রোজকার কর্মব্যস্ত জীবন থেকে একটু বিরতি দরকার? কিন্তু হাতে সময় কম? পুরী, দীঘা, মন্দারমনি ও আর ভাল লাগছেনা? তাহলে এক কাজ করুন, টুক করে দুটো দিন ম্যানেজ করে ছুটি কাটিয়ে আসুন, প্রকৃতির কোলে এক অনবদ্য জায়গা - ম্যাসাঞ্জরে। একসাথে হাতের মুঠোয় পাবেন পাহাড়, নদী, জঙ্গল, প্রচুর পাখি আর একরাশ নিস্তব্ধতা। শব্দ বলতে যেখানে শুধুই পাখির কলতান আর মাঝেমধ্যে দুর পাহাড়ি রাস্তা থেকে ভেসে আসা ট্রাকের শব্দ। প্রকৃতির সাথে আলাপ জমাতেই চোখের নিমেষে দুটি দিন ফুরুৎ!
এহেন ম্যাসাঞ্জর সম্পর্কে প্রথমেই আসুন দু-একটি বিষয় জেনে নেওয়া যাক-
ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় অবস্থিত এই শহরটি বিখ্যাত মূলত ১৫৫ ফুট উচ্চতা ও ২১৭০ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট মেসেঞ্জার ড্যাম-এর জন্য, যেটি কানাডা ড্যাম বা পিয়ারসন ড্যাম নামেও অভিহিত। ময়ূরাক্ষী নদীর উপর নির্মিত এই ড্যামের উপর থেকে চার দিকের বিস্তীর্ণ জলরাশি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। আশে পাশে অসংখ্য টিয়া পাখিও নজরে পড়বে, ড্যাম-এর মধ্যে ছোট ছোট গর্তে তাদের বাসা। জলের কাছে যেতে মন চাইলেও কুছ পরোয়া নেহি। ড্যাম-এর অপরপ্রান্ত দিয়ে বা ইয়ুথ হোস্টেলের পাস দিয়ে নেমে আসুন। নদীর জলে পা ডুবিয়ে অনন্তকাল বসে থাকলেও কেউ কিছু বলবেনা। উপরন্তু প্রাপ্তি, নদীর ছোট ছোট মাছ গুলো আপনার 'ফুট স্পা' করে দেবে ফ্রি-তে। পাশে বোটিং- এরও ব্যবস্থা আছে।
শুধু কি তাই, কপালে থাকলে আপনার ব্যালকনির দরজা খুললেই সামনের গাছে বাঁদরের ও দেখা পেতে পারেন। হোস্টেলের ছাদ থেকে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত এর অপার্থিব দৃশ্য চিরকাল মনে থাকবে। ইচ্ছা করলে আশেপাশের ছোট পাড় গুলোতে ট্রেক করে শিখরে উঠতে পারেন। নিঃসন্দেহে, বেস্ট ভিউ ওখান থেকেই পাওয়া যাবে।
অনেকেই ঝটিকা সফরে, তারাপীঠ-বক্রেশ্বর বা বোলপুর-শান্তিনিকেতনের সাথে ম্যাসাঞ্জর ঘুরে আসেন। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, মেসেঞ্জার এর রূপ-রস-গন্ধ গায়ে মাখতে অন্তত একরাত এখানে কাটানো উচিত। এবার তাহলে জেনে নিই-
কখন যাবেন:-
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে এর সময়টা অর্থাৎ এপ্রিল-মে-জুন বাদে সব সময় যাওয়া যায়। সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি আদর্শ সময়।
কিভাবে যাবেন:-
হাওড়া থেকে সিউড়ি গামী 'হুল এক্সপ্রেস' এ সিউড়ি নেমে সেখান থেকে টোটো ধরে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে আসুন। সরকারি বা বেসরকারি দুই রকমই বাস সার্ভিস পাবেন। দুমকা গামী বাসে উঠে পড়ুন। মেসেঞ্জার পৌঁছতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
কোথায় থাকবেন:-
1. পশ্চিমবঙ্গ যুব কল্যাণ দপ্তর এর ইয়ুথ হোস্টেল: হিল্ টপ-এ অবস্থিত। কলকাতার মৌলালি অফিসে বা অনলাইনে বুকিং করতে পারেন। On-spot booking-এর কোন ব্যবস্থা নেই। খাওয়ার ব্যবস্থাও নেই; তবে হোস্টেলের কেয়ারটেকারকে বললে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কিন্তু তা নিম্নমানের।
2. পশ্চিমবঙ্গ জলসম্পদ দপ্তরের ময়ূরাক্ষী ভবন: এটি ড্যাম এর কাছাকাছি। নিজস্ব রেস্তোরাঁ আছে। Booking details ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন।
কোথায় খাবেন: ম্যাসঞ্জর বাস স্ট্যান্ড এবং ড্যাম এর কাছে কিছু সাধারন মানের স্থানীয় গুমটি হোটেল আছে খাবারের জন্য সেগুলোই ভরসা। দাম সাধ্য অনুকূল।
পরিশেষে কিছু কথা:-
1. যারা শুধুমাত্র প্রকৃতি ভালোবাসেন, তাদের কাছে ম্যাসাঞ্জোর খুব ভালো লাগবে।
2. রাত্রিবাসের পরিকল্পনা করার সময় বিলাসিতার চিন্তা ত্যাগ করাই শ্রেয়।
3. জায়গাটি জনবসতি থেকে তুলনামূলক দূরে বলে ডিনার এর ব্যবস্থা কর্মচারীকে (ইয়ুথ হোস্টেল এর ক্ষেত্রে) অনুরোধ করে করিয়ে নিন। নিজস্ব গাড়ি থাকলে অবশ্য ওই গুমটি গুলোতে ডিনার করতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বিকেলের মধ্যে আগাম বলে রাখতে হবে।
4. সূর্যাস্তের পর আর সেরকম ঘুরে বেড়ানোর জায়গা নেই।
5. জায়গাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ, কোনরকম উপদ্রব নেই। জঙ্গল বলে কিছু পোকামাকড় আছে বটে। অতএব নির্দ্বিধায় ঘুরে আসুন।
এহেন ম্যাসাঞ্জর সম্পর্কে প্রথমেই আসুন দু-একটি বিষয় জেনে নেওয়া যাক-
ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় অবস্থিত এই শহরটি বিখ্যাত মূলত ১৫৫ ফুট উচ্চতা ও ২১৭০ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট মেসেঞ্জার ড্যাম-এর জন্য, যেটি কানাডা ড্যাম বা পিয়ারসন ড্যাম নামেও অভিহিত। ময়ূরাক্ষী নদীর উপর নির্মিত এই ড্যামের উপর থেকে চার দিকের বিস্তীর্ণ জলরাশি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। আশে পাশে অসংখ্য টিয়া পাখিও নজরে পড়বে, ড্যাম-এর মধ্যে ছোট ছোট গর্তে তাদের বাসা। জলের কাছে যেতে মন চাইলেও কুছ পরোয়া নেহি। ড্যাম-এর অপরপ্রান্ত দিয়ে বা ইয়ুথ হোস্টেলের পাস দিয়ে নেমে আসুন। নদীর জলে পা ডুবিয়ে অনন্তকাল বসে থাকলেও কেউ কিছু বলবেনা। উপরন্তু প্রাপ্তি, নদীর ছোট ছোট মাছ গুলো আপনার 'ফুট স্পা' করে দেবে ফ্রি-তে। পাশে বোটিং- এরও ব্যবস্থা আছে।
শুধু কি তাই, কপালে থাকলে আপনার ব্যালকনির দরজা খুললেই সামনের গাছে বাঁদরের ও দেখা পেতে পারেন। হোস্টেলের ছাদ থেকে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত এর অপার্থিব দৃশ্য চিরকাল মনে থাকবে। ইচ্ছা করলে আশেপাশের ছোট পাড় গুলোতে ট্রেক করে শিখরে উঠতে পারেন। নিঃসন্দেহে, বেস্ট ভিউ ওখান থেকেই পাওয়া যাবে।
অনেকেই ঝটিকা সফরে, তারাপীঠ-বক্রেশ্বর বা বোলপুর-শান্তিনিকেতনের সাথে ম্যাসাঞ্জর ঘুরে আসেন। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, মেসেঞ্জার এর রূপ-রস-গন্ধ গায়ে মাখতে অন্তত একরাত এখানে কাটানো উচিত। এবার তাহলে জেনে নিই-
কখন যাবেন:-
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে এর সময়টা অর্থাৎ এপ্রিল-মে-জুন বাদে সব সময় যাওয়া যায়। সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি আদর্শ সময়।
কিভাবে যাবেন:-
হাওড়া থেকে সিউড়ি গামী 'হুল এক্সপ্রেস' এ সিউড়ি নেমে সেখান থেকে টোটো ধরে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে আসুন। সরকারি বা বেসরকারি দুই রকমই বাস সার্ভিস পাবেন। দুমকা গামী বাসে উঠে পড়ুন। মেসেঞ্জার পৌঁছতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
কোথায় থাকবেন:-
1. পশ্চিমবঙ্গ যুব কল্যাণ দপ্তর এর ইয়ুথ হোস্টেল: হিল্ টপ-এ অবস্থিত। কলকাতার মৌলালি অফিসে বা অনলাইনে বুকিং করতে পারেন। On-spot booking-এর কোন ব্যবস্থা নেই। খাওয়ার ব্যবস্থাও নেই; তবে হোস্টেলের কেয়ারটেকারকে বললে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কিন্তু তা নিম্নমানের।
2. পশ্চিমবঙ্গ জলসম্পদ দপ্তরের ময়ূরাক্ষী ভবন: এটি ড্যাম এর কাছাকাছি। নিজস্ব রেস্তোরাঁ আছে। Booking details ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন।
কোথায় খাবেন: ম্যাসঞ্জর বাস স্ট্যান্ড এবং ড্যাম এর কাছে কিছু সাধারন মানের স্থানীয় গুমটি হোটেল আছে খাবারের জন্য সেগুলোই ভরসা। দাম সাধ্য অনুকূল।
পরিশেষে কিছু কথা:-
1. যারা শুধুমাত্র প্রকৃতি ভালোবাসেন, তাদের কাছে ম্যাসাঞ্জোর খুব ভালো লাগবে।
2. রাত্রিবাসের পরিকল্পনা করার সময় বিলাসিতার চিন্তা ত্যাগ করাই শ্রেয়।
3. জায়গাটি জনবসতি থেকে তুলনামূলক দূরে বলে ডিনার এর ব্যবস্থা কর্মচারীকে (ইয়ুথ হোস্টেল এর ক্ষেত্রে) অনুরোধ করে করিয়ে নিন। নিজস্ব গাড়ি থাকলে অবশ্য ওই গুমটি গুলোতে ডিনার করতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বিকেলের মধ্যে আগাম বলে রাখতে হবে।
4. সূর্যাস্তের পর আর সেরকম ঘুরে বেড়ানোর জায়গা নেই।
5. জায়গাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ, কোনরকম উপদ্রব নেই। জঙ্গল বলে কিছু পোকামাকড় আছে বটে। অতএব নির্দ্বিধায় ঘুরে আসুন।