#তারাপীঠ-বক্রেশ্বর-ম্যাসাঞ্জর ভ্রমণ

25-27 শে ডিসেম্বর ২০১৯

প্রথম দিন: সকাল ৯ টায় শিয়ালদা ইন্টারসিটি ধরলাম । ট্রেনটা এক্কেবারে ফাঁকা যায়, তাই রিজার্ভেশনের কোনো প্রয়োজন নেই, সাধারণ ভাড়া ৯৫/- টাকা রামপুরহাট পর্যন্ত। দুপুর ১ টা নাগাদ পৌঁছানোর কথা হলেও ৩০ মিনিট দেরিতে পৌঁছেছিল।

রামপুরহাট থেকেও ২০/- টাকায় অটো পাওয়া যায় তারাপীঠ পর্যন্ত, কিন্তু ট্রেন আগের স্টেশন মানে তারাপীঠ স্টেশনে থামলো বলে ওখানেই নেমে গেলাম। ওখান থেকে রাস্তা কম, কিন্তু টোটো ছাড়া উপায় নেই, টোটো ভাড়া ২৫/- টাকা। মন্দিরের আশপাশে প্রচুর হোটেল, ৪০০ টাকা থেকে ঘর পাওয়া যায়, আমরা ৩ জন ছিলাম, ৫০০ টাকার ঘরে, ঘরটি একেবারে পরিষ্কার আর ভাড়ার তুলনায় অনেকটা ভালো পেয়েছিলাম। ঘরে জিনিসপত্র রেখে স্নান সেরে মন্দিরের সাধারণ লাইনে দাঁড়ালাম, অমাবস্যা হওয়ার জন্য প্রচুর লাইন। দুপুর ৩-২৫ এ লাইনে দাড়িয়ে ৬-৩০ এ পুজো দিলাম। বেরিয়ে শ্মশানঘাট ঘুরে ঘরে ফিরে এলাম।

দ্বিতীয় দিন: সকাল ৭-৩০ এ বেরিয়ে ২০/- টাকা ভাড়ায় রামপুরহাট স্টেশন পৌঁছে ১৫/- টাকার টিকিট কেটে সিউড়ি চলে এলাম। ওখান থেকে ১.৫ কিমি দূরে বাস স্ট্যান্ড, হেঁটেও আসা যায়, আমরা টোটো নিলাম, ১০/- টাকা প্রতিজনে বাস স্ট্যান্ডে এসে ৪০/- টাকা ভাড়ায় প্রায় ৩২ কিমি এসে ম্যাসাঞ্জর পৌঁছলাম। এন্ট্রি ফি নেই, ভুটভুটিতে ঘোরার জন্য ৫০/- টাকা লাগে। ওখান থেকে আবার বাসে ৪০/- টাকা ভাড়ায় সিউড়ী এসে বাস চেঞ্জ করে ২০/- টাকা ভাড়ায় ১৭ কিমি এসে বক্রেশ্বর পৌঁছলাম। বক্রেশ্বরে হোটেলের অবস্থা খুব খারাপ, অনেক খুঁজে একটা মোটামুটি ভালো ঘর পেলাম, ৬০০ টাকার ঘর ৫০০ টাকায় দিল।

তৃতীয় দিন: সকালে বেরিয়ে বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রষ্ণবন ঘুরে সতীপিঠে পুজো দিয়ে শিব মন্দির ঘুরে ঘরে ফিরে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ওখান থেকে দুবরাজপুর স্টেশন ১২ কিমি, অটো পাওয়া যায়, ১৫ টাকা ভাড়া নিল। স্টেশনে পৌঁছে হুল এক্সপ্রেসের টিকিট কাটলাম, ৯৫/- টাকা।

খুব সস্তায় একটা ট্যুর হলো, যাক বাবা বাঁচা গেল, নিউ ইয়ারে কিছু শপিং করা যাবে😁😁