মালদা - আমাদের এই বাংলার উত্তরদিক ঘেঁষে, একটি ইতিহাসময় জেলা, বলা যায় দক্ষিণ বাংলা আর উত্তর বাংলার মাঝখানের যোগসূত্র। মালদা জেলার দক্ষিণে জেলা মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও উত্তরপূর্বে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর। ইতিহাসময় জেলা, কারণ অতীতে একসময় এই অঞ্চল দেখেছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজত্বের রমরমা। দেখেছে মৌর্য এবং পরে গুপ্ত যুগের শেষে সপ্তম শতাব্দীতে পরাক্রমশালী রাজা শশাঙ্কের শাসনকাল থেকে পরবর্তী পর্যায়ে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে প্রথমে পাল বংশ ও পরে সেন বংশের রাজত্ব, যখন এর নাম ছিল গৌড়। সেন বংশের রাজা লক্ষণসেনের রাজত্বকালে এই জায়গার নাম হয় লক্ষণাবতী। কিন্তু তারপর একসময় পরিবর্তন ঘটে ইতিহাসের, গৌড় চলে যায় মুসলিম শাসকদের হাতে। মাঝখানে একবার কিছু সময়ের জন্য রাজধানী আবার সরে যায় আরো উত্তরদিকে পাণ্ডুয়ায়। আজকে মালদা জেলার মূল শহর যে মালদা, তা একদিকে এই গৌড় আর অন্যদিকে পাণ্ডুয়ার মাঝখানে। গৌড় আর পাণ্ডুয়ায় আজও ছড়িয়ে আছে সেসময়কার অজস্র নিদর্শন। সেইসব দেখতে গেলে এই মালদা শহরেই আসতে হবে। আমিও যাবো সেই পুরোনো ইতিহাসের পথ ধরে, ঘুরে ঘুরে দেখবো সেই সব নিদর্শন কয়েকটি পর্বে। তবে, মালদা শহর দিয়েই যখন যেতে হচ্ছে, তখন গৌড় বা পাণ্ডুয়ার আগে জেনে নিই বা দেখে নিই মালদা শহরেরই কয়েকটি জায়গা।
মালদা ট্যুরিস্ট লজ - মালদা শহর একটি উন্নত ও আধুনিক শহর, ট্রেন ও বাসে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত। কলকাতা থেকে যাওয়ার অনেক ট্রেন আছে, যদিও সবচাইতে সুবিধেজনক হল - শতাব্দী এক্সপ্রেস যা দুপুর দুটো পনেরোয় হাওড়া থেকে ছেড়ে মালদা পৌঁছয় সন্ধ্যে সাতটা দশে বা গৌড় এক্সপ্রেস, যেটি রাত দশটা পনেরোয় শিয়ালদা থেকে ছেড়ে মালদা পৌঁছয় পরদিন সকাল ছটায় । মালদায় থাকার জন্যে প্রচুর হোটেল আছে বিভিন্ন মানের - রাজ্য সরকারের ট্যুরিস্ট লজটি যার অন্যতম। স্টেশন থেকে বেশী দূরে নয়, রথবাড়ী মোড়ের কাছে এর অবস্থান কিন্তু অত্যন্ত সুবিধেজনক জায়গায়। যে কোন জায়গায় যাওয়ার গাড়ী, অটো, টোটো, সব এখান থেকেই পাওয়া যায়। খাওয়ার ব্যবস্থাও এদেরই ডাইনিং হলে, তবে কাছে পিঠে আরো খাবার দোকান ও রেস্তোরাঁও আছে হাতের নাগালের মধ্যে। তবে এই মুহূর্তে সংস্কারের কাজ চলার জন্য পশ্চিমবঙ্গের সব কটি ট্যুরিস্ট লজই সাময়িক ভাবে বন্ধ, খুলতে পারে পুজোর ঠিক আগেই।
রামকৃষ্ণ মিশন - মালদা শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। চারপাশে বাগান আর গাছ গাছালীর মধ্যে কিছুটা বেলুড় মঠের আদলে তৈরী এই অপূর্ব মন্দির দেখলেই মন ভরে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যা আরতির সময় এখানকার পরিবেশ হয়ে ওঠে সত্যিই অসাধারণ।
বাঁধের কালী মন্দির - রামকৃষ্ণ মিশনের ঠিক বাইরেই চার রাস্তার মোড়ে এই ছোট অথচ সুন্দর কালী মন্দির, সুন্দর এখানকার নীল রঙের প্রতিমা। আলাদা করে দেখার হয়তো কিছু নেই, তবে রামকৃষ্ণ মিশনে এলে তার গায়েই এই কালী মন্দিরটি দেখা যেতেই পারে।
মালদা মিউজিয়াম - রামকৃষ্ণ মিশনের কাছেই এই মিউজিয়াম। এটি দেখতে গেলে অবশ্যই সন্ধ্যেবেলায় এলে হবেনা, আসতে হবে দিনের বেলাতে - বৃহস্পতিবার বাদ দিয়ে। এখানে আছে মালদা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া বহু হিন্দু জৈন আর বৌদ্ধ মূর্তি। ছোট মিউজিয়াম, একটি হল ঘরের মধ্যেই সব দর্শনীয় মূর্তি সীমাবদ্ধ। কিন্ত এর গুরুত্ব অন্য জায়গায়। যে সব স্থান থেকে এই সব মূর্তি পাওয়া গেছে, সেই সব জায়গায় পুরোনো মন্দিরগুলির অস্তিত্ব আজ আর নেই , কিন্তু এই সব অনুপম শিল্পকাজগুলো দেখলেই সহজেই অনুমান করা যায় - কেমন ছিল সেই সব লুপ্ত হয়ে যাওয়া মন্দিরগুলি। বিশেষ করে গৌড় বা পাণ্ডুয়া অঞ্চলে, যেখানে আজ ঐতিহাসিক নিদর্শনের ছড়াছড়ি, সেখানেও কিন্তু প্রাচীন কোনো মন্দিরের কোন চিন্হই আজ আর চোখে পড়ে না। সব কিছুই আজ পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত । এমনভাবেই অন্যান্য জায়গার অনেক মন্দিরই আজ সম্পূর্ণ বিলুপ্ত, শুধু তাদের কিছু চিন্হ পাওয়া যায় এই মিউজিয়ামে। আছে বিভিন্ন মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি, বিষ্ণু মূর্তি, বুট পরা ( এবং না পরাও ) সূর্য মূর্তি, বারাহী মূর্তি, নৃসিংহ মূর্তি, ভগবান বুদ্ধের বিভিন্ন মূর্তি এবং আরো অনেক অসাধারণ সব মূর্তি - বেশীর ভাগই কালো পাথরের। প্রতিটি মুর্তির সামনেই অপলক দৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে দেখতে হয় তাদের শিল্প সুষমা। এছাড়া আছে অনেক মুদ্রা, অস্ত্রশস্ত্র, শিলালিপি, তাম্রলিপি এবং অন্যান্য সামগ্রী, যদিও সেসব আছে ভিতরে, দর্শনার্থীদের চোখের বাইরে। তবে এখানে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ --তাই যেসব অনুপম মূর্তি এখানে রাখা আছে, তার কোনো নমুনাই এই পোষ্টে দেখাতে পারা গেল না। গৌড় আর পান্ডুয়ায় আজ যা দেখা যায়, তা প্রায় সবই মুসলিম যুগের স্মারক - কিন্তু তারও আগে হিন্দু ও বৌদ্ধ যুগে, এখানকার শিল্পসুষমা যে কি উচ্চতায় পৌঁছেছিল - তা বুঝতে গেলে আসতেই হবে এই মালদা মিউজিয়ামে।
মনোকামনা বা মনস্কামনা মন্দির - মালদা শহরের মধ্যেই আর একটি ছোট কিন্তু অত্যন্ত জনপ্রিয় মন্দির। ছিমছাম পরিবেশ, চারিদিকে সাদা বারান্দার মধ্যে লাল রঙের মন্দির, কিন্তু চুড়োটি সাদা। মন্দিরের মধ্যে চণ্ডী দেবীর অবস্থান। পাশেই আছে শিবমন্দিরও। বিশ্বাস - এখানে প্রার্থনা করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়, তাই এর নাম মনোকামনা মন্দির। সেই বিশ্বাসের সূত্রেই দেখা যায় মন্দিরের দেওয়ালে কালি দিয়ে লেখা অনেক ভক্তের প্রার্থনা, যদিও আমার মতে - যে কোনো সৌধের গায়েই এই ধরণের লেখা সৌধের সৌন্দর্যকে ভীষণভাবেই আঘাত করে।
গুরুদ্বারা - মালদায় একাধিক গুরুদ্বারা আছে যার মধ্যে একটি পুরাতন মালদায়। আমি সেখানে গিয়েছিলাম ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে। গাম্ভীর্যময় শান্ত পরিবেশ, চত্বরে ঢোকার পরে উঁচু বেদীর ওপর মূল গুরুদ্বারা - তার প্রবেশদ্বারগুলি রুপোর। ভেতরে অত্যন্ত ভক্তির সঙ্গে চলে গুরু গ্রন্থসাহেব থেকে পাঠ। শিখেরা বীরের জাতি - তাই মূল বেদীর ধাপের ওপর রাখা আছে কৃপাণ আর কামানের ছোট প্রতিমূর্তি। পাশে একটি ঘরে গুরু তেগবাহাদুরের ছবিকে ঘিরে রাখা আরো কৃপাণ। মালদার কেন্দ্রস্থল থেকে গুরুদ্বারাটি অনেক দূরে, ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম বলেই আমার দেখার সুযোগ ঘটেছিল, নইলে হয়তো জানতে পারতাম না এই গুরুদ্বারাটির কথা।
অনেক বড় হয়ে গেছে লেখাটি, তাই আজকের পর্ব এই পর্যন্তই। এরপরের পর্বে গৌড়ে যাওয়ার আগে দেখে নেব - আরো দুটি বিখ্যাত জায়গা - জহুরা মায়ের মন্দির ও রামকেলী ।
মালদা ট্যুরিস্ট লজ - মালদা শহর একটি উন্নত ও আধুনিক শহর, ট্রেন ও বাসে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত। কলকাতা থেকে যাওয়ার অনেক ট্রেন আছে, যদিও সবচাইতে সুবিধেজনক হল - শতাব্দী এক্সপ্রেস যা দুপুর দুটো পনেরোয় হাওড়া থেকে ছেড়ে মালদা পৌঁছয় সন্ধ্যে সাতটা দশে বা গৌড় এক্সপ্রেস, যেটি রাত দশটা পনেরোয় শিয়ালদা থেকে ছেড়ে মালদা পৌঁছয় পরদিন সকাল ছটায় । মালদায় থাকার জন্যে প্রচুর হোটেল আছে বিভিন্ন মানের - রাজ্য সরকারের ট্যুরিস্ট লজটি যার অন্যতম। স্টেশন থেকে বেশী দূরে নয়, রথবাড়ী মোড়ের কাছে এর অবস্থান কিন্তু অত্যন্ত সুবিধেজনক জায়গায়। যে কোন জায়গায় যাওয়ার গাড়ী, অটো, টোটো, সব এখান থেকেই পাওয়া যায়। খাওয়ার ব্যবস্থাও এদেরই ডাইনিং হলে, তবে কাছে পিঠে আরো খাবার দোকান ও রেস্তোরাঁও আছে হাতের নাগালের মধ্যে। তবে এই মুহূর্তে সংস্কারের কাজ চলার জন্য পশ্চিমবঙ্গের সব কটি ট্যুরিস্ট লজই সাময়িক ভাবে বন্ধ, খুলতে পারে পুজোর ঠিক আগেই।
রামকৃষ্ণ মিশন - মালদা শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। চারপাশে বাগান আর গাছ গাছালীর মধ্যে কিছুটা বেলুড় মঠের আদলে তৈরী এই অপূর্ব মন্দির দেখলেই মন ভরে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যা আরতির সময় এখানকার পরিবেশ হয়ে ওঠে সত্যিই অসাধারণ।
বাঁধের কালী মন্দির - রামকৃষ্ণ মিশনের ঠিক বাইরেই চার রাস্তার মোড়ে এই ছোট অথচ সুন্দর কালী মন্দির, সুন্দর এখানকার নীল রঙের প্রতিমা। আলাদা করে দেখার হয়তো কিছু নেই, তবে রামকৃষ্ণ মিশনে এলে তার গায়েই এই কালী মন্দিরটি দেখা যেতেই পারে।
মালদা মিউজিয়াম - রামকৃষ্ণ মিশনের কাছেই এই মিউজিয়াম। এটি দেখতে গেলে অবশ্যই সন্ধ্যেবেলায় এলে হবেনা, আসতে হবে দিনের বেলাতে - বৃহস্পতিবার বাদ দিয়ে। এখানে আছে মালদা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া বহু হিন্দু জৈন আর বৌদ্ধ মূর্তি। ছোট মিউজিয়াম, একটি হল ঘরের মধ্যেই সব দর্শনীয় মূর্তি সীমাবদ্ধ। কিন্ত এর গুরুত্ব অন্য জায়গায়। যে সব স্থান থেকে এই সব মূর্তি পাওয়া গেছে, সেই সব জায়গায় পুরোনো মন্দিরগুলির অস্তিত্ব আজ আর নেই , কিন্তু এই সব অনুপম শিল্পকাজগুলো দেখলেই সহজেই অনুমান করা যায় - কেমন ছিল সেই সব লুপ্ত হয়ে যাওয়া মন্দিরগুলি। বিশেষ করে গৌড় বা পাণ্ডুয়া অঞ্চলে, যেখানে আজ ঐতিহাসিক নিদর্শনের ছড়াছড়ি, সেখানেও কিন্তু প্রাচীন কোনো মন্দিরের কোন চিন্হই আজ আর চোখে পড়ে না। সব কিছুই আজ পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত । এমনভাবেই অন্যান্য জায়গার অনেক মন্দিরই আজ সম্পূর্ণ বিলুপ্ত, শুধু তাদের কিছু চিন্হ পাওয়া যায় এই মিউজিয়ামে। আছে বিভিন্ন মহিষাসুরমর্দিনী মূর্তি, বিষ্ণু মূর্তি, বুট পরা ( এবং না পরাও ) সূর্য মূর্তি, বারাহী মূর্তি, নৃসিংহ মূর্তি, ভগবান বুদ্ধের বিভিন্ন মূর্তি এবং আরো অনেক অসাধারণ সব মূর্তি - বেশীর ভাগই কালো পাথরের। প্রতিটি মুর্তির সামনেই অপলক দৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে দেখতে হয় তাদের শিল্প সুষমা। এছাড়া আছে অনেক মুদ্রা, অস্ত্রশস্ত্র, শিলালিপি, তাম্রলিপি এবং অন্যান্য সামগ্রী, যদিও সেসব আছে ভিতরে, দর্শনার্থীদের চোখের বাইরে। তবে এখানে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ --তাই যেসব অনুপম মূর্তি এখানে রাখা আছে, তার কোনো নমুনাই এই পোষ্টে দেখাতে পারা গেল না। গৌড় আর পান্ডুয়ায় আজ যা দেখা যায়, তা প্রায় সবই মুসলিম যুগের স্মারক - কিন্তু তারও আগে হিন্দু ও বৌদ্ধ যুগে, এখানকার শিল্পসুষমা যে কি উচ্চতায় পৌঁছেছিল - তা বুঝতে গেলে আসতেই হবে এই মালদা মিউজিয়ামে।
মনোকামনা বা মনস্কামনা মন্দির - মালদা শহরের মধ্যেই আর একটি ছোট কিন্তু অত্যন্ত জনপ্রিয় মন্দির। ছিমছাম পরিবেশ, চারিদিকে সাদা বারান্দার মধ্যে লাল রঙের মন্দির, কিন্তু চুড়োটি সাদা। মন্দিরের মধ্যে চণ্ডী দেবীর অবস্থান। পাশেই আছে শিবমন্দিরও। বিশ্বাস - এখানে প্রার্থনা করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়, তাই এর নাম মনোকামনা মন্দির। সেই বিশ্বাসের সূত্রেই দেখা যায় মন্দিরের দেওয়ালে কালি দিয়ে লেখা অনেক ভক্তের প্রার্থনা, যদিও আমার মতে - যে কোনো সৌধের গায়েই এই ধরণের লেখা সৌধের সৌন্দর্যকে ভীষণভাবেই আঘাত করে।
গুরুদ্বারা - মালদায় একাধিক গুরুদ্বারা আছে যার মধ্যে একটি পুরাতন মালদায়। আমি সেখানে গিয়েছিলাম ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে। গাম্ভীর্যময় শান্ত পরিবেশ, চত্বরে ঢোকার পরে উঁচু বেদীর ওপর মূল গুরুদ্বারা - তার প্রবেশদ্বারগুলি রুপোর। ভেতরে অত্যন্ত ভক্তির সঙ্গে চলে গুরু গ্রন্থসাহেব থেকে পাঠ। শিখেরা বীরের জাতি - তাই মূল বেদীর ধাপের ওপর রাখা আছে কৃপাণ আর কামানের ছোট প্রতিমূর্তি। পাশে একটি ঘরে গুরু তেগবাহাদুরের ছবিকে ঘিরে রাখা আরো কৃপাণ। মালদার কেন্দ্রস্থল থেকে গুরুদ্বারাটি অনেক দূরে, ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম বলেই আমার দেখার সুযোগ ঘটেছিল, নইলে হয়তো জানতে পারতাম না এই গুরুদ্বারাটির কথা।
অনেক বড় হয়ে গেছে লেখাটি, তাই আজকের পর্ব এই পর্যন্তই। এরপরের পর্বে গৌড়ে যাওয়ার আগে দেখে নেব - আরো দুটি বিখ্যাত জায়গা - জহুরা মায়ের মন্দির ও রামকেলী ।