Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being - Page 2 Emptyমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

more_horiz
First topic message reminder :


দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয়



মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় [Nervous System and Sense organs with reference to human being]





[Syllabus: Nervous system: Outline classification and components of Nervous System; Neurone- Structural and functional unit. Nerves - afferent and efferent types, synapse, ganglion, reflex action with common examples. Central nervous system (Brain and Spinal cord - components & functions). Sense organs: (i) Eye: structure and function. (ii) Ear structure and function (details not required). (iii) Sensory functions of Tongue, Skin and Nose. ]



►ভূমিকা -মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রিয়

►স্নায়ুতন্ত্রের সংজ্ঞা ও কাজ

[১] সমন্বয়সাধন:-

[২] উদ্দীপনায় সাড়া দান:-

[৩] পেশি ও গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ:-

[৪] মানসিক ও প্রতিবর্ত ক্রিয়া পরিচালন:-



►স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনা পরিবহনকারী উপাদান :-

[i] গ্রাহক [Receptor]:-

[ii] কারক [Effectors]:-

[iii] বাহক [Conductor]:-



►স্নায়ুতন্ত্রের শ্রেণিবিভাগ :-

►স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত উপাদান :-

►নিউরোন - সংজ্ঞা ও গঠন:-



►নিউরোনের শ্রেণিবিভাগ [Classification of Neurone]:-

(A) কাজ অনুযায়ী নিউরোন তিন প্রকার ; যথা

[i] সংজ্ঞাবহ বা সংবেদজ নিউরোন [Sensory Neurone]

[ii] আজ্ঞাবহ বা চেষ্টিয় নিউরোন [Motor Neurone]

[iii] সহযোগী নিউরোন [Adjust or Interconnecting Neurone]



(B) কোষদেহ থেকে উত্পন্ন প্রবর্ধকের সংখ্যানুযায়ী নিউরোন পাঁচ প্রকারের হয়; যথা:-

[i] মেরুবিহীন নিউরোন [Apolar Neurone]

[ii] এক-মেরুবর্তী নিউরোন [Unipolar Neurone]

[iii] দ্বি-মেরুবর্তী নিউরোন [Bipolar Neurone]

[iv] মেকি-এক-মেরুবর্তী নিউরোন [Pseudo-unipolar Neurone]

[v] বহু মেরুবর্তী নিউরোন [Multipolar Neurone]



►নিউরোনের কাজ [Functions of Neurone]:-

► নিউরোগ্লিয়া [Neuroglia]



►স্নায়ু [Nerve]

♦ স্নায়ুর সংজ্ঞা:-

♦ স্নায়ুর প্রকারভেদ:-

► স্নায়ুর কাজ

► সাইন্যাপস বা স্নায়ু সন্নিধি [Synapse]:-

► নার্ভ গ্যাংলিয়ন বা স্নায়ুগ্রন্থি

► প্রতিবর্ত ক্রিয়া [Reflex action]:-

►প্রতিবর্ত ক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ :-

►প্রতিবর্ত চাপ বা রিফ্লেক্স আর্ক [Reflex arc]:-

►কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র [Central Nerve System]:-

►মস্তিষ্ক[Brain]:-

►সুষুম্নাকান্ড [Spinal Cord]:-

►মানবদেহের জ্ঞানেন্দ্রিয় :-

►(১) চক্ষু বা চোখ [Eye]:-

►(২) কর্ণ বা কান [Ear]:-

►(৩) নাসিকা বা নাক [Nose]:-

►(৪) জিহ্বা বা জিভ [Tongue]:-

►(৫) ত্বক বা চর্ম [Skin]:- ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being - Page 2 Emptyমানবদেহের জ্ঞানেন্দ্রিয় : চক্ষু বা চোখ

more_horiz
মানবদেহের জ্ঞানেন্দ্রিয় : চক্ষু বা চোখ

►মানবদেহের জ্ঞানেন্দ্রিয় [Sense Organs of Man]:-

• সংজ্ঞা:- প্রাণীদের যে সব গ্রাহকঅঙ্গ পরিবেশ থেকে বিশেষ ধরনের উদ্দীপনা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্নায়ুর মাধ্যমে স্নায়বিক কেন্দ্রে প্রেরণ করে, তাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় বা সেন্স অর্গ্যান বলে ।

• মানুষের জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলি হল (১) চক্ষু বা চোখ [Eye], (২) কর্ণ বা কান [Ear], (৩) নাসিকা বা নাক [Nose], (৪) জিহ্বা বা জিভ [Tongue] এবং (৫) ত্বক বা চর্ম [Skin] । এদের এক কথায় পঞ্চ-ইন্দ্রিয় বলে ।

►চক্ষু বা চোখ [Eye]:-

• সংজ্ঞা:- যে বিশেষ অঙ্গের দ্বারা প্রাণীরা পরিবেশ থেকে আলোকজাত উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং বহির্জগতের দৃশ্য দেখতে পায়, তাকে চোখ বলে ।

চক্ষু বা চোখ হল আমাদের দর্শনেন্দ্রিয় । আমাদের চোখ দুটি মস্তিষ্কের সম্মুখভাগে অক্ষিকোটরে অবস্থিত । প্রতিটি চোখ একটি অক্ষিগোলক, একজোড়া অক্ষিপল্লব এবং একটি অশ্রুগ্রন্থি নিয়ে গঠিত ।

অক্ষিগোলকের প্রধান অংশগুলি হল : কনজাংটিভা, কর্নিয়া, আইরিশ, লেন্স বা মনি, স্ক্লেরা, কোরয়েড এবং রেটিনা ।

• মানুষের চোখের বিভিন্ন অংশগুলির সংক্ষিপ্ত গঠন:-



[i] অক্ষিপল্লব [Eyelids]:- চোখ দুটি সঞ্চারশীল একটি ঊর্ধপল্লব ও একটি নিম্নপল্লব দিয়ে ঢাকা থাকে । অক্ষিপল্লবের কিনারায় এক সারি পল্লব লোম [eye lash] থাকে ।

• কাজ:- বাইরের আঘাত ও ধুলোবালির হাত থেকে চোখ দুটিকে রক্ষা করা হল অক্ষি পল্লবের কাজ ।



[ii] কনজাংটিভা বা নেত্রবর্ত্মকলা [Conjunctiva]:- এটি অক্ষিগোলকের একবারে বাইরের দিকে অবস্থিত একরকম স্বচ্ছ পাতলা আবরণ ।

• কাজ:- কনজাংটিভা চোখের আভ্যন্তরীণ অংশকে রক্ষা করে ।



[iii] করনিয়া বা অচ্ছোদপটল [Cornea]:- এটি অক্ষিগোলকের সামনের দিকে অবস্থিত স্বচ্ছ স্তর । কনজাংটিভা করনিয়ার ওপর থাকে ।

• কাজ:- করনিয়া প্রতিসারক মাধ্যম হিসাবে কাজ করে ।



[iv] আইরিশ বা কনীনিকা [Iris]:- এটি করনিয়ার নীচে এবং লেন্স -এর ওপরে অবস্থিত স্তর । এটির কেন্দ্রে অবস্থিত ক্ষুদ্র ছিদ্রটিকে তারারন্ধ্র বা পিউপিল [pupil] বলে ।

• কাজ:- কনীনিকা তারারন্ধ্রকে ছোটো-বড়ো করে চোখে আলো প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে ।



[v] লেনস বা মণি [Lens]:- এটি কনীনিকার পরবর্তী দ্বি-উত্তলাকার স্বচ্ছ অংশ ।

• কাজ:- লেনস আলোক রশ্মির প্রতিসরণে মুখ্য ভুমিকা গ্রহণ করে ।



[vi] স্ক্লেরা বা শ্বেতমণ্ডল [Sclera]:- এটি অক্ষিগোলকের পিছনের 5/6 অংশ জুড়ে অবস্থিত একবারে বাইরের আবরণী । এই আবরণীটি তন্তুময় ।

• কাজ:- স্ক্লেরা বা শ্বেতমণ্ডলের প্রধান কাজ হল চোখের ভেতরকার অংশগুলিকে রক্ষা করা ।



