Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionUjjain উজ্জয়িনী ভ্রমন  EmptyUjjain উজ্জয়িনী ভ্রমন

more_horiz
আমার #দ্বাদশ_জ্যোতিরলিঙ্গ #মহাকাল ভ্রমন কাহিনী 😊


23/04/2018
বিকাল 4:30 সময় গোপাল জী ফোন করলেন , ঘুম ভাঙিয়ে দিলাম ..এবার তাড়াতাড়ি উঠে পড়ুন আর তৈরী হয়ে নিন , আমি 5টার সময় হোটেলের নীচে গাড়ী নিয়ে চলে আসবো ।। তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে আমি আর দাদু হোটেলের রিসেপশন এ বসে চা খাচ্ছি ....গোপাল জী চলে আসলেন যথা সময়ে ....জিজ্ঞেস করলাম আজ কি কি জায়গা/স্থান ঘুরে দেখাবেন আমাদের ....গাড়ীতে উঠেই বললেন ....সন্দীপনি আশ্রম , মঙ্গলনাথ মন্দির , গোধকালিকা মন্দির (Godkalika Temple),সিদ্ধ বট ,কালভৈরব মন্দির , ভ্রাতৃতর গুহা (Bhartihari cave),চক্রতীর্থ ঘাট (শ্মশান) ।।

প্রথমে গেলাম ....

#সন্দীপনি_আশ্রম :--- প্রাচীন কাল থেকেই

উজ্জয়ন মহাভারতকালের শুরুতে শিক্ষার একটি মহান আসন হওয়ার খ্যাতি অর্জন করেছিলো ।পৌরাণিক ঐতিহ্যের কথা অনুযায়ী, শ্রী সন্দীপানির আশ্রমে কৃষ্ণ , বলরাম ও সুদামা তাদের শিক্ষা লাভ করে। মন্দিরের ভিতর যে পাথরটি পাওয়া যায় 1 থেকে 100 নম্বর সংখ্যাটি লেখা সেটি গুরু সন্দীপানি দ্বারা লেখা হয়েছে। পুঁথি ঘেঁটে জানা যায় যে গোমতী কুণ্ড থেকে প্রাচীনকালে আশ্রামের তৃস্নার জল সরবরাহের উৎস ছিল। আশ্রমের ভিতর 64 টা ঘর আছে , শোনা যায় শ্রী কৃষ্ণ তার কূটনীতির 64 বিদ্যা আশ্রমের ওই 64ঘর গুলো থেকেই পেয়েছিলেন ।।😊

#মঙ্গলনাথ_মন্দির :--

হিন্দুশাস্ত্রে স্কন্দপুরান, মৎসপুরান হতে জানা যায়, শিপ্রা নদীর তীরে অবন্তিকা নগরী তে মঙ্গল গ্রহের জন্মস্থান ।। মৎসপুরান থেকে আরও জানা যায় যে , এখন যেখানে মন্দির অবস্থিত ওই স্থানেই আন্নাহাকাসুরের সাথে ভগবান শিবের ভীষন যুদ্ধ হয়, যুদ্ধের সময় শিবের কপাল থেকে এক ফোঁটা ঘাম মাটিতে পড়ে , তার থেকেই এই মঙ্গলের সৃষ্টি ।। মন্দিরে মঙ্গলনাথ বলতে আলাদা কোনো বিগ্রহ নেই , শিবলিঙ্গ কেই মঙ্গলনাথ রূপে পুজো করা হয় , এবং এখানে বাহন হিসাবে নন্দী মহারাজ নন ....মেষ এর মূর্তি স্থাপন করা আছে , যা কিনা মঙ্গল এর বাহন ।। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী জন্মকুন্ডলী তে মঙ্গলের ভৌমদোষ বা মঙ্গলের অন্য কোনো দোষ থাকলে তা একমাত্র এই মন্দিরেই নিবারণ করা হয় ।।😊

#গোধকালিকা_মাতা_মন্দির

হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী আমাদের 51টি শক্তিপীঠ আছে , এই 51পিঠের এক সতীপীঠ এই গদাকারিকা বা গোধকালিকা মাতার মন্দির , আবার উজ্জয়নের 22টি শ্বেতপীঠের ও একটি ।। এখানে সতীর #উপরের_ঠোঁট পতিত হয়েছে ।। মহান কবি কালিদাস এই দেবীর আরাধনা করেন বলে জানা যায় , এবং এখানেই দেবীর আশীর্বাদ লাভ করে , কবিতার জ্ঞান অর্জন করেন ।। এবং পরে রাজা বিক্রমাদিত্য'র সভা অলঙ্করণ করে ছিলেন , সভার নবরত্নের এক রত্ন হিসাবে ।।

#সিদ্ধ_বট

শিপ্রা নদীর তীরে অবস্থিত এই সিদ্ধ বট গাছটি ।। উজ্জয়ন বাসী বিশ্বাস করে এই বটগাছ স্বয়ং দেবী দুর্গা নিজে হাতে রোপন করেন ।। এখন এই বটগাছ মন্দিরের ন্যায় পূজা হয় , এবং এর কান্ড শিব রূপে পূজা পাচ্ছে ।। হর পার্বতী পুত্র কার্তিক এখানে দারিদ্র তরনাচরনকে হত্যা করেছে বলে জানা যায় ।। এই সিদ্ধবট এ জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী কারোর জন্মকুন্ডলী তে কালসর্প দোষ থাকলে , পিত্রদোষ থাকলে তা নিবারণ করা হয় ।। এখানে পিন্ডদান ও করা হয় ।। আরও শোনা যায় ..রাজা বিক্রমাদিত্য বেতাল সাধনার জন্য এই সিদ্ধবটের তলায় ধ্যান করতেন ।।

#কালভৈরব_মন্দির

অষ্ট ভৈরব পুজো শিবের বিশেষ পুজোর একটি অংশ , তার মধ্যে প্রধান ভৈরব বাবা কালভৈরব ।। শোনা যায় এই মন্দিরটি শিপ্রার তীরে অবস্থিত ছিলো ,বর্তমান মন্দিরটি পুরানো মন্দিরের দেহাবশেষের উপর নির্মিত হয়েছে ..এই মূল মন্দিরটি রাজা ভদ্রসেন নির্মাণ করে দেন ।। স্কন্দপুরান এ অবন্তিকা খণ্ডে উল্লেখ আছে এই মন্দির তান্ত্রিক , অঘোর , কাপালিক সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্দির ।। যা কিনা আগে শুধুমাত্র এইসব সম্প্রদায়ের মানুষজন ছাড়া অনন্য সম্প্রদায়ের মানুষের মন্দিরের ভিতর প্রবেশ নিষেধ ছিলো ।।
বাবা ভৈরবের মূর্তিটি একটি মুখবিবরণী বা মুখ যা কুমকুম দিয়ে লেপন করা ।। ভৈরব বাবা'র রূপালী মাথা , একটি মারাঠা- শৈলী পাগড়ি সঙ্গে সজ্জিত করা হয় ।। ভৈরব বাবার সামনে ছোট্ট আর এক ভৈরব আছে ..যাকে বটুক ভৈরব নামে জানা যায় ।। বটুক ভৈরব ভৈরব বাবারই নিজের বাল্য রূপ ।।
ভৈরবের পুজো পঞ্চ #ম কারে হয়ে থাকে ।। পাঁচটি তান্ত্রিক আচারের মাধম্যে ভৈরবের কাছে পুজো দেওয়ার রীতি ছিলো তখনকার আমলে .. সুরা (মদ), মানসিক (মাংস), মীনা বা মৎস্য(মাছ), মুদ্রা (অঙ্গভঙ্গি বা পাকা শস্য) এবং মৈতুন(যৌন সম্পর্ক) ।। সেই সময়ে, ভৈরবের কাছে পাঁচটি জিনিস উত্সর্গ করা হলেও, এখন কেবল অ্যালকোহল দেওয়া হয় , অন্য চারটি উপহার সাংকেতিক (symbolic) রীতিনীতিগুলির রূপেই থাকে বলে জানা যায় ।। মন্দিরের বাইরে মদ কিনতে পাওয়া যায় ..দেশি কিংবা ইংরেজি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী কিনে মন্দিরে নিয়ে গেলে , পুরোহিত আপনার নাম গোত্র উচ্চারণ করে ,সুরা রূপার নির্মিত বাটির মাধ্যমে ভৈরবের ঠোঁটের সামনে রাখলে , মদ/সুরা নিমেষের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাবে ।।
এই অবন্তিকা তথা উজ্জয়ন নগরীর রাজা হলো বাবা মহাকাল , আর তারই রুদ্র রূপ কালভৈরব বাবা উজ্জয়ন তথা অবন্তিকা নগরীর দ্বারপাল বা সেনাপতি ।। তার অনুমতি বা দর্শন না করে মহাকাল জীর দর্শন করা হয় না , ভৈরব বাবা আদেশ বা অনুমতি না দিলে বাবা মহাকালের ভস্মরতি শৃঙ্গার দর্শন অনুচিত বলেই ধরা হয় , এবং ভৈরব দর্শন ছাড়া মহাকাল পূজা অর্ধেক পূণ্য ফল লাভ হয় ।।

{আমি আর দাদু ভৈরবের পুজোর জন্য কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম মদ/সুরা ।। পুজো দিয়েছি তখন সুরা অদৃশ্য হতেও দেখেছি , বিশ্বাস না থাকলে ..অযথা তর্ক করবেন না ধর্মীয় ব্যাপারে}

#ভ্রাতৃতর_গুহা (Bharthari Cave)


বলা হয় যে রাজা ভার্থী তিনি এখানে ধ্যান করতেন ।। এটি রাজা ভার্থী, আদি গুরু গোরখনাথ এবং দাদা গুরু মৎস্যেন্দ্রনাথের তপসিয়া স্থল ।। রাজা ভার্থী ছিলেন বিক্রমাদিত্য'র বড় ভাই । সবাই বিশ্বাস করেন যে তিনি পার্থিব জীবন ছেড়ে এখানে ধ্যান এবং তপস্যা করেছেন এবং তার বিখ্যাত রচনা "বৈরাগী -সাংস্কৃতিক" সম্ভবত এখানেই রচনা করেছেন ।। এই গুহা প্রাকৃতিক গুহা , এর দেওয়ালে নানা ভাস্কর্য করা আছে ।।

{আমি আর দাদু কাছ থেকে ঘুরেই চলে এসেছিলাম, গুহার ভেতর সেই ভাবে যাওয়া হয় নি অন্ধকার হয়ে গেছিলো বলে , তারওপর দাদুর শরীরের দিকেও আমাকে খেয়াল রাখতে হচ্ছিলো এই গরমে}

#চক্রতীর্থ_ঘাট (মহাকাল শ্মশান)

গোপাল'জী কে একপ্রকার জোড় করেই নিয়ে গেছিলাম , এই পবিত্র শ্মশানে ।। আসল ইচ্ছা ছিলো অঘোরী বোম বোম নাথ জীর সাথে সাক্ষাৎ করার ।। আসলে যখনই মহাকাল -উজ্জয়ন নিয়ে Youtube এ ভিডিও দেখেছি , বারে বারে ওনার ও ভিডিও দেখেছি ..একপ্রকার ভালো লাগা আর ভীষণ কৌতূহল নিয়েই যাওয়া ওই রাতে শ্মশানে ।। গা ছম ছমে পরিবেশে জ্বলন্ত চিতা গুলো দেখলাম ....পৃথিবীর মায়া শেষ করে ইহ লোক ত্যাগ করে ধোঁয়ার কুন্ডলী পাকিয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে ,মনে হয় লোভ মায়া সবই ত্যাগ করে তাড়া বেশ খুশি হয়েই ইহ লোক ত্যাগ করেছে ।।
গেলাম ওনার কুঠিরে , ওনার সবসময়ের সাথী শিষ্য অঘোরী বাবা কে জানালেন ....কোলকাতা থেকে 2জন এসেছেন ।। উনি খুশি হয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের কে কুঠিরে ডেকে নিলেন , বসলাম কাছে ....সেই রাগ -গম্ভীর অঘোরী ব্যাপার নেই , একদম খুশি মনে আমাদের আসার কারন জিজ্ঞেস করলেন .....বলেছিলাম আমার জন্মদিন তাই দাদু কে নিয়ে এসেছি মহাকাল জী'র আশীর্বাদ পেতে ,সাথে তার শিষ্য অঘোরী বোম বোম নাথ জীর ও 😊
হটাৎ কিছুক্ষন চুপ থেকে শিশু'র মতন হাসতে লাগলেন ।। খুব খুশি হয়েছিলেন আমার জন্মদিনে দাদু কে তীর্থ করাতে এনেছি শুনে 😊
কোলকাতা নিয়ে অনেক কথা বললেন , ওনার অঘোরী জীবন কোলকাতার নিমতলা শ্মশানে ও কেটেছে ....পরবর্তী কালে গুরুর আদেশে উজ্জয়ন চলে আসা ।। আমাদের বেহালা নিয়েও ওনার অনেক গল্প ...বিশেষ করে সৌরভ গাঙ্গুলি কে নিয়েও 😊 ওই রাতেই 2জনকে ওনার যজ্ঞস্থলের কাছে নিয়ে যান ....বেশ কিছুক্ষন বসে ছিলাম আমরা , তারপর তো উনি আসতে আসতে ওনার নিজের অঘোর চর্চায় ব্যস্ত হয়ে যান ।। আমরা চলে আসার সময় উনি পরের দিন ভাণ্ডারায় যোগ দেবার জন্য নিমতন্ন করেন 😊
যখন চলে আসছি ওনার কুঠির ছেড়ে তখন ওনার কালু ভুলুরা গাড়ী পর্যন্ত ছেড়ে দিয়ে আসে , বোম বোম জীর আদেশে ।।

কিছুক্ষন পরে হোটেল ফিরে আসি , ভীষন ক্লান্ত লাগছিলো আমাদের , কিছুক্ষন পর হাত মুখ ধুয়ে .. আমরা উজ্জয়ন নগরী'তে বেড়িয়ে পরি জন্মদিনের খাওয়া দাওয়া করার জন্য ...সাথে গোপাল জী কে নিয়ে একটি হোটেলে নিরামিষ থালি অর্ডার করে পেট পুজো সেরে আবার ফিরে আসা হোটেলে ।। রাতে শুয়ে ....শুধু অপেক্ষা পরের দিন ভোরে মহাকাল জী'র ভস্মরতি দর্শন করার জন্য .....

descriptionUjjain উজ্জয়িনী ভ্রমন  EmptyRe: Ujjain উজ্জয়িনী ভ্রমন

more_horiz
উজ্জয়নী ও মহাকাল :- ফিরে দেখা ও কিছু স্মৃতিচারণ।
সম্প্রতি শ্রীশৈলম নিয়ে লেখার পর বহু মানুষের বিভিন্ন জিজ্ঞাসা, কৌতূহল এই লেখা লিখতে বসালো। শ্রীশৈলম এর মতনই মহাকাল ও ভস্ম আরতির বিস্তারিত তথ্য বাংলাt ভাষাতে প্রায় নেই। নিজে ২০১৮ ফেরুয়ারি তে যাবার আগে বহু খোঁজ করেও পায়নি , তাই ফিরে এসে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে এই গ্রুপেই লিখেছিলাম (ইংরেজিতে , তখন বাংলা টাইপিং keyboard তেমন ছিলনা ) । ঐ লেখা অনেককে ই মহাকাল দর্শনে সাহায্য করেছিল বলে জেনেছি। সম্প্রতি বিভিন্ন মানুষের নানা প্রশ্ন দেখে মনে হলো মহাকাল ও উজ্জয়নী আরও কিছু জানানোর সময় এসেছে । স্বয়ং মহাকাল ও চাইছেন হয়তো , নাহলে হঠাৎ তিন বছর আগের লেখা আবার নতুন করে লেখার চেষ্টা করবো কেন । এটি আগের লেখার একটি updated version বলতে পারেন। খোঁজ খবর নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু আপডেট , লিংক , এবং ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা যোগ করেছি । এটি একটি general guideline মাত্র , তবে বর্তমানে কিছু নিয়ম, কানুন ও জিনিস পত্রের দামের বদল ছাড়া basic তথ্য গুলোর সম্ভবত বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। নিছক ভ্রমণ প্রেমী হিসাবেই এই লেখা , মহাকাল দর্শনে সামান্য একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোন স্বার্থ নেই। ওনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা আর শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রকাশের বিনীত চেষ্টা মাত্র। জয় শ্রী মহাকাল 🙏

উজ্জয়নী সম্পর্কে কিছু মৌলিক বিবরণ
কলকাতা থেকে ট্রেন - গোটা তিন/চার ট্রেন প্রায় 30 থেকে 33 ঘন্টা সময় নেয় (বিলম্ব না করেই )। কলকাতা থেকে ট্রেনগুলো সাধারণত মাঝ রাতে পৌঁছায়, চিন্তা করবেন না , মহাকালের নিজের শহরে মাঝ রাতে স্টেশনে অটো পাওয়া যায় , কারণ ভারতের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত এই শহরে বেশির ভাগ দূরপাল্লার ট্রেন বেশি রাতেই ঢোকে তাই অটো available। খুব ভোরে বা সন্ধ্যার মুখে পৌঁছালে স্টেশনের বাইরে গাছে প্রচুর টিয়া পাখির দেখা মেলে।
ফ্লাইট/ এয়ার পোর্ট - ইন্দোর - আনুমানিক 60 কিলোমিটার রাস্তা, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং সরকারি বাস ইন্দোর থেকে উজ্জয়নী পর্যন্ত চলাচল করে। ভাড়া করা গাড়ির দাম ছিল সর্বনিম্ন 2200/ ( ফেব্রুয়ারি ২০১৮)
এই পথে কালো পাথরে তৈরি শনি মন্দিরের সাথেই নবগ্রহ মন্দিরও দেখতে পারেন। স্থানীয়দের কাছে মন্দিরটি বেশ বিখ্যাত।
উজ্জয়নীর বিশেষত্ব - 1. পবিত্র কুম্ভ মেলার স্পট। সর্বশেষ ছিল 2015-16 (স্থানীয়ভাবে সিংহস্থ নামে পরিচিত, যার মানে বৃহস্পতি গ্রহ যখন প্রায় 12 মাসের জন্য সিংহ রাশির উপর দিয়ে ভ্রমণ করেন।)
2. মহাকালেশ্বর - দ্বাদশের মধ্যে তৃতীয় জ্যোতির্লিঙ্গ এবং শহরের অধিপতি রাজা আজও ।
3. শহরটি সপ্তপুরীর এক পুরী।
তিনটি বৈশিষ্ট্য কেবল উজ্জ্বয়নীতেই বিদ্যমান। যা বারাণসী, হরিদ্বার, দ্বারকা প্রভৃতিতেও অনুপস্থিত। এটিই উজ্জ্বয়নীকে সবচেয়ে পবিত্র স্থান করে তুলেছে। হিন্দু পুরান এবং জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে উজ্জ্বয়নী ভারতের গ্রিনউইচ নামে পরিচিত। শহরটি ভারতের প্রায় কেন্দ্র /মধ্যবিন্দুতে অবস্থিত এবং IST (ভারতীয় মান সময়) এই স্থানটির অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ বিবেচনা করে গণনা করা হয়। এই স্থান সতী পীঠও। মা সতীর কনুই এখানে পতিত হয়েছে ( হরসিধ মাতা মন্দির)
4. উজ্জয়নী মঙ্গল গ্রহের জন্মস্থান ও বটে, মঙ্গলের জন্মস্থানে মঙ্গলনাথ নামে একটি মন্দির রয়েছে। সমগ্র ভারত / মহাবিশ্বের মধ্যে এটিই একমাত্র স্থান যেখানে নাকি মঙ্গল দোষের (মঙ্গল / ভৌম দোষ) প্রকৃত পূজা ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা করা হয়। ( এই সব ঘটনা শুনেছি, বিশ্বাস আপনার Smile ) পুনর্নির্মিত নতুন মন্দির টি সুসজ্জিত এবং তথাকথিত মঙ্গল দোষ কাটানোর জন্য অতি বিখ্যাত এবং এই বিষয়ক সকল প্রকার ব্যবস্থার সুবন্দোবস্ত যুক্ত । ভাত পূজা এই মন্দিরের আর এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
মহাকাল মন্দির - বিশ্বে একমাত্র শিব মন্দির যা দক্ষিণ মুখী এবং চিতা ভস্ম দিয়ে রোজ প্রাতে এনাকে আরতি করা হয়, যা ভস্ম আরতি নামে পরিচিত , বিখ্যাত। নিকটবর্তী মহা শ্মশানের তাজা চিতা থেকে প্রতিদিন সংগ্রহ করা হয় এই ভস্ম। যদিও আদালতের আদেশ অনুযায়ী সরকারিভাবে চিতা ভস্মের ব্যাবহার আজকাল নিষিদ্ধ। আদালতের নির্দেশ শুধুমাত্র গোবরের ঘুঁটেই ব্যবহৃত হবে কিন্তু স্থানীয়দের মতে কিছু তাজা ভস্ম আজও মিশ্রিত করা হয় । একজন তান্ত্রিক বাবা নিয়মিত প্রতিদিন ভোর ৪ টায় মহাকালেশ্বরের আরতির জন্য ভস্ম সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন । ( ২৭/২/১৮ তারিখে প্রযোজ্য ছিল ও ব্যক্তিগত ও ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা ভিত্তিক। 25/2 থেকে 27/2/2018 পর্যন্ত পরিদর্শন করা হয়েছে।) মন্দির কমিটির পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী নিয়মগুলি সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়।
শীতকালে ভস্ম আরতি প্রতিদিন ভোর ৪টায় শুরু হয় (কার্তিক থেকে ফাল্গুন চন্দ্র মাস) এবং চৈত্র থেকে আশ্বিন চন্দ্র মাস পর্যন্ত রাত ৩টায়. শুরু হয় জলাভিশেক দিয়ে।বাবা মহাকালের দিনের প্রথম পূণ্য স্নান। এটি 30 মিনিট স্থায়ী হয়। পূজারী, মহন্তের একটি নির্দিষ্ট দল পবিত্র জল, দুধ এবং পঞ্চামৃত দিয়ে এটি করেন। টাকা দিয়ে বিশেষ টিকিট কেনা থাকলে সাধারণ মানুষ এই সময় গর্ভ গ্রহে ঢুকে জল/দুধ দিয়ে বাবার অভিষেক করতে পারেন । সেইসময় (২০১৮) ৩০ মিনিটের জন্য গর্ভ গৃহে প্রবেশ অনুমোদিত ছিল। মহিলারা শাড়ি, পুরুষরা ধুতি পরে গর্ভ গৃহে প্রবেশ করার নিয়ম।মনে রাখবেন নিয়ম ও ব্যাতিক্রম একসাথেই চলতে থাকে, তবে আপনার ক্ষেত্রে নিয়ম নাকি ব্যাতিক্রম প্রযোজ্য হবে তা মহাকাল ই বলতে পারবেন।
মহাকালেশ্বর মন্দির = উজ্জয়নী
মহাকাল মন্দির সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে এখানে শেয়ার করা সমস্ত তথ্য মন্দির কমিটির কাউন্টার থেকে নিজে সংগ্রহ করা এবং সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ( 25 থেকে 27 ফেব্রুয়ারি 2018 )মন্দির কমিটি তাদের প্রয়োজন অনুসারে সময়ে সময়ে নিয়ম পরিবর্তন করে। সুতরাং আপনি আমার মত একই জিনিস অনুভব / সম্মুখীন নাও হতে পারেন। এটি একটি বিস্তৃত সাধারণ নির্দেশিকা। শেষ মুহূর্তের ঝামেলা এড়ানোর জন্য প্রকৃতপক্ষে আপনার ভ্রমণ / পরিকল্পনা করার আগে মন্দির কমিটির বিভিন্ন নিয়মাবলীর সাথে পরিচিত হওয়া / যাচাই করা উচিত। যারা কয়েক বছর আগে এই মন্দিরে গিয়েছিলেন তারা বর্তমান অবস্থা দেখে বিস্মিত হবেন।বিশাল পরিবর্তন ঘটেছে সর্বক্ষেত্রে।
মন্দিরের সময় সকাল ৪ টা থেকে রাত ১১ টা (৩০ মিনিট + - গ্রীষ্ম/ শীতের জন্য)
মহাকাল জ্যোতির্লিঙ্গ বিখ্যাত তাঁর অপূর্ব শৃঙ্গারের জন্য, প্রতিদিন নতুন রূপে শৃঙ্গার হয় এবং কখনও পুনরাবৃত্তি হয় না। সুতরাং আপনি প্রতিদিন মহাকাল কে নতুন রূপে দর্শন করবেন।
প্রতিদিন একাধিকবার পূজা আরতি করা হয়। তবে দিনের প্রথম হল ভস্ম আরতি সকাল ৪ টায় এবং রাতে শয়ন আরতি ১০.৩০ নাগাদ
ভস্ম আরতি - এটি দেখার জন্য অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
সাধারণ ভাবে পারমিট/পাস 2 ভাবে পাওয়া যেত ( করোনা কলে নিয়ম পরিবর্তিত হয়েছে)
1. মন্দিরের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অনলাইন বুকিং। www। http://dic.mp.nic.in/ujjain/mahakal/default.aspx
অনলাইনে বুক করার জন্য এই সাইটের
নির্দেশিকা অনুসরণ করুন এবং পূরণ করার আগে নির্দেশ /সাহায্য পড়ুন।দর্শনের 15 দিন আগে অগ্রিম বুকিং করা হয়/হত। এটি একটি paid পরিষেবা .250/ টিকেট ছিল প্রতি জন। অনলাইনে বুকিং এর জন্য এনাদের নিজস্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন
2. স্পট বুকিং এ - একদম ফ্রি। 1 দিন আগে মন্দিরের কাউন্টার থেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে হতো সময় সকাল 10 টা থেকে বিকাল 3 টা। লম্বা লাইন হয় ফর্ম সংগ্রহ করার জন্য তাই সকাল সকাল যাওয়াই ভালো। আপনার ফটো আইডি যাচাই -বাছাইয়ের পর কাউন্টার থেকে ফর্ম দেওয়া হয়, যারা ভস্ম আরতি দেখবেন তাদের প্রত্যেকের অরিজিনাল ফটো আইডি কাউন্টারে দেখাতে হবে। একবার আপনি ফর্মটি পেয়ে গেলে তা দ্রুত পূরণ করুন এবং কনটারে জমা দিন। ফর্ম জমা দেওয়ার সময় প্রত্যেক সদস্যকে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে হয় কারণ সকল সদস্যের ছবি নিরাপত্তা কর্মীরা ওয়েব ক্যামের মাধ্যমে তোলেন। ফটো নেবার পরে যদি সব ঠিক থাকে (কম্পিউটারের মাধ্যমে কর্মীদের দ্বারা যাচাই হয় ) আপনি একটি বারকোড ও আপনার সমস্ত বিবরণ সহ অনুমতি পাবেন। পারমিট এ উল্লেখ থাকে তারিখ এবং সময়।এছাড়াও আপনি আপনার দেওয়া মোবাইলে একটি এসএমএস পাবেন।
ভস্ম আরতির সময় বসার স্থান :- 3 - 4 ধরনের বসার স্থান বরাদ্দ করা হয়। যা আপনার অনুমতি পত্র/পাস টিকিটেই উল্লেখিত পাবেন। হলগুলোর নাম
A) নন্দী হল ব্যারিকেড - নিচতলায় গর্ভ গৃহের ঠিক বিপরীত দিকে সেরা এবং প্রধান অবস্থান। প্রধানত ভিআইপি এবং বেশি টাকার টিকিট /ডোনেশন দাতাদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
B & C - গণেশ এবং কার্তিকেয় মণ্ডপ - নন্দী হলের উপরে সাধারণ মানুষের জন্য। গ্যালারি স্টাইলের বিশাল হল বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানো।
D- ভস্ম আরতি মণ্ডপম। নির্দিষ্ট কিছু নয়, সম্প্রতি শুরু হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি জানা নেই
ভস্ম আরতির জন্য বিশেষ গেট খোলা হয় রাত 1.30 টায়। লাইনের সামনে থাকার যথাসম্ভব চেষ্টা করুন। এটি প্রথম আসা প্রথম ভিত্তিতে। ভাল জায়গা পেতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৌঁছান। আমি প্রায় ২.২০ টার দিকে গিয়েছিলাম এবং ১০০০ জনের পিছনে ছিলাম। এই গেট খোলার অনেক আগে থেকেই গেটের বাইরে লাইন পরে যায় । গেট খোলার পর টিকিট দেখে একটি অপেক্ষাকৃত বড় হলের মধ্যে ৩.৪৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এটি হলের মধ্যে সর্পিল খাঁচা মার্কা , মাঝে মাঝে লোহার বসার বেঞ্চ আছে। স্ক্রীনে অনবরত গর্ভগৃহের লাইভ ছবি দেখানো চলে। ভস্ম আরতির মিনিট ১৫ আগে এই লাইনে ছাড়া হয় এবার আপনি মূল মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন , যে যেমন পারবেন বসার জায়গা দেখে নিয়ে দ্রুত বসে পড়ুন।
জলাভিশেক:- 4 - 4.30 am paid টিকিট থাকলে এই সময়ে আপনি জলাভিশেকের জন্য গর্ভ গৃহে প্রবেশ করতে পারবেন। ( এই মুহূর্তে দিচ্ছে কিনা জানা নেই)
একজন ব্যক্তিকে কেবল ধাতব লোটা/পত্র থেকে ৫০০ মিলি RO জল দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। বাইরের জলের অনুমতি নেই। মন্দিরের ভিতর থেকেই RO জল নিতে হবে। RO মেশিন মন্দিরের ভিতরই আছে , প্রতিক্ষালয়ের মধ্যেই।
সকাল ৪.৩০ মিনিটে অভিষেক স্নানের পর শুরু হয় শৃঙ্গার। এই সময়ে পুরোহিতের দল ছাড়া কাউকে গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। প্রতিদিন আলাদা আলাদা শৃঙ্গার হয়।
সকাল ৪.৪৫টা নাগাদ শৃঙ্গার শেষ হওয়ার পর আরতি শুরু হয়। ভস্ম দিয়ে যখন আরতি শুরু হয় মহিলাদের চোখ বন্ধ করতে বা মুখ ঢেকে রাখতে বলা হয়। এটি শুধুমাত্র কয়েক মিনিটের জন্য ই। আরতি শেষ হয় ভোর ৫.৩০ টা নাগাদ।
আপনি যদি হলের মধ্যে সঠিক জায়গায় বসতে না পারেন তবে গর্ভ গৃহ থেকে পুরো প্রক্রিয়াটি giant স্ক্রিন এ সরাসরি দেখতে পাবেন।ভস্ম আরতি চলাকালীন মন্দির কমিটির সহায়ক সেবক আপনার কাছ থেকে বাবা কে অর্পণ করার জন্য দ্রব্যাদি নিতে আসবেন , ফুল, মালা, বস্ত্র ইত্যাদি, ওনাদের দিয়ে দিলে তা বাবাকে শৃঙ্গারের সময় অর্পণ করে দেওয়া হয়। আরতির একদম শেষ দিকে কর্পূর প্রদীপ দিয়ে বাবার অরতি করা হয় , এই সময় ভিতরের হলের বৈদ্যুতিক আলো সব নিভিয়ে দেওয়া হয় , অন্ধকারের মধ্যে গর্ভ গৃহে কর্পূর প্রদীপের আলোতে অবর্ণনীয় পরিবেশে দৃশ্য থাকেন শুধু মাত্র কালের অধীশ্বর । কাঁসর ঘণ্টার সাথে তুমুল ভাবে বিশালাকৃতির ডমরু বাজতে থাকে গর্ভ গৃহের ঠিক সামনে , বাইরে তখন দিনের আলো দেখা দিচ্ছে একটু একটু করে। ঐ মুহূর্ত হলো " কাল " কে অনুভবের মুহূর্ত।

উজ্জয়নী:- ৫১টির মধ্যে ১৩ তম শক্তি /সতী পীঠ।
৫১ সতীপীঠের মধ্যে স্থানটি ১৩ তম স্থানে রয়েছে। মা সতীর কনুই এখানে পড়ে আছে এবং মন্দিরটি হরসিধ্ মাতা মন্দির নামে পরিচিত। (যেখানে সব ইচ্ছা পূরণ হয় , হর সিদ্ধি ) মন্দির খোলা থাকে দিনের বেলা রাতে বন্ধ থাকে। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল এটি সম্পূর্ণ বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে নির্মিত । একটি একদম নিখুঁত শ্রীযন্ত্র প্রধান গর্ভগৃহের ঠিক সামনে দর্শন hall এর ছাদে আঁকা আছে । বলা হয় শুধু এই যন্ত্রটি দেখলেই একটি পজিটিভ তরঙ্গ (vibe) অনুভূত হয়। মন্দির প্রাঙ্গনে কালো পাথরে তৈরি দুটি দীপ মালিকা স্ট্যান্ড আছে ।এটি সন্ধ্যা আরতির প্রধান আকর্ষণ। মোট 1111 প্রদীপ। প্রায় সব সন্ধ্যায় প্রজ্জ্বলিত করা হয়। একটি স্তম্ভে 500 টি অন্য স্তম্ভে 611 টি । স্তম্ভ দুটি শিব এবং পার্বতী নামে পরিচিত। মন্দির ট্রাস্টকে নির্ধারিত মূল্য জমা দিয়ে যে কেউ এটি প্রজ্জ্বলিত করতে পারেন (2100 / - 7000/) । সময় ও চাহিদার উপর নির্ভর করে খরচ,। যা সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়। এর জন্য ৬ মাস আগে অগ্রিম বুকিং করা হয়। লোকেরা তাদের ইচ্ছা/মানত পূরণের পরে এটি প্রজ্জ্বলন করে থাকেন।প্রায় ১০০লিটার তেল লাগে দুটি স্তম্ভের ১১১১টি প্রদীপ জ্বালাতে, বংশ পরম্পরায় এক বিশেষ পরিবারে লোক জন ই বিশেষ প্রক্রিয়ায় এটি জ্বালাতে পারেন ,প্রস্তুতির জন্য সময় লাগে ২.৩০ঘণ্টা , আর আরতি শুরু হওয়া মাত্র দু জন (একটি স্তম্ভে একজন করে) মাত্র ১০ মিনিটেই (উপর থেকে শুরু করে নিচের দিকে নামতে থাকেন) বিশেষ দক্ষতার সাথে এটি প্রজ্জ্বলন করেন ।তন্ত্র সাধনার জন্য এই মন্দির সাধকদের কাছে অতি বিশেষ । রাজা বিক্রমাদিত্য এই মন্দির নির্মাণ করেন। এছাড়াও বহু পৌরাণিক কাহিনী আছে এই মন্দিরকে ঘিরে। ধুমধাম করে নবরাত্রি পালন করা হয় এখানে।

কালভৈরব মন্দির - এটি শিবের অন্যতম রুদ্র রূপ। ৮ ধরনের ভৈরব আছে, কাল ভৈরব তাদের মধ্যে অন্যতম এবং অঘোর সম্প্রদায়ের প্রধান দেবতা। পঞ্চ ম'কার এই দেবতার প্রধান উপকরণ এবং এখানে প্রধানত তান্ত্রিক পূজা করা হয়। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল কারণ। অন্যান্য সাধারণ পূজা সমগ্রীর সাথে ভোগ হিসেবে দেবতাকে সব ধরনের মদ দেওয়া হয়। পুজারী একটি প্লেটে তরল পানীয় বিগ্রহের মুখের গর্তের নিকটে নিয়ে যায়) দেয় এবং পানীয় টি অদৃশ্য হয়ে যায় 😁। বোতলের বাকি অংশ প্রসাদ হিসাবে ভক্তকে ফেরত দেওয়া হয় ,😜। এখন কেন এই মন্দিরের জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং আজকাল খুব বেশি ভিড় হচ্ছে তা বুঝে নিন । মন্দির প্রাঙ্গণে এমপি সরকারের অনুমোদিত লিকার এর দোকান/স্টল রয়েছে এছাড়া পুজোর জিনিস বিক্রির দোকানগুলিও সব ধরণের লিকার বিক্রি করে। (দেশী দেশী ও বিদেশী) কাল ভৈরব উজ্জয়নী নগরীর অভিভাবক এবং মহাকালের সেনপতি। এই মন্দিরটি অবশ্যই পরিদর্শন করা উচিত কারণ আপনার তীর্থযাত্রা সম্পূর্ণ হবেই না যদি না আপনি এই কালভৈরব দর্শন করেন। তবে লিকার দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।রবিবার কলভৈরবের বার, এদিন ভিড় বেশি হয়। অনুগ্রহ করে দিনের বেলা এই জায়গা দর্শন করুন এবং সূর্যাস্তের পর অন্ধকার এড়িয়ে চলুন, নানাবিধ তান্ত্রিক ভালো মন্দ ক্রিয়া কলাপ চলে রাতে।

সন্দীপন আশ্রম - কৃষ্ণ এবং বলরামের গুরুকুল, বলা হয় মহাদেব ব্যক্তিগতভাবে এখানে ভগবান কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।খুব সুন্দর দেখতে জায়গা।
মঙ্গলনাথ মন্দির - মঙ্গল গ্রহের জন্মস্থান। শুধু মঙ্গল দোষ নিবারনের জায়গা। দোতলায় একটি বড় হল দোষ নিবারণ পুজোর জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। অনেকে একসাথে পুজো করতে পারেন। বিভিন্ন সেবার মূল্য তালিকাভুক্ত করা আছে( মোটামুটি fixed rate)। ৩ তলায় মঙ্গলনাথ শিবলিঙ্গ আছে এবং মঙ্গল রূপে পূজিত হয়ে থাকেন।ভাত পূজা এই মন্দিরের বিশেষত্ব। মঙ্গল গ্রহের মায়ের মূর্তিও এখানে আছে। মন্দির এবং এর চত্বর খুব সুন্দর সাথে সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
কাশীর মতোই মন্দিরের শহর উজ্জয়নী। আরো বেশ কিছু বিশেষ দৃষ্টব্য স্থান আছে যেমন
চিন্তাহরণ গণেশ (গণেশ প্রতিমা , দর্শনে যিনি চিন্তা হরণ করেন)
গডকালিকা ( কবি কালিদাসের আরাধ্য দেবী), সাধক ভ্রাতৃ হরির গুহা ,বড় গণেশ, সিদ্ধ বট , ইসকন, নবগ্রহ মন্দির ইত্যাদি।
অটোতে দেখতে গেলে ৫০০/ - ৬০০/-টাকা(২০১৮ তে) লেগেছিল। সময় লেগেছে প্রায় 5 ঘন্টা

.অবন্তিকা - শিপ্রা নদীর তীরে রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজধানী যা উজ্জয়নী নামেই জনপ্রিয় ও পরিচিত। বলা হয় মহাকাল এই নগরীর একমাত্র রাজা, ওনার আদেশ ই এখানের শেষ কথা। উনি ছাড়া আর কোন রাজা এই নগরে রাত্রিবাস করতে পারেন না । নগরীর সীমার বাইরে রাত্রিবাস করতে পারেন, শহরের মধ্যে করলে তিনি গদিচ্যুত হবেন। এই প্রথা আজও মানা হয়, বিভিন্ন রাজ্যের গভর্নর, cm, এমনকি pm, রাষ্ট্রপতি কেউই রাতে থাকতে চান না। আজও সরকারি সেনা/পুলিশের তরফ থেকে গার্ড of honour দেওয়া হয় নিয়মিত ভাবে।
কিছু টিপস এবং গাইডেন্স
পরিদর্শন করতে হবে:-
মহাকাল মন্দির
কাল ভৈরব মন্দির
হরসিদ্ধি মাতা মন্দির
এছাড়া ও মঙ্গল নাথ মন্দির, সন্দীপন আশ্রম, বড় গণেশ, চিন্তহরণ গণেশ, গডকালিকা মন্দির, সিদ্ধ বট, ভ্রাতৃহরি গুহা, ইস্কন মন্দির, যন্তর মন্তর, বেদশালা ইত্যাদি। মন্দির নগরীর আনাচে কানাচে রয়েছে অসংখ্য ছোট, বড় , বিখ্যাত জনপ্রিয় বহু মন্দির, প্রতিটি স্থানের পেছনে আছে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী ।
উজ্জয়নী গেলে অবশ্যই ভস্ম আরতি দেখার চেষ্টা করুন ।এতে অংশগ্রহণ ও দর্শনের জন্য পারমিট/টিকিট আবশ্যক। অনলাইনে পারমিট বুক করার চেষ্টা করুন, বুকিং 15 দিন আগে খোলে। অন স্পট বুকিং (ফ্রি) এড়িয়ে চলুন যা ১দিন আগে দেওয়া হয়।
আপনার থাকার সময় অন্তত দুইবার মহাকাল মন্দির দেখার চেষ্টা করুন। 1) ভস্ম আরতি 2) সাধারণ দর্শন পূজা ইত্যাদি। ভস্ম আরতির সাথে আপনার পূজা বা অভিষেক একত্রিত করবেন না। এটি পৃথক করুন। ভস্ম আরতির সময় হলের ভিতরে ভালো জায়গা পেতে ভস্ম আরতির জন্যই বিশেষ পৃথক প্রবেশদ্বার এ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৌঁছান। ভস্ম আরতির জন্য অনলাইন এ ফর্ম পূরণের সময় নন্দী হল অপশন বক্সে টিক দেওয়ার চেষ্টা করুন। মন্দিরের গেট যখনই খুলুক (২০১৮ তে রাত ১.৩০ টায় খুলতো) অনেক আগে মধ্যরাত থেকে লাইন শুরু হয়। অরিজিনাল পারমিট /পাসের সাথে অরিজিনাল ফটো আইডি (যা আপনার পারমিট এ আপলোড/ দেওয়া হয়েছে) সাথে রাখুন। মন্দির কমিটির নিয়মানুসারে মোবাইল ,চামড়াজাত বস্তু ভিতরে নিষিদ্ধ(তবে বহু লোক কেই ভিতরে মোবাইল এ কথা বলতে , ছবি ও ভিডিও করতে নিজে দেখেছি)। একবার ভিতরের হলে ঢুকে পড়লে জায়গা দেখে চট করে বসে পড়ুন । ভাস্ম আরতির পরে প্রস্থান গেট ভিন্ন এবং কিছুটা দূরে। কিন্তু আপনি প্রবেশ গেটের কাছে জুতো রেখে থাকলে অনেকটা হাঁটতে হবে , তবে কিছু অটো থাকে ওই সময় তাতে যেতে পারবেন। নচেৎ আপনি হাঁটতে পারেন। এন্ট্রি পয়েন্ট গেট থেকে আপনার জুতা সংগ্রহ করুন। রাত প্রায় 10.30 টায় মন্দির বন্ধ হয়ে যায়। আপনার সাধারণ দর্শন, পুজো এর মধ্যে যে কোন সময় করতে পারেন। বিকাল ৫ টার পর গর্ভ গৃহে অভিষেক করতে দিত না (২০১৮)
মন্দিরের ভিতরে নির্ধারিত প্রসাদ কাউন্টার থেকে প্রসাদ সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন। বিশুদ্ধ ঘি লাড্ডো প্রসাদ 30/থেকে শুরু করে পাওয়া যেত। এর স্বাদ একেবারে .ঐশ্বরিক। এটা মিস করবেন না।
ভষ্ম আরতি দেখতে চাইলে মহাকাল মন্দিরের কাছে থাকার চেষ্টা করুন। মধ্যরাতে পরিবহন পেতে সমস্যা হবে।
উৎসবের সময় এড়ানোর চেষ্টা করুন যদি না আপনি বিশেষ উৎসবে যোগ দিতে চান। সাধারণত সকালের সময়গুলোতে লম্বা লাইন থাকে। দর্শন এবং গর্ভগৃহে প্রবেশের জন্য, সন্ধ্যা অনেক সহজ। প্রধান ফটক থেকে মহাকাল জি দেখতে অনেকটা পথ হেঁটে যেতে হয়, তাই যদি আপনি হাঁটতে না পারেন (অসুস্থ, সিনিয়র নাগরিক ইত্যাদি) মন্দির কাউন্টারে হুইল চেয়ারের জন্য যোগাযোগ করুন। ব্যাটারি গাড়িও আমার দেখা। প্রধান ফটকের কাছেও লকার পাওয়া যায়। কোন বিশেষ পূজা করার জন্য প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছে মন্দিরের কাউন্টারে যোগাযোগ করুন। দালাল এড়ানোর চেষ্টা করুন।
মন্দিরের কাছে সব ধরনের হোটেল পাওয়া যায় এবং স্পট বুকিং সাধারণত পাওয়া যায়। শহরে তারকা ক্যাটাগরি হোটেলও রয়েছে। ভেজ এবং নন -ভেজ দুটোই পাওয়া যায়। এখানকার ঘি বিখ্যাত , তাই ঘিয়ে ভাজা মিষ্টি, নোনতা বেশ জনপ্রিয়। আছে বিখ্যাত dal bati churma laddu ও ( local নামটা ভুলে গেছি) । ভাড়া করা গাড়ি পাওয়া যায়। প্রধান স্থানীয় ট্রান্সপোর্ট হল অটো। তবে ভস্ম আরতি দেখার জন্য মধ্যরাতের অটো ভাড়া বেশি তাই অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়াতে দয়া করে আগেই রেট ঠিক করুন। মহাকালের নগরীতে প্রধান উৎসব শিবরাত্রি , শিব পার্বতীর বিবাহে নিমন্ত্রিত থাকে গোটা নগর, আছে শ্রাবণের বিশেষ উৎসব , নাগ পঞ্চমীর দিন বছরে মাত্র ঐ একদিনই খোলে নাগ চন্দ্রেশ্বর মন্দির , দর্শন দেন নাগ দেবতা , যা মহাকাল মন্দিরেরই তিন তোলায় অবস্থিত।
উপরের লেখা একটি সাধারণ নিয়মাবলী মাত্র , কভিদ পরিস্থিতিতে অনেকটাই বদলে গেছে , প্রায় ১৭মাস পরে অতি সম্প্রতি আবার খুলেছে ভস্ম আরতি দেখার অনুমতি । ভস্ম আরতির জন্য অনলাইনে বুকিং খুলছে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত, ১) http://dic.mp.nic.in/ujjain/mahakal/Bhasmarti/calender.aspx?section_name=Bhasmarti%20Booking
২) http://dic.mp.nic.in/ujjain/mahakal/Bhasmarti/bhasmarti_booking.aspx?bhasmarti_date=06-10-2021&section_name=Bhasmarti%20Booking%20Internal
ভস্ম আরতির জন্য লাইন শুরু হচ্ছে বিশেষ জায়গা থেকে। গর্ভ গৃহে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আপাতত ।খবর নিয়ে শুনলাম প্রতি ঘন্টায় ৩৫০ জনকে দর্শন করতে অনুমতি দিচ্ছে , ফ্রী সাধারণ দর্শনের জন্যও অনুমতি পাস আবশ্যক , যা অনলাইনে বুক করতে পারবেন । প্রতি ঘন্টার জন্য স্লট আছে। ফ্রী দর্শনের জন্য বুকিং স্লট শুরু সকাল ৫ টা থেকে আর দিনের শেষ স্লট রাত ৮ টা থেকে ৯ টা।
সেইদিন ও আগামী ৭দিনের অগ্রিম বুকিং করা যাচ্ছে। প্রতিদিন রাত ১২ টার পর নতুন বুকিং করা যাচ্ছে। তাই মোটামুটি নিশ্চিত slot পেতে ঠিক রাত বারোটা বেজে এক মিনিট থেকে চেষ্টা করুন
http://dic.mp.nic.in/ujjain/mahakal/GD/GD_time_slot.aspx?section_name=General%20Ticket
( সবুজ রঙের button মানে সেই স্লট ফাঁকা আছে , কটা ফাঁকা তাও দেখাচ্ছে ( ম্যাক্স ৩৫০ per hour) আর লাল রঙের button মানে already booked।
paid দর্শন বুকিং ( সম্ভবত স্থগিত আছে)
http://dic.mp.nic.in/ujjain/mahakal/Darshan_Ticket/151_ticket.aspx?section_name=151%20Ticket
covid final vaccine certificate / negative rtpcr report বাধ্যতামূলক । এছাড়া সঠিক ভাবে মাস্ক পরা জরুরী।
মনে রাখবেন নিয়মের সাথে সাথেই সমন্তরাল ভাবে চলে বেনিয়মও। আপনি নিয়ম নাকি নেনিয়মের আওতায় পড়বেন তা আপনার ভাগ্য।
কারুর কথার উপর ভরসা করার আগে সঠিক আপডেটের জন্যে নিয়মিত মন্দিরের নিজস্ব ওয়েব সাইট দেখুন । এছাড়া আছে এমপি সরকারের নিজের ওয়েব সাইট ও । কলকাতায় মিন্টু পার্কের কাছে চিত্রকুট বিল্ডিংয়ে আছে এমপি টুরিসিমের নিজস্ব অফিস , দরকারে যোগাযোগ করতে পারেন।

অনিচ্ছাকৃত বানান / টাইপিং ভুল থাকলে দুঃখিত। যারা সাম্প্রতিক কালে দর্শন করে এসেছেন , কমেন্টে তাদের অভিজ্ঞতা share করলে পরবর্তীতে যারা যাবেন উপকৃত হবেন।

descriptionUjjain উজ্জয়িনী ভ্রমন  EmptyRe: Ujjain উজ্জয়িনী ভ্রমন

more_horiz
প্রথমে Bhopal যান। 1দিন ভূপাল ঘুরে নিন। Upper lake, lower lake, Taj ul masjid, etc.
2nd দিন ভূপাল থেকে Sanchi stupa ও Bidisha ঘুরে আসুন।
3rd দিন Hosangabad ও Bhim Bhetka Rock shelters দেখে আসতে পারেন।
4th দিন Bhopal থেকে Pipariya হয়ে Satpura পর্বতমালার উপরে অবস্থিত hillstation Panchmarhi তে দুদিন কাটিয়ে আসতে পারেন। অনেক কিছু দেখার আছে। বেশ ভালো লাগবে।
5th দিন ও Panchmarhi তে কাটান, ও সন্ধের পরে Bhopal এ ফিরে আসুন।
6th দিন চলে যান Indore হয়ে Ujjain। Ujjain এ থাকুন ও Mahakaleshwar সহ অনেক গুলো local sightseeing আছে সেগুলো করে নিন।
7th দিন সকাল বেলা Indore হয়ে Omkareswar চলে আসুন। দর্শন করে ওখানেই থেকে যান।
8th দিন, বা পরের দিন Maheshwar দর্শন করে Mandu চলে যান। ওখানে বিখ্যাত জাহাজ মহল সহ অন্যান্য sightseeing করে Indore ফিরে আসুন। ট্রেন ধরে Kolkata ফিরে আসুন। এতেই আপনার যাওয়া আসা নিয়ে 10 দিন হয়ে যাচ্ছে। নাহলে আরো বিস্তারিত প্ল্যান করে দিতাম। অনেক ভালো জায়গা বাদ দিতে হলো।

এছাড়াও সময় পেলে Omkareswar এর পাশে Hanumantiya তে lake এর পাশে থেকে ও boating করে একদিন একটু অন্য ভাবে কাটাতে বেশ ভালো লাগবে।
আরো সময় থাকলে অবশ্য Bhera ghat এর marble rocks মিস করবেন না। সেক্ষেত্রে আপনাকে ফিরতে হবে Jabalpur station থেকে Shaktipunj express ট্রেন এ করে।

descriptionUjjain উজ্জয়িনী ভ্রমন  EmptyRe: Ujjain উজ্জয়িনী ভ্রমন

more_horiz
Tithi Rakshit Dey দেখুন আপনি হয়তো জানেন না তাই আপনাকে একটা ভালো প্ল্যান দিচ্ছি।
Plan 1: যেহেতু আপনি Shipra exp এ Indore/Ujjain অব্দি টিকিট কেটে ফেলেছেন, তাই আগে ওইদিক টা দেখে এসে তারপরে Bhopal এসে Bhopal কে base করে বাকীটা ঘুরুন।

Plan 2

আপনার Shipra Exp Indore বা Ujjain আসার আগেই সকাল 7.35 মিনিটে Sant Hirdaram Nagar বলে একটি স্টেশনে দাড়াবে। এটাই Bhopal এর আরো একটি স্টেশন। এখানে নামা মানেই Bhopal এ নামা। অতএব আপনি এখানে নেমে আমার দেওয়া প্ল্যান মতন ঘুরতে পারেন।
তাছাড়াও এই Sant Hirdaram Nagar এর আগের station হলো Vidisha। সেখানেও Shipra Exp দাড়াবে। আপনি Vidisha নেমে বিদিশা দেখে Bhopal এ ট্রেন/বাস/গাড়ি তে চলে আসতে পারেন। Bhopal থেকে Vidisha 57km। আমরা তো গাড়িতেই যাতায়াত করেছিলাম, 1 ঘণ্টা সময় লাগে যেতে বা আসতে।

descriptionUjjain উজ্জয়িনী ভ্রমন  EmptyRe: Ujjain উজ্জয়িনী ভ্রমন

more_horiz
Amr je bhabe ghurechhi (Pujo 2018):

By Shipra to Ujn and night stay (ns) at Ret rm (stn er bairei onek htl o achhe).

2nd day - Mahakal darshan & ns at Avantika yatri nibas (mp trsm). [Stn er baire Prepaid booth theke auto niye prothome Avantika te check in kori, tarpor 7/8 ta spot ghure auto namiye daye Mahakal mondir e. Approx 350/- rate chhilo.]

3rd d - Ujn to Mandu (by car). Ns at Malwa Retreat of Mp trsm. (Eta gorge er dhare. Er pashei Htl Roopmati. Aro bhalo location).

4th d - Mandu to Omkareswar via Maheswar by car. Ns at Mp trsm Omkareswar.

5th d - Omkareswar to Indore by car and catching Shipra to Hwh.

descriptionUjjain উজ্জয়িনী ভ্রমন  EmptyRe: Ujjain উজ্জয়িনী ভ্রমন

more_horiz
উজ্জইন

নাম শুনলেই শরীরে যেন এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ বয়ে যায়। কত যে পুরানো শহর কেউ জানে না। প্রাগৈতিহাসিক শহর ও বলা যায়।
পুরানে রয়েছে উল্লেখ। রয়েছে মহাভারতে। তখন অবনতি রাজ্যের রাজধানী ছিল অবন্তিকা, যা আজকের উজ্জইনি। এক সমৃদ্ধ নগর। ব্যবসা বাণিজ্য শিক্ষা সংস্কৃতির মূল পীঠস্থান ছিল দীর্ঘদিনের।
শরদিন্দু বাবুর লেখা কালিদাসের ওপর লেখা রচনাটি পড়ে মন যেন উজ্জ্যইনিতেই আটকে রয়ে গেছে।
এমন এক জায়গায় যাব ভেবেই মন যেন আর অপেক্ষা করতে চাইছিল না। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে একদিন চেপে বসলাম শিপ্রা এক্সপ্রেসে। আমি আর বাবা এসেছিলাম প্রথম বার। পরে আরেকবার এসেছিলাম পুরো mp ঘোরার সময়।

স্টেশন থেকে অটো নিয়ে চলে এলাম মন্দিরে। মহাকাল মন্দির। দ্বাদশ জ্যোতিরলিঙ্গ এর মধ্যে অন্যতম। বিশাল মন্দিরের একদম উপরে পতাকা। কি অসাধারণ দৃশ্য।
এই মন্দির 12 শতাব্দীতে মুসলিম আক্রমণে নষ্ট হয়েছিল। সোনা হিরে জহরত আর অন্যান্য মূল্যবান জিনিস লুট হয়েছিল প্রায় 6 মাস ধরে। মন্দির ধ্বংস হয়ে অগোচরে চলে যায় 500 বছর। তারপর 17 শতাব্দীতে হয় আবার নতুন করে।

মন্দিরের একদম নিচের তলায় রয়েছেন মহাকাল। মাঝে অমকারেশ্বের। উপরে নাগেশ্বর। নাগেশ্বর মন্দিরের দরজাটা খোলে শুধু নাগ পঞ্চমীর দিন। অমকারেশ্বর দর্শন করে চলে গেলাম নীচে মহাকাল দর্শনে।
তিনটে লিঙ্গ একের উপরে আরেক করে তিনটি তলায় অবস্থিত।

স্নান করে এসেছি পুজো দেব বলে। দুধ ডাবের জল আর ফুল নিয়ে, অপেক্ষা করে আছি। পুজো শেষ হলে তবেই করতে পারব সমর্পণ। এত বিখ্যাত জ্যোতিরলিঙ্গ কিন্তু সবাই নিজের হাতে করতে পারবে পুজো। খুব ভালো ব্যাবস্থা। পুজো দিয়ে মন ভালো হয়ে গেল। এটা গেল প্রথম বারের কথা।
এবারে আসছি দ্বিতীয় বারে। দেখি মন্দির ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ব্যারিকেড ঘুরে ঘুরে যাওয়া। ভেতরে আলাদা দুধের চ্যানেল আর জলের। চ্যানেল করে সেই দুধ জল চলে যাবে আর হবে সমর্পণ। আর নেই কাছে গিয়ে মাথা ঠেকার সুযোগ। যা হবে দূর থেকে। মনটা একটু খারাপ হল ঠিকই। কিন্তু যা ভীড় দেখছি, এমন না হলে সম্ভব হবে না ভীড় নিয়ন্ত্রণ।

মন্দির চত্ত্বরে রয়েছেন গণেশ দেব আর ঋদ্ধি সিদ্ধি। এখানে মানত করলে কেউ ফেরে না। তাই আশেপাশের গাছে রয়েছে অজস্র চুনরি আর লাল সুতো, কত জনের মনের ইচ্ছা নিয়ে ঝুলে রয়েছে। রয়েছেন হনুমান জী। রয়েছে আরেকটি শিব মন্দির। মাঝখানে বিশাল জলকুন্ড।

রয়েছে বিশাল বোর্ড তাতে লেখা মহা মৃত্যঞ্জয় মন্ত্র।
আর তার মহিমা বর্নন। অকালমৃত্যু যোগ, দিঘদিনের অসুস্থতা যোগ, পক্ষাঘাত, দুর্ঘটনা যোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই মন্ত্র খুব সিদ্ধ।
জনশ্রুতি বেশ কিছু কোমায় আচ্ছন্ন মানুষকে হেডফোনে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র শুনিয়ে অনেক উন্নতি লক্ষ করা গেছে। শব্দই ব্রহ্ম। পুরো মন্দির জুড়ে বাজছে সেই মহামন্ত্র।

মন্দির চত্ত্বরে অনেক গাছ। বসে থাকতে খুব সুন্দর লাগে। সন্ধ্যের পর অনেকেই এসে বসে। এক স্বর্গীয় পরিবেশ। শান্তির আবহাওয়া। আমরাও বসে রইলাম বেশ কিছুক্ষণ।

পরের দিন ভোরে হাজির আমরা। তখন সাড়ে তিনটে। চারটার সময় শুরু হল ভস্ম আরতি। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখে গেলাম।
এই ভস্ম আসে পাশের শ্মশান থেকে। একদম গরম আর তাজা ভস্ম, তাজা ভস্ম ছাড়া হয়না এই আরতি। ভস্ম যা শিবের অঙ্গ-ভূষণ, তার থেকেই জীবন আর তাতেই সমাপ্তি।

মন্দির দেখে বেরিয়ে এলাম। পাশেই রয়েছে বড় গণেশ। এক বিশাল গণেশ। হাতে লাড্ডু আরেক হাতে অভয়মুদ্রা।
তার পাশেই মন্দিরে পঞ্চমুখী হনুমান। পুরোটাই ধাতুর। রয়েছেন শিব পার্বতী। নন্দী।

উল্টোদিকে রয়েছে বিপলবিদের গোপন আশ্রয়স্থল। meeting আর থাকার জন্য এক বহু পুরোন বাড়ী। মহাকাল মন্দিরের ঠিক পেছনে। বিশাল পুরোন অট্টালিকা কিন্তু এখনো বেশ ভালো অবস্থায়। নাহ mp govt বেশ ভালো পরিচর্যা করে চলেছে আমাদের অগ্নিযুগের ইতিহাস স্মারকটির।

একটু এগিয়ে এলেই হরসিদ্ধি মন্দির। তান্ত্রিক দেবী। পার্বতী দেবীর আরেক রূপ। বত্রিশ সিংহাসন খ্যাত রাজা বিক্রমাদিত্য এর পূজিত দেবী।
কথিত আছে রাজা অমাবস্যার দিনে গভীর রাতে এসে পুজো করতেন আর পুজোর শেষে নিজের মাথা নিজের হাতে কেটে করতেন দেবীর পায়ে অর্পণ। প্রতিবারই দেবীর আশীর্বাদে সেই কাটা মাথা লেগে যেতে জোড়া। এই দেবীর আশীর্বাদে তিনি লাভ করেন বত্রিশ সিংহাসন। আর হয়ে উঠেন অপরাজেয় এক সম্রাট।
শোনা যায় তার সময়ে রাজত্ব সুদূর সৌদি আরব থেকে ব্রহ্মদেশ অবধি বিস্তৃত ছিল। বর্তমান মক্কার কাছে পাওয়া তার সময়ের এক তামার plate এর থেকে একথা জানা যায়।
পেছনেই শিপ্রা নদীর ঘাট। সেই ঘাটে স্নান করে রাজা বসতেন পুজোয়। মন্দিরের সামনে বিশাল দুটি বাতিস্তম্ভ। প্রায় 15 ft উঁচু। অসংখ্য বাতি লাগাবার জায়গা। জ্বালিয়ে দিলে বহু দূর থেকে দেখা যায়। তখন এই জায়গাটা ছিল শ্মশান।

নাহ এরপরে আর হেঁটে দেখা আর সম্ভব নয়, করে নিলাম একটা অটো ভাড়া। 300 টাকা নেবে সমস্ত জায়গা ঘুরিয়ে দেবে।

কিছুটা দূরে নদী সঙ্গম স্থলে রয়েছে সিদ্ধবট, সেই বটগাছ যেখান থেকে প্রেত বেতালকে উনি ধরে আনতেন। বত্রিশ সিংহাসন গল্পে আমরা আসলে এই বেতালের কথাই শুনে থাকি। রাজা বিক্রমাদিত্য নিজেও ছিলেন বেতালসিদ্ধ নামে এক গুপ্ত বিদ্যায় পারদর্শী।

রাজা বিক্রমাদিত্য যখন আছেন এখানে, তাহলে আছেন ওনার নবরত্ন সভার অন্যতম সদস্য সভাকবি কালিদাস।
দেখতে এসেছি গড়কালিকা মন্দির। আগে এই মন্দির ছিল রাজার গড়ের মূল মন্দির। এখন আর নেই সেই গড় অর্থাৎ কেল্লা। রয়েছে শুধু মন্দির টি।
মূর্খ কালিদাসের আন্তরিক প্রার্থনায় কাতর হয়ে কালিকাদেবী ওনাকে দেন আশীর্বাদ। মাতা সরস্বতীর দর্শন প্রাপ্ত হন আর মূর্খ কালিদাস হয়ে উঠেন মহাকবি কালিদাস। সংস্কৃতে লেখেন মেঘদূতম নামে কালজয়ী রচনা। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক রচনা।

আর একটু যেতেই পেয়ে গেলাম রাজা ভর্ত্রীহরির তপস্যার জায়গা। রাজা বিক্রমাদিত্য এর বড় ভাই। রাজত্ব ছেড়ে দিয়ে ইনি তপস্বী হন। গুরু গোরক্ষনাথ এর আশীর্বাদে উনি কঠোর তপস্বী হয়ে যান। গুহাটি মাটির নিচে অবস্থিত। আর অত্যন্ত নিচু। গুহার দ্বারের দুইপাশে বেশ কিছু সাধু রয়েছেন। এনারা নাথপন্থী সাধু। এদের প্রিয় জায়গা ও তপস্থল। ভর্ত্রীহরিও ছিলেন নাথপন্থী সাধু।
পুরোটাই পাথরের। পাথরের পিলার পাথরের বিম পাথরের মেঝে। বেশ বড়ই। এক কোনে রাজা ভর্ত্রীহরির সাধনার আসন। উপরের বিম টি অদ্ভুত ভাবে মাঝখানে ভাঙা আর রার মাঝে একটি বেশ বড় মাপের হাতের পাঞ্জার ছাপের মত হয়ে রয়েছে।
জনশ্রুতি ভর্ত্রীহরির 12 বছরের কঠোর তপস্বায় ভীত হয়ে ইন্দ্রদেব ছোড়েন বজ্র। সেই বজ্র বিম ফাটিয়ে দিয়ে ভর্ত্রীহরির মাথায় এসে পড়ার মত হয়। তপস্যারত রাজা সাথে সাথে বামহাতে সেই জায়গাটি চেপে ধরেন আর ফলাফল হিসেবে বিমটি ওখানেই রয়ে যায় আর বজ্রের আঘাতে বামহাতটি কালো হয়ে যায়। বামহাতে ওই বিমটিকে ধরা অবস্থায় আরো 12 বছর তপস্যা করে যান ভর্ত্রীহরি। তারপরে কঠোর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ইন্দ্রদেব ওনাকে দেন আশীর্বাদ।

এরপাসেই নাথ সাধুদের একটি আশ্রম রয়েছে। সেই আশ্রমে বেশ কিছু বাঁধানো বেদী রয়েছে। সেই বেদীগুলোর নীচে লেখা রয়েছে। পরে জানলাম এগুলো আসলে এক একজন সাধুর জীবন্ত সমাধি স্থল। অর্থাৎ একটা সময়ের পরে সাধুরা গর্ত খুঁড়ে সশরীরে তপস্যারত অবস্থায় মাটির মধ্যে থেকে যান আর শিষ্যরা তার উপরে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেন।
অদ্ভুত ব্যাপার নিজের চোখ কান কে বিশ্বাস করা মুশকিল।
প্রসঙ্গত বলে রাখি গুরু গোরক্ষনাথ এর শিষ্যদের নাথপন্থী বলা হয় আর গোর্খা যারা তারাও ওনার শিষ্য। বিশ্বের সেরা অপরাজেয় আর ভয়ঙ্কর সৈন্যদল হল এই গোর্খা।

চলুন এবারে শ্রীকৃষ্ণ গুরু সন্দীপনি মুনির আশ্রম। আশ্রম চত্ত্বরে এক বিশাল শিবলিঙ্গ তার ওপর খোদাই করা এক নাগ। যাদের কালসর্প দোষ আছে তাদের জন্যে এই শিবলিঙ্গ পুজো করা খুব আবশ্যিক। জনশ্রুতি একটি বেলপাতা থেকে এই শিবলিঙ্গ সৃষ্টি করেন সন্দীপনি মুনি নিজের তপবলে।
ঘেরা এক জায়গায় রয়েছে সন্দীপনি মুনি আর শ্রীকৃষ্ণ বলরাম সুদামা আর বসার জায়গা। মন্দিরের পাশে রয়েছে একটি কুন্ড। সেই গোমতী কুণ্ডে বিভিন্ন তীর্থস্থান থেকে এবং গোমতী নদীর জল এনে ভরে দেন তিন শিষ্য আর স্নান করেন বয়স্ক গুরু। এটাই গুরু দক্ষিণা।
একটু মনঃসংযোগ করলেই মনসচক্ষে দেখতে পাবেন ছোট্ট শ্রীকৃষ্ণ বলরাম সুদামা তিনজন পড়তে বসেছেন আর এক গুরুগম্ভীর ঋষি সন্দীপনি পড়িয়ে চলেছেন এক প্রাচীন মনরোম গুরুকূলে।

এবারে যাওয়া যাক কালভৈরভ মন্দির। কালো গেট হয়েছে দেখছি আগের বাড়ে ছিল না। মন্দির ও দেখছি বেশ বাঁধানো। হয়েছে গেস্ট হাউস। সবে মিলে এক ঝকঝকে বেপার।
কোন এক অসুরের উপদ্রবে বিরক্ত হয়ে কপালের ঘাম থেকে জন্ম দেন কালভৈরভ এর। সেই কালভৈরভ অসুরকে সংহার করে কিন্তু প্রচন্ড খিদে য় একে একে খেতে থাকে সংসারের নানা সৃষ্টি। শেষে শিব শঙ্কর ত্রিশূল চেপে দেন কালভৈরভ এর মাথায়। মাটিতে চাপা পড়ে যায় কালভৈরভ। শুধু মাথাটুকু উপরে রয়ে যায়।
বিশাল বড় মুখ কালভৈরভ এর। শুধু দুই চোখ আর হাঁ মুখ যাচ্ছে দেখা।
প্রসাদ বলতে এখানে মদ। দেশি বিদেশি কোনতেই নেই অরুচি। পূজারী কে দিলাম বোতল। একপাত্রে মদ ঢেলে দিলেন অর্ধেক টা। বললাম পুরোটাই ঢেলে দিতে। পুরোটা ঢেলে পাত্রটা কালভৈরভ এর মুখে ধরতেই চলে গেল ভেতরে। যেন চুমুক দিয়ে খেয়ে নিলেন। খালি বোতল ঝাঁকিয়ে 2 4 ফোঁটা প্রসাদ গ্রহণ করলাম। আরও অনেক ভক্ত এসেছে বোতল নিয়ে। দেখলাম একের পর এক পাত্র খালি হতে।

মন্দির চত্ত্বরে বোর্ড
বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির-
মাটির নিচে 50 60 ft খুড়েও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি, এত মদ কোথায় যাচ্ছে।
প্রতিদিন প্রায় 3 4 হাজার লিটার মদ খাচ্ছেন কালভৈরভ, সেই অনাদি অনন্ত কাল থেকে।
কোন toxication নেই কোথাও। না কোন গন্ধ না হলে কোন স্বাদ।
মন্দিরের জল খেয়ে দেখলাম, না কোন কিছু নেই একদম স্বাভাবিক।

এবারে চলল অটো। গন্তব্য মঙ্গলনাথ মন্দির। এই মন্দির কর্কটক্রান্তি রেখার উপর অবস্থিত।
মঙ্গলগ্রহের জন্মস্থান।
প্রাচীন গ্রহ নক্ষত্রের গতিবিধি ও জ্যোতিষ চর্চার পীঠস্থান ছিল এই মন্দির।
রাজা বিক্রমাদিত্য এর সময়ে এখানে ছিল একটি মানমন্দির।
যাবতীয় মঙ্গলদোষের কাটান ও হয় এখানে। হয় ভাত পুজোর মাধ্যমে। একমাত্র মন্দির যেখানে হয় ভাত পুজো। শোনা যায় অভিষেক ঐশ্বরিয়া এর মঙ্গলদোষের খন্ডন এখানে হয়েছিল।

মন্দির অনেকটা উপরে। রাস্তার দুধারে অনেক দোকান। নারকেল জবা ফুল আর ভুরজপত্রে মঙ্গলযন্ত্র খোদাই করা সমেত একটা পুজোর ডালি নিয়ে উপরে উঠে এলাম অনেক অনেক সিঁড়ি চড়ে। পুজো দেওয়া সেই ভুরজপত্র আজও রয়েছে আমার পুজো স্থলে।
আজ মঙ্গলবার ভাত পুজো চলছে। দেখলাম বেশ কিছুক্ষণ।
শিপ্রা নদীর ধারে এক মনোরম পরিবেশে মন্দিরটি।

রয়েছে তিন নদীর সঙ্গমে কালিয়াদহ palace ও সূর্য্যমন্দির। রয়েছে বিশাল নবগ্রহ মন্দির। রয়েছে এক 500 বছরের প্রাচীন অতিথিশালা, শুধুমাত্র সাধুদের জন্যই। দেখে নিলাম সেই সময়ের যন্তর মন্তর। অর্থাৎ সূর্য্য ঘড়ি। এখনো নির্ভুল সময় দিয়ে চলেছে।
এগুলো নিয়ে পরে বলব আবার, এই লেখা অনেক lengthy হয়ে গেছে।

বিকেলে ফিরে এলাম যখন মন্দিরে ঢুকে আরতি দেখা হল।

এবারে একটু খাবার কি পাওয়া যায় দেখে নেওয়া যাক। খুব সুন্দর ভুট্টার আটার রুটি আর সর্ষে সাগের সবজি পাওয়া যায়। খুব tasty।
পাবেন মারাঠি পাঞ্জাবী রাজস্থানী গুজরাটি থালি। সব কটি অনবদ্য, আমরা প্রতিদিন এক একটি থালি taste করে দেখেছি।
গরম গরম দুধ আর গরম জিলিপি খেয়ে দেখুন এক অদ্ভুত combo। কি স্বাদ। সারি সারি দোকান শুধুই গরম দুধের। আর জিলিপির। আমাদের অনভ্যস্ত চোখে বিশ্বাস করা কঠিন যে দুধ খায় মানুষ দোকানে line দিয়ে।
রয়েছে পর পর সিদ্ধির দোকান, বরফ ঠান্ডা দুধ আর ক্ষীর এর সাথে সেবন চলছে।
ক্ষীর প্যাড়া সন্দেশ বেসনের লাড্ডু খেয়ে দেখতে পারেন। খুব ভালো লস্যি পাওয়া যায় আর অনেক রকমের variety।
আমরা এক নতুন জিনিস খেলাম সাবু দানা খিচুড়ি। বেশ কিছু দোকান রয়েছে। সাবুদানা কে টমেটো চানাচুর ধনেপাতা লঙ্কা নুন মসলা দিয়ে মেখে দিল। অন্যরকম স্বাদ। অনেকটা মসলা মুড়ির মত।

আপাতত এই। কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
😊

#কিছু ছবি আমার তোলা কিছু নেট থেকে সংগৃহীত ( ছবি সবই আছে কিন্তু খুঁজে পাচ্ছি না😥)

descriptionUjjain উজ্জয়িনী ভ্রমন  EmptyRe: Ujjain উজ্জয়িনী ভ্রমন

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply