🌺🌺 নন্দিপুর বা সাঁইথিয়ার শক্তিপীঠ 🌺🌺
দেবী - নন্দিকেশ্বরী / নন্দিনী দেবী
ভৈরব - নন্দিকেশ্বর

এই সতীপীঠটি বীরভূমের সাঁইথিয়াতে অবস্থিত । বিষ্ণুর চক্রে খন্ডিত হয়ে মাতা সতীর কণ্ঠের হার মতান্তরে কণ্ঠের অস্থি এখানে পতিত হয় । কণ্ঠেরহার বলতে পণ্ডিতেরা অবশ্য গলার স্বর্ণমালা বুঝিয়েছেন ।
দেবীর হস্তে অবস্থিত সকল আভূষণ এমনকি হস্তের পদ্মটিও এক একটি দেবী শক্তি । সুতরাং দেবীর কন্ঠমাল্য থেকে দেবী সৃষ্টি হতেই পারে । পীঠনির্ণয়তন্ত্র শাস্ত্রে লিখিত আছে -

হার পাতো নন্দিপুরে ভৈরবনন্দিকেশ্বরঃ
নন্দিনী সা মহীদেবী তত্র সিদ্ধি ভবাপ্লুয়াত্ ।।

দেবীর নাম এখানে নন্দিনী । ভৈরব হলেন নন্দিকেশ্বর । অনেকে এই দেবীকে নন্দিকেশ্বরী বলে ডাকেন । শিবচরিত মতে এটি ১০ নাম্বার উপপীঠ । তন্ত্রচূড়ামণি মতে এটি ৪৯ নাম্বার উপপীঠ । তন্ত্রচূড়ামণি মতে এখানে দেবীর কণ্ঠের মাল্যহার পতিত হয়েছিলো । বীরভূমের সাঁইথিয়া রেল স্টেশনের পাশেই ইঁটের পাঁচিল দিয়ে ঘেরা দেবীর মন্দির । একটি প্রাচীন বট গাছ এখানে আছে । মন্দিরে দেবী সতীর অঙ্গশিলা দেখা যায় । সেখানেই পূজা হয় । সেই লাল সিঁদুরে লিপ্তা অঙ্গশিলায় রূপোর নয়ন, নাসিকা, কর্ণ, মুখ বসানো। পাশেই ভৈরবের মন্দির ।

ভগবতী মা নন্দিনী কে প্রনাম জানিয়ে বলি -

কমলদলামল কোমলকান্তি কলাকলিতামল ভাললতে
সকলবিলাস কলানিলয়ক্রম কেলিচলৎকল হংসকুলে ।
অলিকুলসঙ্কুল কুবলয়মণ্ডল মৌলিমিলদ্বকুলালিকুলে
জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনী রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে ।।

এর অর্থ- হে মাতঃ । তোমার সুন্দর প্রশস্ত ললাট খানি পদ্ম পত্রের মতো অমলিন নিষ্কলঙ্ক, তুমি ক্রমবর্ধমান চন্দ্রকলার মতো উজ্জ্বল ও মনোহরণ কান্তিময়ী, সর্ব বিধ নৃত্যকলা ভঙ্গিমা বিলাসিত হংসগতিই তোমার চলনভঙ্গি । তোমার মস্তকের চূড়ার মতো বদ্ধ কেশে অলিকুল সমাবৃত বকুল ফুল, সেই মৌমাছির দল যেমন করে পদ্মফুলে দলে ভীড় করে ঠিক তেমন ভাবেই তারা সেই বকুল ফুলের দিকে ধাবমান । তুমি শৈলসুতা জটাজুটধারিণী পার্বতী । তুমিই মহিষাসুর বধ করেছো । তোমায় জয় হোক ।

জয় জয় নন্দিকেশ্বরী🙏🙏