মন সদাই উড়ু উড়ু। কিন্তু পকেটে রেস্তোর টান। চিন্তার কী আছে? এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে কম খরচে থাকা যায়, খাওয়া যায়। থাকায় হয়তো বিলাসিতা থাকে না, কিন্তু পরিচ্ছন্নতা থাকে। হয়তো সুস্বাদু আমিষ পদ জোটে না, তবে উপাদেয় নিরামিষ পদ মেলে। অনেক জায়গায় তো প্রায় নিখরচায় থাকা যায়। শুধু মনে রাখবেন যারা সেই পরিষেবা দেয়, তারা কিছু ডোনেশন আশা করেন। তবে এতে কোনো জোর নাই। ডোনেশন দেবেন আপনার ক্ষমতামতো। আর একটা কথা মনে করিয়ে দিই। ধর্মশালা বলতে আগেকার সেই ছবি আর নেই। ধর্মশালাতেও অ্যাটাচড্‌ বাথ আছে, পরিচ্ছন্ন শয্যা আছে। হয়তো বাণিজ্যিক হোটেলের মতো সেই ঘরে টিভি পাবেন না। আর ঘোরাঘুরির জন্য আছে স্থানীয় যানবাহন। এক জায়গায় থেকে আর এক জায়গা যাওয়ার জন্য পাবেন রাজ্য পরিবহণ ও বেসরকারি বাস। রয়েছে বাসে আসন সংরক্ষণের জন্য অনলাইন বুকিং ব্যবস্থা।

এ রকমই কিছু জায়গার সুলুক সন্ধান দেওয়া হচ্ছে । তা হলে চিন্তা করবেন না। সময়মতো প্ল্যান করে বাক্স-প্যাঁটরা বেঁধে বেরিয়ে পড়বেন।

দিন সাতেকের প্রোগ্র্যাম করে বেরিয়ে পড়ুন পুদুচেরি-রামেশ্বরম-কন্যাকুমারী।



পুদুচেরি


প্যারাডাইস সৈকত, পুদুচেরি।
সৈকতশহর পুদুচেরি। ফরাসি উপনিবেশের গন্ধ এখনও গায়ে লেগে। দেখুন অরবিন্দ আশ্রম, অরোভিল (শহর থেকে ১০ কিমি) এবং প্যারাডাইস সৈকত (শহর থেকে ৮ কিমি, লঞ্চে চুনাম্বার ব্যাকওয়াটার পেরিয়ে)। দু’টো দিন থাকুন এখানে। অরবিন্দ আশ্রম অঞ্চল, সৈকত হেঁটে ঘুরুন।


অরোভিল।
এখানে কম খরচে থাকার জন্য রয়েছে শ্রীঅরবিন্দ আশ্রমের নানা অতিথি ভবন – পার্ক গেস্ট হাউস (০৪১৩-২৩৩৪৪১২), কটেজ গেস্ট হাউস (০৪১৩-২৩৩৮৪৩৪), ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট হাউস (০৪১৩-২৩৩৬৬৯৯), মাদার্স গেস্ট হাউস (০৪১৩-২২২০৩৩৭)। গেস্ট হাউসগুলি আশ্রম থেকে হাঁটা পথে, সৈকতের কাছে। সস্তায় নিরামিষ আহার পাওয়া যায়।



এগুলি বাণিজ্যিক হোটেল নয়। সুতরাং ঘরে টিভি নেই, রুম সার্ভিসেরও ব্যবস্থা নেই। রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে গেস্ট হাউসের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।

কম খরচে থাকার ব্যবস্থা অরোভিলেও আছে। যোগাযোগ ০৪১৩-২৬২২৭০৪/৩৪৪৯, ই মেল guestaccommodation@auroville.org.on


এ ছাড়াও শ’ পাঁচেক টাকার মধ্যে বেশ কিছু হোটেল আছে পুদুচেরিতে।

রামেশ্বরম


রামনাথস্বামী মন্দিরের প্রধান ফটক।
পুদুচেরি থেকে বাসেই চলুন মন্দির শহর রামেশ্বরম, দূরত্ব ৪৩০ কিমি, দিনে-রাতে বাস আছে। রামেশ্বরমের খ্যাতি রামনাথস্বামী মন্দিরের জন্য। ১২১২ স্তম্ভের ওপর গড়া ১২ শতকের এই মন্দির বিশ্ববিখ্যাত তার দীর্ঘতম অলিন্দের জন্য। কাছেই সমুদ্রের ওপর অগ্নিতীর্থম ঘাট। ৩ কিমি দূরে রামায়ণ-খ্যাত গন্ধমাদন পাহাড়ে রাম ঝরোকা মন্দির। আরও অনেক তীর্থ রয়েছে এই রামেশ্বরমে।


ধনুষ্কোডি।


তবে শুধু তীর্থ কেন, সৈকত দর্শন করুন, প্রবাল দেখুন। রামেশ্বরম থেকে ১৯ কিমি দক্ষিণে ধনুষ্কোডি। পথটি ভারী সুন্দর, ডাইনে মান্নার উপসাগর, বাঁয়ে পক প্রণালী। শেষে সমুদ্রের ওপর ৬ কিমি গিয়ে সৈকত। ১৯৬৪-এর ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসের চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ধনুষ্কোডি। এক ঘণ্টার জলযাত্রায় পৌঁছে যান টাপু – সমুদ্রের অগভীর স্বচ্ছ জলে দেখুন প্রবাল।

এ সব দেখার জন্য ২-৩ দিন থাকতে হবে রামেশ্বরমে। দিনপ্রতি ৫০০ টাকায় দ্বিশয্যা ঘর পাবেন রামনাথস্বামী মন্দিরের অতিথি ভবনে। অনলাইন বুকিং www.rameswaramtemple.tnhrce.in

কম খরচে বেসরকারি হোটেলও আছে রামেশ্বরমে।



কন্যাকুমারী


কন্যাকুমারী সৈকত।
রামেশ্বরম থেকে চলুন কন্যাকুমারী, দূরত্ব ৩১১ কিমি। দিনে-রাতে বাস আছে। স্বচ্ছন্দে কয়েকটা দিন কাটিয়ে দেওয়া যায় তিন সাগরের সঙ্গমে সৈকতশহর কন্যাকুমারীতে। মেনল্যান্ডে ভারতের শেষ বিন্দু কন্যাকুমারী। অবগাহন করবেন ভারত মহাসাগরে, সূর্যোদয় দেখবেন বঙ্গোপসাগরে এবং সূর্যাস্ত দেখবেন আরব সাগরে। বিবেকানন্দ শিলায় বিবেকানন্দ স্মারকের জন্য বিখ্যাত কন্যাকুমারী। পাশেই বিখ্যাত তামিল কবি তিরুভাল্লুভারের স্ট্যাচু। রয়েছে একেবারে সমুদ্রের ধারে কন্যাকুমারী আম্মান মন্দির, গান্ধী মণ্ডপম, সানসেট পয়েন্ট।


পদ্মনাভপুরম প্যালেস।
কাছেপিঠে রয়েছে শুচীন্দ্রমে স্থানুমালায়ন মন্দির (১১ কিমি), পদ্মনাভপুরম প্যালেস (২৯ কিমি), ভট্টাকট্টাই ডাচ ফোর্ট (৫ কিমি), লর্ড সুব্রহ্মণ্য মন্দির (১৬ কিমি), সাঙ্গুথুরাই বিচ (১২ কিমি), ওয়াক্স মিউজিয়াম (১৭ কিমি), তেঙ্গাপট্টিনম বিচ (৫০ কিমি), তিরপারাপ্পু ফলস্‌ (৫৫ কিমি), সোথাভিলাই বিচ (১২ কিমি) ইত্যাদি। বেশির ভাগ জায়গার সঙ্গেই বাস যোগাযোগ রয়েছে। কাছেপিঠে যাওয়ার জন্য অটো পাবেন।



আর খুব কম খরচে থাকা-খাওয়ার জন্য শহরে ঢোকার মুখেই রয়েছে বিবেকানন্দ কেন্দ্র। থাকার নানা ব্যবস্থা – ১০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। অনলাইন বুকিত yatra.vrmvk.org । বিবেকানন্দ কেন্দ্র থেকে চমৎকার সূর্যোদয় দেখুন।

রয়েছে হলিডে হোম। ইউকো ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ কো-অপ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২১৭২৩৪৭/২২৪৯১২৩৪)।

কন্যাকুমারী থেকে ট্রেনে সরাসরি ফিরুন বা বাসে চেন্নাই হয়ে ফিরতে পারেন।

দক্ষিণ ভারত ছেড়ে এবার চলুন বারাণসী

বারাণসী

ভারতবর্ষের আত্মা বারাণসী। মিনি ভারত দেখতে হলে চলে আসুন গঙ্গা-তীরবর্তী বারাণসীতে। পাঁচ-ছ’টা দিন কী ভাবে কেটে যায় এই শহরে টের পাওয়া যায় না।

বিশ্বনাথ-অন্নপূর্ণার বারাণসীতে অসংখ্য মন্দির। যতটা সম্ভব দেখুন। দেখুন যন্তরমন্তর, তুলসী মানস মন্দির, রানি ভবানীর তৈরি দুর্গা মন্দির, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি। সন্ধ্যায় দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গারতি দেখতে ভুলবেন না। গঙ্গায় নৌকাভ্রমণে বারাণসীর ঘাটগুলো দেখে নিন।


সারনাথ।
ঘুরে আসুন সারনাথ (১০ কিমি, পুরো একটা বেলা লেগে যাবে এই সারনাথ-দর্শনে) এবং রামনগর-ব্যাসকাশী (১৭ কিমি)। বারাণসী থেকে বাস, অটো, শেয়ার অটোয় ঘুরে আসা যায় সারনাথ ও রামনগর।

এক দিন দেখে আসুন চুনার দুর্গ, ৩৭ কিমি। বারাণসী থেকে নিয়মিত বাস চলে।

অজস্র ধর্মশালা বারাণসীতে। ধর্মশালা শুনে নাক সিঁটকোনোর কিছু নেই। কম খরচে থাকার অতি উত্তম ব্যবস্থা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বীরেশ্বর পাঁড়ে ধর্মশালা (০৫৪২-২৪৫৫২২৭), হরসুন্দরী (০৫৪২-২৪৫২৪৪৬), শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া স্মৃতি ভবন (০৫৪২-২৪১২৬৭৪), ভোলাগিরি আশ্রম (০৫৪২-২৪৫০৯৫৭), ভারত সেবাশ্রম সংঘ অতিথিশালা (০৫৪২-২২২১৬৩৯, কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভেনিউয়ে সদর দফতর ০৩৩-২৪৪০৫১৭৮/২৩২৭, ০৩৩-২৪৬০১৩৮১) ইত্যাদি।

এক গুচ্ছ হলিডে হোম আছে বারাণসীতে। বিশদ জানার জন্য দেখুন www.holidayhomeindia.com

এ ছাড়াও বারাণসীতে শ’ পাঁচেক টাকার মধ্যে অসংখ্য বেসরকারি হোটেল আছে, যেখানে পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যবস্থা আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সত্যজিৎ রায়ের ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ খ্যাত দশাশ্বমেধ বোর্ডিং হাউস (০৯৪৫০৫ ২৭৮৭৫)। এখানে খাওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু খরচ বেশ কম এবং অত্যন্ত উপাদেয়।

তবে ‘স্ট্রিট ফুডে’ বারাণসীর জুড়ি মেলা ভার। এত সস্তায় এত রকমের এত সুস্বাদু খাবার ভারতের আর কোথাও মেলে কিনা সন্দেহ। গোদলিয়া, বিশ্বনাথ গলি, দশাশ্বমেধ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ‘স্ট্রিট ফুডে’র ছড়াছড়ি।

উত্তর ভারতের আর একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হরিদ্বার-হৃষীকেশ-দেহরাদুন-মসুরী।

হরিদ্বার


হরিদ্বারে গঙ্গারতি।
শিবালিক পাহাড়ের পাদদেশে হরিদ্বারের মূল আকর্ষণ গঙ্গা। হিমালয় থেকে নেমে এসে গঙ্গা এখানেই সমতলে পড়েছে। হর-কি-পউরি ঘাটে গঙ্গারতি দেখুন। হেঁটে বা রোপওয়ে চেপে চলুন মনসা পাহাড়, চণ্ডী পাহাড়। টাঙায় চেপে ঘুরে আসুন কনখল। ঘুরে আসুন রাজাজি ন্যাশনাল পার্কের মতিচুড় স্যাংচুয়ারি (৮ কিমি), রাজাজি স্যাংচুয়ারি (৫ কিমি) ও চিল্লা স্যাংচুয়ারি (৭ কিমি)।

ধর্মশালার শহর হরিদ্বার। থাকার উত্তম ব্যবস্থা রয়েছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ (স্টেশনের কাছে দেওপুরায়, রাসবিহারী অ্যাভেনিউয়ে সদর দফতর ০৩৩-২৪৪০৫১৭৮/২৩২৭, ০৩৩-২৪৬০১৩৮১) কনখল রোডে শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন, মেন রোডে কালীকমলী ধর্মশালা (০১৩৩৪-২২৭১৪৯, ০৯৩৫৯৯৪৩৯৬৯, কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২৩১৮১৮১/৩২০০৬৭০১), বিষ্ণুঘাটে ভোলাগিরি আশ্রম, লাগোয়া গলিপথে শ্রীবহাবলপুর ভবন, পাশেই গণেশ ভবন, রামঘাটে জয়পুরিয়া গেস্ট হাউস, বিপরীতে আনন্দীরাম ইত্যাদি। সস্তার হোটেলও আছে হরিদ্বারে।

রয়েছে হলিডে হোমও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ কো-অপ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২৪২০৫৫৯/২২৬২২১৭৯), এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক হলিডে হোম (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২৪৮১৮২৬/২৮২৩৪৫৮৫), অল ইন্ডিয়া এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক এসসি/এসটি এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২১০৭৫৯৫/২২২০৮৩৭৫/৭৬/৭৭), ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এমপ্লয়িজ কো-অপ ক্রেডিট সোসাইটি (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২২০২৩০১, এক্স: ২১৭) ইত্যাদি। আরও জানার জন্য দেখুন www.holidayhomeindia.com

নানা দামের নানা স্বাদের নানা রকমের খাবারে বারাণসীর পরেই হরিদ্বারের স্থান। রয়েছে অসংখ্য মাসির হোটেল ও দাদা-বৌদির হোটেল। এখানে কম খরচে দু’ বেলার উপাদেয় নিরামিষ আহার্য পাওয়া যায়।

হৃষীকেশ


লছমনঝুলা।
হরিদ্বার থেকে মুহুর্মুহু বাস হৃষীকেশের, এক ঘণ্টার পথ। শেয়ার ট্যাক্সি, অটোও পাওয়া যায়। ট্রেনও আছে। গঙ্গার ওপর লছমনঝুলার জন্য খ্যাতি হৃষীকেশের। দেখে নিন ত্রিবেণী ঘাট, গীতাভবন, কৈলাসনন্দ মিশন, রামঝুলা ইত্যাদি।


দেবপ্রয়াগ।
বাসে করে চলে যান দেবপ্রয়াগ, ৬৯ কিমি। গঙ্গা ও অলকানন্দার সঙ্গম। সারা দিন কাটিয়ে ফিরে আসুন হৃষীকেশে। দেবপ্রয়াগে পৌঁছে ফেরার বাসের সময় জেনে নেবেন।

হৃষীকেশেও থাকার জন্য রয়েছে অসংখ্য ধর্মশালা। উল্লেখযোগ্য কালীকমলী ধর্মশালা (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২৩১৮১৮১/৩২০০৬৭০১), শিবানন্দ আশ্রম (যোগাযোগ ০১৩৫-২৪৩০০৪০)। এ ছাড়াও আরও অসংখ্য ধর্মশালা আছে।

কম খরচে উৎকৃষ্ট নিরামিষ আহারেরও ব্যবস্থা আছে হৃষীকেশের নানা জায়গায়।

দেহরাদুন

হৃষীকেশ থেকে বাসেই আসুন দেহরাদুন, ৪৩ কিমি। একটা দিন থেকে এখানে দেখে নিন ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সহস্রধারা (১৩ কিমি), টনস নদীর তীরে তপকেশ্বর মহাদেব (স্টেশন থেকে ৫ কিমি), রবার্স কেভ (৮ কিমি), তপোবন (৬ কিমি, পুরাণ অনুসারে লক্ষ্মণ এখানে ইন্দ্রজিৎ বধের প্রায়শ্চিত্ত করেন।


তপকেশ্বর মহাদেব মন্দির।
দেহরাদুনে কম খরচে থাকার জন্য রেল স্টেশনের আশেপাশে বেশ কিছু ধর্মশালা আছে। গান্ধী রোডে আগরওয়াল ধর্মশালা (০১৩৫-২৬২২৫৯৭), পাশেই জৈন ধর্মশালা (০১৩৫-২৬২৫৮২৩), সাহারানপুর রোডে শিবাজি ধর্মশালা (০১৩৫-২৬২৩৫২৮), রাজপুর রোডে কালুমল ধর্মশালা (০১৩৫-২৭২২৬৬৫) ইত্যাদি।

রয়েছে হলিডে হোমও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ কো-অপ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২৪২০৫৫৯/২২৬২২১৭৯), এসবিএম ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস হলিডে হোম (যোগাযোগ ৯৮৩১১ ০২৫১৭)

শহরে ঘোরাঘুরির জন্য অটো রয়েছে। জিএমভিএন কন্ডাক্টেড ট্যুরে শহর ঘুরিয়ে আনে। জিএমভিএন-এর হোটেল দ্রোনা থেকে সকাল সাড়ে ন’টায় ট্যুর শুরু হয়, ফেরে সাড়ে ৪টেয়।

মসুরী



আমরা যাকে মুসৌরি বলি তার আদত নাম মসুরী। দেহরাদুন থেকে ৩৪ কিমি, বাসে বা শেয়ার ট্যাক্সিতে আসা যায়। ২০০৫ মিটার উচ্চতার এই পাহাড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্র কুলরি বাজার থেকে লাইব্রেরি বাজারের সংযোগকারী ক্যামেলস ব্যাক রোড, এটিই হল মসুরীর ম্যাল। দেখে নিনি রোপওয়ে চড়ে গান হিল, কেমটি ফলস (১৪ কিমি), লালটিব্বা (মসুরীর সর্বোচ্চ চূড়া, ট্যুরিস্ট অফিস থেকে ৪.৮ কিমি দূরে), নাগদেবতা মন্দির (৬ কিমি), মসুরী ঝিল (দেহরাদুন পথে ৬ কিমি), ভাটা জলপ্রপাত (দেহরাদুন পথে ৬ কিমি গিয়ে আরও ৩ কিমি হেটে বা গাড়িতে) ইত্যাদি।

মসুরীতে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কিছু হলিডে হোম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ কো-অপ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২৪২০৫৫৯/২২৬২২১৭৯), কানাড়া ব্যাঙ্ক স্টাফ রিক্রিয়েশন ক্লাব (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২৪২৭১০৫), ইউকো ব্যাঙ্ক স্টাফ ক্লাব (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২২৫৪১২০ থেকে ২৯), সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক স্টাফ রিক্রিয়েশন ক্লাব (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২৪৮৬০৫৫), পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (কলকাতা যোগাযোগ ০৩৩-২২২০২২৩৩/২২৩৪/৩৯২০) ইত্যাদি।

মসুরী থেকে বাসে ফিরুন হরিদ্বার, ঘরে ফেরার ট্রেন ধরুন।