[vii] কোরয়েড বা কৃষ্ম মণ্ডল [Choroid]:- এটি অক্ষিগোলকের পশ্চাতে অবস্থিত স্ক্লেরা বা শ্বেতমণ্ডলের পরবর্তী আবরণ । এই অংশে মেলানিন নামে রঞ্জক থাকায় এই অংশটি কালো রং -এর হয় ।

• কাজ:- কোরয়েড বা কৃষ্ম মণ্ডল আলোকের প্রতিফলন রোধ করে এবং রেটিনাকে রক্ষা করে ।



[viii] রেটিনা বা অক্ষিপট [Retina]:- এটি অক্ষিগোলকের পশ্চাদভাগে অবস্থিত কোরয়েড স্তরের পরবর্তী স্নায়ুস্তর । এই স্তরটি রড [rod] এবং কোন [cone] নামে দু'রকম স্নায়ুকোষ দিয়ে গঠিত ।

• কাজ:- রেটিনায় বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয় । রড কোষ ও কোন কোষ আলো ও বর্ণ গ্রাহক হিসেবে কাজ করে । রড কোষ মৃদু আলো এবং কোন কোষ উজ্জ্বল রঙ্গিন আলোয় সংবেদনশীল ।



[ix] অশ্রুগ্রন্থি [Tear Gland]:- প্রতি চোখের অক্ষিকোটরের বহির্ভাগে এবং ঊর্ধঅক্ষিপল্লবের নীচে ছোট্ট বাদামের মতো দেখতে একটি করে অশ্রুগ্রন্থি থাকে । অশ্রুগ্রন্থির ক্ষরণকে অশ্রু [tear] বলে ।

• কাজ:-

(ক) অশ্রুগ্রন্থির ক্ষরণ নালি পথে বাহিত হয়ে কনজাংটিভার ওপর ছড়িয়ে পড়ে এবং চোখকে ভিজে রাখে ।

(খ) অশ্রু চোখের উপরিভাগে ধুলোবালি পড়লে তা ধুয়ে দেয় ।

(গ) এছাড়া অশ্রুতে অবস্থিত সোডিয়াম কার্বনেট ও সোডিয়াম ক্লোরাইড জীবাণুনাশক পদার্থ হিসেবে কাজ করে ।

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being - Page 2 EmptyRe: মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

more_horiz


• চোখের বিভিন্ন অংশের অবস্থান ও কাজ সংক্ষেপে ছকের সাহায্যে দেখানো হল •
চক্ষুর অংশ --------------------- অবস্থান --------------------- কাজ
১.স্ক্লেরা --------------------- অক্ষিগোলকের পিছনের দিকে অবস্থিত সবচেয়ে বাইরের তন্তুময় আবরণী । --------------------- অক্ষিগোলকের পশ্চাদভাগের অন্যান্য স্তরকে রক্ষা করে ।
২.কোয়েড --------------------- অক্ষিগোলকের পশ্চাদভাগে অবস্থিত মধ্য আবরক । --------------------- রেটিনাকে রক্ষা করে এবং বিচ্ছুরিত আলোকের প্রতিফলন রোধ করে ।
৩.রেটিনা --------------------- অক্ষিগোলকের পশ্চাদভাগে অবস্থিত অন্তঃআবরক । --------------------- বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠনে সাহায্য করে ।
৪.করনিয়া --------------------- অক্ষিগোলকের বহিরাবরকের সম্মুখভাগে অবস্থিত। --------------------- প্রতিসারক মাধ্যম হিসাবে কাজ করে ।
৫.আইরিশ --------------------- অক্ষিগোলকের সামনে লেনস এর ওপরে অবস্থিত। --------------------- তারারন্ধ্রকে ছোট ও বড় হতে সাহায্য করে ।
৬.পিউপিল বা তারারন্ধ্র --------------------- আইরিশের পশ্চাদভাগে অবস্থিত। --------------------- এর মাধ্যমে চোখে আলোক রশ্মি প্রবেশ করে ।
৭.লেনস বা মনি --------------------- আইরিশের পশ্চাদভাগে অবস্থিত দ্বি-উত্তলাকার অংশ । --------------------- আলোর প্রতিসরণ ঘটায় এবং আলোক রশ্মিকে রেটিনার ওপর কেন্দ্রীভূত করে ।
৮.কনজাংটিভা বা নেত্রবর্ত্মকলা --------------------- করনিয়ার বাইরের আচ্ছাদন । --------------------- করনিয়ার বাইরের আচ্ছাদন ।
৯.অ্যাকুয়াস হিউমর --------------------- করনিয়া এবং লেন্সের মধ্যবর্তী প্রকোষ্ঠে অবস্থিত । --------------------- বিবর্ধক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে ।
১০.ভিট্রিয়াস হিউমর --------------------- লেন্সের এবং রেটিনার মধ্যবর্তী প্রকোষ্ঠে অবস্থিত । --------------------- প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে ।
১১.ব্লাইন্ড স্পট বা অন্ধবিন্দু --------------------- তারারন্ধ্রের বিপরীত দিকে রেটিনার ওপর অবস্থিত । --------------------- এখানে প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না ।
১২.ইয়োলো স্পট --------------------- তারারন্ধ্রের বিপরীত দিকে রেটিনার ওপর অবস্থিত । --------------------- এখানে সবচেয়ে ভাল প্রতিবিম্ব গঠিত হয় ।

***

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being - Page 2 Emptyমানবদেহের জ্ঞানেন্দ্রিয় : কর্ণ বা কান

more_horiz
মানবদেহের জ্ঞানেন্দ্রিয় : কর্ণ বা কান

►মানবদেহের জ্ঞানেন্দ্রিয় [Sense Organs of Man]:-

• সংজ্ঞা:- প্রাণীদের যে সব গ্রাহকঅঙ্গ পরিবেশ থেকে বিশেষ ধরনের উদ্দীপনা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্নায়ুর মাধ্যমে স্নায়বিক কেন্দ্রে প্রেরণ করে, তাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় বা সেন্স অর্গ্যান বলে ।

• মানুষের জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলি হল (১) চক্ষু বা চোখ [Eye], (২) কর্ণ বা কান [Ear], (৩) নাসিকা বা নাক [Nose], (৪) জিহ্বা বা জিভ [Tongue] এবং (৫) ত্বক বা চর্ম [Skin] । এদের এক কথায় পঞ্চ-ইন্দ্রিয় বলে ।



► কর্ণ বা কান [Ear]:-

• সংজ্ঞা :- যে জ্ঞানেন্দ্রিয়ের সাহায্যে মানুষ বহিরাগত শব্দ শোনে তাকে কর্ণ বা কান বলে । মানুষের কানের প্রধান তিনটি অংশ হল: (ক) বহিঃকর্ণ, (খ) মধ্য কর্ণ এবং (গ) অন্তঃকর্ণ ।



(ক) বহিঃকর্ণের গঠন:- মানুষের বহিঃকর্ণটি তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত; যথা:- [i] কর্ণছত্র, [ii] কর্ণকুহর এবং [iii] কর্ণপটহ ।

[i] কর্ণছত্র:- কর্ণছত্র দুটি মাথার দু'পাশে অবস্থিত এবং অনৈচ্ছিক পেশি ও তরুণাস্থি দিয়ে গঠিত ।

[ii] কর্ণকুহর:- কর্ণছত্রের কেন্দ্র থেকে শুরু করে কর্ণপটহ পর্যন্ত বিস্তৃত ঈষৎ বাঁকা নালি বিশেষ ।

[iii] কর্ণপটহ:- কর্ণকুহরের শেষ প্রান্তে অবস্থিত পাতলা পর্দা ।

• কাজ:- এর মাধ্যমে শব্দ গৃহীত হয়ে মধ্যকর্ণে প্রেরিত হয় ।



(খ) মধ্য কর্ণের গঠন:- এটি ছোটো ও বায়ুপূর্ণ প্রকোষ্ঠ । মধ্যকর্ণের এই প্রকোষ্ঠে মেলিয়াস, ইনকাস এবং স্টেপিস নামে তিনটি ছোট হাড় শিকলের মতো থাকে । মধ্যকর্ণ ইউস্টেচিয়ান নালীর সাহায্যে গলবিলের সঙ্গে যুক্ত থাকে ।

• কাজ:- বহিঃকর্ণ থেকে গৃহীত শব্দ মধ্যকর্ণের তিনটি অস্থির মাধ্যমে অন্তঃকর্ণে প্রবেশ করে ।



(গ) অন্তঃকর্ণের গঠন:- অন্তঃকর্ণ প্রধানত ককলিয়া এবং ভেস্টিব্যুলার যন্ত্র নিয়ে গঠিত ।

• ককলিয়া:- এটি শামুকের খোলাকের মতো পেঁচানো নালি বিশেষ । ককলিয়ার মধ্যে শ্রুতিগ্রাহক যন্ত্র বা কটি যন্ত্র অবস্থিত ।

• ভেস্টিব্যুলার যন্ত্র:- এটি প্রধানত তিনটি অর্ধবৃত্তাকার নালি এবং একটি অটোলিথ যন্ত্র নিয়ে গঠিত ।

• কাজ:- অন্তঃকর্ণের ককলিয়ার ভিতরের শ্রুতিগ্রাহক যন্ত্র শব্দের-উদ্দীপনা গ্রহণ করে অডিটরি স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কের শ্রবণ কেন্দ্রে প্রেরণ করে, ফলে শব্দটি আমরা শুনতে পাই । অর্ধবৃত্তাকার নালী এবং অটোলিথ যন্ত্র প্রাণীদেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ।



•কর্ণপটহ থেকে অন্তঃকর্ণে শব্দতরঙ্গ সঞ্চারণ : কর্ণপটহ থেকে শব্দতরঙ্গ মধ্যকর্ণে অবস্থিত মেলিয়াস, ইনকাস এবং স্টেপিস নামে তিনটি অস্থির মাধ্যমে অন্তঃকর্ণে সঞ্চালিত হয় । বহিরাগত শব্দতরঙ্গ কর্ণছত্রের দ্বারা সংগৃহীত হয়ে বহিঃকর্ণ নালির মাধ্যমে বাহিত হয়ে কর্ণপটহে ধাক্কা মারে এবং কর্ণপটহে কম্পন সৃষ্টি করে । কর্ণপটহ থেকে এই কম্পন মধ্যকর্ণের অস্থিত্রয়ের মাধ্যমে অন্তঃকর্ণের ককলিয়ায় প্রবেশ করে । ককলিয়া মধ্যস্থ শ্রুতি গ্রাহক বা কটি যন্ত্র সেই শব্দতরঙ্গ গ্রহণ করে অডিটর স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কের শ্রবণ কেন্দ্রে প্রেরণ করে । ফলে শব্দটি আমরা শুনতে পাই ।



বায়ুতে শব্দ তরঙ্গ → কর্ণকুহর → কর্ণপটহ → মধ্যকর্ণের অস্থি → শ্রুতিগ্রাহক বা কটি যন্ত্র → অডিটরি স্নায়ু → মস্তিষ্কের শ্রবণ কেন্দ্র → শ্রবণ ।




• কর্ণের বিভিন্ন অংশের অবস্থান ও কাজ সংক্ষেপে ছকের সাহায্যে দেখানো হল •
কর্ণের অংশ ---------------------------- অবস্থান ---------------------------- কাজ
১.কর্ণছত্র ---------------------------- মস্তিষ্কের দু'পাশে অবস্থিত । ---------------------------- শব্দ-তরঙ্গ সংগ্রহ করে তা কর্ণকুহরে প্রেরণ করে ।
২.কর্ণকুহর ---------------------------- কর্ণছত্রের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং কর্ণপটহ পর্যন্ত বিস্তৃত । ---------------------------- শব্দ-তরঙ্গকে কর্ণপটহে বহন করা ।
৩.কর্ণপটহ ---------------------------- কর্ণকুহরের শেষ প্রান্তে অবস্থিত । ---------------------------- শব্দ-তরঙ্গ মধ্যকর্ণে প্রেরণ করে ।

৪.কর্ণ-অস্থি (মেলিয়াস,ইনকাস,স্টেপিস) ---------------------------- মধ্যকর্ণে অবস্থিত । ---------------------------- এই তিনটি অস্থি শব্দ-তরঙ্গকে কর্ণপটহ থেকে অন্তঃকর্ণে প্রেরণ করে ।
৫.ইউস্টেচিয়ান নালী ---------------------------- মধ্যকর্ণ ও গলবিলের মাঝে অবস্থিত ---------------------------- বায়ু চাপ নিয়ন্ত্রণ করে ।
৬.ককলিয়া ---------------------------- অন্তঃকর্ণে অবস্থিত । ---------------------------- শ্রবণ-অনুভূতি গ্রহণ করে তা মস্তিষ্কে প্রেরণ করে ।
৭.অর্ধবৃত্তাকার নালী ---------------------------- অন্তঃকর্ণে অবস্থিত । ---------------------------- দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে ।
৮.কটি যন্ত্র বা শ্রুতিযন্ত্র ---------------------------- ককলিয়ার মধ্যে অবস্থিত । ---------------------------- শ্রবণ গ্রাহক হিসেবে কাজ করে ।
৯.অটোলিথ ---------------------------- অর্ধবৃত্তাকার নালীর মধ্যে অবস্থিত । ---------------------------- দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে ।

***

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being - Page 2 Emptyমানবদেহের জ্ঞানেন্দ্রিয় : জিভ, ত্বক ও নাসিকা

more_horiz
মানবদেহের জ্ঞানেন্দ্রিয় : জিভ, ত্বক ও নাসিকা


►মানবদেহের জ্ঞানেন্দ্রিয় [Sense Organs of Man]:-

• সংজ্ঞা:- প্রাণীদের যে সব গ্রাহকঅঙ্গ পরিবেশ থেকে বিশেষ ধরনের উদ্দীপনা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্নায়ুর মাধ্যমে স্নায়বিক কেন্দ্রে প্রেরণ করে, তাদের জ্ঞানেন্দ্রিয় বা সেন্স অর্গ্যান বলে ।

• মানুষের জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলি হল (১) চক্ষু বা চোখ [Eye], (২) কর্ণ বা কান [Ear], (৩) নাসিকা বা নাক [Nose], (৪) জিহ্বা বা জিভ [Tongue] এবং (৫) ত্বক বা চর্ম [Skin] । এদের এক কথায় পঞ্চ-ইন্দ্রিয় বলে ।



► জিহ্বা বা জিভ [Tongue]:- জিহ্বার সাহায্যে আমরা প্রধানত স্বাদ গ্রহন করি । এইজন্য জিহ্বাকে স্বাদেন্দ্রিয় [Organ of taste] বলে । জিহ্বার সাহায্যে স্বাদ ছাড়াও ঠান্ডা, গরম, চাপ এবং স্পর্শ অনূভব করা যায় ।

• অবস্থান [Location]:- মানুষের মুখবিবরের মেঝেয় মাংসল জিহ্বাটি অবস্থিত ।

• গঠন [Structure]:- জিহ্বাটি ঐচ্ছিক পেশি দ্বারা গঠিত । জিহ্বার উপরের পৃষ্ঠ কর্কশ এবং নীচের পৃষ্ঠ অর্থাৎ তলদেশ মসৃন । জিহ্বাটি একটি পাতলা শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি বা মিউকাস পর্দা [mucous membrane] দ্বারা আবৃত ।

• স্বাদকোরক:- জিহ্বার উপরিভাগে স্বাদ গ্রহণে সহায়ককারী যে অসংখ্য ছোটো ছোটো গুটিকা থাকে তাদের স্বাদকোরক বলে । আমাদের জিহ্বায় প্রায় 10,000 স্বাদকোরক থাকে । স্বাদ কোরকের মধ্যে স্বাদগ্রাহী কোষ এবং ধারক কোষ থাকে । জিহ্বার অগ্রভাগে মিষ্টি [sweet] এবং পশ্চাদভাগে তিক্ত বা তেতো [bitter] স্বাদ-গ্রাহক থাকে, অগ্রভাগের কিছু ওপরে এবং মাঝখানে লবণাক্ত বা নোনতা [salty] এবং দু'পাশে অম্ল [sour] স্বাদ-গ্রাহক স্থান অবস্থিত ।

• কাজ [Functions of tongue]:- জিহ্বার বিশেষ কাজগুলি হল: (১) স্বাদ গ্রহণ, (২) কথা বলা, (৩) খাদ্য চর্বণ এবং (৪) খাদ্য গলাধঃকরণে সহায়তা করা ।



• জিহ্বায় কীভাবে স্বাদ গৃহীত হয় ? জিহ্বার অগ্রভাগে মিষ্টি, পশ্চাদভাগে তিক্ত, অগ্রভাগের কিছু ওপরে এবং মাঝখানে লবণাক্ত বা নোনতা এবং দু'পাশে অম্ল স্বাদ-গ্রাহক স্থান অবস্থিত । কোনও খাদ্যবস্তু যখন নির্দিষ্ট স্বাদকোরকের সংস্পর্শে আসে তখন স্বাদকোরকগুলি উদ্দীপিত হয় । ওই উদ্দীপনা স্বাদ কোরক থেকে নির্দিষ্ট স্নায়ুপথে [গ্লসোফ্যারিঞ্জিয়াল স্নায়ু] মস্তিষ্কের স্বাদ কেন্দ্রে পৌঁছয় । ফলে আমরা স্বাদটি অনুভব করি ।



লালারসের সঙ্গে খাবারের মিশ্রণ → জিভের বিভিন্ন স্বাদকোরকের সঙ্গে লালারসে সিক্ত খাবারের সংস্পর্শ → স্বাদগ্রাহক কোষগুলিতে উদ্দীপনার সৃষ্টি → গ্লসোফ্যারিঞ্জিয়াল স্নায়ুপথে উদ্দীপনার মস্তিষ্কের স্বাদ-কেন্দ্রে পৌঁছয় → বিভিন্ন স্বাদের অনুভব ।



► ত্বক বা চর্ম [Skin]:-

• সংজ্ঞা:- যে আচ্ছাদন আমাদের দেহের কোমল অংশকে ঢেকে রাখে এবং চাপ, তাপ, স্পর্শ, বেদনা ইত্যাদি অনুভব করতে সাহায্য করে, তাকে ত্বক বা চর্ম বলে ।

• কাজ:- ত্বকের সাহায্যে আমরা স্পর্শ অনুভব করি, তাই ত্বককে স্পর্শেন্দ্রিয় [organ of touch] বলে । স্পর্শ ছাড়াও চাপ, তাপ, ঠান্ডা, ব্যথা ইত্যাদি অনুভূতিগুলিও ত্বকের সাহায্যে অনুভব করা যায় । ত্বকে উদ্দীপনা গ্রহণের জন্য অসংখ্য রিসেপ্টর [receptor] বা গ্রাহক থাকে, বিভিন্ন সময়ে এরা চাপ-গ্রাহক, তাপ-গ্রাহক, স্পর্শ-গ্রাহক, বেদনা-গ্রাহক প্রভৃতি হিসেবে কাজ করে । তাছাড়া স্পর্শের মাধ্যমে ত্বক বিভিন্ন বস্তু সনাক্তকরণে সাহায্য করে ।



► নাসিকা বা নাক [Nose]:- নাসিকা বা নাক হল আমাদের ঘ্রাণেন্দ্রিয় ।

• কাজ:- নাসা-গহ্বরের ছাদে অবস্থিত ঘ্রাণ-ঝিল্লি [Olfactory epithelium] ঘ্রাণগ্রাহক হিসেবে কাজ করে । ঘ্রাণ ঝিল্লিতে অবস্থিত বাইপোলার স্নায়ু কোষ বা অলফ্যাক্টরি কোষ ঘ্রাণ গ্রাহক হিসেবে কাজ করে ।

• ঘ্রাণ [Smell]:- বহিরাগত কোনো রকম গন্ধ গ্যাসীয় মাধ্যমে নাসা-গহ্বরে প্রবেশ করলে নাসিকার অলফ্যাক্টরি অংশ থেকে নিঃসৃত গ্রন্থিরসে দ্রবীভূত হয়ে বাইপোলার স্নায়ুকোষগুলিকে উত্তেজিত করে । এই উদ্দীপনা তখন অলফ্যাক্টরি স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কের ঘ্রাণ কেন্দ্রে প্রেরিত হয়, ফলে আমরা গন্ধটিকে অনুভব করতে পারি ।

***

descriptionমানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being - Page 2 EmptyRe: মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রীয় Nervous System and Sense organs with reference to human being

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum