Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being Emptyমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

more_horiz

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয়



মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় [Nervous System and Sense organs with reference to human being]





[Syllabus: Nervous system: Outline classification and components of Nervous System; Neurone- Structural and functional unit. Nerves - afferent and efferent types, synapse, ganglion, reflex action with common examples. Central nervous system (Brain and Spinal cord - components & functions). Sense organs: (i) Eye: structure and function. (ii) Ear structure and function (details not required). (iii) Sensory functions of Tongue, Skin and Nose. ]



►ভূমিকা -মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রিয়

►স্নায়ুতন্ত্রের সংজ্ঞা ও কাজ

[১] সমন্বয়সাধন:-

[২] উদ্দীপনায় সাড়া দান:-

[৩] পেশি ও গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ:-

[৪] মানসিক ও প্রতিবর্ত ক্রিয়া পরিচালন:-



►স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা পরিবহনকারী উপাদান :-

[i] গ্রাহক [Receptor]:-

[ii] কারক [Effectors]:-

[iii] বাহক [Conductor]:-



►স্নায়ুতন্ত্রের শ্রেণিবিভাগ :-

►স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত উপাদান :-

►নিউরোন - সংজ্ঞা ও গঠন:-



►নিউরোনের শ্রেণিবিভাগ [Classification of Neurone]:-

(A) কাজ অনুযায়ী নিউরোন তিন প্রকার ; যথা

[i] সংজ্ঞাবহ বা সংবেদজ নিউরোন [Sensory Neurone]

[ii] আজ্ঞাবহ বা চেষ্টিয় নিউরোন [Motor Neurone]

[iii] সহযোগী নিউরোন [Adjust or Interconnecting Neurone]



(B) কোষদেহ থেকে উত্পন্ন প্রবর্ধকের সংখ্যানুযায়ী নিউরোন পাঁচ প্রকারের হয়; যথা:-

[i] মেরুবিহীন নিউরোন [Apolar Neurone]

[ii] এক-মেরুবর্তী নিউরোন [Unipolar Neurone]

[iii] দ্বি-মেরুবর্তী নিউরোন [Bipolar Neurone]

[iv] মেকি-এক-মেরুবর্তী নিউরোন [Pseudo-unipolar Neurone]

[v] বহু মেরুবর্তী নিউরোন [Multipolar Neurone]



►নিউরোনের কাজ [Functions of Neurone]:-

► নিউরোগ্লিয়া [Neuroglia]



►স্নায়ু [Nerve]

♦ স্নায়ুর সংজ্ঞা:-

♦ স্নায়ুর প্রকারভেদ:-

► স্নায়ুর কাজ

► সাইন্যাপস বা স্নায়ু সন্নিধি [Synapse]:-

► নার্ভ গ্যাংলিয়ন বা স্নায়ুগ্রন্থি

► প্রতিবর্ত ক্রিয়া [Reflex action]:-

►প্রতিবর্ত ক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ :-

►প্রতিবর্ত চাপ বা রিফ্লেক্স আর্ক [Reflex arc]:-

►কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র [Central Nerve System]:-

►মস্তিষ্ক[Brain]:-

►সুষুম্নাকান্ড [Spinal Cord]:-

►মানবদেহের জ্ঞানেন্দ্রিয় :-

►(১) চক্ষু বা চোখ [Eye]:-

►(২) কর্ণ বা কান [Ear]:-

►(৩) নাসিকা বা নাক [Nose]:-

►(৪) জিহ্বা বা জিভ [Tongue]:-

►(৫) ত্বক বা চর্ম [Skin]:- ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being Emptyস্নায়ুতন্ত্রের সংজ্ঞা ও কাজ

more_horiz

স্নায়ুতন্ত্রের সংজ্ঞা ও কাজ



►ভূমিকা – মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রিয় [Introduction towards Nervous System and Sense organs with reference to human being]:-

উত্তেজিতা [Irritability] অর্থাৎ উত্তেজনায় সাড়া দেওয়া জীবের একটি বিশেষ ধর্ম । পরিবেশ থেকে আসা নানান রকম উদ্দীপনা [Stimuli] যেমন; চাপ, তাপ, ব্যথা, স্পর্শ, আলো, শব্দ, স্বাদ, গন্ধ ইত্যাদি গ্রহণের জন্য প্রাণীদেহে রিসেপ্টর [receptor] নামে এক রকমের গ্রাহক যন্ত্র থাকে । রিসেপ্টর থেকে গৃহীত উদ্দীপনা পরিবহনের জন্য প্রাণীদেহে অসংখ্য স্নায়ুকোষ [nerve cell] বা নিউরোন [neurone] থাকে । উচ্চতর প্রাণীদের ক্ষেত্রে এক বা একাধিক স্নায়ুকোষ দিয়ে গঠিত সাদা বা ধুসর রং -এর সরু সুতার মতো এক রকমের তন্তু সৃষ্টি হয়েছে, যাদের স্নায়ু বা নার্ভ [nerve] বলা হয় । প্রকৃতপক্ষে, স্নায়ুর সাহায্যেই স্নায়ুস্পন্দন গ্রাহকযন্ত্র বা রিসেপ্টর থেকে নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র অর্থাৎ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং সেখান থেকে প্রেরকযন্ত্রে অর্থাৎ ইফেকটরে, যেমন, পেশি, গ্রন্থি ইত্যাদি স্থানে পৌছায় । স্নায়ুর সাহায্যেই প্রাণীদেহের বিভিন্ন যন্ত্র [organs] এবং তন্ত্রের [system] মধ্যে সমন্বয়সাধন [co-ordination] করা সম্ভব্পর হয় । রিসেপটর দ্বারা গৃহীত উদ্দীপনা যখন নিউরোন বা স্নায়ুর মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে ইফেকটরে পৌঁছায় তখন তারা (ইফেকটরগুলো) উদ্দীপিত হয় । ফলে প্রাণীরা উত্তেজনায় সাড়া দেয় । প্রাণীদের উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার উদাহরণ হল :-

(ক)  চোখে হটাৎ উজ্জ্বল আলো পড়লে আমরা চোখ বন্ধ করি ।

(খ)  ত্বকে অর্থাৎ চামড়ায় সুঁচ ফোটালে আমরা ব্যথাপাই ও মুখ দিয়ে অস্ফুট আওয়াজ বের করি ।

(গ)  একটি কেন্নোর গায়ে কাঠি দিয়ে স্পর্শ করলে কেন্নোটি তত্ক্ষণাৎ গুটিয়ে যায় ।

(ঘ)  চলমান শামুকের মাংসল পায়ে একটি কাঠি দিয়ে স্পর্শ করলে শামুকটি তত্ক্ষণাৎ পা-টিকে খোলকের মধ্যে ঢুকিয়ে নেয় ।

প্রাণীদেহে এই শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াগুলি স্নায়ুতন্ত্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, উদ্ভিদদেহে কোনও স্নায়ুতন্ত্র নেই, তবু এরা বাইরের বিভিন্ন উদ্দীপকের প্রভাবে সাড়া দেয়,  যেমন :

(ক)  উদ্ভিদের কান্ড, শাখা-প্রশাখা প্রভৃতির আলোর দিকে বৃদ্ধি পাওয়া ।

(খ)  পদ্মফুল দিনের আলোয় ফুটে আবার অন্ধকারে বুঁজে যায় ।

(গ)   লজ্জাবতী লতা স্পর্শ করলে পত্রকগুলি তত্ক্ষণাৎ বুঁজে যায় ।

উদ্ভিদের এরকম উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়া স্নায়ু তন্ত্রের সাহায্যে ঘটে না, এগুলি উদ্ভিদের একরকমের চলন [Movement] ।



►স্নায়ুতন্ত্রের সংজ্ঞা [Definition of Nervous System] :-  নিউরোন বা স্নায়ুকোষ দিয়ে গঠিত যে তন্ত্রের সাহায্যে উন্নত প্রাণীদেহে প্রয়োজন মতো উদ্দীপনা গ্রহণ, উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সমন্বয়সাধন করা হয়, তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে ।



►স্নায়ুতন্ত্রের কাজ [Functions of Nervous System] :-

[১] সমন্বয়সাধন:- স্নায়ুতন্ত্র প্রাণীদেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে তাদের কাজের মধ্যে সমন্বয় ঘটায় ।

[২] উদ্দীপনায় সাড়া দান:- বিভিন্ন উদ্দীপনায় প্রয়োজনমতো সাড়া দিয়ে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে প্রাণীকে খাপ খাইয়ে বা মানিয়ে নিতে স্নায়ুতন্ত্র সাহায্য করে ।

[৩] পেশি ও গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ:- স্নায়ুতন্ত্র প্রাণীদেহের বিভিন্ন পেশির সংকোচন ও গ্রন্থির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে ।

[৪]  মানসিক ও প্রতিবর্ত ক্রিয়া পরিচালন:- মানসিক অনুভূতি, বুদ্ধি, বিচার, চিন্তা ইত্যাদি মানসিক ক্রিয়া ও প্রতিবর্ত ক্রিয়া পরিচালনা করা স্নায়ুতন্ত্রের অন্যতম প্রধান কাজ ।



►স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা পরিবহনকারী উপাদান [Components for conduction of Stimuli of Nervous System]:-

পরিবেশ থেকে আগত বিভিন্ন উদ্দীপনা গ্রহন, উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়া, দেহের বিভিন্ন যন্ত্র ও তন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ করার জন্যে স্নায়ুতন্ত্রে তিন রকমের উদ্দীপনা পরিবহনকারী উপাদান থাকে , যথা [i] গ্রাহক,  [ii] কারক  এবং [iii] বাহক ।



[i] গ্রাহক [Receptor]:- প্রাণীদেহে অবস্থিত এক বা একাধিক উদ্দীপক সংবেদনশীল কোষকে রেসেপটর বা গ্রাহক বলা হয় । রিসেপটর দেহের ত্বকে, পেশিতে, কন্ডরায় (tendon), জিহ্বায়, কর্ণে, নাসিকা এবং চক্ষুর মধ্যে অবস্থিত । উদ্দীপনা গ্রহণের প্রকৃতি এবং অবস্থান অনুযায়ী গ্রাহক নানা রকম হয়, যেমন : চাপ-গ্রাহক, তাপ-গ্রাহক, টান-গ্রাহক, স্পর্শ-গ্রাহক, স্বাদ-গ্রাহক, আলোক-গ্রাহক, বর্ণ-গ্রাহক, শব্দ-গ্রাহক, ঘ্রাণ-গ্রাহক, শৈত্য-গ্রাহক ইত্যাদি । যে সমস্ত গ্রাহকরা দেহের বাইরে থেকে উদ্দীপনা গ্রহন করে তাদেরকে বাহিঃগ্রাহক বলে এবং যে সমস্ত গ্রাহকরা দেহের অভ্যন্তর থেকে উদ্দীপনা গ্রহন করে তাদেরকে অন্তঃগ্রাহক বলে ।



[ii] কারক [Effectors]:- জীবদেহের যেসব যন্ত্র বিভিন্ন উদ্দীপনায় উদ্দীপিত হয়, তাদের ইফেকটর বা কারক বলে । বিভিন্ন পেশী এবং গ্রন্থি [Gland] হল ইফেকটর বা কারকের উদাহরণ ।



[iii] বাহক [Conductor]:- স্নায়ুতন্ত্রের যেসব উপাদানের মাধ্যমে গ্রাহক বা রিসেপটর কর্তৃক গৃহীত উদ্দীপনা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছায় বা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে সাড়া বা রেসপনস যাদের মাধ্যমে ইফেকটর বা কারকে পৌঁছায়, তাদের বাহক বলে বা কন্ডাক্টর বলে । নিউরোন এবং স্নায়ু বাহকের কাজ করে । বাহক দু'রকমের হয়, যথা: —সংজ্ঞাবহ বাহক এবং আজ্ঞাবহ বাহক ।

সংজ্ঞাবহ বাহক:- যে বাহকের মাধ্যমে উদ্দীপনা রিসেপটর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছায় তাকে সংজ্ঞাবহ বাহক বলে ।

আজ্ঞাবহ বাহক:- যে বাহকের মাধ্যমে সাড়া কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেক্টরে পৌঁছায় তাকে আজ্ঞাবহ বাহক বলে ।



♦ রিসেপটর ও ইফেকটর-এর পার্থক্য♦
বৈশিষ্ট্য----------- রিসেপটর (গ্রাহক)-------------- ইফেকটর (কারক)
১. কাজ ----------- ১. রিসেপ্টর উদ্দীপনা গ্রহন করে । ----------- ১. ইফেকটর উদ্দীপনায় সাড়া দেয় ।
২. অবস্থান ----------- ২. সংজ্ঞাবহ স্নায়ুর শুরুতে অবস্থান করে । ----------- ২. আজ্ঞাবহ বা চেষ্টীয় স্নায়ুর শেষে অবস্থান করে ।
৩. উদাহরণ ----------- ৩. ত্বক, চক্ষু, কর্ণ, জিহ্বা প্রভৃতি জ্ঞানেনন্দ্রিয় গ্রাহক অঙ্গ হিসেবে কাজ করে । ----------- ৩. পেশি ও গ্রন্থি কারক হিসেবে কাজ করে ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being Emptyস্নায়ুতন্ত্রের শ্রেণিবিভাগ ও গঠনগত উপাদান

more_horiz
স্নায়ুতন্ত্রের শ্রেণিবিভাগ ও গঠনগত উপাদান


►স্নায়ুতন্ত্রের শ্রেণিবিভাগ [Classification of Nervous System]:-

♦ মানুষের স্নায়ুতন্ত্র প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত, যথা:-

[i] কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র [Central Nervous System]:- এটি মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকান্ড নিয়ে গঠিত ।

[ii] প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র [Perpheral Nervous System]:- কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে নির্গত সমস্ত রকম স্নায়ুসমূহ নিয়ে এই স্নায়ুতন্ত্র গঠিত হয়েছে । এই স্নায়ুতন্ত্র মস্তিষ্ক থেকে নির্গত 12 জোড়া ক্রেনিয়াল নার্ভ বা করোটিক স্নায়ু এবং সুষুম্নাকান্ড থেকে নির্গত 31 জোড়া স্পাইনাল নার্ভ বা সুষুম্না স্নায়ু নিয়ে গঠিত ।

[iii] স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র [Automatic Nervous System]:- যেসব স্নায়ু প্রাণীদেহের আন্তর যন্ত্র তথা অনৈচ্ছিক পেশিগুলিতে বিস্তৃত থেকে তাদের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের স্বয়ংক্রিয় বা অটোনোমিক স্নায়ুতন্ত্র বলে । স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র দু'ভাগে বিভক্ত, যথা: (ক) সিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র (খ) প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র ।



►স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত উপাদান [Structural Components of Nervous System]:- স্নায়ু প্রধানত নিউরোন বা স্নায়ুকোষ এবং নিউরেগ্লিয়া বা ধারককোষ নিয়ে গড়ে উঠেছে । নিউরোন তাই স্নায়ু তন্ত্রের মুখ্য উপাদান । উন্নত প্রাণীদেহে স্নায়ুতন্ত্র নিউরোন ছাড়াও আরও চারটি প্রধান অংশ নিয়ে গড়ে ওঠে, যেমন : [i] স্নায়ু [ii] স্নায়ুসন্ধি [iii] স্নায়ুগ্রন্থি [iv] মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকান্ড ।



►নিউরোন [Neurone]:- নিউরোন হল স্নায়ুতন্ত্রের গঠনমূলক ও কার্যমূলক একক ।

[A] নিউরোনের সংজ্ঞা [Definition of Neurone]:- কোষদেহসহ সমস্ত রকম প্রবর্ধক নিয়ে গঠিত স্নায়ুতন্ত্রের গঠনমূলক ও কার্যমূলক একককে নিউরোন বলে ।

[B] নিউরোনের গঠন [Sructure of Neurone ]:- স্নায়ুকোষ বা নিউরোন প্রধানত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত, যথা : [i] কোষদেহ বা নিউরোসাইটন [ii] প্রবর্ধক বা প্রসেস ।



[i] কোষদেহ বা নিউরোসাইটন:- এটি দেখতে তারকাকার, গোলাকার, ত্রিকোণাকার অথবা শাঙ্কবাকার । কোষদেহ নীচের অংশগুলি নিয়ে গঠিত, যেমন :

(১) কোষপর্দা :- কোষ দেহটি লাইপো-প্রোটিন দিয়ে গঠিত একক পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকে ।

(২) সাইটোপ্লাজম :- কোষ দেহের সাইটোপ্লাজম দানাযুক্ত ও তন্তুময়, একে নিউরোপ্লাজম বলে ।

(৩) নিজল দানা :- নিউরোপ্লাজমে অসংখ্য নিউক্লিওপ্রোটিন নির্মিত দানা থাকে, এদের নিজল দানা বলে । (৪) নিউরোফাইব্রিল:- নিজল দানা ছাড়াও নিউরোপ্লাজমে অসংখ্য সুক্ষ্ম-সুক্ষ্ম তন্তু দেখা যায়, এগুলিকে নিউরোফাইব্রিল বলে ।

(৫) নিউক্লিয়াস:- কোষদেহে একটি বড় গোলাকার বা ডিম্বাকার নিউক্লিয়াস থাকে ।

(৬) অন্যান্য কোষ-অঙ্গানু:- কোষদেহের নিউরোপ্লাজমে অসংখ্য মাইটোকন্ড্রিয়াকে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায় । এছাড়া রয়েছে গলগি বস্তু । সেন্ট্রোজোম থাকলেও তা নিষ্ক্রিয় ।



•কোষদেহের কাজ:- অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা এবং ডেনড্রন কর্তৃক গৃহীত উদ্দীপনাকে অ্যাক্সনে প্রেরণ করা হল কোষ দেহের প্রধান কাজ ।



[ii] প্রবর্ধক বা প্রসেস:- নিউরোনের প্রলম্বিত অংশই হল প্রবর্ধক । প্রবর্ধক দু'রকমের, যথা: (ক) ডেনড্রন এবং (খ) অ্যাক্সন



(ক) ডেনড্রন :- নার্ভ কোষদেহের প্লাজমা মেমরেনের প্রলম্বিত অংশের সরুসরু শাখাগুলিকে ডেনড্রন বলে । প্রতিটি ডেনড্রন আবার আরও সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম প্রশাখায় বিভক্ত । এইগুলিকে ডেনড্রাইটস বলে । ডেনড্রনের মধ্যে নিজল দানা ও নিউরোফাইব্রিল সমৃদ্ধ নিউরোপ্লাজম থাকে ।

•ডেনড্রনের কাজ:- পেশি বা অন্য কোনও নিউরোন থেকে স্নায়ু উদ্দীপনা গ্রহন করে, তা কোষ দেহে প্রেরণ করে ।



(খ) অ্যাক্সন:- প্রতিটি নার্ভকোষদেহের অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ, শাখা বিহীন বা অল্প শাখাযুক্ত প্রবর্ধকের নাম অ্যাক্সন ।

•অ্যাক্সনের গঠনগত বৈশিষ্ট্যগুলি:-

(১) অ্যাক্সন হিলক:- কোষদেহের যে অংশ থেকে অ্যাক্সন সৃষ্টি হয়, তাকে অ্যাক্সন হিলক্ বলে ।

(২) অ্যাক্সোপ্লাজম:- প্রতিটি অ্যাক্সনের ভিতরে অ্যাক্সোপ্লাজম থাকে ।

(৩) অ্যাক্সোলেমা:- অ্যাক্সোপ্লাজমকে ঘিরে যে আবরণী থাকে, তাকে অ্যাক্সোলেমা বলে ।

(৪) মায়োলিন সিদ বা মেডুলারি সিদ:- কোনও কোনও ক্ষেত্রে অ্যাক্সোপ্লাজমের ওপর চর্বির একটি স্তর থাকে, একে মায়োলিন সিদ বা মেডুলারি সিদ ।

(৫) নিউরিলেমা:- মায়োলিন সিদের ওপরের আবরণকে নিউরিলেমা বলে ।

(৬) স্বোয়ান কোষ:- নিউরিলেমার মধ্যে বিশেষ ধরনের নিউক্লিয়াসযুক্ত ডিম্বাকার কোষ দেখা যায়, এদেরকে স্বোয়ান কোষ বলে ।

(৭) রানভিয়ের -এর পর্ব:- মায়োলিন সিদ স্থানে স্থানে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক একটি পর্বের সৃষ্টি করে ; একে রানভিয়ের -এর পর্ব বলে ।

(৮) প্রান্তবুরুশ বা এন্ডব্রাশ:- অ্যাক্সনের শেষপ্রান্তে সুক্ষ্ম শাখান্বিত প্রান্তবুরুশ বা এন্ডব্রাশ থাকে ।



• অ্যাক্সনের কাজ:- উদ্দীপনা পরিবহন করে এবং স্নায়ুসন্নিধির মাধ্যমে স্নায়ু-উদ্দীপনাকে পেশি বা অন্য কোনও নিউরোনে প্রেরণ করতে সাহায্য করে ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being Emptyনিউরোনের শ্রেণিবিভাগ ও কাজ

more_horiz
নিউরোনের শ্রেণিবিভাগ ও কাজ


►নিউরোনের শ্রেণিবিভাগ [Classification of Neurone]:-

(A) কাজ অনুযায়ী:- কাজ অনুযায়ী নিউরোন তিন প্রকার; যথা:- [i] সংজ্ঞাবহ বা সংবেদজ নিউরোন [ii] আজ্ঞাবহ বা চেষ্টিয় নিউরোন [iii] সহযোগী নিউরোন ।

[i] সংজ্ঞাবহ বা সংবেদজ নিউরোন [Sensory Neurone] :- সেনসরি রকম নিউরোনগুলো রিসেপটর থেকে স্নায়ুস্পন্দন [nerve impulse] অর্থাৎ আবেগকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বহন করে । সংজ্ঞাবহ নিউরোনের দ্বারা আবেগ বাইরে থেকে ভিতরে পরিবাহিত হয় বলে একে অন্তর্বাহী বা অ্যাফারেন্ট নিউরোন [afferent neurone] বলে । এই রকম নিউরোন রিসেপটর থেকে উদ্দীপনা গ্রহন করে বলে একে রিসেপটর নিউরোন [receptor neurone] -ও বলা হয় ।

[ii] আজ্ঞাবহ বা চেষ্টিয় নিউরোন [Motor Neurone]:- মোটর নিউরোনগুলো কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে স্নায়ুস্পন্দন অর্থাৎ সাড়া, কারক অর্থাৎ ইফেক্টরে বহন করে । আজ্ঞাবহ নিউরোন দ্বারা স্নায়ুস্পন্দন দেহের ভেতর থেকে বাইরে পরিবাহিত হয় বলে একে বহির্বাহী বা ইফারেন্ট নিউরোন [efferent neurone] বলে । এই রকমের নিউরোন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে পাঠানো স্নায়ুস্পন্দন গুলোকে কারক অর্থাৎ ইফেক্টরে পাঠায় বলে একে ইফেক্টর নিউরোন [effector neurone] বলে ।

[iii] সহযোগী নিউরোন [Adjust or Interconnecting Neurone]:- ইন্টারকানেক্টিং নিউরোনগুলো সেনসরি ও মোটর নিউরোনের মধ্যে সংযোগ সাধন করে । এই ধরনের নিউরোন সবসময় কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবস্থিত হয় ।



♦সেনসরি নিউরোন ও মোটর নিউরোনের পার্থক্য ♦
বৈশিষ্ট্য ------------- সেনসরি নিউরোন ------------- মোটর নিউরোন
১.অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের দীর্ঘ্য ------------- ১.অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের দীর্ঘ্য এর ডেনড্রন দীর্ঘ এবং অ্যাক্সন ছোট । ------------- ১.এর ডেনড্রন ছোট এবং অ্যাক্সন দীর্ঘ ।
২.ডেনড্রনের সঙ্গে সংযুক্তি ------------- ২.এর ডেনড্রন সাধারণত গ্রাহকের সঙ্গে যুক্ত থাকে । ------------- ২.এর ডেনড্রন সাধারণত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে ।
৩.অ্যাক্সনের সঙ্গে সংযুক্তি ------------- ৩.এটি সাধারণত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে । ------------- ৩.এটি সাধারণত ইফেক্টরের সঙ্গে যুক্ত থাকে ।
৪.কাজ ------------- ------------- ৪.এই রকম নিউরোন স্নায়ুস্পন্দনকে গ্রাহক থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বহন করে । ------------- ৪.এই রকম নিউরোন স্নায়ুস্পন্দনকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেক্টরে বহন করে ।

(B) প্রবর্ধকের সংখ্যানুযায়ী:- কোষদেহ থেকে উত্পন্ন প্রবর্ধকের সংখ্যানুযায়ী নিউরোন পাঁচ প্রকারের হয়; যথা:-

[i] মেরুবিহীন নিউরোন [Apolar Neurone]:- কোষদেহে যখন প্রবর্ধক থাকে না ।

[ii] এক-মেরুবর্তী নিউরোন [Unipolar Neurone]:- কোষদেহে যখন একটিমাত্র প্রবর্ধক অর্থাৎ অ্যাক্সন থাকে ।

[iii] দ্বি-মেরুবর্তী নিউরোন [Bipolar Neurone]:- কোষদেহে দু'দিকে যখন প্রবর্ধক থাকে অর্থাৎ একদিকে একটি অ্যাক্সন এবং অপরদিকে একটি ডেনড্রন থাকে ।

[iv] মেকি-এক-মেরুবর্তী নিউরোন [Pseudo-unipolar Neurone]:- প্রাথমিক অবস্থায় দুটি প্রবর্ধক থাকে, যারা বয়ঃবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরস্পর মিলিত হয়ে একটি প্রবর্ধকে পরিণত হয় ।

[v] বহু মেরুবর্তী নিউরোন [Multipolar Neurone]:- কোষদেহে যখন একাধিক প্রবর্ধক থাকে, যেমন: একটি অ্যাক্সন এবং অসংখ্য ডেনড্রন বা ডেনড্রাইট থাকে ।



►নিউরোনের কাজ [Functions of Neurone]:- নিউরোনের প্রধান কাজ হল উদ্দীপনা বা স্নায়ুস্পন্দন বহন করা । সেনসরি নিউরোন রিসেপটর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং মোটর নিউরোন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেক্টরে স্নায়ুস্পন্দন বহন করে ।



►নিউরোগ্লিয়া [Neuroglia]:- স্নায়ুকোষ বা নিউরোন ছাড়াও স্নায়ুকলায় বা স্নায়ুতন্ত্রে নিউরোগ্লিয়া নামে আর একরকম গঠন গত উপাদান পরিলক্ষিত হয় ।এটি প্রকৃতপক্ষে একরকমের পরিবর্তিত যোগ কলা । এরা স্নায়ুতন্ত্রের ধারক কোষ হিসাবে কাজ করে । এরা বিভাজনে সক্ষম এবং বহু প্রবর্ধকযুক্ত । এদের স্নায়ুস্পন্দন পরিবহনের ক্ষমতা নেই । স্নায়ুকোষের মৃত্যুর পর এগুলি তার স্থান দখল করে । স্নায়ুতন্ত্রের মোট কোষসমষ্টির প্রায় 90 শতাংশই হল নিউরোগ্লিয়া ।

♦অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের পার্থক্য♦
বৈশিষ্ট্য ------------- অ্যাক্সন ------------- ডেনড্রন
১.প্রকৃতি ------------- ১.অ্যাক্সন স্নায়ুকোষের চেস্টিয় বা আজ্ঞাবহ অংশ। ------------- ১.ডেনড্রন স্নায়ুকোষের সংজ্ঞাবহ অংশ ।
২.শাখা ------------- ২.অ্যাক্সন সাধারণত শাখাহীন; কখনও কখনও স্বল্প শাখাযুক্ত হয় । ------------- ২.ডেনড্রন শাখাপ্রশাখা যুক্ত ।
৩.মায়োলিন আবরণ ------------- ৩.অ্যাক্সনে নিউরোলেম্মা ও মায়োলিনের আবরণ থাকে। ------------- ৩.ডেনড্রনে নিউরোলেম্মা ও মায়োলিনের আবরণ থাকে না ।
৪.স্বোয়ান কোষ ------------- ৪.অ্যাক্সনে স্বোয়ান কোষ থাকে । ------------- ৪.ডেনড্রনের মধ্যে স্বোয়ান কোষ থাকে না ।
৫.নিজল দানা ------------- ৫.অ্যাক্সনে নিজল দানা থাকে না । ------------- ৫.ডেনড্রনে নিজল দানা থাকে ।
৬.রানভিয়ারের পর্বডেনড্রনে রানভিয়ারের পর্ব থাকে না । ------------- ৬.অ্যাক্সনে রানভিয়ারের পর্ব থাকে । ------------- ৬.ডেনড্রনে রানভিয়ারের পর্ব থাকে না ।
৭.কাজ ------------- ------------- ৭.স্নায়ুস্পন্দন বহন করা হল অ্যাক্সনের প্রধান কাজ। ------------- ৭.স্নায়ুস্পন্দন গ্রহন করা হল ডেনড্রনের প্রধান কাজ ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being Emptyস্নায়ু ও স্নায়ুর কাজ

more_horiz
স্নায়ু ও স্নায়ুর কাজ


►স্নায়ু [Nerve]:-

যোগ কলার আবরণবেষ্টিত স্নায়ুতন্তুকে সাধারণ ভাবে স্নায়ু বা নার্ভ বলে । স্নায়ুতন্তুর চারদিকে যে যোগ কলার আবরণ থাকে তাকে এন্ডোনিউরিয়াম (endoneurium) বলে । এন্ডোনিউরিয়াম-আবরণযুক্ত কয়েকটি স্নায়ুতন্তু আবার পেরিনিউরিয়াম (perineurium) নামক আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে । মোটা ও বড় স্নায়ুর (nerve trunk) ক্ষেত্রে কয়েকটি পেরিনিউরিয়াম আবরণযুক্ত স্নায়ুতন্তুর গুচ্ছ একসঙ্গে একটি এপিনিউরিয়াম (epineurium) নামক যোগকলার আবরণ দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে । যোগ কলার এই রকম আবরণগুলিতে রক্তবাহ (blood vessels) থাকে ।



♦ স্নায়ুর সংজ্ঞা [Definition of Nerve]:- রক্তবাহ সমন্বিত এবং পেরিনিউরিয়াম নামক যোগকলার আবরণদ্বারা আবৃত এক বা একাধিক স্নায়ুতন্তু বা স্নায়ুতন্তুগুচ্ছকে নার্ভ বা স্নায়ু বলে ।



♦ স্নায়ুর প্রকারভেদ:- কাজ অনুসারে স্নায়ু প্রধানত তিন প্রকারের হয়, যেমন: [i] অ্যাফারেন্ট বা অন্তর্বাহী স্নায়ু [ii] ইফারেন্ট বা বহির্বাহী স্নায়ু [iii] মিশ্র স্নায়ু ।

[i] অ্যাফারেন্ট বা অন্তর্বাহী স্নায়ু:-

• সংজ্ঞা:- যে স্নায়ু গ্রাহক বা রিসেপটর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে স্নায়ু উদ্দীপনা বহন করে নিয়ে যায়, তাকে অ্যাফারেন্ট নার্ভ বা অন্তর্বাহী স্নায়ু বলে ।

• বৈশিষ্ট্য : এই ধরনের স্নায়ুর বৈশিষ্ট্য হল, এই যে :

(i) এটি সেনসরি নিউরোন দিয়ে গঠিত ।

(ii) এটি স্নায়ু-সংবেদকে গ্রাহক বা রিসেপটর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বহন করে নিয়ে যায় ।

• উদাহরণ:- অলফ্যাক্টরি স্নায়ু, অপটিক স্নায়ু প্রভৃতি ।



[ii] ইফারেন্ট বা বহির্বাহী স্নায়ু:-

• সংজ্ঞা:- যে স্নায়ু কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কারক বা ইফেক্টরে সাড়া (বা নির্দেশ ) বহন করে নিয়ে আসে, তাকে বহির্বাহী স্নায়ু বা ইফারেন্ট নার্ভ বলা হয় ।

• বৈশিষ্ট্য:- এই ধরনের স্নায়ুর বৈশিষ্ট্য হল, এই যে :

(i) এটি মোটর নিউরোন দিয়ে গঠিত ।

(ii) এটি স্নায়ু-সংবেদকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কারক বা ইফেক্টরে বহন করে নিয়ে যায় ।

• উদাহরণ:- অকিউলোমোটর স্নায়ু ।



[iii] মিশ্র স্নায়ু:-

• সংজ্ঞা:- যে স্নায়ু সেনসরি এবং মোটর এই দুই রকম নিউরোনের সমন্বয়ে গঠিত,তাকে মিশ্র স্নায়ু বলে ।

• বৈশিষ্ট্য:- এই ধরনের স্নায়ুর বৈশিষ্ট্য হল, এই যে;

(i) এই রকম স্নায়ু সেনসরি এবং মোটর উভয় প্রকার নিউরোন দিয়েই গঠিত ।

(ii) এরা উভয় মুখে স্নায়ুস্পন্দন পরিবহন করতে পারে ।

• উদাহরণ:- ভেগাস নার্ভ, ফেসিয়াল নার্ভ প্রভৃতি স্নায়ু ।

♦অ্যাফারেন্ট ও ইফারেন্ট স্নায়ুর পার্থক্য♦
বৈশিষ্ট্য ---------- অ্যাফারেন্ট স্নায়ু ---------- ইফারেন্ট স্নায়ু
১.গঠন ---------- ১.এই রকম স্নায়ু সেনসরি নিউরোন দিয়ে গঠিত। ---------- ১.এই রকম স্নায়ু মোটর নিউরোন দিয়ে গঠিত।
২.কার্য ---------- ২.এই রকম স্নায়ু স্নায়ুস্পন্দনকে রিসেপ্টর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পাঠায় । ---------- ২.এই রকম স্নায়ু স্নায়ুস্পন্দনকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেক্টেরে পাঠায় ।





► স্নায়ুর কাজ [Function of Nerve]:-

স্নায়ুর প্রধান কাজ হল :

[i] বিভিন্ন জ্ঞানেন্দ্রিয় থেকে অনুভুতি গ্রহন করা ।

[ii] অন্তর্বাহী স্নায়ুর মাধ্যমে অনুভুতিকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পাঠানো ।

[iii] বহির্বাহী স্নায়ুর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের নির্দেশকে কারক অঙ্গে বয়ে নিয়ে আসা ।

[iv] বিভিন্ন পেশির সংকোচন ও প্রসারণে সাহায্য করা ।



• নিউরোন ও স্নায়ুর মধ্যে সম্পর্ক:-

(i) নিউরোন স্নায়ুতন্ত্রের একক । অন্যদিকে নার্ভ বা স্নায়ু অসংখ্য নিউরোনের অ্যাক্সনের সমন্বয়ে গঠিত ।

(ii) অন্তর্বাহী স্নায়ু সেনসরি নিউরোন দিয়ে এবং বহির্বাহী স্নায়ু মোটর নিউরোন দিয়ে গঠিত ।

(iii) নিউরোন স্নায়ু-স্পন্দন পরিবহন করে । আবার স্নায়ুর কাজও স্নায়ুস্পন্দন পরিবহন করা । নিউরোন তাই স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক এবং নিউরোন ও স্নায়ুর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক হল কোষ ও কলার ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being EmptyRe: মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

more_horiz
স্নায়ু সন্নিধি ও স্নায়ুগ্রন্থি


►সাইন্যাপস বা স্নায়ু সন্নিধি বা প্রান্তসন্নিকর্ষ [Synapse]:- সাইন্যাপস্ বা প্রান্তসন্নিকর্ষ হল দুটি নিউরোনের সংযোগস্থল, যেখানে একটি নিউরোনের অ্যাক্সনের প্রান্ত এবং অন্য একটি নিউরোনের ডেনড্রাইটের প্রান্ত খুব কাছাকাছি থাকে (অ্যাক্সোডেনড্রাইটিক সাইন্যাপস -এর ক্ষেত্রে), কিন্তু কখনই স্পর্শ করে না, মাঝে একটি আনুবীক্ষণিক ফাঁক থেকেই যায়, আর এর মধ্য দিয়েই নিউরোহিউমর নামে তরলের মাধ্যমে অ্যাক্সনের প্রান্ত থেকে স্নায়ু-উদ্দীপনা অন্য একটি নিউরোনের ডেনড্রাইটে পরিবাহিত হয় ।



• সংজ্ঞা:- দুটি নিউরোনের যে সংযোগস্থলে একটি নিউরোন শেষ হয় এবং অপর একটি নিউরোন শুরু হয়, তাকে স্নায়ুসন্নিধি বা সাইন্যাপস বলে ।

• গঠন পদ্ধতি:- সাইন্যাপস নিম্নলিখিত কয়েক রকম পদ্ধতিতে গঠিত হতে পারে, যেমন :

(১) অ্যাক্সো ডেনড্রাইটিক সাইন্যাপস [axo-dendritic Synapse]:- একটি নিউরোনের অ্যাক্সনের শেষ প্রান্ত পরবর্তী নিউরোনের ডেনড্রাইটের সঙ্গে মিলিত হয়, এইরকম সাইন্যাপসকে অ্যাক্সো ডেনড্রাইটিক সাইন্যাপস বলে ।

(২) অ্যাক্সো সোমাটিক সাইন্যাপস [axo-somatic Synapse]:- একটি নিউরোনের অ্যাক্সনের শেষ প্রান্ত পরবর্তী নিউরোনের কোষদেহের সঙ্গে মিলিত হয়, এইরকম সাইন্যাপসকে অ্যাক্সো সোমাটিক সাইন্যাপস বলে ।

(৩) অ্যাক্সো অ্যাক্সেনিক সাইন্যাপস [axo-axonic Synapse]:- একটি নিউরোনের অ্যাক্সনের শেষ প্রান্ত (প্রান্তবুরুশ) অপর একটি নিউরোনের অ্যাক্সনের শেষ প্রান্তের সঙ্গে মিলিত হয়, এইরকম সাইন্যাপসকে অ্যাক্সো অ্যাক্সেনিক সাইন্যাপস বলে ।

এছাড়া কখনও কখনও একটি নিউরোনের অ্যাক্সন অনেকগুলি নিউরোনের ডেনড্রাইটের সঙ্গে বা একটি নিউরোনের ডেনড্রাইটের সঙ্গে অনেকগুলি নিউরোনের অ্যাক্সন মিলিত হয় ।

• সাইন্যাপসের কাজ:- সাইন্যাপস স্নায়ুস্পন্দনকে (nerve impulse) এক নিউরোন থেকে অপর এক নিউরোনে প্রবাহিত করে । যখন পূর্ববর্তী নিউরোন থেকে স্নায়ুস্পন্দন ওই নিউরোনের অ্যাক্সনের শেষ প্রান্তে আসে তখন অ্যাসিটাইল কোলিন নিঃসৃত হয়ে স্নায়ুস্পন্দনকে পরবর্তী নিউরোনের ডেনড্রাইটের মধ্যে প্রবাহিত করে ।



► নার্ভ গ্যাংলিয়ন বা স্নায়ুগ্রন্থি [Nerve Ganglion]:- কয়েকটি স্নায়ুকোষের কোষদেহগুলি মিলিত হয়ে যে গ্রন্থি সৃষ্টি করে, তাকে নার্ভ গ্যাংলিয়ন বা স্নায়ুগ্রন্থি বলে । স্নায়ুগ্রন্থি থেকে স্নায়ুর উত্পত্তি হয় ।

• সংজ্ঞা:- কয়েকটি স্নায়ুকোষের কোষদেহগুলি একত্রিত হয়ে যে গ্রন্থির সৃষ্টি করে, তাকে স্নায়ুগ্রন্থি বা নার্ভ গ্যাংলিয়ন বলে । অনেকগুলো স্নায়ুকোষ একত্রিত হওয়ার ফলে গ্যাংলিয়নকে কিছুটা স্ফীত দেখায় ।

• কাজ:-

(i) স্নায়ুগ্রন্থি থেকে স্নায়ুর উত্পত্তি হয় ।

(ii) নিউরো-সিক্রেসন (neuro-secretion) নামক রস ক্ষরণ করে স্নায়ুতন্ত্রকে সিক্ত রাখা ।

(iii) অনেক সময় বিশেষ করে অমেরুদন্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে স্নায়ুগ্রন্থি থেকে নিউরো-সিক্রেটরি হরমোন ক্ষরিত হয় ।

***

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being EmptyRe: মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

more_horiz
প্রতিবর্ত ক্রিয়া Reflex action


► প্রতিবর্ত ক্রিয়া [Reflex action]:- প্রাণীদেহে নির্দিষ্ট উত্তেজনার প্রভাবে যে তাত্ক্ষনিক, স্বতঃস্ফুর্ত ও অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, তাকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে । প্রতিবর্ত ক্রিয়ার দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল —

(i) এই ক্রিয়া অনৈচ্ছিক এবং (ii) এটি সুষুম্নাকান্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । সুতরাং সুষুম্নাকান্ড দিয়ে নিয়ন্ত্রিত প্রাণীদের অনৈচ্ছিক সাড়াকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলা হয় ।

• উদাহরণ :- কোনও গরম বস্তুতে আচমকা হাত ঠেকে গেলে, সঙ্গে সঙ্গে হাতটির সরে আসা হল প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।

• প্রতিবর্ত ক্রিয়ার ব্যাখ্যা :- রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে হটাৎ পায়ে কাঁটা বিঁধলে পা-টি তত্ক্ষণাৎ মাটি থেকে সরে যায় । এটি প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি উদাহরণ । প্রতিবর্ত ক্রিয়াটি নিম্নরূপে ঘটে :

(i) পায়ের নিম্নতলের চামড়ায় অবস্থিত গ্রাহক বা রিসেপ্টের বেদনা অনুভূতি গ্রহণ করে ।

(ii) এই বেদনা অনুভূতি রিসেপটর থেকে অন্তর্বাহী নিউরোন দিয়ে সুষুম্নাকান্ডে পৌঁছায় ।

(iii) সুষুম্নাকান্ড থেকে সাড়া বহির্বাহী নিউরোন দিয়ে কারক বা ইফেক্টরে অর্থাৎ পায়ের পেশিতে পৌঁছায় ।

(iv) এর পর পায়ের পেশিগুলি সংকুচিত হয়, ফলে পা-টি ভাঁজ হয়ে কাঁটা থেকে সরে যায় ।



►প্রতিবর্ত ক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ [Classification of reflex action]:- রুশ বিজ্ঞানী প্যাভলভ [Pavlov] প্রতিবর্ত ক্রিয়াকে দু-ভাগে ভাগ করেছেন; যথা: (১) সহজাত বা শর্তবিহীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া এবং (২) অভ্যাসগত বা শর্তাধীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া ।

(১) সহজাত বা শর্তবিহীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া [Congenital or Unconditional reflex action]:- যে সমস্ত প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মগত অর্থাৎ জন্মের সঙ্গে সঙ্গে বংশগত সুত্রে পূর্বপুরুষ থেকে প্রাপ্ত হয়, তাকে সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে । এই প্রতিবর্ত ক্রিয়া শর্ত নিরপেক্ষ হওয়ায় একে শর্তবিহীন প্রতিবর্ত ক্রিয়াও বলে ।

জন্মের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর স্তন্যপানের ইচ্ছা, উজ্জ্বল আলোকে চোখ বন্ধ হওয়া, লোভানীয় খাদ্যের উপস্থিতিতে লালা নিঃসরণ বিশেষ সময়ে মল-মুত্রের বেগ অনুভব করা ইত্যাদি সহজাত বা শর্তবিহীন প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদাহরণ । উত্পত্তি অনুসারে সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া দু'রকমের হয়, যেমন : [i] উপরিগত বা সুপারফসিয়াল প্রতিবর্ত ক্রিয়া এবং [ii] গভীর বা ডীপ প্রতিবর্ত ক্রিয়া ।

[i] উপরিগত বা সুপারফসিয়াল প্রতিবর্ত ক্রিয়া [Superficial reflex action]:- প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদ্দীপনা যখন দেহের প্রান্তদেশ অর্থাৎ ত্বক, চোখ ইত্যাদি থেকে আসে ।

উদাহরণ : উজ্জ্বল আলোতে চোখ বন্ধ হওয়া, পায়ের তালে সুড়সুড়ি দিলে পায়ের পাতা সংকুচিত হওয়া ইত্যাদি ।

[ii] গভীর বা ডীপ প্রতিবর্ত ক্রিয়া [Deep reflex action]:- প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদ্দীপনা যখন দেহাভ্যন্তরস্থ কোনো পেশি, টেনডন ইত্যাদি থেকে উত্পন্ন হয় । যেমন: হাঁটু ঝাঁকুনি, চোয়াল ঝাঁকুনি, বাইসেপস ঝাঁকুনি ইত্যাদি ।



(২) অভ্যাসগত বা শর্তাধীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া [Habitual or Conditional reflex action]:- যেসব প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মের পর বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত হয়, তাকে অভ্যাসগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে । যেমন: কোনো কাজ বারবার অনুশীলন করলে কিছুদিন পর মস্তিষ্কের সাহায্য ছাড়াই ওই কাজটি করা সম্ভব হয় । এই রকম প্রতিবর্ত ক্রিয়া শর্ত সাপেক্ষ হওয়ায় একে শর্তাধীন প্রতিবর্ত ক্রিয়াও বলে । বিজ্ঞানী প্যাভলভ প্রতিদিন নির্দিষ্ট এক সময়ে ঘন্টাধ্বনি করে একটি কুকুরকে খাবার দিতেন । এইভাবে কয়েকদিন অনুশীলনের পর কুকুরটিকে খাবার না দিয়ে কেবল ঘন্টাধ্বনি করে দেখলেন যে, কুকুরটির লালা নিঃসরণ হয়েছে । এরকম প্রতিবর্ত ক্রিয়াকে তিনি অভ্যাসগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বা শর্তাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়ারূপে অভিহিত করেন । শিশুদের হাঁটতে শেখা, কথা বলতে শেখা ইত্যাদি এই জাতীয় প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদাহরণ ।



♦সহজাত প্রতিবর্ত এবং অভ্যাসগত প্রতিবর্তের পার্থক্য♦
সহজাত প্রতিবর্ত ---------------- অভ্যাসগত প্রতিবর্ত
১.এই প্রতিবর্ত জন্মগত । ---------------- ১. এই প্রতিবর্ত জন্মগত নয়, অভ্যাসের দ্বারা অর্জিত ।
২.এই প্রতিবর্ত শর্তনিরপেক্ষ । ---------------- ২. এই প্রতিবর্ত শর্ত সাপেক্ষ ।
৩. এই রকম প্রতিবর্তের জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না । ---------------- ৩. এই রকম প্রতিবর্তের জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় ।
৪. এই রকম প্রতিবর্তের স্নায়ুপথ সরল ---------------- ৪. এই রকম প্রতিবর্তের স্নায়ুপথ অপেক্ষাকৃত জটিল ।



►উত্স অনুসারে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ : উত্স অনুসারে প্রতিবর্ত ক্রিয়াকে দু'ভাবে ভাগ করা হয়েছে, যেমন:

[i] সরল প্রতিবর্ত ক্রিয়া [Simple reflex action]:- যে প্রতিবর্ত ক্রিয়া কেবলমাত্র সুষুম্নাকান্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, এবং প্রতিবর্ত পথ অল্প সংখ্যক স্নায়ুকোষ দিয়ে গঠিত থাকে তাকে সরল প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে । যেমন : চোখে কিছু পড়ার উপক্রম হলে চোখ দুটি আপনা থেকেই বুজে যায় ।

[ii] জটিল প্রতিবর্ত ক্রিয়া [Complex reflex action]:- যে প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় সুষুম্নাকান্ড ছাড়াও মস্তিষ্কের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, এবং প্রতিবর্ত পথে বহুসংখ্যক স্নায়ুকোষ থাকে, তাকে জটিল প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে । যেমন: হাঁটা-চলা, সাইকেল চালানো ব্যাঙের শিকার ধারা ইত্যাদি ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being EmptyRe: মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

more_horiz
প্রতিবর্ত চাপ বা রিফ্লেক্স আর্ক


►প্রতিবর্ত চাপ বা রিফ্লেক্স আর্ক [Reflex arc]:-

• সংজ্ঞা:- যে স্নায়ুপথে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার স্নায়ুস্পন্দন আবর্তিত হয়, তাকে প্রতিবর্ত চাপ বা রিফ্লেক্স আর্ক বলে ।



প্রতিবর্ত চাপ সাধারণত তিনটি স্নায়ুকোষ দ্বারা গঠিত । তবে দুই অথবা বহু স্নায়ুকোষের সমন্বয়েও প্রতিবর্ত চাপ গঠিত হাতে পারে । প্রতিবর্ত চাপে সাইন্যাপস অর্থাৎ স্নায়ু-সন্নিধির অবস্থান অনুযায়ী প্রতিবর্ত চাপ একসন্ধি অর্থাৎ একটি স্নায়ুসন্ধিযুক্ত প্রতিবর্ত চাপ, দ্বিসন্ধি অর্থাৎ দুটি স্নায়ুসন্ধিযুক্ত প্রতিবর্ত চাপ এবং ত্রিসন্ধি অর্থাৎ তিনটি স্নায়ুসন্ধিযুক্ত প্রতিবর্ত চাপ হাতে পারে ।



• প্রতিবর্ত চাপের অংশ:- প্রতিবর্ত চাপের বিভিন্ন অংশগুলি হল :

[i] গ্রাহক বা রিসেপটর:- এর মাধ্যমে পরিবেশ থেকে আগত উদ্দীপনা গৃহিত হয় ।

[ii] অন্তর্বাহী স্নায়ু:- এটি সেনসরি নিউরোন দিয়ে গঠিত, এর মাধ্যমে স্নায়ুসংবেদ গ্রাহক থেকে স্নায়ুকেন্দ্রে পৌঁছায় ।

[iii] স্নায়ুকেন্দ্র:- এটি সুষুম্নাকান্ডের ধুসর পদার্থে অবস্থিত, এখানে সংজ্ঞাবহ উদ্দীপনা চেষ্টিয় উদ্দীপনায় রূপান্তরিত হয় ।

[iv] বহির্বাহী স্নায়ু:- এটি মোটর নিউরোন দিয়ে গঠিত । এর মাধ্যমে চেষ্টিয়-উদ্দীপনা ইফেক্টর বা কারকে পৌঁছায় ।

[v] কারক বা ইফেক্টর :- পেশি, গ্রন্থি ইত্যাদি হল কারক । এগুলি উদ্দীপনায় উদ্দীপিত হয় বা সাড়া দেয় ।



♦ প্রতিবর্ত চাপ কীভাবে কাজ করে তার একটি সহজ উদাহরণ: —

ধরা যাক, আমাদের পায়ে হটাৎ একটি কাঁটা বিঁধে গেল । আমরা তত্ক্ষণাৎ পা-টিকে মাটি থেকে সরিয়ে নিই । এখানে কিভাবে স্নায়ুস্পন্দন প্রতিবর্ত চাপের মাধ্যমে বাহিত হয় তা লক্ষ করা যাক :

(i) পায়ের পাতার চামড়ায় অসংখ্য রিসেপ্টর বা গ্রাহক থাকে । এই রিসেপ্টরগুলি কাঁটা বেঁধার ফলে 'ব্যথা' নামক যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় তা গ্রহণ করে অন্তর্বাহী শাখা দিয়ে সুষুম্নাকান্ডের মধ্যে প্রেরণ করে ।

(ii) সুষুম্নাকান্ড তখন বহির্বাহী স্নায়ু দিয়ে পায়ের ইফেক্টরে অর্থাৎ সংকোচন পেশির (flexor muscles) মধ্যে সাড়া (response) প্রদান করে ।

(iii) এর জন্য পায়ের পেশিগুলি সংকুচিত হয়, ফলে পদতল আপনা থেকেই কাঁটা বেঁধা স্থান থেকে সরে আসে ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being Emptyকেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র - মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকান্ড Central Nerve System

more_horiz
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র : মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকান্ড


►কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র [Central Nerve System]:- কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র (i) মস্তিষ্ক এবং (ii) সুষুম্নাকান্ড নিয়ে গঠিত । মস্তিষ্কটি করোটির (cranium) মধ্যে সুরক্ষিত থাকে । সুষুম্নাকান্ড মেরুদন্ডের গহ্বরে পৃষ্ঠ মধ্যরেখা বরাবর অবস্থিত । কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রটি একটি ফাঁপা নল বিশেষ । এটি বাইরে থেকে মেনিনজেস (meninges) নামে এক আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে । মেনিনজেসে তিনটি স্তর থাকে, যেমন : বাইরের দিক থেকে ভেতরে অবস্থিত এই স্তরগুলি হল যথাক্রমে : ডুরাম্যাটার (Duramater), অ্যারাকনয়েডম্যাটার (arachnoidmater) এবং পিয়াম্যাটার (piamater) । কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের গহ্বরে মস্তিষ্ক-সুষুম্না রস অর্থাৎ সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (cerebro spinal fluid) নামে একরকম রস থাকে ।



►মস্তিষ্ক[Brain]:-

• সংজ্ঞা:- সুষুম্নাকান্ডের অগ্রভাগে অবস্থিত ও করোটির দ্বারা সুরক্ষিত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের স্ফীত যে অংশটিতে প্রাণীদের বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতি ইত্যাদি স্নায়বিক আবেগ নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে মস্তিষ্ক বলে ।

মানুষের মস্তিষ্কের ওজন প্রায় 1.36 কেজি এবং এতে প্রায় 1000 কোটি স্নায়ুকোষ এবং ততোধিক নিউরোগ্লিয়া থাকে ।

• গঠন [Structure]:- মানুষের মস্তিষ্কটি করোটির মধ্যে মেনিনজেস নামে এক পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকে । মানুষের মস্তিষ্ক তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত, যথা : (১) অগ্র মস্তিষ্ক, (২) মধ্য মস্তিষ্ক ও (৩) পশ্চাদ মস্তিষ্ক ।

(১) অগ্র মস্তিষ্ক :- অগ্র মস্তিষ্কটি তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত, যথা: (ক) গুরু মস্তিষ্ক, (খ) থ্যালামাস এবং (গ) হাইপোথ্যালামাস ।

(ক) গুরু মস্তিষ্ক:- গুরু মস্তিষ্ক হল মস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ এবং করোটির প্রায় বেশির ভাগ অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত । এর বাইরের দিকে অসংখ্য খাঁজ (সালকাস) এবং ভাঁজ (জাইরাস) দেখা যায় । গুরু মস্তিষ্কটি একটি গভীর খাঁজ দিয়ে দুটি গোলার্ধে অর্থাৎ ডান ও বাম সেরিব্রাল হেমিস্ফিয়ারে বিভক্ত থাকে । এই গোলার্ধ দুটি করপাস ক্যালোসাম নামে একটি প্রশস্ত স্নায়ু-যোজক দিয়ে পরস্পর যুক্ত থাকে । গুরু মস্তিষ্ক পাঁচটি খন্ডে বিভক্ত, যথা: অগ্র খন্ড, মধ্য খন্ড, পশ্চাদ খন্ড, এবং দুটি পার্শ্ব খন্ড । এগুলিকে ফ্রন্টাল, প্যারাইটাল টেম্পোরোল, অক্সিপিটাল ও লিম্বিক লোব বলে । গুরু মস্তিষ্কের বহির্ভাগ ধুসর পদার্থ এবং অন্তর্ভাগ শ্বেত পদার্থ দিয়ে গঠিত ।

• কাজ:- গুরু মস্তিষ্ক

(i) চাপ, তাপ, ব্যথা, ইত্যাদি স্পর্শবোধ;

(ii) ভয়, আনন্দ প্রভৃতি চেতনাবোধ এবং

(iii) স্মৃতি, চিন্তা, বুদ্ধি প্রভৃতি উন্নত মানসিক বোধ নিয়ন্ত্রণ করে ;

(iv) মানবদেহের বিভিন্ন অংশের নানা শারীরবৃত্তীয় কাজের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে এবং

(v) মানুষের বিভিন্ন সহজাত প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করে ।



(খ) থ্যালামাস:- গুরু মস্তিষ্কের নীচে অবস্থিত এবং ধূসর পদার্থ দিয়ে গঠিত অংশকে থ্যালামাস বলা হয় ।

• কাজ:- এটি মানুষের ক্রোধ, লজ্জা বেদনা, ইত্যাদি মানসিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ।



(গ) হাইপোথ্যালামাস:- থ্যালামাসের নীচে অবস্থিত এবং শ্বেত ও ধূসর পদার্থ দিয়ে গঠিত অংশকে হাইপোথ্যালামাস বলে ।

• কাজ:- এটি মানসিক আবেগ ও ক্ষুধা, তৃষ্ণা, নিদ্রা প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করে । এছাড়া নিদ্রা ও জাগ্রত অবস্থার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানও হাইপোথ্যালামাসের অন্যতম প্রধান কাজ ।



(২) মধ্য মস্তিষ্ক:- অগ্র ও পশ্চাদ মস্তিষ্কের মাঝখানে মধ্য মস্তিষ্ক অবস্থিত । এর প্রধান অংশগুলি হল

(ক) ক্রুরা সেরিব্রাই,

(খ) টেগমেনটাম এবং

(গ) টেকটাম ।

• কাজ:- এই অংশটি দর্শন ও শ্রবণ নিয়ন্ত্রণ করে ।



(৩) পশ্চাদ মস্তিষ্ক:- পশ্চাদ মস্তিষ্কটি তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত, যথা: (ক) লঘু মস্তিষ্ক, (খ) পনস বা যোজক এবং (গ) সুষুম্নাশীর্ষক ।

(ক) লঘু মস্তিষ্ক:- এটি সুষুম্নাশীর্ষক ও পনসের পিছনে এবং পশ্চাদ করোটির খাঁজে অবস্থিত । লঘু মস্তিষ্কটি দুটি গোলার্ধে বিভক্ত থাকে । এই গোলার্ধ দুটি ভারমিস নামে একটি যোজক দিয়ে যুক্ত থাকে ।

• কাজ:- লঘু মস্তিষ্ক মানবদেহের ভারসাম্য রক্ষা করে ।



(খ) পনস বা যোজক:- মধ্য মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাশীর্ষকের মাঝখানে অবস্থিত অংশকে পনস বা যোজক বলে ।

• কাজ:- মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয়সাধন করা হল পনস বা যোজকের প্রধান কাজ ।



(গ) সুষুম্নাশীর্ষক:- এটি পনসের পরবর্তী অংশ এবং সুষুম্নাকান্ডের অগ্রভাগে অবস্থিত । এটি মস্তিষ্কের সবচেয়ে নীচের অংশ ।

• কাজ:- হৃদস্পন্দন, শ্বাসক্রিয়া, খাদ্যগ্রহণ, লালা ও ঘর্ম নিঃসরণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা হল সুষুম্নাশীর্ষকের প্রধান কাজ ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being EmptyRe: মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

more_horiz
• গুরু মস্তিষ্ক ও লঘু মস্তিষ্কের পার্থক্য •
বৈশিষ্ট্য --------------------- গুরু মস্তিষ্ক --------------------- লঘু মস্তিষ্ক
১.অংশবিভেদ --------------------- গুরুমস্তিষ্ক হল অগ্র মস্তিষ্কের অংশ । --------------------- লঘু মস্তিষ্ক হল পশ্চাদ মস্তিষ্কের অংশ ।
২.অবস্থান --------------------- গুরু মস্তিষ্ক আকারে বড় এবং এই মস্তিষ্ক করোটির অধিকাংশ অঞ্চল জুড়ে থাকে । --------------------- লঘু মস্তিষ্ক অপেক্ষাকৃত ছোট এবং পশ্চাদ করোটির খাঁজে অবস্থিত ।
৩.যোজক --------------------- গুরু মস্তিষ্কের গোলার্ধ দুটি করপাস ক্যালোসাম নামে যোজক দিয়ে যুক্ত থাকে । --------------------- লঘু মস্তিষ্কের গোলার্ধ দুটি ভারমিস নামে যোজক দিয়ে যুক্ত থাকে ।
৪.খন্ড --------------------- গুরু মস্তিষ্কটি পাঁচটি খন্ডে বিভক্ত, যেমন : একটি করে অগ্র, মধ্য ও পশ্চাদ খন্ডক এবং দুটি পার্শ্ব খন্ডক । --------------------- লঘু মস্তিষ্কে এই ধরনের খন্ড থাকে না ।
৫.কাজ --------------------- গুরু মস্তিষ্কের প্রধান কাজ হল প্রাণীদের চিন্তা, বুদ্ধি, স্মৃতি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা । --------------------- লঘু মস্তিষ্কের প্রধান কাজ হল প্রাণীদেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being EmptyRe: মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

more_horiz


►সুষুম্নাকান্ড [Spinal Cord]:-

• উপাদান [Components]:- সুষুম্নাকান্ডটি সুষুম্নাশীর্ষক থেকে শুরু হয়ে মেরুদন্ডের গহ্বরের পৃষ্ঠ- মধ্যরেখা বরাবর প্রথম লাম্বার কশেরুকা পর্যন্ত বিস্তৃত । মানুষের সুষুম্নাকান্ডটি 18 ইঞ্চি বা 45 সেন্টিমিটারের মতো লম্বা । প্রতি কশেরুকার সংযোগস্থলে সুষুম্নাকান্ডটি খাঁজবিশিষ্ট হয়েছে, সুষুম্নাকান্ডটি অনেকগুলি খন্ডক (31টি) নিয়ে গড়ে উঠেছে । প্রতি খন্ডক থেকে একজোড়া করে সুষুম্নীয় স্নায়ুর (spinal nerves) উদ্ভব হয়েছে । সুষুম্নাকান্ডের অঙ্কদেশে একটি অঙ্কীয় স্নায়ু খাঁজ (ventral fissure) এবং পৃষ্ঠদেশে একটি পৃষ্ঠীয় স্নায়ু খাঁজ (dorsal fissure) সুষুম্নাকান্ডকে দুটি প্রতিসম অংশে বিভক্ত করেছে । সুষুম্নাকান্ডের ভেতরের অংশ ধূসর পদার্থ এবং বাইরের অংশ শ্বেত পদার্থ দিয়ে গঠিত । প্রতি অর্ধাংশের ধূসর বস্তু দুটি শৃঙ্গে বিভক্ত । এদের যথাক্রমে সম্মুখ স্নায়ু শৃঙ্গ এবং পশ্চাদ স্নায়ু শৃঙ্গ বলে । প্রতিটি সুষুম্না স্নায়ু কশেরুকা গহ্বরে প্রবেশ করে দুভাগে বিভক্ত হয়ে পৃষ্ঠমূল এবং অঙ্কমূল রূপে প্রতিটি সুষুম্না খন্ডকের একটি অর্ধাংশের সঙ্গে যুক্ত থাকে । সুষুম্নাকান্ডের গহ্বরটিকে নিউরোসিল (neurocoel) বলে । এই গহ্বরের মধ্যে সেরিব্রো-স্পাইনাল তরল থাকে ।

• কাজ:- সুষুম্নাকান্ড অ্যাফারেন্ট (অন্তর্বাহী) ও ইফারেন্ট (বহির্বাহী) স্নায়ুর সাহায্যে দেহের বিভিন্ন যন্ত্রের মধ্যে সমন্বয়সাধন করে এবং সরল প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being EmptyRe: মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum