কিন্নৌর - আপেলের দেশে ভ্রমনকথা…
যাওয়ার plan ছিলো লেহ-লাদাখ। কিন্ত October এ লাদাখ বন্ধ হয়ে যায়। আর আমি দুর্গাপুজার সময় ছাড়া office ছুটি পাবোনা। তাই অগত্যা সহধর্মিনীর গাছে আপেল দেখার বায়না মেনে গেলাম আমার পূর্বপরিচিত কিন্নৌর এ। সেইমতো Himachal Pradesh Helpline Tourism এর কোলকাতা office এর মাধ্যমে দিল্লী-কালকা hotel এবং গাড়ী booking করা হলো।
চারমাস আগে যথাসময়ে ticket কাটতে গিয়ে কালকা MAIL এ confirm হলোনা। অতএব শিবালিক এক্সপ্র্রেস এ সিমলা যাওয়ার plan এর ইতি। তাই দিল্লী হয়ে প্রথম রাত চন্ডীগড় এ কাটিয়ে পরের দিন সিমলা। ইচ্ছে করলে দিল্লী থেকে সরাসরি সিমলা যাওয়া যায়। যদিও প্রায় ১০-১১ ঘন্টা সময় লাগে। তাই আমরা ওভাবে যাইনি। বিকালে সিমলা mall ভালোই লাগে। আর রাতের আলো ঝকমকে সিমলা দুর্দান্ত।
পরের দিন সিমলা থেকে সারাহান। প্রায় ৬ ঘন্টার journey। রামপুর এ Lunch সেরে বিকালে পৌছলাম সারাহান। গেলাম ভিমকালী মন্দির এ। সেদিন ছিল দশমী। সেই উপলক্ষে স্থানীয় custom মেনে এক উৎসব এ সামিল হলাম। আরেকবার প্রত্যক্ষ করলাম আামার দেশের সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় বৈচিত্র।
পরের দিন রকছাম। সাংলা থেকে প্রায় ১৫ কি.মি.। শুরু হলো আমাদের আপেল অভিযান। পথের সৌন্দয্য বর্ননাতীত। পাশেপাশে কিছুটা সময় বসপা নদী ও করছাম dam আমাদের সঙ্গ দিল। সারা রাস্তায় আপেল ভর্তি truck। আর সহধর্মিনীর আফশোষ-এই বুঝি গাছে আপেল আর দেখা হলোনা। Driver অজয় যদিও আশ্বাস দিয়েছিল। যাইহোক শেষমেশ সাংলা য় প্রবেশের আগেই রাস্তার দুদিকে অসংখ্য আপেল ভর্তি গাছ দর্শন হলো। লাল ও সবুজ আপেল এ গাছগুলো ছেয়ে আছে। রকছাম এও বাগান ময় আপেলের ছরাছরি। রকছাম এক ছবির মতো সুন্দর ছোট্ট গ্রাম। একদিকে উচ্ছল বসপা ও বরফে ঢাকা সব পর্বতশৃঙ্গ, অন্যদিকে আপেল বাগান আর তার পেছনে মেঘে ঢাকা কৈলাশ পর্বত। আমাদের দুদিনের বাসস্থান Rupin River View cottage এর জানালা দিয়ে ক্ষনেক্ষনে পরিবর্তিত কিন্নৌর উপত্যকা-র রূপ উপভোগ করতে গিয়ে সময়ের হিসেব থাকেনা। বছরের এই সময় ঠান্ডা এখানে বেশ জাঁকিয়েই পরে। তাই ভোরে ঘাসের উপর, গাড়ীর ছাদে snowflakes।
পরের দিন চিতকুল। তিব্বত সীমান্তের শেষ গ্রাম। রকছাম থেকে প্রায় ১০ কি.মি.। তলার উপত্যকা জুড়ে সবুজ-হলুদের নানা shade এর গাছপালা, একেঁবেঁকে চলা পান্না্ সবুজ বসপা, চারদিকে বরফে ঢাকা পাহাড়চূড়া আর দুষণমুক্ত ঠান্ডা হাওয়া- আপনার শহুরে একঘেয়েমীজনিত ক্লান্তিকে এক নিমেষে দূর করবেই। এখন চিতকুল এ বেশকিছু hotel হয়েছে। তাই ইচ্ছে করলে আপনি এখানেও থাকতে পারেন। যদিও ভয় হয় অদূর ভবিষ্যতে অতিরিক্ত tourism এর চাপে এই জায়গাটির সৌন্দয্য যেন ধংস্ না হয়।
পরের দিনের গন্তব্য কল্পা। দুদিনের জন্য। রকছাম থেকে ৪ ঘন্টা। সেই করছাম dam হয়েই যেতে হয়। এখানে আপেল আরো বেশী। কৈলাশ পর্বতমালা আরো কাছে। পরের দিন কোজাগরী পূর্নিমা। আমাদের hotel Rolling Rang এর room থেকে দেখা প্রথম সন্ধ্যার চন্দ্রোদয় আর চাঁদের নরম রূপালী মায়াময় আলোয় চারদিকের বরফময় পাহাড়-আপনাকে অতি অবশ্যই এক অপার্থিব জগতে নিয়ে যাবে। কল্পায় পায়ে হেঁটে দেখলাম এক ছোট, সুন্দর monestry। আর আপেল বাগানে ঘোরাফেরা-অবশ্যই অনুমতি নিয়ে। পরের দিন গেলাম ৩ কি.মি. দূরের শেষ গ্রাম রোঘী-তে। পথে পার হলাম suicide point। অসাধারণ view। জানিনা এতো সুন্দর এক জায়গায় কেউ suicide করেছিলো কিনা। রোঘী গ্রামেও শুধুই আপেল। সাথে কিছু ন্যাশপাতি আর সীতাফল (স্থানীয় নাম)। আর আছে এক নারায়ন মন্দির। পুরোটাই কাঠের উপর অসম্ভব সুন্দর কারুকা্র্য্য।
এবার ঘরে ফেরার পালা। রামপুর। শতদ্রু-র পারে এক ছোটো শহর। এখানে একরাত কাটিয়ে কালকা। রামপুর এ বুশেহার রাজাদের পুরানো রাজপ্রাসাদের architecture ভালো লাগবে। কালকা থেকে দিল্লী। কিছু official কাজ এর ফাঁকে একবার অক্ষ্যরধাম মন্দির দর্শন আর লালকেল্লা। অক্ষ্যরধাম মন্দির এর architecture ও বিশালত্ব বিস্ময়কর। আর সন্ধ্যার লালকেল্লা অসাধারণ। ইতিহাস লালকেল্লার অলিন্দে যেন জীবন্ত ঘোরাফেরা করে।
অবশেষে একরাশ ভালোলাগা স্মৃতি আর এক বড় ব্যাগ ভর্তি আপেল সমেত নিজের ডেরায় ফেরা। কিন্নৌর আমি আগেও গিয়েছি। তখনো মুগ্ধ হয়েছি। এবারো। হিমালয় সত্যি সবসময় আপনার জন্য কিছু মনমুগ্ধকর বিস্ময় নিয়ে অপেক্ষা করে। ফেরার সময়েই plan করে ফেলেছি খুব তাড়াতাড়ি আবার আসবো এখানে। যাবো নাকো, টাবো, কাঝা। আরেকটা স্বপ্নের ভ্রমণে।
আর শেষে সবাইকে একটি অনুরোধ। দয়া করে বাগান থেকে আপেল চুরি করবেননা। এতে আপনার সম্মানহানীর সাথে অন্য বাঙ্গালীদের-ও সম্মানহানী হয়। দরকারে আপেল কিনুন। আমাকে কিন্তু কল্পাতে hotel থেকেই এক ব্যাগ আপেল gift করেছিল। হিমাচলীরা যথেষ্ট অতিথিবৎসল।
যাওয়ার plan ছিলো লেহ-লাদাখ। কিন্ত October এ লাদাখ বন্ধ হয়ে যায়। আর আমি দুর্গাপুজার সময় ছাড়া office ছুটি পাবোনা। তাই অগত্যা সহধর্মিনীর গাছে আপেল দেখার বায়না মেনে গেলাম আমার পূর্বপরিচিত কিন্নৌর এ। সেইমতো Himachal Pradesh Helpline Tourism এর কোলকাতা office এর মাধ্যমে দিল্লী-কালকা hotel এবং গাড়ী booking করা হলো।
চারমাস আগে যথাসময়ে ticket কাটতে গিয়ে কালকা MAIL এ confirm হলোনা। অতএব শিবালিক এক্সপ্র্রেস এ সিমলা যাওয়ার plan এর ইতি। তাই দিল্লী হয়ে প্রথম রাত চন্ডীগড় এ কাটিয়ে পরের দিন সিমলা। ইচ্ছে করলে দিল্লী থেকে সরাসরি সিমলা যাওয়া যায়। যদিও প্রায় ১০-১১ ঘন্টা সময় লাগে। তাই আমরা ওভাবে যাইনি। বিকালে সিমলা mall ভালোই লাগে। আর রাতের আলো ঝকমকে সিমলা দুর্দান্ত।
পরের দিন সিমলা থেকে সারাহান। প্রায় ৬ ঘন্টার journey। রামপুর এ Lunch সেরে বিকালে পৌছলাম সারাহান। গেলাম ভিমকালী মন্দির এ। সেদিন ছিল দশমী। সেই উপলক্ষে স্থানীয় custom মেনে এক উৎসব এ সামিল হলাম। আরেকবার প্রত্যক্ষ করলাম আামার দেশের সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় বৈচিত্র।
পরের দিন রকছাম। সাংলা থেকে প্রায় ১৫ কি.মি.। শুরু হলো আমাদের আপেল অভিযান। পথের সৌন্দয্য বর্ননাতীত। পাশেপাশে কিছুটা সময় বসপা নদী ও করছাম dam আমাদের সঙ্গ দিল। সারা রাস্তায় আপেল ভর্তি truck। আর সহধর্মিনীর আফশোষ-এই বুঝি গাছে আপেল আর দেখা হলোনা। Driver অজয় যদিও আশ্বাস দিয়েছিল। যাইহোক শেষমেশ সাংলা য় প্রবেশের আগেই রাস্তার দুদিকে অসংখ্য আপেল ভর্তি গাছ দর্শন হলো। লাল ও সবুজ আপেল এ গাছগুলো ছেয়ে আছে। রকছাম এও বাগান ময় আপেলের ছরাছরি। রকছাম এক ছবির মতো সুন্দর ছোট্ট গ্রাম। একদিকে উচ্ছল বসপা ও বরফে ঢাকা সব পর্বতশৃঙ্গ, অন্যদিকে আপেল বাগান আর তার পেছনে মেঘে ঢাকা কৈলাশ পর্বত। আমাদের দুদিনের বাসস্থান Rupin River View cottage এর জানালা দিয়ে ক্ষনেক্ষনে পরিবর্তিত কিন্নৌর উপত্যকা-র রূপ উপভোগ করতে গিয়ে সময়ের হিসেব থাকেনা। বছরের এই সময় ঠান্ডা এখানে বেশ জাঁকিয়েই পরে। তাই ভোরে ঘাসের উপর, গাড়ীর ছাদে snowflakes।
পরের দিন চিতকুল। তিব্বত সীমান্তের শেষ গ্রাম। রকছাম থেকে প্রায় ১০ কি.মি.। তলার উপত্যকা জুড়ে সবুজ-হলুদের নানা shade এর গাছপালা, একেঁবেঁকে চলা পান্না্ সবুজ বসপা, চারদিকে বরফে ঢাকা পাহাড়চূড়া আর দুষণমুক্ত ঠান্ডা হাওয়া- আপনার শহুরে একঘেয়েমীজনিত ক্লান্তিকে এক নিমেষে দূর করবেই। এখন চিতকুল এ বেশকিছু hotel হয়েছে। তাই ইচ্ছে করলে আপনি এখানেও থাকতে পারেন। যদিও ভয় হয় অদূর ভবিষ্যতে অতিরিক্ত tourism এর চাপে এই জায়গাটির সৌন্দয্য যেন ধংস্ না হয়।
পরের দিনের গন্তব্য কল্পা। দুদিনের জন্য। রকছাম থেকে ৪ ঘন্টা। সেই করছাম dam হয়েই যেতে হয়। এখানে আপেল আরো বেশী। কৈলাশ পর্বতমালা আরো কাছে। পরের দিন কোজাগরী পূর্নিমা। আমাদের hotel Rolling Rang এর room থেকে দেখা প্রথম সন্ধ্যার চন্দ্রোদয় আর চাঁদের নরম রূপালী মায়াময় আলোয় চারদিকের বরফময় পাহাড়-আপনাকে অতি অবশ্যই এক অপার্থিব জগতে নিয়ে যাবে। কল্পায় পায়ে হেঁটে দেখলাম এক ছোট, সুন্দর monestry। আর আপেল বাগানে ঘোরাফেরা-অবশ্যই অনুমতি নিয়ে। পরের দিন গেলাম ৩ কি.মি. দূরের শেষ গ্রাম রোঘী-তে। পথে পার হলাম suicide point। অসাধারণ view। জানিনা এতো সুন্দর এক জায়গায় কেউ suicide করেছিলো কিনা। রোঘী গ্রামেও শুধুই আপেল। সাথে কিছু ন্যাশপাতি আর সীতাফল (স্থানীয় নাম)। আর আছে এক নারায়ন মন্দির। পুরোটাই কাঠের উপর অসম্ভব সুন্দর কারুকা্র্য্য।
এবার ঘরে ফেরার পালা। রামপুর। শতদ্রু-র পারে এক ছোটো শহর। এখানে একরাত কাটিয়ে কালকা। রামপুর এ বুশেহার রাজাদের পুরানো রাজপ্রাসাদের architecture ভালো লাগবে। কালকা থেকে দিল্লী। কিছু official কাজ এর ফাঁকে একবার অক্ষ্যরধাম মন্দির দর্শন আর লালকেল্লা। অক্ষ্যরধাম মন্দির এর architecture ও বিশালত্ব বিস্ময়কর। আর সন্ধ্যার লালকেল্লা অসাধারণ। ইতিহাস লালকেল্লার অলিন্দে যেন জীবন্ত ঘোরাফেরা করে।
অবশেষে একরাশ ভালোলাগা স্মৃতি আর এক বড় ব্যাগ ভর্তি আপেল সমেত নিজের ডেরায় ফেরা। কিন্নৌর আমি আগেও গিয়েছি। তখনো মুগ্ধ হয়েছি। এবারো। হিমালয় সত্যি সবসময় আপনার জন্য কিছু মনমুগ্ধকর বিস্ময় নিয়ে অপেক্ষা করে। ফেরার সময়েই plan করে ফেলেছি খুব তাড়াতাড়ি আবার আসবো এখানে। যাবো নাকো, টাবো, কাঝা। আরেকটা স্বপ্নের ভ্রমণে।
আর শেষে সবাইকে একটি অনুরোধ। দয়া করে বাগান থেকে আপেল চুরি করবেননা। এতে আপনার সম্মানহানীর সাথে অন্য বাঙ্গালীদের-ও সম্মানহানী হয়। দরকারে আপেল কিনুন। আমাকে কিন্তু কল্পাতে hotel থেকেই এক ব্যাগ আপেল gift করেছিল। হিমাচলীরা যথেষ্ট অতিথিবৎসল।