Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour  Emptyম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour

more_horiz
রোজকার কর্মব্যস্ত জীবন থেকে একটু বিরতি দরকার? কিন্তু হাতে সময় কম? পুরী, দীঘা, মন্দারমনি ও আর ভাল লাগছেনা? তাহলে এক কাজ করুন, টুক করে দুটো দিন ম্যানেজ করে ছুটি কাটিয়ে আসুন, প্রকৃতির কোলে এক অনবদ্য জায়গা - ম্যাসাঞ্জরে। একসাথে হাতের মুঠোয় পাবেন পাহাড়, নদী, জঙ্গল, প্রচুর পাখি আর একরাশ নিস্তব্ধতা। শব্দ বলতে যেখানে শুধুই পাখির কলতান আর মাঝেমধ্যে দুর পাহাড়ি রাস্তা থেকে ভেসে আসা ট্রাকের শব্দ। প্রকৃতির সাথে আলাপ জমাতেই চোখের নিমেষে দুটি দিন ফুরুৎ!

এহেন ম্যাসাঞ্জর সম্পর্কে প্রথমেই আসুন দু-একটি বিষয় জেনে নেওয়া যাক-
ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় অবস্থিত এই শহরটি বিখ্যাত মূলত ১৫৫ ফুট উচ্চতা ও ২১৭০ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট মেসেঞ্জার ড্যাম-এর জন্য, যেটি কানাডা ড্যাম বা পিয়ারসন ড্যাম নামেও অভিহিত। ময়ূরাক্ষী নদীর উপর নির্মিত এই ড্যামের উপর থেকে চার দিকের বিস্তীর্ণ জলরাশি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। আশে পাশে অসংখ্য টিয়া পাখিও নজরে পড়বে, ড্যাম-এর মধ্যে ছোট ছোট গর্তে তাদের বাসা। জলের কাছে যেতে মন চাইলেও কুছ পরোয়া নেহি। ড্যাম-এর অপরপ্রান্ত দিয়ে বা ইয়ুথ হোস্টেলের পাস দিয়ে নেমে আসুন। নদীর জলে পা ডুবিয়ে অনন্তকাল বসে থাকলেও কেউ কিছু বলবেনা। উপরন্তু প্রাপ্তি, নদীর ছোট ছোট মাছ গুলো আপনার 'ফুট স্পা' করে দেবে ফ্রি-তে। পাশে বোটিং- এরও ব্যবস্থা আছে।
শুধু কি তাই, কপালে থাকলে আপনার ব্যালকনির দরজা খুললেই সামনের গাছে বাঁদরের ও দেখা পেতে পারেন। হোস্টেলের ছাদ থেকে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত এর অপার্থিব দৃশ্য চিরকাল মনে থাকবে। ইচ্ছা করলে আশেপাশের ছোট পাড় গুলোতে ট্রেক করে শিখরে উঠতে পারেন। নিঃসন্দেহে, বেস্ট ভিউ ওখান থেকেই পাওয়া যাবে।
অনেকেই ঝটিকা সফরে, তারাপীঠ-বক্রেশ্বর বা বোলপুর-শান্তিনিকেতনের সাথে ম্যাসাঞ্জর ঘুরে আসেন। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, মেসেঞ্জার এর রূপ-রস-গন্ধ গায়ে মাখতে অন্তত একরাত এখানে কাটানো উচিত। এবার তাহলে জেনে নিই-

কখন যাবেন:-
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে এর সময়টা অর্থাৎ এপ্রিল-মে-জুন বাদে সব সময় যাওয়া যায়। সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি আদর্শ সময়।

কিভাবে যাবেন:-
হাওড়া থেকে সিউড়ি গামী 'হুল এক্সপ্রেস' এ সিউড়ি নেমে সেখান থেকে টোটো ধরে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে আসুন। সরকারি বা বেসরকারি দুই রকমই বাস সার্ভিস পাবেন। দুমকা গামী বাসে উঠে পড়ুন। মেসেঞ্জার পৌঁছতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।

কোথায় থাকবেন:-
1. পশ্চিমবঙ্গ যুব কল্যাণ দপ্তর এর ইয়ুথ হোস্টেল: হিল্ টপ-এ অবস্থিত। কলকাতার মৌলালি অফিসে বা অনলাইনে বুকিং করতে পারেন। On-spot booking-এর কোন ব্যবস্থা নেই। খাওয়ার ব্যবস্থাও নেই; তবে হোস্টেলের কেয়ারটেকারকে বললে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কিন্তু তা নিম্নমানের।

2. পশ্চিমবঙ্গ জলসম্পদ দপ্তরের ময়ূরাক্ষী ভবন: এটি ড্যাম এর কাছাকাছি। নিজস্ব রেস্তোরাঁ আছে। Booking details ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন।

কোথায় খাবেন: ম্যাসঞ্জর বাস স্ট্যান্ড এবং ড্যাম এর কাছে কিছু সাধারন মানের স্থানীয় গুমটি হোটেল আছে খাবারের জন্য সেগুলোই ভরসা। দাম সাধ্য অনুকূল।

পরিশেষে কিছু কথা:-
1. যারা শুধুমাত্র প্রকৃতি ভালোবাসেন, তাদের কাছে ম্যাসাঞ্জোর খুব ভালো লাগবে।
2. রাত্রিবাসের পরিকল্পনা করার সময় বিলাসিতার চিন্তা ত্যাগ করাই শ্রেয়।
3. জায়গাটি জনবসতি থেকে তুলনামূলক দূরে বলে ডিনার এর ব্যবস্থা কর্মচারীকে (ইয়ুথ হোস্টেল এর ক্ষেত্রে) অনুরোধ করে করিয়ে নিন। নিজস্ব গাড়ি থাকলে অবশ্য ওই গুমটি গুলোতে ডিনার করতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বিকেলের মধ্যে আগাম বলে রাখতে হবে।
4. সূর্যাস্তের পর আর সেরকম ঘুরে বেড়ানোর জায়গা নেই।
5. জায়গাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ, কোনরকম উপদ্রব নেই। জঙ্গল বলে কিছু পোকামাকড় আছে বটে। অতএব নির্দ্বিধায় ঘুরে আসুন।

descriptionম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour  EmptyRe: ম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour

more_horiz

15 04 2019 ~ 17 04 2019
...and our journey to Masaanjore began in the very early morning of another new Bengali year. Inspite of being a short trip, it's utterly remarkable for us, as we got hitched at the same time last year.
We reached to our destination around 1:30pm. Masaanjore has its own beauty and charm with its expanding hills and forest, lush greenery, and the famous Masaanjore dam on the beautiful and calm Mayurakshi river. Our accommodation for a couple of nights, was the Youth Hostel run by Govt. Of West Bengal, located on a Hill top. One has to climb almost 15 minutes uphill to reach there,a little bit troublesome but the view is indeed breathtaking! A visit to Masaanjore in April(!)was not a good choice due to excessive heat, that left us annoyed enough. But the early mornings and late afternoons were quite serene. It's an ideal place to spend a quality time together with our loved ones, on the lap of nature. We enjoyed every bit of the ambience, from the phenomenal silence all over combined with lots of unnamed bird's song, to the sudden appearance of a monkey on a tree beside our balcony. Rippling Mayurakshi even hugged us when we dipped our feet and the little fishes gave us an amazing spa treatment. On the whole, Masaanjore has succeeded to provide us that oxygen, needed to charge up again for the regular busy life.

descriptionম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour  EmptyRe: ম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour

more_horiz
**********....ম্যাসেনজোর....********.
ম্যাসেনজোর যাননি এমন বাঙালী বোধহয় খুজেঁ পাওয়া মুশকিল..... দেওঘরের কাছে ত্রিকূট পাহাড়ে উত্পন্ন ময়ুরাখ্ঞী নদীর উপর ১৯৫৩ সালে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলসেচের কাজে ১৫৫ ফুট উঁচু ও ২১৭০ ফুট লম্বা বাঁধ দেওয়া হয়......ম্যাসেনজোর ঝারখন্ডে হলেও এখানে পরোপুরি বাঙালীয়ানা বজায় আছে.....হিলটপে আছে বাংলার ময়ূরাখ্ষী ভবন, নিচের দিকে ঝাড়খন্ডের গেস্ট হাউস, আর আছে নতুন করে সাজানো পশ্চিমবঙ্গের যুব আবাস......চারিদিকের সবুজে ভরা পাহাড় রাশির মাঝের জলাধারের সৌন্দর্য্য আলাদা মাত্রা এনে দেয়.....ভরা বর্ষায় বা চাঁদনী রাতে ময়ূরাখ্ষী ভবনে নিশিযাপন যেন স্বপ্নপূরীতে বাস করা......., নিচের দিকে আছে পিকনিকের সুন্দর জায়গা.....নদীতে স্নান করা যায় নির্ভয়ে.....আছে শত শত টিয়া পাখি.....আর আছে পাহাড়ের নানান ফল......বাঁধের ওপারের পাহাড়ে আদিবাসী গ্রাম ঘুরে আসতে পারেন....মহুয়ার স্বাদও নিতে পারেন.....সকালে জলাধারের সস্তা মাছ কিনতে পারেন ( বড় , ছোট সব মাছ একই দাম ).....বাঁধের সামনের দোকানটিতে মাছ বা মাংস কিনে দিলে দুপুরের ভোজনটা ভালই করে দেয় .....

যাওয়া----রামপুরহাট ৪৫ কিমি, সিউড়ি—৪০ কিমি, বোলপুর-৭৫ কিমি, বোলপুর—ডুমকা বা সিউড়ি—ডুমকা বাসে সহজেই যাতায়াত করা যায়.......বোলপুর+তারাপীঠ+বক্রেশ্বর+ ম্যাসেনজোর একসঙ্গে ঘুরে নিন......

descriptionম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour  EmptyRe: ম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour

more_horiz
অন্য এক বীরভূম
এক টুকরো ঝাড়খন্ড

আরো একবার দেখে এলাম ঝাড়খন্ডের ম্যাসানঞ্জার ড্যাম। ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর তৈরী এই ড্যাম এর অন্য নাম কানাডা ড্যাম।আগের দিন রাতে সিউড়ি পৌছতে,পরদিন সকালে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলাম ম্যাসানঞ্জার ড্যামের উদ্দেশ্যে। ঘন্টা দেড়েক সময় লাগে পৌছতে । এখানের পুরো জায়গাটা ঘুরে দেখতে প্রায় ঘন্টা তিন সময় লেগে যায় ।ড্যামের নীল জল আর চারদিকে ঘন সবুজ পাহাড় আপনাকে এক অন্য জগতে পৌছে দেবে। এখানে অনেক রকমের পাখি আছে ।ঝাঁকে ঝাঁকে টিয়াপাখি উড়ে যায় ।ড্যামের রাস্তা দিয়ে কিছুদূরে হেঁটে গেলে ছোটো ঝোরা দেখা যায় ।আদিবাসীদের গ্রামও দেখে নিতে পারেন ।কিসুন্দর ভাবে সাজানো, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন । এরপর এখানেই মধ্যাহ্নভোজন সেরে যাত্রা শুরু করলাম বক্রেশ্বরের দিকে । দুমকার মধ্যে দিয়ে যাবার পথে দেখে নিলাম Our lady of Mount Carmel Church।

বক্রেশ্বরে এসে পরদিন সকালে মন্দিরে পূজা দিয়ে কচুরি আলুর দম দিয়ে প্রাতরাশ সেরে মন্দির সংলগ্ন এলাকা, বক্রেশ্বর মহাশ্মশান, আট ফুট উঁচু শিবলিঙ্গ দর্শন করলাম । এবার উষ্ণ প্রস্রবণ ঘুরে নিয়ে রওনা দিলাম রাজনগরের দিকে । দেখে নিলাম প্রাচীন ইমামবাড়া।আরো কিছু দূরে গিয়ে পৌছালাম শিসাল ফার্ম।এখানে রয়েছে তাতলয় উষ্ণ প্রস্রবণ ও একটি ছোট্ট শিব মন্দির । পথে পড়বে Believer Church এবং আদিবাসীদের গ্রাম। ফেরার পথে বাদ গেল না মামা ভাগ্নে পাহাড় আর হেতমপুর রাজবাড়ী ।

descriptionম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour  EmptyRe: ম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour

more_horiz
নির্জন মাসাঞ্জর ( Massanjore and Dubrajpur)
_________________________________________

১:

হুল এক্সপ্রেস ঘড়ির কাঁটা ধরে সকাল ৬.৪৫ এ ছাড়লো ঠিকই, তবে সিউড়ি পৌঁছালো আধ ঘন্টা দেরিতে। সিউড়ি স্টেশন থেকে বেরিয়ে রিকশা নিলাম বাস স্ট্যান্ড এর উদ্দেশ্যে। সিউড়ি থেকে মাসাঞ্জর ৩৮ কিমি রাস্তা। বাস স্ট্যান্ড পৌঁছে দুমকার বাসে টিকিট কেটে উঠে পড়লাম। বাস ছাড়লো যথাসময়। পথে পড়লো তিলপাড়া ব্যারাজ। কিছুটা যাওয়ার পরেই আশপাশের দৃশ্যাবলী বদলে গেল। কোথাও বা মাইলের পর মাইল ক্ষেত, কোথাও বা দু ধারে সোনাঝুড়ির জঙ্গল। সহযাত্রীদের চোখেমুখে ও ভাষায় একটা আদিবাসী ছোঁয়া। মাসাঞ্জর জায়গাটি ঝাড়খণ্ডের দুমকা ডিস্টিক্টের অন্তর্ভুক্ত। পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত এলাকায় দুই রাজ্যের ভাষা, পোশাক আশাক, সংস্কার, জীবনধারণ সব যেন মিলে মিশে একেবারেই এক আলাদা নতুন জীবনধারায় পরিণত হয়েছে। Fusion বলা যেতে পারে। ধীরে ধীরে সেই Fusion এ তাল মিলিয়ে গাড়ির নম্বর গুলো – WB এর সাথে যুক্ত হলো JH। প্রায় একঘন্টা লাগলো মাসাঞ্জর পৌঁছতে। বাস স্টপ টা ড্যামের গেটের একদম কাছে। বাসস্টপ পৌঁছনোর কিছুটা আগে থেকেই খেয়াল করেছিলাম, সমান্তরাল রাস্তা ছাড়িয়ে বাস মালভূমি ধরেছে । বাসস্টপ থেকে শুরু হচ্ছে পাহাড়ি রাস্তার চড়াই। আমি অবশ্য ওখানে না নেমে আরেকটু এগিয়ে নামলাম কন্ডাকটর এর কথায়। ইয়ুথ হোস্টেল টা নাকি আরেকটু এগিয়ে গিয়ে।

২:

নেমে বুঝলাম ভুল জায়গায় নেমেছি। Irrigation Department এর বাংলো যাবো ভেবে ভুল জায়গায় নামিয়েছে কন্ডাকটর মহাশয়। স্থানীয় একজনকে জিজ্ঞেস করে জানলাম ইয়ুথ হোস্টেল যেতে গেলে চড়াই ভেঙে আরো ওপরে উঠতে হবে। প্রসঙ্গত বলে রাখি, যারা ড্যামের সব থেকে কাছে থাকতে চান, তাদের জন্য Irrigation এর বাংলোটাই সবচেয়ে সুবিধের হবে। আমার বাঁ দিকে খাদের ধারের গাছগাছালির ভেতর থেকে উকিঁ মারছে রোদের আলোয় ঝিকমিক করা মাসাঞ্জরের সুবিশাল হ্রদ। ডান হাতে পাহাড়ের পাথুরে দেওয়াল গুলো ঘন সবুজে মোড়া। ওপরের দিকে ঘন জঙ্গল। বেশ কিছুটা হেঁটে উঠে বাঁ দিকে ছোট একটি পাহাড়ের মাথায় দেখলাম সাদা আর নীলে উকিঁ মারছে একটি থাকার জায়গা। বড় রাস্তা থেকে একটি সরু রাস্তা বাঁ দিকে চলে গেছে সোজা সেই পাহাড়ের মাথায়। সেখানেই এই বাংলোটি। আন্দাজ করতে অসুবিধে হলো না যে ওটাই আমার গন্তব্য। ইয়ুথ হোস্টেলের গেট দিয়ে ঢুকে আশপাশ টা দেখে মন ভরে গেল। উচুঁ পাথুরে ঢিবির ওপর এই বাংলো। খুব সুন্দর একেকটি কটেজ। পেছনের দিকটায় সুবৃস্তিত হ্রদ। আর চারিধারে সবুজ জঙ্গলে মোড়া। ছোট ছোট পাহাড়গুলোর কোলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিছু আদিবাসী গ্রাম। কিন্তু একী? রিসেপশনের খোঁজ করতে গিয়ে দেখি সবদিকে সব দরজা বন্ধ। জনমানব শূন্য একটি বাংলো। কোনো ফোন নম্বর ও নেই যে কেয়ারটেকার এর খোঁজ করবো। মনে মনে বেশ রাগই হলো। কিছুক্ষণ পর আমার হাঁকাহাকিতে গেট খুলে টি শার্ট এবং হাঁটু অব্দি গোটানো লুঙ্গি পরিহিত একটি আদিবাসী যুবক গেট খুলে আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। লোকটি কেয়ারটেকার হিসেবে পরিচয় দিতে আস্বস্ত হলাম। নাম তার শ্যামলাল। আমিই একমাত্র বোর্ডার হওয়াতে আমার পছন্দসই ঘর টা বেছে নেওয়ার সুযোগ পেলাম। একেবারে ধারের কটেজ টা আমি নিলাম। পেছনের জানালা দিয়ে হ্রদের কিছুটা দৃশ্যমান। আরেকদিকের জানালা দিয়ে পাহাড় আর জঙ্গল। শ্যামলাল প্রথমেই বলে দিল খাওয়ার অর্ডার টা তখুনি দিতে হবে কারণ ওনাকে দূরের বাজার থেকে আনতে হবে। বাংলোর নিজস্ব কোনো ডাইনিং নেই এবং বেরিয়েও আশপাশে কোনো দোকান নেই। এই বাংলোর সম্পূর্ণ দেখভালের ভার এই শ্যামলাল এর ওপরেই। আমার হাতে চাবি দিয়ে শ্যামলাল বেরিয়ে গেল খাবারের জোগাড়ে।

descriptionম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour  EmptyRe: ম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour

more_horiz
Massanjore - ম্যাসাঞ্জোর।
অনেক ছবি, তত্ব কথা পেয়েছি। যা পাইনি তাই লিখছি।

নির্জনতা আজ বড্ড দামী। আর বুকভরা Oxygen.

সিউড়ি বা সাঁইথিয়া থেকে দুমকা বা দেওঘরগামী সরকারি বেসরকারি বাসে আসতে পারেন Massanjore. বর্ধমান বা রামপুরহাট থেকেও বাস আসছে। এমনকি কলকাতা থেকেও Night Journey করে Sleeper বাসও আসছে।

বিভিন্ন Station থেকে Car Service পাওয়া গেলেও সিউড়ি থেকে টোটো নিয়ে শহরের ভেতরে যেতে হবে।

থাকার জন্য
১. ময়ুরাক্ষী ভবন - Irrigation Dept. এর Guest House. ছোট টিলার ওপর, গাড়ি ওপরে উঠবে। সবথেকে সুবিধাজনক। বুকিং সল্টলেক সেচ ভবন। এছাড়া সিউড়ি সেচ দপ্তরেও বুকিং হয় শুনেছি। খাওয়ার ব্যবস্থা করে Caretaker. ৩০০-৪০০ মিটার গেলে ড্যামের gate এর সামনে পৌছে যাবেন, এখানে খাবার ও পাবেন।
ভাড়া ১০০০, ১৫০০. + Tax.

এর পর
২. Youth Hostel - যুব কল্যান দপ্তর। Online Booking হয়। এছাড়া মৌলালী যুব কেন্দ্রে বুকিং হয়।
পাঁচটা double bedded room আর (১০ + ১২)= ২২ টা বেড এর ডর্মি আছে। Room কিন্তু যথেষ্ট ভালো। আর View সবচেয়ে ভালো। এটা একটা টিলার ওপর, তাই উঠতে নামতে পায়ের জোর লাগবে। গাড়ি যাবে টিলার নিচ পর্যন্ত।
ভাড়া DAB 700, Dormi 225 per bed. tax এর গল্প নেই।
আগে বলা থাকলে খাবারের ব্যবস্থা করে ওরা। Breakfast পাওয়া যায় না। বাইরে খাওয়ার যায়গা বাঁ দিকে ১ কিমি ডানদিকে ১.৫ কিমি দূরে প্রায়।
সকালে হেঁটে ড্যাম এ এসে Breakfast করতে হবে।
বাজারে খাওয়ার হোটেলে বলে দিলে ওরা Parcel করে খাওয়ার পৌছে দিতে রাজি হয়ে যায়।
যদি দুপুর এ পৌছান বাজারে হোটেলেই খাওয়ার দিতে বলতে হবে অথবা খেয়ে ঢুকতে হবে। এর পরে Meal, Youth Hostel এ ই খাওয়াই ভালো, ফ্রেশ And Good.
চা পাবেন লাল চা। নিজেরা চা এর ব্যাবস্থা নিতে পারেন, ঘরে করে নিতে পারেন।

৩. ময়ুরাক্ষী রিসর্ট - JTDC ও Oyo র নতুন বিলাসবহুল রিসর্ট। যদিও ড্যাম এর lockgate থেকে সবচেয়ে দূরে এটা। এর gate এর বাইরেই ২ টো ধাবা আছে, ভিতেরে ও সাজানো রেস্তোরা। সুতরাং যে কোনো সময়ে সব রকম খাবার পাওয়া যাবে।
ভাড়াটা মধ্যবিত্তের পক্ষেও চলনসই এখন ২২৫০। পিছনের gate দিয়ে বেরোলেই ড্যাম এর একটা প্রান্ত।

বাজারে একটা অতি সাধারন মানের হোটেলে থাকার ব্যাবস্থাও আছে। Double beded room ও আছে।

Youth Hostel থেকে নেমে এসে প্রায় ১৫০ মিটার হেঁটে Highway. Highway তে বাস ই একমাত্র প্রয়োজনে চলার বাহন, না হলে হাঁটা।
Youth Hostel বা Resort এ থাকলে ড্যাম বা Market এ যেতে বাস ই ব্যাবহার করুন। কপাল ভালো থাকলে অন্য কোনো Transport পাওয়া যেতে পারে।
ময়ুরাক্ষী ভবন ড্যাম এর সবচেয়ে কাছে, হাঁটার পথও ভালো।

একটা কথা বলা হয় নি।
Jio ছাড়া আর কোনো Network পাবেন না এখানে।
একমাত্র Dam এর ওপর BSNL বা Vodafone পেয়ে যেতেও পারেন, তবে খুব খারাপ।

descriptionম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour  EmptyRe: ম্যাসাঞ্জর ভ্রমন Massanjore Dam Tour

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply