স্পট মিটিংঃ ভুটান
==========
আকর্ষণীয় এবং নান্দনিক সৌন্দর্যের দেশ ভুটান। সুন্দর পাহাড় আর পরিপাটি শহর দেখে আপনার মন ভরে যেতে পারে। তাই কোনো এক ঝলমলে রোদে আপনি সড়কপথে বেরিয়ে পড়তে পারেন ভুটানের উদ্দেশে।
ভুটানে যা দেখবেন

থিম্পু
প্রথম দিন থিম্পু ঘুরে দেখতে পারেন। ট্যাক্সি নিয়ে পুরো থিম্পু দেখতে পারেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো থিম্পুর আশপাশে ঘুরতে পারেন।
থিম্পুতে সাইট সিইং-এর জন্য উল্লেখযোগ্য ও দর্শনীয় স্থানগুলো বুদ্ধ দর্দেনমা স্ট্যাচু, সীমতখা ডিজং, ন্যাশনাল তাকিন সংরক্ষিত চিড়িয়াখানা, কিংস মেমোরিয়াল চড়টেন, তাসিছ ডিজং, পার্লামেন্ট হাউস, রাজপ্রাসাদ, লোকাল মার্কেট, ন্যাশনাল স্কুল অব আর্টস, ন্যাশনাল লাইব্রেরি, বিবিএস টাওয়ার প্রভৃতি।
পুনাখা
এর পরের গন্তব্য পুনাখা হতে পারে । থিম্পু থেকে পারোর রাস্তা অসম্ভব রকমের সুন্দর। পারো শহরে পৌঁছার পর হোটেল ঠিকঠাক করে ফ্রেশ হয়ে উদ্যোগ নিতে পারেন টাইগার নেস্ট-এ ওঠার। পারো শহর থেকে টাইগার নেস্ট-এর ট্যাক্সি স্ট্যান্ড/পার্কিং প্লেসে যেতে সময় লাগবে প্রায় ৩০-৪৫ মিনিটের মতো, আর ট্যাক্সি স্ট্যান্ড/পার্কিং প্লেসে থেকে টাইগার নেস্ট-এ পায়ে হেঁটে উঠতে সময় লাগবে প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা (যেতে কষ্ট আছে, কিন্তু অনুভূতি সেই রকম, না গেলে বোঝানো যাবে না, পায়ে হেঁটে উঠতে কষ্ট হলে ঘোড়ার ব্যবস্থা আছে।
এছাড়াও আপনি ঘুরতে পারেন
কিচু মনাস্টেরি, এয়ারপোর্ট ভিউ পয়েন্ট, ন্যাশনাল মিওজিয়াম/তা-ডিজং, পারো ডিজং, চেলে-লা-পাস ইত্যাদি
টিপ্সঃ
১। ফুলহাতা পোশাক এবং হাটুর নিচ পর্যন্ত কাপড় পড়ে ঘুরতে যান কারন যে কোন monastery তে ঢুকতে গেলে এটা বাধ্যতামূলক।
২। ক্যাপ, হ্যাট, টুপি জাতীয় কিছু পড়ে monastery তে ঢুকা যাবেনা।
৩। ট্যাক্সি ভাড়া নিয়ে দরদাম করতে ভুলবেন না এবং আগেই আপনার গন্তব্য এবং সময় বলে নিবেন।
৪। কোন monastery তে গেলে যথাসম্ভব নিরবতা পালন করুন।
৫। শীতের কাপড় সাথে রাখুন। দো চুলা পাস বা চে লা লা পাস এগুলো অনেক উচুতে।
৬। জেব্রা ক্রসিং দিয়েই শুধু মাত্র রাস্তা পার হবেন। ভয় নেই গাড়ি আপনাকে দেখলেই থেমে যাবে। চোখ বন্ধ করে পার হতে পারবেন।
৭। রাতের খাবার ৮টার মাঝেই সেরে ফেলুন। অন্তত অর্ডার দিয়ে দিন। নাহলে না খেয়ে থাকতে হতে পারে
৮। ওখানে পর্ক বা শুকরের মাংস খাবারের মেনুতে। আপনি খেতে না চাইলে জিজ্ঞেস করে নেবেন।
৯। যখন এক সিটি থেকে অন্য সিটি যাবেন তখন সেই সেটি এর ট্যাক্সি ভাড়া নেবার চেস্টা করুন। ভুটানে প্রতিটা ট্যাক্সি এর গায়ে সেটা কোন সিটির ট্যাক্সি তা লিখা থাকে যেমন দেখবেন লিখা আছে পারো, পুনাখা, থিম্পু, ফুন্টশোলিং এরকম। এখন আপনি যদি পুনাখা যেতে চান তাহলে পুনাখা লিখা ট্যাক্সি ভাড়া নিবার চেস্টা করুন কারন তারা পুনাখা থেকে আসছে এবং ওখানেই ফিরে যাবে তাই ভাড়া কম পেলেও যাবে। (যদি আপনি ফুল ট্যুরের জন্য আগে থেকে ট্যাক্সি ভাড়া না করে থাকেন তবেই আর কি।)
১০। সর্বশেষে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
[ যারা ভুটান ভ্রমণ করে এসেছেন তাঁরা অনুগ্রহ করে সূচী ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন]