🌺🌺 অট্টহাস শক্তিপীঠ 🌺🌺
দেবী - ফুল্লরা
ভৈরব - বিশ্বেশ/বিশ্বেশ্বর
সতীর অংশ - অধঃ ওষ্ঠ

সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের “শুকশারী কথা” উপন্যাসে এই পীঠের নাম পাওয়া যায় । পূর্বে ফুল্লরা পীঠের নাম ছিলো অট্টহাস । পরবর্তীকালে নাম হয় শ্যামলাবাদ । এখানে চন্দনের গন্ধে ‘ম’ ‘ম’ করতো তাই নাম হয় চন্দনপুর । মায়ের মন্দিরের পাশেই ভৈরব বিশ্বেশ শিবের মন্দির । প্রাচীন মন্দির যবনেরা ভেঙ্গে ফেলেছিলো । ইদানীং যে মন্দির দেখা যায় সেটি নতুন ভাবে তৈরী ।

কিছু পণ্ডিত দের মতে এই পীঠ আসলে বর্ধমানে । অজয় নদের শাখা ইশান নদের তীরে দক্ষিণডিহি নামক এক গ্রাম আছে । এটি কেতুগ্রামের অন্তর্গত । এখানে মুণ্ডমালিনী নামক এক দেবী আছে । অনেকে এই স্থানকে ফুল্লরা শক্তিপীঠ মনে করেন । কুব্জিকা তন্ত্রে কেতুগ্রামের নাম ও সেখানের শাসক রাজা চন্দ্রকেতুর নাম পাওয়া যায় । দেবীকে এখানে চামুণ্ডা রূপে পূজা করা হয় । দেবীর নাম অধরেশ্বরী । দেবীর এখানে মূর্তি অস্পষ্ট । রক্তবস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদিত। ফুল বেলপাতায় ঢাকা । তবে বীরভূমের লাভপুরের ফুল্লরা পীঠেই অধিকাংশ পণ্ডিত সমর্থন করেছেন । এখানেই দর্শন করতে যান ।

মহাদেবী ফুল্লরা মাতার প্রনাম মন্ত্র ----

অবিরল গণ্ডগলম্মদমেদুর মত্তমতঙ্গজরাজপতে
ত্রিভুবনভূষণ ভূতকলানিধি রূপপয়োনিধি রাজসুতে ।
অয়ি সুদতীজন লালসমানস মোহনম্মথ রাজসুতে
জয় জয় হে মহিষাসুরমর্দিনী রম্যকপর্দিনি শৈলসুতে ।।

অর্থাৎ- হে মাতঃ! তুমি গণ্ডদেশ বেয়ে অবিরল ধারায় স্নিগ্ধ অশ্রুধারা বহমান এমন সব রাজকীয় মদমত্ত হস্তীর অধিকারিণী, ত্রিভুবন তোমার ভূষণ , সর্ব বিধ কলা শিল্পের আধার এবং সৌন্দর্যের পয়োধিবিশেষ তুমি গিরিরাজকণ্যা এবং তুমি যেন মদন দেবের শর বিশেষ, যা তোমার পূজারতাদের মনে তোমার প্রতি মোহ উৎপন্ন করে দেয়। তুমি শৈলসুতা জটাজুটধারিণী পার্বতী । তুমিই মহিষাসুর বধ করেছো । তোমার জয় হোক ।