আমার আগের লেখাটা দেখে অনেকে বলছেন একটু ভুটান ট্যুর সাজিয়ে দেবার জন্য, তাই আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে এটা লিখছি, যদি কারও উপকার এ লাগে তবে আমার শেয়ার করা সার্থক।
১ম দিন হাসিমারা থেকে নেমে একটা গাড়ি বা অটো করে জয়গাঁ, পায়ে হেঁটে বর্ডার পেরিয়ে ওপারে চলে যান, ফুটসলিং এ বাজেট মত (স্ট্যান্ডার্ড ডাবল বেড ৮০০ - ১২০০, এমিগ্রেশন অপিস থেকে বাঁদিকে একটু দূর এ বাস স্ট্যান্ডের দিকে ২০০ - ৩০০ মিটার গেলে সস্তায় ভালো ঘর পাওয়া যাবে ) ঘর ঠিক করে মালপত্র রেখে লাঞ্চ করে ২য় হাফ এ এমিগ্রেশন অপিস চলে যান। অবশ্য ১ম হাফ এ সুযোগ থাকলে আগেই জমা করে দিন। মনে রাখবেন, শুধু ভোটার কার্ড আর ২কপি ছবি, বাচ্ছা হলে স্কুল এর আইডি (ভোটার কার্ড না থাকলেও অন্য অপশন আছে, তবে সেটা টাইম কিলিং আর একটু ঝামেলা পোয়াতে হবে, তাই ২য় অপশন না ভাবাই ভালো) । একজন গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে তার সাথে ট্যুর প্ল্যান আর হোটেল বুকিং, ভোটার কার্ড এর কপি জমা করে দিন, কিছুক্ষণ পর ভিতর থেকে ডাক এলে সবাই গিয়ে বায়োমেট্রিক ছাপ দিয়ে পারমিশন নিতে হয় (৭ দিনের পারমিশন পাবেন থিম্ফু ও পারো যাবার, যেদিন পৌছালেন তার পর দিন থেকে শুরু করবেন, দিন বাড়াতে চাইলে থিম্ফু গিয়ে এক্সটেনশন করাতে হবে)। জয়গাঁ তেও থাকতে পারেন কিন্তু এখানে থাকলে আলাদা একটা অনুভুতি হয়। আর একটা কথা, শনি, রবি ও ছুটির দিন সমস্ত অপিস বন্ধ থাকে। সন্ধেবেলা একটা ভুটান এর সিম তুলে নিন, পারমিশন ও ফটো এর কপি দিলেই হবে। পুরো ট্যুর এর জন্য গাড়ি বুক করতে চাইলে আগের দিন জয়গাঁ থেকেই করুন, ভুটান এর গাড়ির রেট একটু বেশী আর লোকও কম অ্যালাও করে।
২য় দিন সকালেই একটা গাড়ি করে নিন শুধু থিম্ফু ড্রপ, হোটেল এ ঢুকে লাঞ্চ করে টাইম থাকলে পুনাখা, গ্যাঙতে / বুম্থাং, হা ভ্যালী যেখানে যাবেন তার পারমিশন এর কাগজ জমা করে দিন, সেদিন না হলেও চিন্তা নেই, পরদিন সকালে জমা করে সাইট সিন করে টাইম মত তুলে নিন। খুবই সহজ ব্যাপার, কারও সাহায্যের দরকার নেই। থিম্ফুতে তেমন কিছু নেই, একটা মিটার ট্যাক্সি করে জু তে যান, গাড়ি কে ওয়েট করতে বলে তাকিং (ভুটান এর জাতীয় পশু) দেখেই চলে আসুন, ফেরার পথ এ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এরিয়া / থিম্ফু জং এ নামিয়ে দিতে বলুন, টোটাল ২০০ - ২৫০ নেবে, গাড়ি ছেড়ে দিন, পুরোটা ঘুরে হাঁটতে হাঁটতে হ্যান্ডেলুম মার্কেট হয়ে হোটেল এ ফিরুন, লাঞ্চ করে আর একটা মিটার ট্যাক্সি রিজার্ভ করে বুদ্ধ পার্ক এ চলে যান, জুন মাস এ একটা ফ্লাওয়ার শো হয়, মেন থিম্ফু বাজার থেকে ১ কিমি., ট্যাক্সিতে ২৫ টাকা, ওটাও সকালে দেখে নিন। এখানে খাওয়ার জন্য হোটেল এ ভি, খুব হাই ফাই না, কিন্তু খাবার এ বাঙ্গালিয়ানা আছে, দরকার এ প্যাক করে নিয়ে নিন।
৩য় দিন একটা গাড়ি রিজার্ভ করে (এটা বাকি দিনগুলির জন্য, ১২০০০ - ১৩০০০ মত পরতে পারে, তবে কোন এজেন্ট না, ডাইরেক্ট কোনও গাড়িকে রাস্তা থেকে বুক করুন আগের দিন রাতে, প্রচুর গাড়ির চলে থিম্ফু তে, ভয় এর কিছু নেই, দামদড় করে ঠিক করুন বাজার ঘুরতে ঘুরতে ) দোচুলা পাস ক্রস করে পুনাখা চলে যান, পুনাখা মনিস্ট্রি দেখে পুনাখা / ওয়াংডু (এটা তুলনামূলক সস্তা ৮০০ - ১০০০ টাকা, পুনাখায় ২০০০ মত ) স্টে করুন, পরদিন সকালে প্ল্যান মত গ্যাঙতে ঘুরে (টোটাল ৫ - ৬ ঘণ্টার ট্যুর) ওয়াংডু / থিম্ফু স্টে করুন অথবা বুম্থাং চলে যান, না হয় পারো, যেটা চাইছেন। ওয়াংডুর পরে রাস্তা কিন্তু খারাপ, জানি না এখন কেমন।
৫ম দিন দচুলা, থিম্ফু হয়ে পারো চলে আসুন। এখানে পারো জং, মিউজিয়াম দেখার আছে, ওই দিন ই হয়ে যাবে। পর দিন দুটো অপশন, টাইগার নেস্ট ট্রেক / চি লি লা পাস পেরিয়ে হা ভ্যালী। দুটোই ১ম হাফ এ যেতে হবে, যদি টাইগার নেস্ট ট্রেক করার ইচ্ছা না থাকে (করতে হলে ১টার আগে যেতে হবে) তো সকালে চি লি লা পাস পেরিয়ে হা ভ্যালী, লাঞ্চ করে টাইগার নেস্ট। আর যদি দুটোই করতে চান তো সকালে চি লি লা পাস করে হা না গিয়ে ১টার মধ্যে টাইগার নেস্ট চলে যান। নিজেদের সুবিধা মত সাজিয়ে নিন। পারোতেও একটা বাঙালি স্বাদ এর রেস্টুরেন্ট আছে, নামটা মনে করতে পারছি না। ভুটান এ খাবার শুধু না সব কিছুই খুব কস্টলি।
শেষ দিন পারো থেকে ৮ টা ৯ টায় বেড়িয়ে সোজা জয়গাঁ, ৫ ঘণ্টা লাগবে, ওখানে অটো নিয়ে হাসিমারা, রাস্তায় একটা ভালো রেস্টুরেন্ট দেখে মনের সুখে বাঙালি মাছ ভাত খেয়ে নিন।
কিছু ড্রাইভার এর নম্বার দিলাম, ফোন করে রেট এর আইডিয়া নিতে পারেন।
+৯৭৫ ৭৭২০১৬২৫ - নিশাল গুরুং
+৯৭৫ ৭৭৪৮৮৩৮৮ - গোলে
+৯৭৫ ১৭৬৬৬৭৭৭
+৯৭৫ ১৭৬৩৮০২০ - টি দরজী
+৯৭৫ ১৭৯৫৬২৯১ - থিম্ফুর গাড়ি
+৯৭৫ ১৭৫১৯১৬৩
হোটেল এর জন্য hotel.bt সব ইনফরমেশন পাবেন।
১ম দিন হাসিমারা থেকে নেমে একটা গাড়ি বা অটো করে জয়গাঁ, পায়ে হেঁটে বর্ডার পেরিয়ে ওপারে চলে যান, ফুটসলিং এ বাজেট মত (স্ট্যান্ডার্ড ডাবল বেড ৮০০ - ১২০০, এমিগ্রেশন অপিস থেকে বাঁদিকে একটু দূর এ বাস স্ট্যান্ডের দিকে ২০০ - ৩০০ মিটার গেলে সস্তায় ভালো ঘর পাওয়া যাবে ) ঘর ঠিক করে মালপত্র রেখে লাঞ্চ করে ২য় হাফ এ এমিগ্রেশন অপিস চলে যান। অবশ্য ১ম হাফ এ সুযোগ থাকলে আগেই জমা করে দিন। মনে রাখবেন, শুধু ভোটার কার্ড আর ২কপি ছবি, বাচ্ছা হলে স্কুল এর আইডি (ভোটার কার্ড না থাকলেও অন্য অপশন আছে, তবে সেটা টাইম কিলিং আর একটু ঝামেলা পোয়াতে হবে, তাই ২য় অপশন না ভাবাই ভালো) । একজন গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে তার সাথে ট্যুর প্ল্যান আর হোটেল বুকিং, ভোটার কার্ড এর কপি জমা করে দিন, কিছুক্ষণ পর ভিতর থেকে ডাক এলে সবাই গিয়ে বায়োমেট্রিক ছাপ দিয়ে পারমিশন নিতে হয় (৭ দিনের পারমিশন পাবেন থিম্ফু ও পারো যাবার, যেদিন পৌছালেন তার পর দিন থেকে শুরু করবেন, দিন বাড়াতে চাইলে থিম্ফু গিয়ে এক্সটেনশন করাতে হবে)। জয়গাঁ তেও থাকতে পারেন কিন্তু এখানে থাকলে আলাদা একটা অনুভুতি হয়। আর একটা কথা, শনি, রবি ও ছুটির দিন সমস্ত অপিস বন্ধ থাকে। সন্ধেবেলা একটা ভুটান এর সিম তুলে নিন, পারমিশন ও ফটো এর কপি দিলেই হবে। পুরো ট্যুর এর জন্য গাড়ি বুক করতে চাইলে আগের দিন জয়গাঁ থেকেই করুন, ভুটান এর গাড়ির রেট একটু বেশী আর লোকও কম অ্যালাও করে।
২য় দিন সকালেই একটা গাড়ি করে নিন শুধু থিম্ফু ড্রপ, হোটেল এ ঢুকে লাঞ্চ করে টাইম থাকলে পুনাখা, গ্যাঙতে / বুম্থাং, হা ভ্যালী যেখানে যাবেন তার পারমিশন এর কাগজ জমা করে দিন, সেদিন না হলেও চিন্তা নেই, পরদিন সকালে জমা করে সাইট সিন করে টাইম মত তুলে নিন। খুবই সহজ ব্যাপার, কারও সাহায্যের দরকার নেই। থিম্ফুতে তেমন কিছু নেই, একটা মিটার ট্যাক্সি করে জু তে যান, গাড়ি কে ওয়েট করতে বলে তাকিং (ভুটান এর জাতীয় পশু) দেখেই চলে আসুন, ফেরার পথ এ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ এরিয়া / থিম্ফু জং এ নামিয়ে দিতে বলুন, টোটাল ২০০ - ২৫০ নেবে, গাড়ি ছেড়ে দিন, পুরোটা ঘুরে হাঁটতে হাঁটতে হ্যান্ডেলুম মার্কেট হয়ে হোটেল এ ফিরুন, লাঞ্চ করে আর একটা মিটার ট্যাক্সি রিজার্ভ করে বুদ্ধ পার্ক এ চলে যান, জুন মাস এ একটা ফ্লাওয়ার শো হয়, মেন থিম্ফু বাজার থেকে ১ কিমি., ট্যাক্সিতে ২৫ টাকা, ওটাও সকালে দেখে নিন। এখানে খাওয়ার জন্য হোটেল এ ভি, খুব হাই ফাই না, কিন্তু খাবার এ বাঙ্গালিয়ানা আছে, দরকার এ প্যাক করে নিয়ে নিন।
৩য় দিন একটা গাড়ি রিজার্ভ করে (এটা বাকি দিনগুলির জন্য, ১২০০০ - ১৩০০০ মত পরতে পারে, তবে কোন এজেন্ট না, ডাইরেক্ট কোনও গাড়িকে রাস্তা থেকে বুক করুন আগের দিন রাতে, প্রচুর গাড়ির চলে থিম্ফু তে, ভয় এর কিছু নেই, দামদড় করে ঠিক করুন বাজার ঘুরতে ঘুরতে ) দোচুলা পাস ক্রস করে পুনাখা চলে যান, পুনাখা মনিস্ট্রি দেখে পুনাখা / ওয়াংডু (এটা তুলনামূলক সস্তা ৮০০ - ১০০০ টাকা, পুনাখায় ২০০০ মত ) স্টে করুন, পরদিন সকালে প্ল্যান মত গ্যাঙতে ঘুরে (টোটাল ৫ - ৬ ঘণ্টার ট্যুর) ওয়াংডু / থিম্ফু স্টে করুন অথবা বুম্থাং চলে যান, না হয় পারো, যেটা চাইছেন। ওয়াংডুর পরে রাস্তা কিন্তু খারাপ, জানি না এখন কেমন।
৫ম দিন দচুলা, থিম্ফু হয়ে পারো চলে আসুন। এখানে পারো জং, মিউজিয়াম দেখার আছে, ওই দিন ই হয়ে যাবে। পর দিন দুটো অপশন, টাইগার নেস্ট ট্রেক / চি লি লা পাস পেরিয়ে হা ভ্যালী। দুটোই ১ম হাফ এ যেতে হবে, যদি টাইগার নেস্ট ট্রেক করার ইচ্ছা না থাকে (করতে হলে ১টার আগে যেতে হবে) তো সকালে চি লি লা পাস পেরিয়ে হা ভ্যালী, লাঞ্চ করে টাইগার নেস্ট। আর যদি দুটোই করতে চান তো সকালে চি লি লা পাস করে হা না গিয়ে ১টার মধ্যে টাইগার নেস্ট চলে যান। নিজেদের সুবিধা মত সাজিয়ে নিন। পারোতেও একটা বাঙালি স্বাদ এর রেস্টুরেন্ট আছে, নামটা মনে করতে পারছি না। ভুটান এ খাবার শুধু না সব কিছুই খুব কস্টলি।
শেষ দিন পারো থেকে ৮ টা ৯ টায় বেড়িয়ে সোজা জয়গাঁ, ৫ ঘণ্টা লাগবে, ওখানে অটো নিয়ে হাসিমারা, রাস্তায় একটা ভালো রেস্টুরেন্ট দেখে মনের সুখে বাঙালি মাছ ভাত খেয়ে নিন।
কিছু ড্রাইভার এর নম্বার দিলাম, ফোন করে রেট এর আইডিয়া নিতে পারেন।
+৯৭৫ ৭৭২০১৬২৫ - নিশাল গুরুং
+৯৭৫ ৭৭৪৮৮৩৮৮ - গোলে
+৯৭৫ ১৭৬৬৬৭৭৭
+৯৭৫ ১৭৬৩৮০২০ - টি দরজী
+৯৭৫ ১৭৯৫৬২৯১ - থিম্ফুর গাড়ি
+৯৭৫ ১৭৫১৯১৬৩
হোটেল এর জন্য hotel.bt সব ইনফরমেশন পাবেন।