#বাঙালির_বেড়ানো

#দক্ষিনেশ্বর_বেলুড়
আজ হঠাৎ ই বেরিয়ে পড়েছিলাম দক্ষিনেশ্বর।সাড়ে আটটা নাগাদ বেলুড় ফেরি ঘাটে পৌঁছে ৯টার লঞ্চ ধরলাম। এখানে বলা ভালো প্রতি ৩০মিনিট অন্তর লঞ্চ ছাড়ে। সাড়ে নটার মধ্যে পৌঁছেও গেলাম দক্ষিনেশ্বর।
মন্দির কর্তৃপক্ষ্যের ঘরে জুতো ও মোবাইল রেখে (প্রতি জুতো ও মোবাইল ৩টাকা করে) পুজো দিতে মন্দিরে ঢুকলাম। বুধবার বলে ফাঁকাই ছিল। তাড়াতাড়ি পুজোও দেওয়া হয়ে গেল।মন্দিরের ভিতর থেকে ভোগের কুপন কেটে নিলাম জনপ্রতি ১০০টাকা। এরপর টোটো করে আদ্যাপীঠ গেলাম,বড় মন্দির খোলা পেলাম। মাকে দর্শন করে মূল গেট থেকে বেরিয়েই বা দিকে একটি কচুরির দোকান থেকে সবাই কচুরি ও জিলিপি খেলাম। খুবই সুস্বাদু। তারপর আবার টোটো করে দক্ষিনেশ্বর। টোটো ভাড়া জনপ্রতি দশ টাকা। এরপর ফটো তোলা পর্ব। হাতে অনেক সময়। মন্দিরের গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগের কুপন দেখিয়ে প্রবেশ করলাম, পিছনের পাঁচিল ঘেরা বাগানে।ঐ খানেই রান্নার জায়গা,বিশাল ডাইনিং হল।ওখানকার কর্মচারী রা কুপন দেখে আমাদের খেতে বসালেন।বিশাল কর্মযজ্ঞ। মেনুতে ছিল খিচুড়ি,আলু ভাজা,পোলাও, কাবলিছোলারকারি,ভাত ,শুক্ত,ডাল,কুমড়ো পটল আলুর ল্যব্ড়া,চাটনি ,পায়েস।
এইখানেই যেন সুর কেটে গেলো। দুটি বিষয় আমাদের মতো অনেকেরই খারাপ লেগেছে। এক, অতি দ্রুতটার সঙ্গে পরিবেশন অর্থাৎ একটা পদের ওপরই আর পদ পরিবেশন করা। সব মিলেমিশে একাকার। (আমি ভেবেনিলাম পেটের ভিতরে সবই তো এক জায়গায় যাচ্ছে )।
দুই, একশো টাকা হিসাবে এই মেনু বা রন্ধনশৈলী মোটেই কাম্য নয়। (হিসাব অবশ্যই অলংকারিক অর্থে )
খাওয়ার হল থেকে বেরিয়ে দেখি একেবারে শুনশান।একটা মানুষ নেই।শুধু যে কজন খেয়ে বেরিয়েছি তাদের কিছু জন ইতস্ততঃ ঘুরে বেড়াচ্ছে।দোকান টোকান সব চাবি দেওয়া।গেট বন্ধ।আবার খুলবে 3 টের সময়। দুই ঘন্টা বসে থাকতে হবে। আমরা পিছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে ফের লঞ্চ ঘাটে এসে ১১টাকা দিয়ে টিকিট কেটে বেলুড় আসলাম। ওখানে ৩.৩০ মিনিটে গেট খোলে। আমরা ওখানকার সংগ্রহশালায় ৫টাকার টিকিট কেটে প্রবেশ করলাম। মনটা ভরে গেল,মহামানবদের ব্যবহৃত জিনিস আজ চাক্ষুস করতে পারলাম মনে হলো জীবন যেন অনেকটাই পরিপূর্ণ হলো। এরপর মঠের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখে ৫টায় আরতিকক্ষে প্রবেশ করলাম।৫:৩০ টায় আরতি শুরু হয়ে ৬টায় আরতি শেষ হলো। আমরাও বেলুড় মঠ থেকে বেরিয়ে এই একদিনের ভক্তি - ভ্রমণ সম্পন্ন করলাম। 🙏🙏