণ্ডবের স্বর্গ যাবার এটি শেষ সিড়ি। তাই বদ্রীনাথ ধাম কে মুক্তিলাভের দ্বার রূপে গন্য করা হয়। সক্ন্দ পুরাণ অনুযায়ী কেদারনাথ দর্শনের পরেই বদ্রীনাথ দর্শন করা উচিত , নাহলে বদ্রীনাথ দর্শন নিষ্ফলে যায়।
দেবাদিদেব মহাদেবের দর্শন করে এবার বদরী নারায়নয়ের দর্শন, আমরা সকল ৭ তাই গাড়ি করে বদ্রীনাথ রওয়ানা দিলাম। রাস্তায় একটা গাড়ির ওপর বড় পাথর পড়ে থাকতে দেখলাম। প্রায় ৫ ঘণ্টায় আমরা পৌছালাম বদ্রীনাথ। ওরে বাবারে এখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা, চারিদিকে হাল্কা তুষারপাট হচ্ছিল। আমরা হোটেলে জিনিস পত্র রেখে হেটে রওনা দিলাম বদ্রীনাথ ধাম, দূর থেকে মন্দির দেখতে পেলাম, অপরূপ সুন্দর লাগছিল, এই মুহূর্ত গুলো ফ্রেমবন্দী করে আমরা অলকানন্দা নদীর ওপর ব্রিজ পার করে পৌছেগেলাম নারায়ণের বাসস্তান। ওম, নম নারায়নাও নাম নিয়ে মন্দিরের প্রাঙ্গণে মাথা ঠেকিয়ে প্রবেশ করলাম মন্দিরে। ভগবানের দর্শন করে প্রসাদ নিয়ে অনেকক্ষণ মন্দির প্রাঙ্গণে কাটালাম, মন্দির ফাকা থাকায় বহুবার দর্শন করবার সুযোগ পেলাম। এমনকি একসময় বাইরের তুষারপাত থেকে বাচতে ভগবান আমাদের তার গৃহে স্তান দিলেন। অলকনন্দা নদীর জল মাথায় দিয়ে পরিবার ও বন্ধু বান্ধব দের জন্য পার্সবর্তি দোকান থেকে আমরা কিছু স্মিতি সংগ্রহ করলাম। আমাদের চারধাম যাত্রা পূর্ণতা লাভ করায় এক মানসিক পরিপূর্ণতা প্রাপ্তির আনন্দ অনুভুত হলো, যা মানব জীবন কে ধন্য করে তোলে। সবথেকে খুশি ছিলো মা।
আমারা হোটেলে ফিরে খাবার সেরে আবার সন্ধায় টিভি খুলে খবরে দেখলাম আজকেই কেদেরনাথে ভারী তুষারপথে হেলিকপ্টার বন্ধ হয়ে গেছে। ভাগ্যিশ আমারা কাল যেতে পেরেছিলাম না হলে মায়ের খুব অসুবিধা হতো। সবই তার ইচ্ছে, তার ইচ্ছে ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না।

▪অষ্টম দিন......
যাত্রা পথ
বদ্রীনাথ-চামোলী-শ্রীনগর-দেব্প্র্যগ –ঋষিকেশ-হরিদ্বার
আমরা সকাল ৮ টায় বেরিয়ে পড়লাম, রাস্তায় আমরা দেখলাম পঞ্চপ্রয়াগ- বিষ্ণুপ্রয়াগ, নন্দপ্রয়াগ, কর্ণপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ ও দেবপ্রয়াগ (এখানে ভাগীরথী গঙ্গা আর অলকনণ্দা নদী মিলিত হয়ে মূল গঙ্গা রূপে প্রবাহিত হচ্ছে), এছাড়া ঋষিকেশ ঘুরে হরিদ্বার পৌছাতে পৌছাতে রাত ৮টা হল।
▪নবম দিন..... #হরিদ্বার :
হরিদ্বারে সন্ধে আরতি দেখে মা গঙ্গার অনুমতি নিয়ে এবার বাড়ি ফিরবার পালা আর একটা কথা না বলে পারলাম না , উত্তরাখণ্ডের প্রত্যক লোক, হোটেলের কর্মচারী থেকে ঘোড়ার মালিক, আপেল বিক্রেতা থেকে মন্দিরের পূজারী সবাই খুব ভালো বিশেষকরে পাহাড়ের লোকজন । আর আমাদের দেশ খুব সুন্দর, আর একে সুন্দর রাখার দ্বায়িত্ত আমাদের.....
________________________
#খরচ সংক্রান্ত কিছু তথ্য-

দিল্লী – হরিদ্বার - নন এসি বাস ভাড়া- ২৮০-৩৫০ টাকা

হোটেল (দুজনের জন্য ব্রেকফাস্ট ও ডিনার যুক্ত)
হরিদ্বার- এসি, ভাড়া মূলত ১০০০-১৫০০ এছাড়া কিছু আশ্রম ৩০০-৫০০

পাহাড়ের হোটেল মূলত নন এসি ও গিজার ও গরম জলের ভাল ব্যবস্থা থাকে।

জানকীচাট্টি (যমুনোত্রী) হোটেল বাহুগুনা প্যালেস - ১8০০ টাকা প্রায় – মোটামুটি কিন্তু ভালো

উত্তরকাসি-হোটেল সহজ ভিলা-১৫০০ – ভালো

গুপ্তকাশী-হোটেল মৃত্যুঞ্জয় প্যালেস –১৫০০ – ভালো

বদ্রীনাথ-হোটেল ওম কুটির-১৮০০ – ভালো

অনন্যা খরচ-

যমুনোত্রী তে, ঘোড়া- ৭৫০ ওঠা নামা একজনের, পালকি ৪০০০, পীঠহু ২০০০, হেটে-ফ্রী

গঙ্গোত্রী-কোনও অতিরিক্ত খরচ নেই।

কেদারনাথ - হেলিকপ্টার ৩৫০০ জন প্রতি একদিক, ৭০০০ দুদিক, ঘোড়া ৪০০০ ওঠা নামা, পালকি ৮০০০-১০০০০ ওঠা নামা, হেটে-ফ্রী।

বদ্রীনাথ- কোনও অতিরিক্ত খরচ নেই।

খাওয়া দাওয়া থালি পিছু ১০০ টাকা ধরে রাখুন। পাহাড়ী রাস্তাপথে ছোটো ছোটো ধাবা থেকে সুস্বাদু খাবার অবশ্যই খাবেন। জল কিনবার দরকার নেই সব জলই পরিষ্কার আমরা পাহাড়ের ঝর্ণা ও রাস্তায় পাইপ থেকে জল খেয়েছি ....

#দরকারী_জিনিস সঙ্গে রাখবেন- থার্মল ইনার, পড়ার কাপড়, ফ্লিস জ্যাকেট, মোটা জ্যাকেট, টর্চ, মাথার টুপি, হাতের গ্লাভস, মোজা, রেনকোট বা ছাতা, বিস্কুট ও চকলেট, টাকা ও মনভরা ভক্তি....

#মোবাইল_সিম- এয়ারটেল খুব ভাল, আমরা কেদারনাথে ভিডিও কলিং করেছি।

#গাড়ি- সুইফ্ট ডিজায়র(৪ জনের) ২২০০০-২৫০০০ টাকা।

আবার হয়ত কোনদিন ফিরব তোমার দারে, জায়গা দিও মোরে॥ এই আশা নিয়ে আমার লেখা শেষ করলাম.......ধন্যবাদ।

সবাই খুব ভালো থাকবেন ... সুস্থ থাকবেন.... আর অবশ্যই ঘুরতে থাকবেন.... জীবনটা খুব ছোটো.... তাই...

#Chardham
#chardhamyatra
#Uttarakhand #Haridwar #Mussoorie #Rishikesh #Yamunotri #Gangotri #Kedarnath #Badrinath
#travelogue_competition_2019

descriptionChardham চারধাম যাত্রা.. EmptyRe: Chardham চারধাম যাত্রা..

more_horiz
#ছোটা_চারধাম_যাত্রার_দরকারি_তথ্য

পুরোটা পরবেন, অনেকের প্রশ্ন ছিল নানারকম। আমার যতটা সম্ভব শেয়ার করার চেষ্টা করছি, তারপরে কোনো প্রশ্ন থাকলে বলবেন। জানলে অবশ্যই সাহায্য করবো।

আমার ট্যুর প্ল্যানিং ছিল:-
1st day - সকালে হরিদ্বার পৌঁছে সারাদিন ঘোরাঘুরি
2nd day - হরিদ্বার থেকে বেরিয়ে স্যানাচাট্টিতে রাত্রিবাস
3rd day - যমুনোত্রী মন্দিরে পুজো দিয়ে স্যানাচাট্টি তে আবার আর এক রাত
4th day - হার্শীল গ্রামে এক রাত
5th day - গঙ্গোত্রী তে পুজো দিয়ে উত্তরকাশী তে আশপাশ দেখে সেখানেই সেই রাত
6th day - ফাটা বা সীতাপুরে এক রাত
7th day - কেদারনাথে এক রাত
8th day - কেদারনাথ থেকে ফিরে উখীমঠে এক রাত
9th day - চোপতা ভ্যালি ঘুরে বদ্রীনাথে এক রাত
10th day - বদ্রীনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে মানা গ্রাম ঘুরে রুদ্রপ্রয়াগে এক রাত
11th day - ঋষিকেশ হয়ে হরিদ্বার ফিরে আসা
12th day - হরিদ্বার আবার সারাদিন ঘুরে রাতের ট্রেনে বাড়ির পথে

হরিদ্বার থেকে হরিদ্বার ১২দিন লেগেছিল আমার চারধাম ঘুরতে। কেউ যদি শুধু মন্দিরে পুজো দিতে চান তাহলে মন্দিরের কাছে থাকতেও পারেন, তবে সাথে উপরি পাওনা অনেক বাদ যেতে পারে কিন্তু।
যেমন,
>>1.. যমুনোত্রী চাইলে জানকিচাট্টি তে থাকা যায়, এতে মন্দির থেকে দূরত্ব কিছুটা কমে যায়। সকালে বেরিয়েই মন্দিরের দিকে যাত্রা শুরু করা যায়। কিন্তু স্যানাচাট্টির অপরূপ সৌন্দর্য তাহলে দেখতে পাবেন না, দূরের ছোট্ট গ্রামটার দিকে তাকিয়ে রাতের বেলা আকাশ পাতাল ভাবতে পারবেন না।
>>2. হার্শীল অনেকেই থাকেন না। উত্তরকাশী তে রাত কাটিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে পারেন গঙ্গোত্রী, আসার বা যাওয়ার সময় বুড়ি ছোঁয়ার মতো হার্শীল ঘুরে দেখে আসতে পারেন। গঙ্গোত্রী মন্দিরের কাছেও রয়েছে থাকার ব্যবস্থা। কিন্তু সুন্দর গ্রাম উইলিয়াম সাহেবের হার্শীলের অনেক কিছু আপনি পাবেন না; সেই চাঁদনী রাতের চারিদিক ভাসিয়ে যাওয়া রূপ, কুঁড়ে দোকানদার, সুপার টেস্টি চিকেন আর একদিন ফোনকে দূরে রেখে প্রকৃতির মাঝে ভেসে যাওয়া।
>>3. কেদারনাথে হেলিকপ্টারে গেলে সেদিনই পুজো দিয়ে নেমে আসতে পারেন। কি পাবেন না সেটা বলার মতো ধৃষ্টতা আমার নেই। এ যে শিব ঠাকুরের আপন দেশ, আমি পরের বার কমে পক্ষে ২ রাত থাকবোই এখানে।
>>4. চোপতা তে এক রাত থাকতে পারেন, খুবই সুন্দর। যদিও আমি থাকিনি আর এটা আমার ভুল সিদ্ধান্ত।

যাত্রার সময় (এপ্রিল, মে মাস) গেলে অবশ্যই গাড়ি, হোটেল সব বুকিং করে যাবেন। বর্ষায় পাহাড় খুব সুন্দর, ল্যান্ডস্লাইডের জন্য হাতে সময় নিয়ে যাবেন। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর তুলনামূলক ভিড় অনেক কম। হোটেল বুকিং করে না গেলেও পেয়ে যাবেন এবং কমে। তবে গাড়ি টা একদম নিজের সিদ্ধান্ত। এছাড়া সরকারি বাস ও আছে, যদি আগে থেকে জেনে নিতে পারেন টাইমটেবিল তবে বাসে যেতেই পারেন। সেখানে বাসের মর্জি মতো চলতে হবে আপনাকে, কিন্তু খরচা কমে যাবে। এছাড়া Volvo বাস ছাড়ে চারধাম প্যাকেজে, খুব সম্ভবত ১৫ হাজার মাথা পিছু ভাড়া (আমার পারফেক্ট মনে নেই, ইন্টারেস্ট হলে বলবেন আমি খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করব)।

আমার খরচ:
গাড়ি (swift dzire) - ২৯০০/_ করে ১০ দিন, হরিদ্বার নিজেরা ঘুরেছি।
হোটেল - আগে বুকিং করেছিলাম, মোটামুটি ১০ হাজার মতো লেগেছিল ১২ দিনের জন্য। আমার কাছে একটাও ডিটেলস নেই, ফোনের ফরম্যাটে সব হারিয়ে গেছে। 😔

আমি সৌমিশ্র মিত্র দার থেকে গাড়ি নিয়েছিলাম (দরকার হলে বলবেন নাম্বার আছে), হোটেলের ব্যবস্থাও ওনাকে করে দিতে বলেছিলাম। হোটেল আপনি লাস্টের দিকে গেলে নিজেও পেয়ে যাবেন, এছাড়া চাইলে GMVN (Garwal mandal vikas niagam) এর গেস্ট হাউসেও থাকতে পারেন। এদের অনলাইন বুকিং এর জন্য GMVN app ডাউনলোড করে নেবেন, সব তথ্য ওতে পেয়ে যাবেন, কলকাতায় এদের অফিসও আছে।
এছাড়া Chardham Yatra বলে একটা app আছে, ওখান থেকেই হেলিকপ্টার বুকিং বা দরকারি অনেক কিছু করতে পারবেন।

পুরো ট্যুরের জন্য খুব দরকারি কিছু তথ্য:

>>1. আমি সাথে বেশ শুকনো খাবার নিয়েছিলাম। কারন প্রথমত, সব জায়গায় চাইলেই খাবার পাওয়া যায়না আর ঘুরতে গেলে খিদে পাবেই।
দ্বিতীয়ত, সকালে সাথের খাবার দিয়ে ব্রেকফাস্ট করেই বেরিয়েছি বেশিরভাগ দিন। নাহলে আমাদের বাঙালি মুখে ঐ খাবার ৩বেলা যাওয়া শাস্তি। 😜
>>2. Electric kettle নিয়েছিলাম সাথে সকালের ম্যাগি, স্যুপ খাওয়ার জন্য আর দরকার হলে খাওয়ার জল গরম (বারবার বলতে আমার ভালো লাগে না তাই) করার জন্য। যাদের চা কফির খুব নেশা তাদের জন্যও খুব কাজের জিনিস।
>>3. আমি জল কিনে খাইনি, বেরোনোর সময় রোজ হোটেল থেকেই জল ভর্তি করে নিতাম এবং পুরোপুরি সুস্থ ছিলাম। জল কিন্ত বেশ পরিষ্কার, কিনেই খেতে হবে এমন কিছু বাধ্যতামূলক নয়। তবে পুরোটাই নিজের শরীরের উপর।
>>4. মেডিসিন নিজের শরীর বুঝে নিতে হয় যদিও তাও বলছি দরকারি ওষুধ মানে জ্বর, পেট খারাপ, মাথাব্যথা, বমি, পেইনকিলার এইসব ওষুধ সাথে রাখুন। দরকারে কিনতে পাবেন না, ডাক্তারখানা "ডুমুরের ফুল" প্রায়। যারা সিগারেট খান স্টক রাখুন সাথে বা জায়গা বুঝে কিনে রাখুন, বড্ড আকাল ভালো সিগারেটের কিছু কিছু জায়গায়। 🤪
>>5. Airtel, Voda, Jio তিনটেই মোটামুটি ভালোই চলে, তবে কেদারনাথের রাস্তা আর হার্শীল বাদে। এই দুই জায়গায় BSNL ভরসা।
>>6. ATM এর বেশি ভরসা রাখবেন না, হরিদ্বার থেকে পুরো ক্যাশ তুলে আমি নিজের সাথে রেখেছিলাম।
>>7. সকালে বেরোন হোটেল ছেড়ে, দেরি করলে মুশকিলে আপনিই পরতে পারেন।

যমুনোত্রী আর কেদারনাথের যাতায়াতের দরকারি তথ্য:

যমুনোত্রী:-
>>1. রাস্তা ৭ কিমি মতো, রাস্তা কেমন আগেই বলেছিলাম। হাঁটার অভ্যাস থাকলে মনে হয়না অসুবিধা হবে (বয়স্ক দের জন্য প্রযোজ্য নয়)।
>>2. ঘোড়া পিট্ঠু ডুলি তিনটেই পেয়ে যাবেন জানকিচাট্টি থেকে। ঘোড়া ভাড়া ৭০০-৮০০ টাকা, যাবে মন্দিরের প্রায় ১কিমি আগে অবধি। ওখান থেকে আবার পিট্ঠু পেয়ে যাবেন অসুবিধা থাকলে। ভাড়া ৩০০-৬০০ এর মধ্যে। আর শুরু থেকে পিট্ঠু ২২০০ - ২৫০০ আর ডুলি ৩০০০ বা তার বেশি।

কেদারনাথ:-
>>1. গৌরীকুণ্ডে রাস্তা লেখা থাকে ১৬কিমি যা একদমই নয়, আসলে ২২কিমি। আমার লেগেছিল ৮ঘন্টার কিছু বেশি উঠতে আর নামতে ৫ঘন্টা। সাধারনত এর একটু কম বেশিই লাগে সবার, যদি হাঁটার অভ্যাস থাকে। হেঁটে গেলে কোনো কিছুরই দরকার নেই। শেয়ার গাড়িতে সোনপ্রয়াগ থেকে গৌরীকুণ্ডে ২০টাকা আর ফাটা থেকে গৌরীকুন্ড ৫০ টাকায় পৌঁছানো যায়।
>>2. ঘোড়া "ঘোড় পড়াও" থেকে নিন। সরকারি রেট উঠতে ২৩০০, নামতে ১৫০০। আপনার নাম ও দরকারি তথ্য নথিভুক্ত থাকে। বেসক্যাম্প থেকে ১কিমির একটু বেশি মতো রাস্তা পিট্ঠু নিতে হবে হাঁটতে অসুবিধা থাকলে। ভাড়া ৩০০ - ৫০০ আনুমানিক(আসলে জিজ্ঞেস করিনি এটা)।
>>3. পিট্ঠু আর ডুলি ৫০০০ - ৬০০০, আপনার ওজন বুঝে যদিও বাড়তেও পারে।
>>4. হেলিকপ্টার ফাটা বা সেরসি এই দুই হেলিপ্যাড থেকে পাওয়া যায়। যাত্রার সময় গেলে আগে বুকিং করে রাখতেই হবে। শেষের দিকে গেলেও বেশি লোক হলে বুকিং করে রাখা ভালো, একজন থাকলে ব্যবস্থা হয়ে যায়, ভাড়া 2500/_। কেদারনাথ হেলিপ্যাড থেকে রাস্তা আনুমানিক ৫০০-৬০০ মিটার মতো।

**একটা মানবিক অনুরোধ, 🙏দরাদরি করবেন না। এদের এই ৬মাসের আয়ে ১২মাস চলে। বেশি নেয়না এনারা কেউই। আর প্লাস্টিক ফেলে পাহাড় নোংরা করবেন না (স্পর্ধা মনে হলে মার্জনা করবেন)।

কেদারনাথ নিয়ে কিছু জরুরি তথ্য:-

>>1. রেইনকোট নিতে একদম ভুলবেন না, হতচ্ছাড়া বৃষ্টি আসবেই। হেঁটে উঠলে গুচ্ছের গরম জামা (ulicot specially) গায়ে চাপিয়ে হাঁটবেন না, কিছুক্ষনের মধ্যে ঘেমে নেয়ে অস্থির হয়ে যাবেন। ভেতরে cotton কিছু পরবেন, উপরে যত ইচ্ছে পরুন প্রয়োজন মতো যাতে খুলতে পারেন।
>>2.ওষুধ বলতে সাধারণ জ্বর, পেট খারাপ, মাথা ব্যথা, গা হাত পা ব্যথা (হেঁটে গেলে হবেই) ছাড়াও যেটা নিতে হবে শ্বাসকষ্ট এড়ানোর ওষুধ। মা cocoa 30 বলে কোনো একটা হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিয়ে গেলেও আমি সাথে Diamox আর Saridon নিয়ে গেছিলাম (এটা একজন ট্রাভেলার দাদার লেখায় পড়েছিলাম, যার নাম মনে পড়ছে না)। হাফ Diamox আর একটা Saridon খেলে কাজ হয়। আমার লাগেনি, কিন্তু মাকে দিতে হয়েছিল আর কাজও হয়েছিল। কর্পূরও কিন্ত কাজ করেনি আসল সময়ে। একটা স্প্রেও রাখতে পারেন, বিপদে কাজে দেবে।
>>3. খাবার খুব বেশি নিয়ে যাবার দরকার নেই; ক্যাডবেরি, লজেন্স নিলেই হয়ে যায়। হেঁটে উঠলে জল অবশ্যই বেশি নেবেন। তবে একবারে একগাদা খেয়ে ফেলবেন না। আমি গ্লুকন্ডি মিশিয়ে নিয়েছিলাম। 😁😁
>>4. হেঁটে হাফিয়ে গেছেন বলে খবরদার মুখ দিয়ে না, নাক দিয়ে শ্বাস নেবেন। আর ভেসলিন (ঠিকই পড়ছেন) ক্যারি করবেন আর মাঝে মাঝে নাকের ভিতর লাগাবেন। না হলে নাকের ভেতর শুকিয়ে একটু অসুবিধা হতে পারে ।
>>5. স্পোর্টস জুতো পরবেন অবশ্যই,হেঁটে বা ঘোড়া দুক্ষেত্রেই এটা খুব দরকারি। আর চেষ্টা করবেন একটু high ankle পরার যাতে হাঁটার সময় ঝর্ণার জল জুতো টপকে ভেতরে ঢুকতে না পারে।
>>6. পড়চি লাগে হয়তো উপরে ওঠার সময়, কিন্তু আমাকে করতে হয়নি। সোনপ্রয়াগে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলামও। সাথে গাড়িতে একটা টুরিস্ট গ্রুপ ছিল। কিভাবে পড়চিতে ছাড় পেয়েছিলাম আমার নিজেরও জানা নেই। 🙏🏻মার হেলিপ্যাডে হয়ে গেছিল।
সোনপ্রয়াগ ছাড়াও ঋষিকেশ, হরিদ্বারে হয় পড়চি। এছাড়া অনলাইন এও হয়, যাত্রার সময় গেলে অনলাইন করেই যাবেন। তার লিংক 👇
[You must be registered and logged in to see this link.]
>>7. হেঁটে গেলে অবশ্যই সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ুন, সাথে টর্চ রাখতে পারেন। উঠতে রাত হলে রাস্তায় কাজে লেগে যাবে। মোবাইলে গান শুনলে নিজ দায়িত্বে, ঘোড়ার টুংটাং আওয়াজ না শুনতে পেয়ে "লাথ & চাট" খাওয়ার 😜 খুব সম্ভাবনা আছে।
>>8. দরকারি জিনিস ছাড়া বাকি ব্যাগপত্তর হোটেলের ক্লোক রুমে রাখা যায়, যদিও আমাদের টা ড্রাইভার দাদার কাছেই ছিল।
>>9. লাঠি নিতে ভুলবেন না হেঁটে গেলে, হাঁটতে সুবিধা হবে। আর না খেয়ে হেঁটে ওঠার কথা ভাববেন না ভুল করেও। শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে।

**আগেও বলেছিলাম, আবারও বলছি আমার একটা ছোট্ট অনুরোধ 🙏 ব্রহ্মকমল দিয়ে পুজো দেবেন না। পাহাড়ের জিনিস পাহাড়েই থাকুক না হয়।


উপরের সমস্ত তথ্যগুলো কিছু আমার অভিজ্ঞতা থেকে আর কিছু ড্রাইভার দাদা বা ওখানের লোকাল লোকদের থেকে জেনে (ভাড়া গুলো) বলছি। ভাড়া কম বেশি হলেও হতে পারে।

ধন্যবাদ সেই সমস্ত মানুষগুলোকে যাদের না চিনেও চেনা হয়ে গেছে, যারা প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়ে গেছেন প্রথম থেকেই। নাহলে পুরোটা লেখার কথা আমি ভাবতেই পারতাম না। সাথে ধন্যবাদ "অমিত বাবু"র মতো মানুষদেরও যারা আজও ভাবেন একা মেয়ে বেরোতে পারে না, মজার মধ্যে নোংরামি খোঁজার চেষ্টা করে যান। যাইহোক সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
পৃথিবী সুস্থ হলে বেরিয়ে পরুন আবার, কারন বাঙালির পায়ের তলায় যে সর্ষে। নমস্কার। 🙏🙏

privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply