ভোর সাড়ে 5 টা, বাড়ির পাশের মাঠে আমি সবে দৌড় শুরু করেছি , বাড়ির একদম কাছেই, এই মাঠেই আমার ছোটবেলা কেটেছে| সারাদিন পরে থাকতাম , প্রতিটা ঘাস ও হয়তো তখন চিনতো আমায় , কত যে ঘাম ঝরে পরেছে তার হিসেব কে রাখে !!
হে হে আসল কথায় ফিরি , বেশি সেন্টু হয়ে যাচ্ছে | সামনের জুন মাসে ট্রেক আছে , ভাবলাম একটু শরীরটাকে ঝরঝরে করেনি , তাই দৌড় | সবে শুরু করেছি আর ব্রাশ হাতে লুঙ্গি পরে খোকন দার প্রবেশ , খোকন দা আমাদের ক্লাব এর সেক্রেটারি আর এখন বালি , সিমেন্ট নিয়ে আছে , সকালে বালির গাড়ি এসেছে তাই ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে আর কি | তবে সেই ছোট থেকে দেখছি মুখের মধ্যে ব্রাশ নিয়ে লোকটা এক ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারে , দেখবেন আপনারা সবাই এইরকম এক দুজনকে চেনেন , অদ্ভুত ক্ষমতা , এতক্ষন দাঁত মাজতে কি করে যে লাগে তা আমি আজ ও বুঝে উঠতে পারলামনা !
যাইহোক আমাকে দেখেই লোকটার সব কিছু থেমে গেছে , যেন মঙ্গল গ্রহের কোনো প্রাণী দেখছে , আমি পাত্তা দিইনি , কিন্তু কিছু লোক থাকেই দেখবেন যাদের প্রচুর কৌতূহল , এই 37 বছর বয়সে , যখন দাড়ি পাকতে শুরু করেছে আমার , কেন আমি দৌড়াচ্ছি ,এটা খোকন দাকে জানতেই হবে | জিজ্ঞেস করলো " কিরে পুলিশ এর চাকরি করবি নাকি ? হে হে বয়স তো কম হলোনা , ভুলে গেছিস নাকি " , কিছু বললাম না , শুধু হাসলাম , যথারীতি একটু পরেই আবার একগাদা ফেনা তুলে বললো " বৌমা কি রাগ করে বাপের বাড়ি গেছে নাকি ?....হে হে হে....."
আমি তবুও চুপ , আবার কিছুক্ষন পরে একদলা থুতু ফেলে বললো " বিজনেস নিয়ে খুব চাপে আছিস নাকি রে ?" এবার আমি আর থাকতে না পেরে বললাম , খোকন দা , আসলে বেড়াতে , ঘুরতে যাব বুঝলে, তাই দৌড়াচ্ছি ....
এরপরে আর কিছু জিজ্ঞেস করেনি , আমি নির্বিঘ্নে দশ পাক দৌড়ে জুতোয় লাগা মাটি ঝাড়তে ঝাড়তে যখন মাঠ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি , খোকন দা দেখি আড় চোখে আমার দিকে দেখছে ...
পুনশ্চ :- সেই দিন কাজ থেকে ফিরে গিন্নি র কাছে শুনলাম , খোকন দা একটা psychiatrist এর card দিয়ে গেছে .......যাবো ভাবছি , তবে সঙ্গে গামবাট rucksack আর walking stick টা সঙ্গে নিয়ে যাবো ...দেখি খোকন দার চিন্তা দুর হয় কিনা ....
সঙ্গের ছবিটিতে আমি গামবাট rusksack নিয়ে .....ছবি তুলেছে আমার গিন্নি ....Rupin Pass.
হে হে আসল কথায় ফিরি , বেশি সেন্টু হয়ে যাচ্ছে | সামনের জুন মাসে ট্রেক আছে , ভাবলাম একটু শরীরটাকে ঝরঝরে করেনি , তাই দৌড় | সবে শুরু করেছি আর ব্রাশ হাতে লুঙ্গি পরে খোকন দার প্রবেশ , খোকন দা আমাদের ক্লাব এর সেক্রেটারি আর এখন বালি , সিমেন্ট নিয়ে আছে , সকালে বালির গাড়ি এসেছে তাই ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে আর কি | তবে সেই ছোট থেকে দেখছি মুখের মধ্যে ব্রাশ নিয়ে লোকটা এক ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারে , দেখবেন আপনারা সবাই এইরকম এক দুজনকে চেনেন , অদ্ভুত ক্ষমতা , এতক্ষন দাঁত মাজতে কি করে যে লাগে তা আমি আজ ও বুঝে উঠতে পারলামনা !
যাইহোক আমাকে দেখেই লোকটার সব কিছু থেমে গেছে , যেন মঙ্গল গ্রহের কোনো প্রাণী দেখছে , আমি পাত্তা দিইনি , কিন্তু কিছু লোক থাকেই দেখবেন যাদের প্রচুর কৌতূহল , এই 37 বছর বয়সে , যখন দাড়ি পাকতে শুরু করেছে আমার , কেন আমি দৌড়াচ্ছি ,এটা খোকন দাকে জানতেই হবে | জিজ্ঞেস করলো " কিরে পুলিশ এর চাকরি করবি নাকি ? হে হে বয়স তো কম হলোনা , ভুলে গেছিস নাকি " , কিছু বললাম না , শুধু হাসলাম , যথারীতি একটু পরেই আবার একগাদা ফেনা তুলে বললো " বৌমা কি রাগ করে বাপের বাড়ি গেছে নাকি ?....হে হে হে....."
আমি তবুও চুপ , আবার কিছুক্ষন পরে একদলা থুতু ফেলে বললো " বিজনেস নিয়ে খুব চাপে আছিস নাকি রে ?" এবার আমি আর থাকতে না পেরে বললাম , খোকন দা , আসলে বেড়াতে , ঘুরতে যাব বুঝলে, তাই দৌড়াচ্ছি ....
এরপরে আর কিছু জিজ্ঞেস করেনি , আমি নির্বিঘ্নে দশ পাক দৌড়ে জুতোয় লাগা মাটি ঝাড়তে ঝাড়তে যখন মাঠ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি , খোকন দা দেখি আড় চোখে আমার দিকে দেখছে ...
পুনশ্চ :- সেই দিন কাজ থেকে ফিরে গিন্নি র কাছে শুনলাম , খোকন দা একটা psychiatrist এর card দিয়ে গেছে .......যাবো ভাবছি , তবে সঙ্গে গামবাট rucksack আর walking stick টা সঙ্গে নিয়ে যাবো ...দেখি খোকন দার চিন্তা দুর হয় কিনা ....
সঙ্গের ছবিটিতে আমি গামবাট rusksack নিয়ে .....ছবি তুলেছে আমার গিন্নি ....Rupin Pass.