#মদনমোহন_মন্দির:
মল্লরাজা দুর্জন সিংহ এই এক রত্ন মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা । এর গায়ে কৃষ্ণের লীলা ও পৌরাণিক কাহিনী চিত্রিত আছে। এই স্থানে মদনমোহনের নিত্য সেবা, রাস ও দোল উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এখানে। কেনাকাটার জন্য এর সামনে বেশ কয়েকটি দোকান পেয়ে যাবেন। দোকানগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মুখোশ দিয়ে সাজানো একটি দোকানে আমার দৃষ্টি আটকে যাচ্ছিল বার বার। এখানে সুলভ শৌচাগার এর সুবিধা পেয়ে যাবেন।
#শ্যমরায়_মন্দির::
টেরাকোটার কাজে সমৃদ্ধ , পোড়ামাটির ইট নির্মিত পঞ্চ রত্ন মন্দিরটি মল্লরাজা রঘুনাথ সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরের গায়ে মহাভারতের দৃশ্য চিত্রিত দেখা যায়।আমি শুধু অবাক হয়ে ভাবি যে এত নক্সা করতে কত সময় , পরিশ্রম ও ধৈর্য লেগেছিল শিল্পীদের!
#গুমগড়::
মল্লরাজা বীরসিংহ এটি তৈরি করেছিলেন। রাজবাড়ির জলের ট্যাংক হিসাবে ব্যবহার হত বা এখানে অপরাধীদের এনে গুম করে দেওয়া হত, যেকোনো একটি ঠিক। এখানে দ্বিতীয় তথ্যটি গ্রহণ করলে মনে বেশ ভয়, রোমাঞ্চ হয় বলে অপরাধীদের শাস্তির তথ্যটি আমার ভালো লাগলো। নাহলে বর্গাকার ইঁটের তৈরি একটি ঘর বিশেষ ছাড়া আর কিছু নয় এটি।
#মৃন্ময়ী_মন্দির:
দুর্গা মন্দির)
প্রথম দর্শনে এটিকে মন্দির বলে মনে হয় না, মনে হয় কোনো লাইব্রেরির সামনে এসে দাঁড়িয়েছি।
মল্লরাজা জগৎমল্ল ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে দৈবাদেশ পেয়ে মন্দির ও মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেন। দুর্গা মূর্তিটি গঙ্গামাটির তৈরি। এই মন্দিরের নিত্য পূজা হয়, মহাঅষ্টমীর সন্ধিক্ষণে তোপধ্বনি করা হয়, তবে তোপটা খুঁজে পেলাম না! দুপুরে ভোগ খাবার ব্যবস্থা আছে, তবে সময়ে নাম লেখাতে হবে। এই মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজ নেই! এই মন্দিরের পাশেই রাজবাড়ির ধ্বংসস্তুপ, "বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ" বোর্ড ঝুলানো। মন্দিরের সামনেও কেনাকাটা করার জন্য দোকান পেয়ে যাবেন। মন্দির প্রাঙ্গণে ঢুকতে ডান হাতে যে দোকানটি পরে সেটি বাকিগুলোর থেকে অপেক্ষাকৃত সস্তায় জিনিস দিচ্ছিল। তিনটি দোকানে বিস্তর দরাদরি করার পর যখন কিছু কিনবো বলে ঠিক করেছি তখনই টোটো ভাই পরিত্রাতা রূপে আবির্ভুত হয়ে এমন তারা লাগালো, কেনাকাটা ফেলে লাফ দিয়ে টোটোতে গিয়ে বসে পড়লাম(আমার পয়সা বেঁচে গেল)।