Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionতারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur Emptyতারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur

more_horiz
তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর
#Tarapith# #Birchandrapur#

এক সপ্তাহ কাটেনি পুরুলিয়া ভ্রমণ শেষ করে ফিরেছি। প্রকৃতি নয়, মনে এবার তারামায়ের দর্শনের ইচ্ছে জাগল। "জয় জয় তারা" বলে ২রা সেপ্টেম্বর,২০১৮ শিয়ালদহ স্টেশন থেকে, সকাল ৯-০৫ এর রামপুরহাট ইন্টারসিটিতে করে (2S টিকিট ১১০ টাকা), দুপুর একটার পরে পৌঁছে যাই রামপুরহাট স্টেশন। স্টেশন সংলগ্ন ক্লক টাওয়ারের কাছেই প্রাচী লজে মোট ৭০০ টাকায় দুদিনের জন্য একটা দ্বিশয্যাবিশিষ্ট কক্ষ ভাড়া করে ফেলি। ইচ্ছে করে মন্দিরের কাছাকাছি কোনো হোটেলে উঠিনি। আসলে খরচ কমানো ছিল উদ্দেশ্য। হোটেলের কাছে কয়েকটা রেস্টুরেন্ট ছিলো, তাই খাওয়া দাওয়া নিয়ে চিন্তা ছিল না। হোটেলে ঢুকে স্নান খাওয়ার পর্ব সেরে একটু ঘুমিয়ে উঠতে উঠতে বিকেল চারটে বেজে যায়। বাইরে ইতিমধ্যে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। সকাল থেকে আকাশের মুখ বেশ ভার ছিল। মাঝে মধ্যে সে একটু আধটু অশ্রু বিসর্জন করেছে। বিকেলে তার প্রাবল্য বেশ বেড়ে যায়। কাছে ছিল অটো স্ট্যান্ড। মন চাইলেই রুটের অটোতে করে, পনের টাকা ভাড়া দিয়ে, অনায়াসেই পৌঁছে যাওয়া যায় নয় কিলোমিটার দূরবর্তী তারাপীঠ মন্দিরে। তাই মেঘের দিকে না তাকিয়ে,  বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে, পৌঁছে গেলাম মন্দিরে। ঘন দুর্যোগে মন্দির চত্বর ছিলো এক প্রকার ভক্ত সমাগমহীন। আমার প্রথম মাতৃদর্শনে নির্বিঘ্নে মায়ের পুজো দিলাম। তারাপীঠ নিয়ে আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মায়ের দর্শনে অতি বড় নাস্তিকের মনেও জন্ম নেয় আধ্যাত্মিকতা । শ্রদ্ধায়, ভক্তিতে মাথা নত হয়ে আসে। একটানা বৃষ্টির জন্য পুজো দিয়ে ফিরে এলাম হোটেলে।

পরের দিন, আবহাওয়া ছিল বেশ সুন্দর, রোদ ঝলমলে। প্রাতরাশ সেরে, টোটোতে করে দশটাকা ভাড়া দিয়ে চলে আসি রামপুরহাট বাসষ্ট্যান্ডে । বাস টার্মিনাস থেকে বীরচন্দ্রপুর যাওয়ার বাসে চেপে বসি। উনিশ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে, সতের কিলোমিটার দূরবর্তী বীরচন্দ্রপুরের ইসকন একচক্র মন্দিরের একেবারে তোরণের সামনেই নেমে পড়ি। (প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি,  এই রুটের বাসটি তারাপীঠ মন্দিরের সামনে দিয়েই যায়)। ইস্কন একচক্র মন্দিরে সদাবিরাজমান এক অপার্থিব পরিবেশ! অপূর্ব সুন্দর মন্দির স্থাপত্য, পরম দ্যুতিময় ভগবান গৌরাঙ্গের বিগ্রহ, ভক্তবৃন্দের হরিনাম সংকীর্তন, চকচকে - ঝকঝকে মন্দির, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মন্দির চত্বর, কোলাহল মুক্ত শান্ত এলাকা ...... এসবকিছু অন্তরাত্মার মধ্যে সঞ্চার করে  কৃষ্ণপ্রেম। ইচ্ছে করবে নিজেকে এমন পরিবেশের মধ্যে বিলীন করে দিতে। এযেন মায়াপুর ইস্কনের এক সংস্করণ। দুপুরে ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থা থাকলেও চলে আসি ওখান থেকে এক -দেড়শ মিটার দুরবর্তী শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের মন্দিরে।  বীরচন্দ্রপুর একচক্র ইস্কন মন্দির যদি মায়াপুরের ইস্কন মন্দিরের সংস্করণ হয়ে থাকে তাহলে বীরচন্দ্রপুর জগন্নাথ দেবের মন্দির পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের একটা পশ্চিমবঙ্গ সংস্করণ। বীরভূম জেলার বীরচন্দ্রপুর আসবার অর্থ হল, একযোগে মায়াপুর ইস্কন মন্দির এবং পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শন সেরে ফেলা। এই দুই মন্দিরে ফটো তোলা নিষিদ্ধ হলেও, ফটো তোলার লোভ আমি সংবরণ করতে পারিনি। দু একটি ফটো তাই তুলেই ফেলেছিলাম।
এরপর বাসে করে একই পথে হোটেলে ফিরে আসি। মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে, একটু ভাতঘুম দিয়ে, অটোতে করে, আবার আসি তারাপীঠ মন্দির দ্বিতীয় পর্যায়ে মন্দির দর্শনে। একে একে ভালো করে দেখে নিলাম, দ্বারকা নদীর তীরে সাধক বামদেবের ঘাট, মহাশ্মশান, " জীবিতকুন্ড" , পশুবলির যুপকাষ্ঠ , বামাক্ষ্যাপার তপস্যাস্থান, মায়ের মন্দির ইত্যাদি।
সন্ধ্যা নামলে ফিরে আসি হোটেলে। মধ্যরাত্রিতে রামপুরহাট স্টেশন থেকে রাত ১-৫১ র সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরে হাওড়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি।
                    - জয় জয় তারা-

Last edited by ভ্রমন পাখি on Thu Dec 19, 2019 1:54 pm; edited 1 time in total

descriptionতারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur EmptyRe: তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur

more_horiz
বীরভুমের তীর্থস্থান গুলির অন্যতম এখন বীরচন্দ্রপুর।তারাপীঠ থেকে সাঁইথিয়া মুখী ১০কিলোমিটার দূরত্বে বলরামের অবতাররূপী নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর জন্মস্থান প্রসিদ্ধ বীরচন্দ্রপুর।এছাড়া পান্ডারদের অজ্ঞাতবাস স্থান। এখানে আপনি ভ্রমনে এলে একসাথে অনেকগুলো সুন্দর মন্দির দর্শন করতে পারেন।যেমন ইসকন মন্দির,নিতাই বাড়ি,জগন্নাথদেবের মন্দির,বাঁকারায় মন্দির বা একচক্র ধাম।যাতায়াত :সিউড়ি,বোলপুর অথবা সাঁইথিয়া যেকোন পথ দিয়ে আসতে পারেন,তবে তারাপীঠ থেকে ১০কিমি দূরত্বে টোটো বা আটো আসতে পারেন ভাড়া ২০০-৩০০টাকা নেবে তবে তারাপীঠ থেকে সাঁইথিয়া যাওয়া বাসে আসতে পারেন।

descriptionতারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur EmptyRe: তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur

more_horiz
তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur Fb_im194
তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur Fb_im195
তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur Fb_im193
তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur Fb_im196
তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur Fb_im197
তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur Fb_im198

descriptionতারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur Emptyবীরভূমের পঞ্চ সতীপীঠ

more_horiz
#বীরভূমের পঞ্চ সতীপীঠ।
#তারাপীঠ ও
#বীরচন্দ্রপুর।

সপ্তাহান্তের অবসরে রাঢ়ভূমি বীরভূমের সতীপীঠগুলি,শাক্ততীর্থ এবং মন্দিরগুলো দেখা হয়ে গেল।সঙ্গে বাউলগান,ইঁটের জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে সার সার আকাশমণির সবুজ, মাটির লাল আর অন্যতর উপভাষার টান শুনতে শুনতে এ এক অন্য ভালোলাগা,মজে থাকা ভক্তি,বিশ্বাস আর প্রকৃতিতে।মগ্নতা বেশি তাই ছবি নেহাৎ ই হাতে গোনা আর সেটাই ভাগ করে নেওয়া।অনেকেই হয়তো জানেন আবার অনেকের প্রশ্ন কীভাবে যাওয়া যায়।আমি আমার রুটটা বলছি।হাওড়া থেকে আজিমগঞ্জগামী গণদেবতায় চড়ে প্রান্তিক স্টেশনে নেমে একটা গাড়ি ঠিক করা হয়েছিল।সেই গাড়ি বোলপুরের কঙ্কালী তলায় প্রথম নিয়ে পৌঁছোল।মন্দিরের পরিবেশ মনোরম।পাশে পবিত্রকুন্ড।মিথ্ ঐখানেই ডুবে আছে দেবীর কাঁখ।দেবী দেবগর্ভা,ভৈরব রুরু।কুন্ডকে পরিক্রমা করার রীতি আছে।পাশে গাছ,তার তলে বাউল মানুষ গান শোনায়।মন্দিরে কোনো মূর্তি নেই।আছে দেবীর ছবি।শোনা যায় যতবার ই নাকি মূর্তি গড়তে চাওয়া হয়েছে তা পারা যায়নি।মন্দিরের পেছনের বনভূমি মন কাড়ে।মন্দির থেকে বেড়িয়ে পাশের মাঠে পসরা আছে শান্তিনিকেতনী শিল্পের।চাইলে দেখা শোনা,কেনা সব ই করা যায়।এরপরের গন্তব্য লাভপুরে,অট্টহাসে।দেবী এখানে ফুল্লরা,মহাদেব বিশ্বেশ। "অট্টহাসে চোষ্ট পাতঃ দেবীসা ফুল্লরা মৃতাং বিশ্বেশ ভৈরব স্তত্রিঃ সর্বাভীষ্ট।" এখানে দেবীর ওষ্ঠাধর পতীত হয়।সুন্দর কারুকাজের মন্দির।পাশে ভৈরব।বাউল গান সব মিলিয়ে সুন্দর।এর অদূরেই লাভপুরে তারাশঙ্করের জন্মভিটে "ধাত্রীদেবতা"।বাংলা সাহিত্যের ছাত্রীর কাছে এও এক তীর্থভূমি বটে।এরপর গন্তব্য সাঁইথিয়া।সেখানে দেবী নন্দীকেশ্বরী মন্দির।দেবী এখানে নন্দিনী,শিব নন্দিকেশ্বর।দেবীর কন্ঠহার পড়েছে এখানে।এখানে দেবী মন্দির ছাড়াও পবিত্র বৃক্ষ,লক্ষ্মী-গণেশ,সরস্বতী,শিব মন্দির আছে।এখান থেকে পরের গন্তব্য তারাপীঠ।পথে দেখে নেওয়া আটলা গ্রাম।সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্মভিটে।সেখানে বামদেবের মন্দির,তারা মা র মন্দির,পাতাল ভৈরব,যোগভ্রষ্ট সাধক কালু কুকুর এবং আরো অন্যান্য দেব মন্দির আছে।পরের দিন সকালে তারাপীঠে মাতৃদর্শন,পুজো দেওয়া,পাশের শ্মশানভূমিতে যেখানে সত্যযুগে বশিষ্ঠ এবং কলিতে বামদেব সিদ্ধ হয়েছেন সেই শ্বেতশিমুল তলে মাতৃপদ স্পর্শ এবং এরপরেই স্হানীয় অটো ভাড়া করে নিত্যানন্দের জন্মস্হান বীরচন্দ্রপুরে।এখানে গর্ভাবাসে নিত্যানন্দ প্রভুর মাতা-পিতাকে দর্শন দিতে স্বয়ং এসেছিলেন জগন্নাথ প্রভু।তাই এখানে পুরীর অনুসরণে জগন্নাথ মন্দির,বিমলা ও লক্ষ্মীমায়ের মন্দির।এর পাশেই মহাপ্রভুর মন্দির,বাঁকারায়ের মন্দির সে মূর্তি নদীতে ভেসে আসা কাঠে তৈরী।এর কিছু দূরে দূরে ইস্কনের মন্দির,নিত্যানন্দ মন্দির এবং হাঁটুগাড়ার মগ্নমন্দির ও পান্ডবদের অজ্ঞাতবাসের একচক্রা গ্রাম যেখানে ভীম বকাসুর বধ করেন বলে কথিত।এখানেই নিত্যানন্দ প্রভু ব্যাসদেবের আরাধনা করেন।এখানে আরেক আশ্চর্য হাঁটুগাড়ার জলের তলার মন্দির বা জীবকুন্ড।কথিত নিতাই তার মা কে তীর্থস্নান করাতে সাত নদী আর সাত সাগরের জলকে আবাহন করেন সেই জলে তৈরী এই কুন্ড।যা মহা পবিত্ররূপে মান্যতা পায়।এখানে আশ্চর্য এক মন্দিরের চূড়াটুকু দেখা যায় যার বাকি অংশ জলমগ্ন।পুরো কুন্ড ই কলকে বনে ঘেরা।এরপর তারাপীঠে ফেরা ভোগগ্রহণ ও পৌঁছে যাওয়া নলহাটি।দর্শন করা নলাটেশ্বরী বা নলহাটেশ্বরী।এখানে মায়ের কন্ঠনালি পড়েছে।ভৈরব যোগেশ,দেবী কালিকা।মন্দির সুন্দর ভাবে এরিকা পামের টব আর ঘন্টায় সুসজ্জিত।আবার তারাপীঠে ফেরা।পরের দিন সকাল সকাল মুন্ডমালিনী তলা।এটি তারাপীঠেই।দেবী শশ্মানের অগ্রভাগবাসিনী।এখানে ছোটোগোঁসাই সাধনা করেছেন।এরপর বেড়িয়ে পড়া বক্রেশ্বরের উদ্দেশে।তারাপীঠ থেকে দূরত্ব ভালোই।গাড়ি নিয়ে যাওয়াই ভালো।দীর্ঘপথের পর নয়নাভিরাম আকাশমণির বন পেরিয়ে বক্রেশ্বর।পাঁচটাকা টিকিটে প্রবেশ।এখানে মহিলা ও পুরুষদের আলাদা উষ্ণপ্রস্রবনের জলে স্নানের ঘাট।সাধারণ কুন্ড,ক্ষার কুন্ড,অগ্নিকুন্ড দেখে মাতা মহিষাসুরমর্দিনীকে দর্শন।এখানে দেবীর ভ্রূমধ্য বা মন পতিত।শিলাখন্ড রূপ অঙ্গ দৃশ্যমান।এবং ভৈরব বক্রনাথ।যিনি ঋষি অষ্টাবক্র দ্বারা পূজিত বলে জানা যায়।আমাদের রাঢ়ের মন্দির দেখার যে যাত্রা তা এখানেই শেষ।বক্রেশ্বরে পরিছন্ন এবং আন্তরিক এক হোটেলে খাওয়া সেরে সিউড়ি স্টেশন এবং সেখান থেকে হুল এক্সপ্রেসে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা সঙ্গে রাঢ়ভূমির রোমাঞ্চ নিয়ে।

descriptionতারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur EmptyRe: তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur

more_horiz
আজ লিখব বামদেবের স্মৃতিধন্য ডাবুকেশ্বরের কথা | বীরভূমের একচক্রাধামের পশ্চিম লাগোয়া গ্রাম ডাবুক (ডাবুকেশ্বর)। গ্রামটির পূর্বনাম ছিল ডবাক। সাঁইথিয়া -রামপুরহাট (ভায়া বীরচন্দ্রপুর )সড়ক পথের সাষপুর বাস স্টেশনে নেমে রিক্সাযোগে দুই কি.মি. ডাবুক গ্রাম | এই গ্রামেই অবস্থিত বীরভূমের সর্বাধিক প্রাচীন ও সর্বোচ্চ শিবমন্দির । তবে এখানে মহাদেব বাবা উন্মত্তেশ্বর নামে পরিচিত।

পাণ্ডবদের অজ্ঞাত বাসের সময় পাণ্ডবরা ডাবুক গ্রামে এসে উপস্থিত হন ,কিন্তু ডাবুক- এর গ্রামবাসীদের থেকে যথাযথ আতিথেয়তা না পাওয়ায় কুন্তী শিব কে অভিশাপ দেন ,'আমার যেমন অন্ন জোটেনি তেমনি তোমারও জুটবে না '। এই কারনে বহুদিন এই উন্মত্তেশ্বর বাবার পূজা বন্ধ ছিল ।

পরবর্তীকালে বামাখ্যাপার গুরুদেব বাবা কৈলাসপতি স্বপ্নাদেশ পেয়ে পূজা পুনরায় চালু করেন । ডাবুক - মজুরহাটি গ্রামের মানুষের সহায়তায় , এবং বাবা কৈলাসপতি রাজস্থানের মৃতপ্রায় রাজপুত্রের জীবন বাঁচিয়েছিলেন বলে ,সেই রাজবংশের আর্থিক সহায়তায় এই বিশাল মন্দির গড়ে ওঠে । বাবা কৈলাসপতি এখানেই সাধনা করেন এবং তাঁর দর্শন করবার জন্য বামদেব মাঝে মাঝে এখানে পদার্পণ করতেন |

এই মন্দিরের শিবলিঙ্গ পাতালভেদী | মাটির প্রায় ৪০ ফুট নীচে গর্ত খুঁড়েও এর তল পাওয়া যায় নি | এখানে বাবার অন্নভোগ হয় | লাগোয়া মন্দিরে বাবা কৈলাসপতি ,মা আনন্দময়ী ও তারা মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আছে | তারা মায়ের এখানে নিত্য আমিষ ভোগ হয় |

অপূর্ব সুন্দর ও শান্ত এই স্থানে গিয়ে ও বাবা ডাবুকেশ্বর ও তারা মায়ের দর্শন করে প্রসাদ পেয়ে আমরা ধন্য ||

descriptionতারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur EmptyRe: তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur

more_horiz
|| বীরচন্দ্রপুর, বীরভূম ||

তারাপীঠ তো আমরা সবাই যায় । এবার তারাপীঠ গিয়ে হাফবেলা সময় দিন বীরচন্দ্রপুরে । প্রভু নিত্যানন্দ এর জন্মস্থান । তারাপীঠ থেকে ১২ কিমি দূরে মাত্র । ৩০০/৪০০ টাকায় অটো ভাড়া করে চলে আসুন বীরচন্দ্রপুর ।

দেখুন :
১) বীরচন্দ্রপুর ইস্কন মন্দির
২) নিত্যানন্দ এর জন্মস্থান
৩) বীরচন্দ্রপুর গর্ভাবাস
৪) বীরচন্দ্রপুর জগন্নাথ মন্দির
৫) বীরচন্দ্রপুর বাঁকারায় মন্দির
এবং আরো অনেক গুলো মন্দির।

মন্দির গুলো দুপুরে বন্ধ থাকে । আর একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো মাঘী পূর্ণিমায় বীরচন্দ্রপুরে বিশাল মেলা হয়, বহু ভক্তের সমাগম হয় ।

descriptionতারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur EmptyRe: তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur

more_horiz
তারাপীঠ
বাংলার অন্যতম প্রধান পূজিত দেবী হল কালী। নানা রূপে, নানা জটিল বিমূর্ততায় বাংলা জুড়ে এই শক্তির দেবী পূজিত হন।

হিন্দু পুরাণ অনুসারে, শিবের রুদ্র তাণ্ডবের ফলে সতীর দেহের নানা অংশ বহু স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার থেকে ভারত জুড়ে বিভিন্ন সতীপীঠের জন্ম হয়েছে। তারাপীঠকেও ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম বলে মনে করা হয়। সতীর চোখের ঊর্ধ্বনেত্রের মণি অর্থাৎ তারা পড়ায় দ্বারকা নদীর পুব পাড়ের চণ্ডীপুর আজ তারাপীঠ। তবে তারাপীঠের আরও বেশি মাহাত্ম্য শক্তিপীঠ বা মহাপীঠ হিসাবে। কথিত আছে, সাধক বশিষ্ঠ দ্বারকার কুলে মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূলের তলে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে তারামায়ের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। তবে, সে দিনের শিমূল গাছ আজ আর নেই। খরস্রোতা দ্বারকাও আজ হেজেমজে নোংরা খাল। জনারণ্যে হারিয়ে গেছে মহাশ্মশানের ভয়াবহতা। ব্রহ্মার মানসপুত্র বশিষ্ঠর সিদ্ধপীঠ এই তারাপীঠ আরও অনেকেরই সাধনপীঠ –- তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাধক বামাক্ষ্যাপা।

বণিক জয় দত্তের তৈরি করে দেওয়া তারামায়ের মন্দিরটি আজ আর নেই। বর্তমানের উত্তরমুখী আটচালা মন্দিরটি ১২২৫ বঙ্গাব্দে তৈরি করান মল্লারপুরের জগন্নাথ রায়। দেবী এখানে তারাময়ী কালী – মুখমণ্ডল ছাড়া সারা অঙ্গ বসনে আবৃত। সন্ধ্যায় দর্শন মেলে মূল দ্বিভুজা ছোট্ট মূর্তির। এর দুটি হাত, গলায় সাপের মালা, পবিত্র সুতোয় অলঙ্কৃত, বাঁ কোলে শিব স্তন্য পান করছে। শত শত বছরের পুরনো বিশ্বাস, এই মন্দিরে প্রার্থনা করে কোনও ভক্ত খালি হাতে ফেরে না।

তারাপীঠের মন্দিরে সারা বছরই জনসমাগম হয় এবং প্রতিদিনই এখানে গরিবদের খাওয়ানো হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত এখানে পুজো দিতে আসেন। মহাপীঠ বলে পরিচিত এই মন্দির, হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মস্থান। বলা হয়, তুমি যদি সৎ হও, তবে তুমি পৃথিবীর যেখানেই থাকো এবং যে ধর্মাচরণই করো না কেন, মা তারার আর্শীবাদ সর্বদা তোমার সঙ্গে থাকবে এবং তোমার আশা পূরণে সহায়তা করবে। তোমার হৃদয় ও মনের যাবতীয় যন্ত্রণা তিনি দূর করবেন।

দেবী দর্শনের পর ঘুরে নিতে পারো বামাক্ষ্যাপার সমাধিমন্দির। এখানে রয়েছে সাধকের মূর্তি।

কলকাতা থেকে ২৬৪ কিলোমিটার দূরে তারাপীঠে আসা যায় হাওড়া থেকে ট্রেনে। নামতে হয় রামপুরহাট বা তারাপীঠ রোড স্টেশনে।

বক্রেশ্বর
কাছেই বক্রেশ্বর। এ-ও এক মহাতীর্থ। ৫১ পীঠের অন্যতম। সতীর ভ্রূ-মধ্য পড়েছিল এখানে। শৈবতীর্থ বলেও খ্যাতি বক্রেশ্বরের। মূল মন্দির বক্রনাথ শিবের। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে বক্রেশ্বরের প্রসিদ্ধি কিন্তু উষ্ণ জলের প্রস্রবণের জন্য। মন্দিরকে ভর করে সাতটি কুণ্ড পাশাপাশি। সব চেয়ে গর জল অগ্নিকুণ্ডের। এর জল বোতলবন্দি করে বিক্রিও হয়।

descriptionতারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur EmptyRe: তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur

more_horiz
বীরভূমের তীর্থপথে
শুরু করা যেতে পারে নলহাটি দিয়ে। হাওড়া থেকে ট্রেনে চলে আসা যায় এখানে। ৫১ সতীপীঠের এক পীঠ। সতীর কন দেহাংশ পড়েছিল তা নিয়ে দ্বিমত আছে। অনেকে বলেন, সতীর কণ্ঠনলা পড়েছিল, আবার কেউ কেউ বলেন দেবী নলক অর্থাৎ নলা বাঁ নুলো বাঁ কনুইয়ের হাড় পড়ে এখানে। দেবী এখানে নলহাটেশ্বরী বা ললাটেশ্বরী। অনুচ্চ টিলার মাথায় মন্দির, ধাপে ধাপে সিঁড়ি উঠে গেছে। এক বেদীর উপর সিঁদুরে চর্চিত আধখানা চাঁদের আকারের একটা বড় পাথরের খণ্ডই দেবীর প্রতিভূ।

নলহাটি থেকে ১২ কিমি দূরে ভদ্রপুর। বাসেই চলে এসো। এখানকার বাসস্ট্যান্ডের ডাইনে আকালীপুরে দেবী আকালীর মন্দির। মহারাজ নন্দকুমারের স্বপ্নে পাওয়া দেবী এখানে মা কালী। মূর্তিতে বৈচিত্র্য আছে। সাপের উপর বসে সর্পসজ্জায় দেবী, দ্বিভুজা বরাভয়দায়িনী জগন্মাতা। মূর্তি কোষ্ঠীপাথরের। দীর্ঘ আয়তনয়না দেবীর প্রসন্ন রূপটি মনোমুগ্ধকর। প্রায় ২৪০ বছরের পুরনো মন্দিরটি আজ সংস্কারের অভাবে জীর্ণ।

ফিরে এসো নলহাটি। এখানে থেকে বাসেই চল রামপুরহাট। তারাপীঠ দর্শন সেরে নাও। তার পর ট্রেনে চলো মল্লারপুর, ১৬ কিমি। বাসেও যেতে পারো। স্টেশন থেকে ২ কিমি দূরে শিবগঞ্জে ২৫টি মন্দিরের এক কমপ্লেক্স। মল্লেশ্বর শিব এদের অন্যতম। চারচালা মন্দির। এই মন্দিররাজি খুবই পুরনো, ১২-১৩ শতকের।

এবার গন্তব্য সাঁইথিয়া – মল্লারপুর থেকে মুহুর্মুহু বাস। ট্রেনেও মাত্র ২৫ মিনিটের পথ। সাঁইথিয়াও অন্যতম সতীপীঠ, দেবীর কণ্ঠনালি, দ্বিমতে কণ্ঠহাড় পড়েছিল। স্টেশন চত্বরের বাইরেই নন্দিকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের অঙ্গন পাথরের টালিতে বাঁধানো। অশ্বত্থ ও বট গাছের বাঁধানো বেদীর প্রকোষ্ঠে তেল-সিঁদুরে চর্চিত এক শিলাখণ্ডই দেবীর প্রতিভূ।

এ বার সাঁইথিয়া থেকে সোজা বোলপুর, বাসে বা ট্রেনে। সেখান থেকে বাসে বা রিকশায় কঙ্কালীপীঠ, আরেক সতীপীঠ। দেবীর কাঁকাল বা কোমর পড়েছিল কুণ্ডের জলে। মন্দিরটি নতুন। দেবীর প্রতীক ত্রিশূল আর আছে পটে কালী রূপী কঙ্কালী।

ফিরে এসো বোলপুরে। সে দিনটি বোলপুরে কাটিয়ে শান্তিনিকেতন দেখে পরের দিন বাসে চলো নানুর, লাভপুর হয়ে ফুল্লরা, ৫০ কিমি পথ। এ-ও সতীপীঠ। দেবীর ঠোঁট পড়েছিল এখানে। অনুচ্চ টিলার মাথায় মন্দির। কোনও বিগ্রহ নেই। সিঁদুরে চর্চিত কচ্ছপাকৃতি শিলাখণ্ডই দেবীর প্রতিভূ। এখানেই সাঙ্গ করা যেতে পারে বীরভূমের দেবীদর্শন।

descriptionতারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur EmptyRe: তারাপীঠ ও বীরচন্দ্রপুর Tarapith and Birchandrapur

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply