Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag Emptyভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag

more_horiz
ভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে
Cheap destination Vizag :
৫ /৬ জনের গ্রুপ হল প্রতিজন পিছু খরচ হবে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। (তবে খরচ টা আপনাদের ঘোরার ওপর চেঞ্জ হতে পারে)

[You must be registered and logged in to see this image.]


পুরী যেতে যা খরচ হয়, সেই খরচেই ঘুরে আসুন আরো একটি সুন্দর জায়গা এই ভাইজাগ। পাহাড় ও সমুদ্রের মিলনে এই জায়গা অপূর্ব, বাঙালির কাছে দিঘা পুরীর পর ভাইজাগ হলো আরেকটি বিশেষ প্রিয় ও আকর্ষণীয় জায়গা। আমি একটি ট্যুর প্লান দিলাম, আপনাদের প্রয়োজন মতো প্ল্যানটা একটু পরিবর্তন  করে নেবেন।

Train and Hotel booking:
আপনারা প্রথমেই, মাস চারেক আগে ট্রেনের টিকিট বুক করুন IRCTC এর ওয়েবসাইটে বা Apps থেকে Howrah to Vizag , সঙ্গে আরও একটা ট্রেন টিকিট বুক করতে পারেন Vishakhapatnam থেকে Araku পর্যন্ত Slipper বা AC তে, যদি না APTDCএর ট্যুর প্যাকেজের মাধ্যমে যেতে চান। আর APTDC এর ট্যুর প্যাকেজের মাধ্যমে গেলেও আগেই বুক করে নিতে হবে।

হোটেল বুকিং করতে পারেন Make My Trip Apps থেকে, অথবা বিভিন্ন হোটেল বুকিং ওয়েবসাইটে ইনফরমেশন পেতে পারেন হোটেল সম্বন্ধে । ডিরেক্ট ওখানে পৌঁছেও হোটেল পাবেন। প্রায় পুরীর মতন চারিদিকে হোটেল বিভিন্ন দামের পাবেন। তবে আমার খুব পছন্দের ঋষিকন্ডা বিচ এর ওপরে যেসব হোটেল আছে সেগুলো তে থাকতে পারলে দারুন । এটা বুক করতে গেলে APTDC এর ওয়েবসাইটে গিয়ে বুক করতে হবে।নীচে ওই ওয়েবসাইটের ডিটেইলস দেওয়া হলো আপনাদের জন্যে।






এবারে আসা যাক ট্রিপের ব্যাপারে:
Day 1: যেদিন ভোরবেলা পৌঁছালেন সেদিন একটু রেস্ট নিয়ে চলে যান “সীমাচলাম টেম্পল” Auto  বা ট্যাক্সি নিয়ে । অটো করে গেলে যেখানে অটো নামাবে তার পাশেই পাবেন সরকারি বাস, ফেরার পথে সরকারি বাস পাবেন মন্দিরের বাইরেই। সীমাচালাম টেম্পল ঘুরে আসতে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা লাগবে। সন্ধ্যায় রামকৃষ্ণ বিচে চলে যান এবং সেখানে কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে কাছের দক্ষিনেশ্বরী কালি মন্দির ঘুরে দেখতে পারেন। সময় থাকলে তার পাশেই আছে মাছের একোরিয়াম সেটা দেখতে ভুলবেন না যেন। হ্যাঁ বিচে বসে Sweet Corn ( মিষ্টি ভূট্টা) না খেলে অনেক কিছু মিস করবেন। ঐরকম ভুট্টা এখানে কোথ্থাও পাবেন না।

Day 2:

By train Vizag to Araku, ট্রেন সকাল সাতটায়। নামবেন Borakuvalu station এ, around 10 টার সময়।

তারপর Bora Cave দেখে Araku Vally যাবেন। ট্রেন এ আপনারা খোঁজ করবেন AP Tourisim এর কোনো গাইড আছে কিনা পেয়ে গেলে তাহলে আপনার lucky, না হলে কার বুক করবেন Borakuvalu Rail station থেকে। Bora Cave র কাছে ছোট্ট কিছু হোটেল আছে ওখানেই Lunch করতে হবে না হলে পরে কোনো হোটেল পাবেন না।

তারপর যাবেন কফি গার্ডেন ও একটি Tribal Village দেখবেন। সেখানে আছে একটি ছোট্ট পাহাড়ি ঝর্ণা। সেখানে চিকেন কাবাব বলে Pork (শুওরের মাংস) বিক্রি করে আগেই তাই আমি সাবধান করছি।



এর পর আসবে “ভিউ পয়েন্ট”  যেখানে দাঁড়িয়ে ছবি না তুলে পারবেন না, খুব সুন্দর এই জায়গাটা , ওখানে কফি কিনতে পারেন খুব ভালো তা বলবো না তবে সস্তায় ভালোই পাবেন।

তারপর আসবে Araku মেন টাউন ওখানে Tribal Musium দেখেতে বেশ ঘন্টা খানেক সময় লাগবে। ওখানেই আজকের ট্যুর শেষ তারপর Araku স্টেশনে গিয়ে ট্রেন এ ফিরবেন Vizag,

ট্রেন ছাড়ে বিকাল 5:30 এর কাছাকাছি।ট্রেন এ সেদ্ধ বাদাম পাবেন ও ভাজা বাদাম খোলা সুদ্দু। বিশেষ কিছু খাবার ট্রেন এ নেই কিন্তু।বাচ্চা থাকলে খাবার নিয়ে নেবেন Araku বাজার থেকে,ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত 9 টা বাজবেই। হোটেলে ফোনে রাতের খাবার বুক করতে পারেন অথবা হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানির প্রচুর ভালো রেস্তোরাঁ আছে সেখানে গিয়েও খেতে পারেন।

Aptdc এর প্যাকেজে গেলে খুব ভালো, খরচ একটু বেশি পরে তবে কোনো প্রবলেম হবে না। আগে থেকে বুক করতে না পারলে ওখানে গিয়েও বুক করা যায়। অনেক জায়গাতেই ওই অফিস আছে। সারাদিনের খাবার ওরাই দিয়ে দেবে।

Day 3:

ব্রেএকফাস্ট সেরে একটা auto বা কার নিয়ে প্রথমে যাবেন ঋষিকন্ডা বিচ, সেখান থেকে Kailashgiri হিল, Kailashgiri হিল ওঠতে হবে Roapway করে। সেখানে বিকেল পর্যন্ত কাটিয়ে ট্রয় ট্রেন এ চেপে ঘুরে নেবেন। ফেরার পথে আছে VUDA park ও Submarine , বিকালে হোটেলে ফিরে, সন্ধ্যে বেলায় আবার রামকৃষ্ণ বিচ। Kailashgiri হিল সন্ধ্যা বেলায় আরেকবার যেতে পারলে খুব ভালো হয় , পাহাড় থেকে ভাইজাগ সিটি অপূর্ব এক দৃশ্য, না দেখলে বোঝানো যাবে না।



এই ট্যুর টাও Aptdc এর প্যাকেজে গেলে খুব ভালো, খরচ একটু বেশি পরে তবে কোনো প্রবলেম হবে না। আগে থেকে বুক করতে না পারলে ওখানে গিয়েও বুক করা যায়। অনেক জায়গাতেই ওই অফিস আছে। সারাদিনের ঘোরা খাওয়া সব packager মধ্যে।

Day 4:

সকাল বেলায় 10টা নাগাদ একটা auto করে ফিশিং হারবার যাবেন, সেখানে বোটে করে সমুদ্রে যেতে ও ভাইজ্যাক শহর কে দেখার মজাই আলাদা।



এছারাও আপনি দেখতে পারবেন Submarine Musium. এটি রামকৃষ্ণ বিচ এ অবস্থিত।

সন্ধ্যের সময় ফেরার ট্রেন। এখন ট্রেনের খাবার IRCTC এর বাইরেও খেতে পারেন। আপনি কোন স্টেশন এ কি কি খাবার খেতে চান সেটা বুক করলে আপনার সিটে গিয়ে পৌঁছে দেবে। IRCTC APPs এ বুক করার অপশন আছে। একটা OTP আসবে সেটা বলতে হবে ডেলিভারি বয় কে।



বিশেষ কিছু ইনফরমেশন
ভাইজাগ গিয়ে খাবার জন্যে বাঙালি হোটেল খোঁজার কোনো দরকার নেই, সেখানে খুব ভালো কিছু পাবেন না। যেখানে থাকবেন সেখানেই প্রচুর ভালো ভালো খাবার পাবেন যদিও বেশিরভাগই সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার, আর কিছু কিনতে হলে দুটো জিনিস খুব বিখ্যাত ।

এক: স্টিল এর বাসনপত্র।
দুই: বেকিংবিস্কুট,পারলে অবশ্যই নিয়ে আসবেন।

কোনোরকম প্রবলেম থাকলে AP ট্যুরিজম এর সাথে যোগাযোগ করবেন বা APTDC এর ওয়েবসাইটে যান, সব ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন।

descriptionভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag EmptyRe: ভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag

more_horiz
[You must be registered and logged in to see this link.]

descriptionভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag Emptyবিশাখাপত্তনম ( Visakhapatnam )

more_horiz
বিশাখাপত্তনম ( Visakhapatnam )



ভাইজ্যাক (vizag ) নামটি শুনলেই পাহাড়, সাগর আর নারকেল গাছের কথা মনে পড়ে l ব্রিটিশদের ওয়ালটেয়ার আজকের ভাইজ্যাক (vizag ) বা বিশাখাপত্তনম l বর্তমানে বন্দরনগরী হলেও বেশ কয়েকটি সুন্দর বীচ আর পূর্বঘাট পর্বতমালার রূপ বিশাখাপত্তনমকে করেছে অন্ধ্রপ্রদেশকে অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র l ভারতের প্রথম দশটি পরিচ্ছন্ন শহরের মধ্যে এটি অন্যতম l পূরাণ মতে কার্ত্তিক ঠাকুরের অস্ত্রের নাম অনুসারে এই শহরের নাম l আবার অনেক ইতিহাসবিদের মতে খ্রিস্ট জন্মের পূর্বে রাজা বিশাল বার্মা রাজত্ব করতেন এখানে তাই থেকেই এই শহরের নাম l
বিশাখাপত্তনমের প্রধান আকর্ষণ হল এখানকার অনেকগুলি বিচ বা সমুদ্রসৈকত l শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিচটি হল রামকৃষ্ণ বিচ l সুন্দর করে বাঁধানো সমুদ্রের পাড় আর শহরের প্রাণকেন্দ্রের কাছে হওয়ায় প্রচুর পর্যটকের আনাগোনা লেগেই থাকে সারা বছর l সৈকতের ধারেই আছে বেশ কয়েকটি দ্রষ্টব্য স্থান l এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আই এন এস কুরুসাওয়া সাবমেরিন আর বিশাখা মিউজিয়াম l এটি ভারতের একমাত্র সাবমেরিন মিউজিয়াম l নৌসেনারা কিভাবে সাবমেরিনে দিন কাটায় তা দেখা যায় এই মিউজিয়ামে l সোমবার বন্ধ থাকে এই মিউজিয়াম l এছাড়াও দেখে নিন কালী মন্দির, নবরত্ন মন্দির আর ভুদা পার্ক l তবে বিচের মধ্যে বেশ কিছু ডুবো পাথর থাকায়, এই বিচ স্নানের উপযোগী নয় l রামকৃষ্ণ বীচে মত্স্যদর্শিনী নামের একটি মাছের মিউজিয়াম আছে l বিভিন্ন ধরনের মাছ দেখা যায় এখানে l আছে বিভিন্ন ধরনের কচ্ছপ ও l রামকৃষ্ণ বিচে স্নান ও ধুমপান করা দন্ডনীয় অপরাধ l এক্ষেত্রে পুলিশ গ্রেপ্তার বা জরিমানা করতে পারে l


তবে বিশাখাপত্তনমের সুন্দরতম বিচ হল ঋষিকোন্ডা বিচ l পূর্বঘাট পর্বতের খাঁজে অর্ধচন্দ্রাকৃতি একটি সুন্দর সৈকত হল এই ঋষিকোন্ডা বিচ l স্নানের উপযোগী হওয়ায় এবং মনভোলানো হলুদ বালির এই বিচে বিদেশী পর্যটকদের ভিড় বেশ ভালই থাকে l বিচের ধরে বেশ কিছু ভালো হোটেল ও রিসর্ট রয়েছে l তবে ভাড়া একটু বেশীই l
এই দুটি জনপ্রিয় বিচ ছাড়াও ভাইজ্যাকে (vizag ) রয়েছে দুটি ছোট কিন্তু সুন্দর বিচ l একটি হল ইয়ারাডা l শহর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই নির্জন বিচটি কাজুর জঙ্গল, জেলেদের গ্রাম আর পাহাড় ও সমুদ্রের অপূর্ব মেলবন্ধন আপনাকে মুগ্ধ করবে l পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বিচটি সারাদিন অলস সময় কাটানোর জন্য বেশ উপযুক্ত l


বিচের ধারে রয়েছে একটি সুন্দর পার্ক আর আছে একটি রেস্টুরেন্ট l তবে সমুদ্র গভীর হওয়ায় এখানে বেশী দূরে নেমে স্নান না করাই ভালো l অতীতের বহু মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী এই বিচ l নারকেল গাছের ছাওয়ায় এই নির্জন বিচ সমুদ্রেদ সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে নেওয়ার বিচ l ইয়ারাডা বিচে রাত্রিবাস করার কোনো হোটেল নেই কারণ এই বিচটি নৌবাহিনীর এলাকার মধ্যে পড়ে l প্রবেশ মূল্য দিয়ে এই বিচে প্রবেশ করতে হয় l প্লাস্টিক বা অন্যকিছু যত্রতত্র ফেলা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ l সাবধান থাকবেন আর প্রয়োজনে শুকনো খাবার ও জলের বোতল সঙ্গে রাখতে পারেন l
এছাড়াও কৈলাসগিরি পাহাড় যাওয়ার পথে ছোট লাওসন বে বিচটি দেখে নিতে পারেন l
বিশাখাপত্তনম (vizag ) গেলে শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে সিমলাচল l পাহাড়ের মধ্যে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত নৃসিংহ দেবতার মন্দিরটি দেখতে ভুলবেন না l বিষ্ণুর দশ অবতারের মধ্যে একটি হল এই নৃসিংহ অবতার l পুরান মতে ভক্ত প্রহ্লাদ এই মন্দির নির্মান করেন l মন্দিরের কারুকার্য বেশ সুন্দর আর মন্দিরটি দক্ষিণ ভারতের শিল্পরীতিতে নির্মিত l মন্দিরের প্রধান দেবতা বিষ্ণুর সারা দেহ চন্দনের পুরু আবরনে ঢাকা থাকে বছরভর l বছরে মাত্র একবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ১২ ঘন্টার জন্য আসল বিষ্ণুর মূর্তি দেখার সুযোগ পান ভক্তবৃন্দরা l দেওয়ালের গায়ে খোদাই করা নরসিংহের মূর্তি l পুরানে বিষ্ণু কিভাবে নরসিংহের রূপ ধারণ করে হিরন্যকশিপুকে বধ করেছিলেন তার বর্ণনা রয়েছে দেওয়ালের কারুকার্যে l মনে রাখবেন দুপুর 2 টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে এই মন্দির l মন্দিরে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশ ভালো হওয়ায় ভিড় সবসময় লেগেই থাকে l মন্দিরের ভিতর ছবি তোলা নিষেধ l
বিশাখাপত্তনমের অন্যতম আকর্ষণ হল কৈলাশগিরি পাহাড় l শহর থেকে নিদির্ষ্ট বাসে করে পৌঁছনো যায় কৈলাশগিরি পাহাড়ের মাথায় l পাহাড়ের উপর থেকে বঙ্গোপসাগরের দৃশ্য অসাধারণ বললে কমই বলা হবে l পাহাড়ের মাথায় রয়েছে সুন্দর পার্ক, সুন্দর করে সাজানো বাগান আর এর মাঝে শিব-দূর্গার মূর্তি l বাচ্চাদের জন্য রয়েছে টয়ট্রেন l রোপওয়ে করে শহর ও সৈকতের অপূর্ব শোভা দেখতে দেখতে নেমে আসতে পারেন ভুদা পার্কে l পাহাড়ের মাথায় বিশাল শিব-দূর্গার সাদা রঙের মূর্তিটি অসাধারণ l এই পাহাড় থেকে ডলফিন নোজটি দেখা যায় খুব সুন্দর ভাবে l
বিশাখাপত্তনম শহর থেকে 30 কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলাজের প্রেক্ষাপটে অর্ধচন্দ্রাকার ভিমলী বীচটিও বেশ সুন্দর l কিন্তু সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে ট্যুরিস্টরা এই বীচে বেশী যায় না l এখানে মহাভারতের চরিত্রের বেশ কয়েকটি মূর্তি আছে l শহর থেকে ভিমলী বীচ যাওয়ার রাস্তাটিও বেশ সুন্দর l
বিশাখাপত্তমনে আছে বেশ কিছু বৌদ্ধস্তুপ l এর মধ্যে বেশীরভাগই খুব সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে l সম্রাট অশোকের হাত ধরেই এখানেবৌদ্ধ ধর্মের বিস্তার l
ভাইজ্যাকের (vizag ) অন্যতম আকর্ষণ ফিশিং হারবার l এখান থেকেই জাহাজে করে মাছ ও সি-ফুড বিদেশে রপ্তানি করা হয় l বিভিন্ন রংএর জাহাজের সঙ্গে নীল্ আকাশ আর নীল জলের কম্বিনেশন অপূর্ব l হারবারের দিকে যত এগোবেন দুপাশে চোখে পর্বে মাছ শুকনোর ছবি l এই হারবার থেকে টিকিট কেটে লঞ্চে করে বঙ্গোপসাগরের বুকে পাড়ি দিতে পারেন l
জরুরী তথ্য়

হাওড়া, সাঁতরাগাছি ও শালিমার স্টেশন থেকে বিশাখাপত্তনম যাবার প্রচুর ট্রেন রয়েছে l চেন্নাই ও হায়দ্রাবাদ গামী প্রায় সব ট্রেনই যায় বিশাখাপত্তনম হয়ে l প্রধান প্রধান কয়েকটি ট্রেন হল – ফলকনামা এক্সপ্রেস, চেন্নাই মেল, যশবন্তপুর এসপ্রেস, করমন্ডল এক্সপ্রেস প্রভৃতি l সময় লাগে ১৩ – ১৬ ঘন্টার মত l বিশাখাপত্তনমে একটি বিমান বন্দর রয়েছে l ভাইজ্যাক (vizag ) যাওয়ার টানা টিকিট না পেলে ভুবনেশ্বর থেকে ব্রেক জার্নি করেও আসতে পারেন I ধৌলি,জনশতাব্দী বা পুরি শতাব্দী ধরে চলে আসুন ভুবনেশ্বর I পরের দিন সকালে সাড়ে ৫ টার প্রশান্তি এক্সপ্রেসে বা ইন্টার সিটি এক্সপ্রেসে দুপুরে পৌছে যান ভাইজ্যাক (vizag ) I

[You must be registered and logged in to see this link.] Click in The LINK


[You must be registered and logged in to see this link.]– Click in The LINK

বিশাখাপত্তানাম শহরের মধ্যে বা রামকৃষ্ণ বিচের ধারে বিভিন্ন মানের ও দামের ও লজ রয়েছে I একদম পিক যিজন (দূর্গাপূজা বা বড়দিনের এক সপ্তাহ)ছাড়া ঘর পেতে সমস্যা হয় না I তবে পরিবার নিয়ে নিঝঞ্জাটে ভ্রমণ করতে হলে ঘর আগে থেকে বুক করে যান l সিজন অনুযায়ী ভাড়ার তারতম্য হতে পারে l Trivago, Make My Trip, Goibibo, Tripadvisor থেকে হোটেল বুক করে যেতে পারেন l
vizag ম্যাপ

বেড়ানোর সময় :-

বিশাখাপত্তনম বেড়ানোর আদর্শ সময় হল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস l এই সময় এখানকার আবহাওয়া থাকে অত্যন্ত মনোরম l এছাড়া এই সময় বৃষ্টি, নিম্নচাপ সৃষ্টিকারী হ্যারিকেন বা ভ্যাপসা গরমের কোনো সম্ভাবনা থাকে না l

descriptionভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag EmptyRe: ভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag

more_horiz
ভাইজ্যাক বলতেই ভেসে ওঠে পাহাড়, সাগর আর নারকেল গাছের সমন্বয়। ব্রিটিশ আমলের ওয়ালটেয়ারই আজকের ভাইজ্যাক। সন্ধ্যা ৭টার সাঁতরাগাছি চেন্নাই সুপার ফাস্ট ট্রেন ধরে রওনা দিয়ে, পরদিন যথাসময়ে ভাইজ্যাকে নেমে একটা ওলা নিয়ে পৌঁছে যাই হোটেলে। একটা লক্ষ্যনীয় বিষয় এখানকার বাড়িগুলোর সিঁড়ি বাড়ির বাইরে দিয়ে।
প্রথম দিনে আমাদের দেখার ছিল ইন্দিরা গান্ধী জুওলজিকাল গার্ডেন, রুশিকোন্ডা বিচ ও কৈলাশগিরি। চটজলদি ফ্রেশ হয়ে একটা ওলা নিয়ে পৌঁছে গেলাম ইন্দিরা গান্ধী জুওলজিকাল গার্ডেন। কাউন্টার সংলগ্ন বাউন্ডারিটা খুব সুন্দর সাজানো। ভিতর থেকে একটা টোটো নিয়ে পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা হল। ৬২৫ একর এলাকায় নয় নয় করে অনেক প্রাণী সংরক্ষিত আছে যেমন হরিন, হাতি,বাঘ, শিম্পাঞ্জি, জিরাফ , ময়ূর,বাইসন,কচ্ছপ। এদিকে আকাশেও কালো মেঘ জড়ো হচ্ছিল। আশ্চর্যের বিষয় সাপগুলো কোনো কাঁচে ঘেরা নেই, একেবারে গাছে খোলা অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এরপর অটো নিয়ে পৌঁছে গেলাম রুশিকোন্ডা বিচ। ভাইজ্যাকের বিচ গুলোর মধ্যে পূর্বঘাট পর্বতের খাঁজে অর্ধচন্দ্রাকৃতি ভাবে অবস্থিত রুশিকোন্ডা হল সবচেয়ে আকর্ষণীয়,যেমন তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তেমনি তার পরিচ্ছন্নতা। দিগন্ত প্রসারিত শান্ত সমুদ্র,স্বচ্ছ কাঁচের মত জল,একদিকে সবুজে মোড়া পাহাড় ও টিলার সহাবস্থান প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে রুশিকোন্ডা এককথায় অসাধারণ । স্নানোপযুক্ত হওয়ায় এবং মনোরম হলুদ বালির এই বিচ বিদেশী পর্যটকদের খুব প্রিয়(বাথরুমের ব্যবস্থা রয়েছে)। নানারকম ওয়াটার স্পোর্টসও রয়েছে। সূর্যাস্তের পর একটা ডাব নিয়ে শুধুমাত্র সমুদ্র ও তার হালকা ঢেউ দেখতে দেখতে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া যায়। এরপর অটো নিয়ে রওনা দিলাম কৈলাস গিরি।
অটো থেকে নেমে দেখলাম প্রায় ৫/৬ তলা বাড়ির সমান সিঁড়ি উঠে রোপওয়ে কাউন্টার। তাই ঐ সিঁড়ি না ভেঙে একটা অটো নিয়ে হিলটপে পৌঁছে যাই। কথা হলো ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে তারপর নামিয়ে আনবে। সমুদ্র তল থেকে ৫৬৮ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই স্থানটি আসলে একটা পার্ক। পুরো বিশাখাপত্তনম শহরটা পাখির চোখে ধরা পড়ে। সমগ্র এলাকা পায়ে হাঁটার বদলে চড়ে বসলাম ট্রয় ট্রেনে। ঝকঝকে তকতকে পরিস্কার ট্রেনটির লাইন পাতা গোলাকারে। তাই পুরো শহরটার সাথে সাথে পার্কের ও ভ্রমণ হয়ে গেলো। পার্কের মধ্যে শিব পার্বতির বিশাল মূর্তি রয়েছে। এর পর সোজা ফিরলাম হোটেলে। সন্ধেবেলা শ্রী সাই রাম পার্লার নামের স্থানীয় রেস্টুরেন্টে লোকাল খাবার খেয়ে দেখার মতন।
পরদিন সকালে একটা ওলা নিয়ে পৌঁছে গেলাম শিমাচলম পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত শিমাচলম মন্দির। মন্দিরে ব্যাগ, মোবাইল নিষিদ্ধ। অন্যান্য মন্দিরের মত এখানেও টিকিটের ব্যবস্থা আছে। দক্ষিণ ভারতের শিল্পরীতিতে নির্মিত এয়োদশ শতকের এই মন্দির (পুরান মতে ) ভক্ত প্রহ্লাদ নির্মিত, মূলত বিষ্ণু পূজিত হন বরাহ নৃসিংহ রূপে। বিষ্ণুর সারা দেহ চন্দনে আবৃত থাকে সারা বছর, শুধু মাত্র অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ১২ ঘন্টার জন্য আসল রূপ দেখা যায়। পুরানে বিষ্ণু কিভাবে নরসিংহের রূপ ধারণ করে হিরন্যকশ্যপকে বধ করেছিলেন তার বর্ণনা রয়েছে দেওয়ালের কারুকার্যে। আমরা জন প্রতি ১০০ টাকার টিকিট কেটে একেবারে ফাঁকা রাস্তা দিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করলাম। বিগ্রহকে আরও সামনে থেকে দেখার জন্য ৫০০টাকা অতিরিক্ত । বাইরে থেকে প্রসাদ খেয়ে মন্দির থেকে বেরিয়ে এলাম।
এবার রওনা হলাম ইয়ারাডা বিচের উদ্দেশ্যে, পোর্ট রোড ধরে গাড়ি এগিয়ে চলল । পথে মধ্যে নৌ সেনার বেশ কিছু ভবন, নেভি কলোনি চোখে পড়ল। বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম তীরে, শহরের কোলাহল থেকে মুক্ত ৩২কিমি দূরের এই বিচ মূলত তিন দিক পাহাড় দিয়ে ঘেরা। তবে সমুদ্র সৈকত ও সারিবদ্ধ নারকেল গাছের‌ সৌন্দর্য অপূর্ব। শান্ত সমুদ্রের ঢেউ আছরে পড়ছে বেলাভূমিতে। তবে এই বিচের গভীরতা অনেক বেশি এবং খুবই গড়ান, তাই জলে নামা, সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ। হাঁটতে হাঁটতে ও বেলাভূমিতে বসে বালি নিয়ে খেলতে খেলতেই চোখে পড়লো লাল কাঁকড়া, মানুষের পদধ্বনি শোনা মাত্র গর্তে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে । সুদৃশ্য বিচের সাথে পাল্লা দিচ্ছে দক্ষিণ ভারতের রোদ। ঘড়ির কাঁটার সাথে তাল মিলিয়ে আমাদেরও ফিরে আসতে হলো।
এবার গন্তব্য ফিসিং হারবার। ইয়ারাডা বিচ থেকে ভাইজ্যাকের ফিসিং হারবারের দূরত্ব ছিল ২২ কিমি, ঘন্টা খানেকের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম। ঢোকবার পথেই চোখে পড়ল ফাঁকা বন্দরে বড় বড় কন্টেনার। একটু এগোতেই টের পেলাম সুটকি মাছের উগ্র গন্ধ। জানলার কাঁচ তুলে দেওয়ায় কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছিলাম। কিছু ছোটো বড়ো জাহাজ বাঁধা আছে আর কিছু জাহাজ নোঙর ফেলার তোরজোড় করছে। এখান থেকেই প্যাকেট বন্দি হয়ে ড্রাই ফিস বিদেশে রপ্তানি হয়। রাস্তার দুপাশে শুধু ছড়ানো আছে মাছ, কোনো ঢাকা পর্যন্ত নেই। তারই পাশে কাক কুকুর সবই ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই এলাকায় প্রচুর দক্ষিণী সিনেমার শ্যুটিং হয়। তারপর আমাদের গাড়ি আর,কে,বিচে এসে আমাদের নামিয়ে দিয়ে বিদায় নিলো।
রুশিকোন্ডা ও ইয়ারাডা বিচ দেখার পর আর,কে বিচ সেভাবে মন টানেনি। এই বিচ অনেক অপরিস্কার , বড় বেশি জনসমাগম। পুরী বিচের থেকে আলাদা কিছু মনে হয়নি। যদিও শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় খুব জনপ্রিয় এবং এই বিচকে কেন্দ্র করে প্রচুর হোটেল ও জনবসতিও গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন দামের হোটেল এই এলাকায় রয়েছে । বিচে পৌঁছানোর সাথে সাথেই টিপ টাপ বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় বেশি ক্ষন থাকা হয়নি।
ছাতার তলায় মাথা বাঁচিয়ে পৌঁছালাম বিচের ঠিক উল্টো দিকে এয়ার ক্রাফট মিউজিয়ামে। টিকিট কেটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সকলকে ১টাকার বিনিময়ে একটি করে মোবাইল ফোন ও হেডফোন দিয়ে দিলো এবং কিভাবে তা ব্যবহার করতে হবে বলে দিলো। এই মিউজিয়ামে যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র শস্ত্র ও বিভিন্ন ধরনের জিনিস সুসজ্জিত আছে ,এরোপ্লেনের টায়ার থেকে শুরু করে প্যারাশুট সবেরই বর্ননা রয়েছে। একটা যুদ্ধ বিমানও রয়েছে যার সাথে সাধারণ বিমানের বিস্তর ফারাক।
এরপর গন্তব্য নৌ বাহিনীর বিশাখা মিউজিয়াম। পুরোনো ভাইজ্যাক শহরের অনেক ইতিহাস সংরক্ষিত আছে। এক সময়ের ভগ্ন ডাচ ভবন ছিলো এটি, পরে সংস্কার করে মিউজিয়াম হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা ও যুদ্ধের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত নৌবহরের মডেল ও তার বিবরণ, বিভিন্ন দেশের দেওয়া উপঢৌকন, বিজয়নগর ও বব্বিলি রাজাদের সাজ সরঞ্জাম, যুদ্ধাস্ত্র, গ্রিক ও ভাইকিংদের শিরোস্ত্রান,তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, পুঁথি এবং আরো অনেক কিছু সংরক্ষিত আছে ।
এরপর গেলাম আই এন এস কুরুসাওয়া, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সাবমেরিন মিউজিয়ামে। লোহার সিঁড়ি বেয়ে ভিতরে ঢুকতেই ,এক গাইড জাহাজ সম্পর্কে দুকথা বললেন । এই জাহাজ যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৬৯ সালের ১৮ই ডিসেম্বর, আর শেষ করে ২০০১ সালের ২৭শে ফ্রেবুয়ারি। দীর্ঘ ৩১ বছর সার্ভিস দেওয়ার পর জাহাজটিকে তুলে এনে জনসমক্ষে প্রদর্শন করার জন্য প্রস্তুত করা হয় । ১৯৭১ সালে ইন্দো পাকিস্তান যুদ্ধে এই জাহাজের অংশ নেয়। ২০০২ সালের অগাস্টে এটি সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় । দুদিকে ২ ফুটের কেবিন রয়েছে আর মাঝখান দিয়ে সরু প্যাসেজ । এক জন মানুষই সেখানে থাকতে পারে এই কেবিনে দেখতে দেখতে ভাবছিলাম কত কষ্ট করে নৌসেনারা মাসের পর মাস কাটায় । চারিদিকে অসংখ্য মেশিন, তার মধ্যেই টেবিল চেয়ার, দূরবিন দিয়ে পর্যবেক্ষণ রুম, ডাইনিং রুম , রান্না ঘর , বাথরুম সবই রয়েছে । আমাদের ঐ জায়গায় সামান্য হলেও অক্সিজেনের অভাব বোধ হচ্ছিল , তাহলে ভেবে দেখুন যারা থাকে তারা কতটা কষ্ট করে থাকে।
এক প্রকার কাক ভেজা হয়ে অটো ধরে হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । সেদিন সঠিক সময়ে দুপুরের খাওয়া হয়নি । তাই হোটেলে গিয়ে বিকেল পেট ভরে খেলাম।

descriptionভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag Emptyভাইজাগ

more_horiz
#vizag_tour


১২ তারিখ ভোর ৫টায় ভাইজাগ পৌঁছলাম। স্টেশন থেকে অটো ধরে সোজা যাত্রীনিবাস, চেক-ইন টাইম ১০টায়, তাই রিসেপশনে লাগেজ রেখে আবার অটো ধরে রামকৃষ্ণ বিচে চললাম। আগেই লিখেছি রামকৃষ্ণ বিচ থেকে হোটেল খানিকটা দূরে, কৈলাশগিরির কাছে, যাওয়া-আসায় অটোই ভরসা। ভাড়া জনপ্রতি ১৫/- থেকে ৩০/-, দিনের বিভিন্ন সময় অনুযায়ী, দরদাম করে নেবেন।
সমুদ্রতট সত্যিই সুন্দর ও ভীষণ পরিষ্কার, বিচ রোড ধরে প্রচুর মানুষ মর্নিংওয়াক করছেন। সুন্দর সময় কেটে যাবে।
হোটেল থেকে হাঁটাপথে কৈলাশগিরি। সেইদিন বিকেলে রোপওয়ে চড়ে উঠলাম পাহাড়ে, অসাধারণ অভিজ্ঞতা_রোপওয়েতে যাওয়া আসা মিলিয়ে ১০০/-। পাহাড়ে উঠে কৈলাশগিরি পার্কটাও অসাধারণ, ওখানে দিব্যি একটা সন্ধ্যে কাটিয়ে দেওয়া যায়, রোপওয়ে ছাড়াও আছে টয়ট্রেন, টয়ট্রেনে সেদিন না ঘুরে পরে aptdc tour এর সময় ঘুরেছি । এরপর চললাম মৎস্যদর্শিনী মিউজিয়াম, RK beach এর কাছেই। রাস্তায় submarine museum/aircraft museum /vuda park পরে। মৎস্যদর্শিনীতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সমাহার দেখতে ভালই লাগবে ।
১৩/১১/২০১৮
আজকের গন্তব্য আরাকু। ট্রেন_ বাস ইত্যাদি নিয়ে আমরাও প্রবল দোলাচলে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত কিরন্ডুল এক্সপ্রেসই ঠিক হল। অনেক আগে থেকে টিকিট কাটা সত্ত্বেও ৫জনের মধ্যে ১জনের টিকিট কনফার্ম হয়েছিল (ভাড়া৪৫/-), তাই সবাই মিলে জেনারেলেই উঠেছিলাম। ভিড় ছিল না ভালভাবেই বসতে পেয়েছি। বোরাগুহালু স্টেশনের কাছেই বোরা গুহা, যাওয়ার পথে ব্যাম্বু চিকেন অর্ডার দিয়ে গিয়েছিলাম, ফিরে খাওয়া হয়েছিল। বোরা স্টেশনের সামনে থেকেই আরাকু ট্রিপের গাড়ি বুক করা হয়, ৫জন ছিলাম বলে বড় গাড়ি নিতে হয়, ছোটো গাড়িতে ৪জন পর্যন্ত ধরে। ৬টা স্পট (অনন্তগিরি ফলস্, গালিকোন্ডা ভিউপয়েন্ট, কফি প্ল্যানটেশন, ট্রাইবাল মিউজিয়াম, পদ্মপূরম গার্ডেন) ৩০০০/- রফা হয়। ওই গাড়িতেই ফিরতে পারেন ভাইজাগ, আমরা বাস এ ফিরেছিলাম।
আরাকু নিয়ে কিছু কথাঃ
* aptdc এর ট্রেন + বাস প্যাকেজ বন্ধ হয়ে গেছে।
* শুধু বাস এ সারাদিনের ট্যুর করতে পারেন, বিস্তারিত aptdc এর ওয়েবসাইটে পাবেন।
* বোরা কেভ অসাধারণ, অনেকটা সময় নিয়ে দেখলে বেশি ভাল। তবে বয়স্কদের সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা বেশ কষ্টকর।
* বাকি অন্য কোনো স্পটই ভাল লাগেনি। ট্রাইবাল মিউজিয়াম এ ৪০/- এন্ট্রি ফি দিয়ে ঢোকা বেকার।
* ট্রেন জার্নি নিয়ে প্রচুর হাইপ থাকলে ও দারুণ কিছু মনে হয়নি, টানেল গুলি শুরু তে ভাল লাগলেও পরের দিকে একঘেয়ে লাগতে শুরু করে। যাওয়ার রাস্তাও যে কোনো হিল স্টেশনের মতোই।
* অনেকেই আরাকুতে এক রাত থাকার কথা ভাবেন, আমরাও তাই ভেবেছিলাম প্রথমে, কিন্তু আরাকু হিল স্টেশন হিসাবেও খুব উন্নত নয়, থাকার মত কিছুই নয়, in fact আরাকু টুরের পর মনে হয়েছিল শুধুমাত্র বোরা কেভস দেখেই কেউ চাইলে ফিরে আসতে পারে, অত পয়সা ও সময় খরচ করে আরাকু ঘোরার আমরা অন্তত তেমন কারণ খুঁজে পাইনি।
* যেটা বলছিলাম, ট্রেন জার্নিটা না করলে বিশাল কিছু মিস করবেন এমনটা একদম ই নয়। তাই নিশ্চিন্তে aptdc র bus journey online book করে নিতে পারেন।

১৪/১১/২০১৮
পরের দিন হল ভাইজাগ local sight seeing, যার জন্যে আগে থেকে aptdc bus tour online book করে রেখেছিলাম। সকাল ৯ টায় RTO complex থেকে বাস ছাড়ে। বেশ ভাল আরামদায়ক বাস, সঙ্গে গাইড। NON AC Bus এর খরচ 534/- per head আর AC bus এর খরচ per head 675/- ।
এই টুরে যা যা দেখায় ঃ
* Simachalam temple
* Thotlakonda buddhist stupa
* Kailasgiri park
* Rushikonda beach
* Visakha Museum
* Submarine museum
* Aircraft museum
* Lighthouse
( Aircraft museum বাদে সব জায়গার entry fee aptdc দেয়)

এই টুরে যা যা দেখায় না ঃ
* Vuda park
* Central park
* Matsyadarshini
* Vizag zoo
* Ramanaidu film studio
* Bheemunipattanam/bheemli beach
* Fishing harbour বাইরে থেকে দেখালেও ভেতরে নিয়ে যায় না
* Yarada seabeach - এটির যাতায়াতের পথ সম্ভবত বেশ দুর্গম, শুধু অটো আর প্রাইভেট গাড়ি যায়, যেতে আসতে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা, অটোয় ১২০০/- চাইছিল, আমরা যাইনি, কিন্তু শুনেছি খুব সুন্দর।

দুপুরের লাঞ্চ এর ব্যবস্থা করে aptdc , rushikonda beach resort এ, সাউথ ইন্ডিয়ান ভেজ লাঞ্চ কিন্তু কোয়ালিটি বেশ ভাল।
এই টুর শেষ হয় বিকেল পাঁচটায়।
টুর শেষে RK beach এর কাছে handicraft market এ গিয়ে কিছু কেনাকাটা করে যাত্রিনিবাসে ফিরে গেলাম।

১৫/১১/২০১৮
পর দিন যাত্রিনিবাসে চেক আউট করে সকাল ১০ টার মধ্যে অটোয় চেপে রুচিকন্ডা বিচ রিসর্টে চলে গেলাম। অটো ভাড়া ২০০-২৫০/-।
বিচ রিসর্টের ব্যাপারে আগের পর্বে বলেছি। অসাধারণ ভিউ আর মেনটেনেন্স। রেস্টুরেন্ট ও বেশ ভাল।
সেইদিনটা সমুদ্রস্নান ও নিখাদ বিশ্রামের মধ্যে কাটালাম।
চাইলে এই রিসর্টে থাকাকালীন bheemli beach আর ramanaidu film studio দেখে নিতে পারেন, যদিও আমাদের সময়ের অভাবে দেখে ওঠা হয়নি।

১৬/১১/২০১৮
পর দিন সকালে রেস্টুরেন্টের কম্পলিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট সেরে চেক আউট করে বিচে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ভাইজাগ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। অটো ভাড়া রিসর্ট থেকে স্টেশন ৩০০-৩৫০/-। দুপুর ১ টায় ট্রেন ছিল , কিন্তু ট্রেন লেট করে প্রায় ৩ টের সময়ে এল। মধ্যিখানে স্টেশনের irctc janaahar এ লাঞ্চ সারলাম, হাওড়া/শিয়ালদার irctc/janaahar canteen এর থেকে অনেক বেশি পরিষ্কার ও তুলনামূলকভাবে reasonable দামে বেশি ভাল খাওয়ার।
পর দিন সকাল ৬ টায় ট্রেন হাওড়ায় ঢুকল। ওলা বুক করে বাড়ি ফিরলাম, এক অনন্যসাধারণ শহরের তাজা স্মৃতি নিয়ে , আবার ভাইজাগ ভ্রমণের বাসনা নিয়ে।

(একটি আবেদনঃ
যে কোনো জায়গায় ঘুরতে গেলে প্লাস্টিক যত সম্ভব কম ব্যবহার করবেন, প্লাস্টিক বা কাগজের র‍্যাপার / আবর্জনা দয়া করে রাস্তা ঘাটে ফেলবেন না।)

Important Ph nos :
* aptdc helpline: 18004254545
* yatrinibas: 8912562333/9705173100
* rushikonda beach resort: 8912793973/ 9705173600

descriptionভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag EmptyRe: ভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag

more_horiz
#vaizag_tour

ঘুরে এলাম ভাইজাগ থেকে। আমি কেবল কিছু বিষয় শেয়ার করতে চাই।
স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অন্যতম হল ভাইজাগ। চওড়া ৪লেন এর রাস্তা বড় ফুটপাথ, সোলার ল্যাম্পপোস্ট সবমিলিয়ে খুব সুন্দর। বিচগুলি সব সময় পরিষ্কার করা হচ্ছে। রামকৃষ্ণ বিচের ধারে ব্যায়ামের যন্ত্রও রয়েছে, দেখে মন ভাল হয়ে যাবে।
থাকা_
মোট ৫ দিনের মধ্যে আমরা প্রথম তিনদিন ছিলাম. APTDC এর যাত্রীনিবাসে। বেশ বড় ঘর এবং অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। বাথরুম ও যথেষ্ট বড়, পরিষ্কার
(wbtdc/wbfdc এবং otdc র ঘরেতে থাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, aptdc এদের থেকে অনেকটাই ভাল)। অসুবিধার জায়গা হল, রামকৃষ্ণ বিচ থেকে এটা খানিকটা দূরে ( exact location _Appughar), ফলে যাওয়া _ আসার জন্য অটো ধরতে হবে।
চতুর্থ দিনে গিয়েছিলাম রুষিকোন্ডা বিচ রিসর্টে।
নামে বিচ রিসর্ট হলেও এটি আসলে সমুদ্রের ধার ঘেঁসে টিলার ওপর। এক কথায় অসাধারণ। 'এক্সিকিউটিভ ' রুম গুলির সামনের প্রশস্ত বারান্দা থেকে সমুদ্র এবং পাহাড়ের দৃশ্য মুগ্ধ করে রাখবে।
বিচে যাওয়ার জন্য(নির্দিষ্ট সময়ে) ফ্রিতে ব্যাটারি গাড়ির ব্যবস্থা আছে।
স্টান্ডার্ড আর ডিলাক্স রুমগুলি মেন বিল্ডিং থেকে খানিক দূরে কিন্তু ওখান থেকেও সমুদ্র দেখা যায়।
ইন্টারনেটে aptdc সাইট থেকে বুকিং করেছিলাম। বুকিং সংক্রান্ত ব্যাপারে ফোন করে নিতে পারেন, ওখানে দেওয়া নম্বরে।
খাওয়া-দাওয়া_
দক্ষিণ ভারতের যে কোনো জায়গার মতোই এখানেও খাওয়ারের বৈচিত্র্য খুব কম। কলকাতা বা পুরীর মতো সস্তায় সবরকমের খাওয়ার রাস্তায় যত্রতত্র মেলে না। এমনকি বাঙালির প্রিয় চা নির্দিষ্ট কিছু দোকান ছাড়া পাওয়া যাবে না। ১০ টাকায় জিঞ্জার টি খুব ভাল লাগেছিল। যদিও, ওপরে যে দুটি থাকার জায়গার কথা বললাম সেগুলিতে লাঞ্চ ও ডিনারে সাউথ ইন্ডিয়ান ছাড়া নর্থ ইন্ডিয়ান ও চাইনিজ খাওয়ার ও পাওয়া যায়, দাম খুব বেশি নয়, রান্না ভাল, অবশ্য কম্পলিমেন্টারি ব্রেকফাস্টে শুধুই সাউথ ইন্ডিয়ান, যদিও কোয়ালিটি খুব ই ভাল। রামকৃষ্ণ বিচে বাঙালি খাওয়ার হোটেল আছে।
বোরা কেভ এ যাওয়ার সময় অর্ডার দিয়ে যাবেন ব্যাম্বু চিকেন। ফিরে এসে দেখবেন রেডি। বেশ ভাল খেতে, ৫০০ গ্রাম ২৫০/-। এছাড়া যাত্রীনিবাসের পাশের গলিতে এবং অনন্তগিরি ওয়াটার ফলসের ধারে ১০/- থেকে ২০/- তে চিকেন শিক কাবাব খেয়েছি মনের আনন্দে। ডাব ২০/- খুব মিষ্টি জল।
রুষিকোন্ডার ভুট্টাও খুব ভাল খেতে।

descriptionভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag EmptyRe: ভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag

more_horiz
বাসে করে ভাইজাগের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন --
রেল স্টেশনের 1 নং গেট থেকে 6A ধরে Simhachalam পাহাড়ের নিচে, সেখান থেকে জিজ্ঞেস করে নেবেন, পাশের বাস টাই যায় সাধারণত (6A/H) ধরে পাহাড়ের ওপরে। Return এর সময় 6H ধরে Simhachalam থেকে সরাসরি স্টেশন এর 4নং গেটে (1নং এর উল্টো দিকে) নামাবে।

স্টেশন থেকে R K BEACH যাওয়ার ফেরার জন্য 10K, 28H. এগুলো না পেলে যেকোনো বাস ধরে RTC BUS STAND চলে যাবেন, ওখান থেকে 28K, 28Z, আরো অন্যান্য পাবেন।

Rushikonda যাওয়ার ফেরার জন্য RTC থেকে 900K যায় (এই টা একটু ডাউট আছে, জেনে নেবেন বাস ড্রাইভার রা বলে দেন)।

আপনার গাড়ি ভাড়ার খরচ অর্ধেক হয়ে যাবে।

descriptionভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag EmptyRe: ভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag

more_horiz
ভাইজাগ RTC থেকে 900 নম্বর বাসে হাইওয়ে ধরে চলে যান ভিমুনিপত্তনম বা ভিমলি বিচ, কিছুক্ষন ঘুরে নিয়ে সি বিচ রোড ধরে আসা RTC র বাসে নামুন রুষিকোন্ডা বিচ, সেখানে লাঞ্চ করে ঘুরে বেরিয়ে আবার চলে আসুন কৈলাসাগিরি বাস স্টপে, সেখানে বাস চেঞ্জ করে পৌঁছন কৈলাসাগিরি| সন্ধের পর বাসে করে RTC ফিরে হোটেল| পরদিন RTC থেকে 28 নম্বর বাসে সিমহাচলম| দর্শনের পর back to RTC| লাঞ্চ করে বিকালে 28 নম্বর বাস ধরে রামকৃষ্ণ বিচ| পরের দিন কিরন্ডুল প্যাসেঞ্জারে বোরাকেভস, সেখানে ঘোরার পর লাঞ্চ করে শেয়ার জিপে আরাকু| মিউজিয়াম আর ভ্যালি দেখার পর বাস স্ট্যান্ড থেকে সুপারে বা এক্সপ্রসে RTC | এখন লাইট হাউস বন্ধ শুনেছি| না হলে 400 বাসে RTC থেকে নিউকলনি (সিন্ধিয়ার পরের স্টপ) হয়ে বাস চেঞ্জ করে ইয়ারাডা হিল্স স্টপেজে নেমে লাইটহাউজ |

descriptionভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag EmptyRe: ভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag

more_horiz

#Kom khoroche Vizag & Araku Tour#
Amra onekei erokom achi jara ghurte bhalo basi kintu budget sob somoy pocket friendly na howay ghorata hoy othena, aaj ami apnader sathe akta pocket friendly tour plan share korbo Somudro Pahar miliye oporup sundor jayga “Vizag & Araku”
Eta 3 night 4 days er akta tour, train a Jodi jaan Coromandal Express best karon time ta onnyo train er time er theke kom laage. Jai hok chesta korben train ta afternoon er dike dhorte jate porer din bhor bela Visakhapatnam neme jete paren.
Beach side hotel nile Ramkrishna beach er kache hotel nin.. ektu bhitor dike AC 1800/- to 2000/- non AC 1000/- to 1300 er moddhe peye jaben, r Jodi ektu cheap rate a nite chan then “RTC Complex” er kache hotel nin.. okhan theke Vizag er sob jayga ghorar local transport paben. Okhan theke R.K. Beach 10 mnts by Bus
Day 1:
· R.K. Beach :Early morning hotel a check in kore fresh hoy beriye porun Ramakrishna Beach a daroon laagbe . (10K, 28C, 28J, 28P, 328, 60R je kono akta bus dhorben RTC Complex theke) sokale beach er hawa r sathe ak cup coffee daroon laagbe.
· Kailashgiri : Beach a breakfast kore okhan theke Kailashgiri by bus. Kailashgiri neme siri diye kichuta uthe Ropeway ticket counter, ropeway kore opore uthe kichuta hetei sei bishal Statue Lord Shiva r Goddess Parvati dorshon korte parben r okhane Toy train a oshadharon scenic beauty nite bhulben na .. r oti obossoi kichu candid photo neben jegulo sriti hoy thakbe Kailashgiri te.. hill top a canteen ache sekhane lunch korte paren .. daam reasonable. (10K bus from R. K. Beach)
Duration: 1-2 hour.
· Indira Gandhi Zoo Park : Kailash giri theke neme auto dhore Indira Gandhi Zoo beach gate a jaan. Zoo er bhitorei battery gari ache.. chaile hete cover korte paren jodi songe boysko keu thaken tahole oi battery gari kore cover korte paren zoo.. Pahar kete toiri zoo.. daroon laagbe dekhte ( 222 or 999 bus dhore RTC Complex back)
Duration: 2-2.30 hour
· Matsya Darshini : Bikel 4 te nagad beriye porun RTC Comple theke R. K. beach er bus dhore Matsya Darshini te namben. Salt water & fresh water er onek rokom macher roomy aquarium daroon laagbe.
· Submarine Museum : Matsya Darshini theke beriye 15 minutes hete Submarine Museum “INS Kursura” Submarine ta daroon laagbe.. bhitore guide thake tara details a bolbe submarine er bypare.
Duration: 20 minutes
· Navy Aircraft Museum: Submarine Museum theke beriye thik opposite a ache Navy Aircraft Museum. Obossoi jaben daroon laagbe
· Visakha Museum : Navy Aircraft Museum theke beriye 10 minutes walking distance a ache Visakha Museum, 260 BC historical items er ak onoboddho nidorson ekhane paben.
Visakha museum theke beriye Navy Aircraft Museum er dike jete right side a “GVMC Parking lot” er samne “Mr. Samosa” daroon corn Samosa, noodles samosa, onion samosa bikri hoy r songe ak cup coffee .. R. K. Beach er samne dariye sondhye take tariye tariye upobhog korben.
Okhan theke kichuta hetei 28 No Bus peye jaben Complex jawar jonno.
Day 2:
· Rama Naidu Studio : South Indian breakfast kore beriye porun Rama Naidu Studio dekhte .. onek south er movie r shooting hoyche ekhane. RTC Complex theke 900K Bus dhore namun Rama Naidu Studio te .. 1.5 Km Studio r entry gate theke Studio jete, paharer top a ei studio ta tai gate theke akta Auto book kore nin 100/- taka nebe onek taka chay ektu burgading kore neben.. ora paharer opore studior samne namiye debe baire wait korbe abar hoy gale niche niye asbe .. Auto te studio porjonto jete osadharon scenic beauty paben.
Duration: 1 hour
· Thotlakonda Ancient Buddhist Monastery: Thotlakonda Ancient Buddhist Monastery Kaling er somoy kar ekti Buddhist Monastery. Rama Naidu Studio theke share Auto jaay, Auto bhara 10/- nay 5-10 minutes laage. Okhane neme 5 minutes hete opore uthte hobe. Osadharon laagbe.
· Thotlakonda Beach : Monastery theke beriye beach road er thik opposite a Thotlakonda beach, besh porishkar r silent khub. Somoy katanor jonno khub bhalo.
· Rushikonda Beach : okhan theke beriye abar share Auto dhorun soja Rushikonda Beach 10/- nebe. Snan korar jonno Rushikonda beach e bhalo .. tobe Jodi snan korar plan thake tobe songe extra jama kapor niye jaben okhne change korar jayga ache.. r snan kore Rushikonda beach er samne khub bhalo bhalo restaurant ache .. South Indian lunch with buttermilk just osadharon laagbe.
· Dolphin Nose light house & Yarada Beach: lunch sere akta Auto book kore chole jaan Dolphine Nose Light house. Tobe bole rakhi 3PM to 5PM Light house ta khola rakhe tai jete gale 2 to nagad start korben Rushikonda beach theke, akta Auto book kore neben Dolphine Nose Light house r Yarada Beach ta ghuriye hotel a pouche debe 500/- to 600/- nebe. Okane public transport er bhorsha korte jaben na .. jaygata onek ta dure ar return er somoy kichu pawa jayna, tai book kore jawa best.
Day 3:
· Araku : Vizag theke Araku by road by train du bhabei jawa jaay tobe ami bolbo train a jaan .. akta daroon obhiggota hobe
Vizag theke Araku jawar duto train ache 1. Khirandul Express Dep: 6.50 AM ARR: 10.50 AM, 2. Araku Special Exp Dep: 08.10 AM Arr: 11.30.
Without reservation a gale ektu sokal sokal mane 6.15 - 20 r moddhe Visakhapatnam Station a chole asun. General ticket kete uthe porun r obossoi right side a bosben jekhane lower middle upper berth gulo thake. Pahar kete rail line kora majhe majhe tunnel sob miliye osadharon akta journey r sakkhi hoben.
Train a Borra guhalu te namben, okahne osonkho gari wala ra apnake cheke dhorbe.. station theke niche neme onek Car ba Auto peye jaben Arakur sob side scene dekhanor jonno. Tobe Car newar chesta korben karon paharer opore othar jonno Car e best. Share or Private je kono apni nite paren. Share a 200/- takar moto nebe per head r private korle total 1000/- to 1200/- taka nebe.
Sight Scenes:
1. Borra Cave
2. Ananthagiri
3. Ananthagiri Coffee garden and top view point
4. Katika waterfalls
5. Tribal museum
6. Padmapuram Garden
7. Coffee museum
Borra Cave er baire theke the famous Bamboo Chicken nd Bamboo stick chicken miss korben na r Coffee garden er opposite theke coffee khete bhulben na .. daroon kore. Tribal Museum a homemade chocolate pawa jaay daroon khete .. nite paren r songe gift dewa o ghor sajanor jonno hand craft er jinis kinte paren.
J car ta hire korben take bolben Coffee museum er pase charte okhane APTDC r bus service ache Araku to Vizag, 220/- kore ticket AC Volvo, Echara share car o pawa jaay, bus 7 PM last.
Day 4:
· Simhachalam Temple : Sri Laxmi Narasimha tample, somudro tol theke 500 mtr uchute oti prachin hindu tample.
R. K. Beach theke 28R Bus dhore soja Simachalam Bus stand, Bus stand er samnei Mandir er gate opore othar jonno Auto service ache 100/- up down nebe.
Sokale Mandir darsan kore kichu breakfast kore market ta ghure kena kata kore nin. Bikele R. K. Beach a upobhog kore raate train dhore back korun.
· Okhane public transport khub bhalo specially Bus service. Try korte paren amra korechilam khub akta osubidha hoyni.
Lekhar obhyash nei tai bhul truti hole khoma korben Dhonoyobad.

descriptionভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag EmptyRe: ভাইজাগ বা ভিশাখাপত্তনম ট্যুর খুব কম খরচে Cheap destination Vizag

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply