Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionবক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith Emptyবক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith

more_horiz
◆◆  বক্রেশ্বর শক্তিপীঠ ◆◆
*************************

পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম জেলা বীরভূম ।
বীরভূম কথার অর্থ " বীর ভূমি " ।
.....বঙ্গদেশে  বীরভূম লাল মাটির দেশ নামেও অধিক পরিচিত । এই জেলা সাহিত্য বাউল ও তন্ত্র সাধনার ত্রিবেণী স্থল ।
কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ এই জেলারই বোলপুরের  কাছে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিক্ষা কেন্দ্র শান্তিনিকেতন , বিশ্ব ভারতী  যার অন্যতম ...কালজয়ী কথা সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই  জেলারই লাভপুরে ।
বাউল গানের ভিত্তিভূমিও হোল এই বীরভূম ....তন্ত্র সাধনাতেও  এই জেলার খ্যাতি সর্বাধিক ...দেবী সতীর ৫১ পীঠের  মধ্যে ৫ টি পিঠ আছে এই জেলাতেই ।
সেগুলি  হলো ------
(১)  নলাটেশ্বরী , নলহাটি স্টেশনের কাছে ,
(২)  কঙ্কালীতলা সতীপীঠ ,
(৩) সাঁইথিয়া নন্দীকেশ্বরী সতীপীঠ ,
(৪) ফুল্লরা তলা সতীপীঠ ,
(৫)  বক্রেশ্বর মহিষমর্দিনী সতী পীঠ ,

বক্রেশ্বর মহিষমর্দিনী শক্তিপীঠ -----

বীরভূমের সদর শহর সিউড়ি থেকে ২৪ কিমি দূরে দুবরাজপুর এর অনতি দূরে পাপহরা নদীর তীরে অবস্থিত দেবী সতীর ৫১ পীঠের  অন্যতম বক্রেশ্বর সতী পীঠ ।
কথিত আছে মহামুনি বক্রেশ্বর গুপ্ত কাশী যাবার পথে এখানে অবস্থান কালে পাপহরা নদীতে স্নান করার সময় এই পীঠের সন্ধান পান ...এবং সাত টি উষ্ণ  প্রস্রবন ও তার পাশে সাত টি শিব লিঙ্গ  দর্শন করেন ...বক্রেশ্বর এখানেই পুজো শুরু করেন ও সিদ্ধিলাভ  করেন ...কথিত আছে  বিষ্ণু চক্রে দ্বিখণ্ডিত হয়ে দেবী সতীর " ভ্রু " এখানে পতিত হয়েছিল ।

...দেবী মাতা এখানে মহিষমর্দিনী ও মহাকাল শিব  বক্রনাথ নামে পূজিত হন ...দেবী মন্দিরের সম্মুখে  সাতটি প্রস্রবন সপ্তকুণ্ড নামে পরিচিত ...এগুলি  হলো ------
(১)  ব্রহ্ম কুন্ড ,
(২)  অগ্নি কুন্ড ,
(৩)  সূর্য কুন্ড ,
(৪) জীবৎ কুন্ড ,
(৫) ভৈরব কুন্ড ,
(৬) অমৃত কুন্ড ,
(৭) দুধ কুন্ড ,

মহাজাগ্রতা ও মনোস্কামনা পূরণ কারিনী দেবী মহিষমর্দিনী মাতাকে দর্শন করতে সারা বছর হাজার হাজার ভক্ত সমাগমে মন্দির প্রাঙ্গন পূর্ণ থাকে ।

" শরণা গত দীনার্ত পরিত্রাণ পরায়ণে  
সর্বস্বার্থে হরে দেবী নারায়ণী নমস্তুতে " ।

#বক্রেশ্বর #মহিসমর্দিনী #সতীপিঠ #উষ্ণপ্রশ্রবন
#bakreshwar #hot #spring #satipith

descriptionবক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith EmptyRe: বক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith

more_horiz
আজ একটা স্বল্প পরিচিত জায়গার সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করাই- আমাদের বক্রেশ্বর ড্যাম।
বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলের যোগান আসে মূলতঃ দুটি জায়গা থেকে।একটি হল তিলপাড়া ব্যারেজ(এটি সিউড়ির কাছে) এবং আর একটি হল বক্রেশ্বর ড্যাম।এখানে বক্রেশ্বর নদীটিকে আটকে ড্যামটি তৈরি করা হয়েছে।
কলকাতা থেকে আসতে হলে NH-2 পানাগড়-ইলামবাজার-দুবরাজপুর এই পথে আসা যায় অথবা ট্রেনে সিউড়ি হয়েও আসা যেতে পারে।
ড্যাম টির নৈসর্গিক দৃশ্য খুব সুন্দর।আগে এখানে বোটিং এর ব্যবস্থা ছিল।কিন্তু এখন বন্ধ আছে।শীতকালে পিকনিক করার জন্য একটি ভাল স্পট এবং সেই সঙ্গে প্রচুর পরিযায়ী পাখি দেখতে পাওয়াটা একটি উপরিপাওনা।
অনেকেই শান্তিনিকেতন, তারাপীঠ,বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবণ এ বেড়াতে আসেন।কিন্তু বক্রেশ্বর ড্যামের কথা অনেকেই জানেন না।কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পক্ষে আদর্শ জায়গা আমাদের এই ড্যাম।

descriptionবক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith EmptyRe: বক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith

more_horiz
বক্রেশ্বর

বক্রেশ্বরের স্থানাংক২৩.৮৮° উত্তর ৮৭.৩৭° পূর্ব বীরভূমের শুষ্ক পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এই অঞ্চলের গড় উচ্চতা ৮৪ মিটার। বক্রেশ্বর নদ এই শহরের ধার দিয়ে প্রবাহিত।

বক্রেশ্বর পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি সদর মহকুমার একটি শহর। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এই শহরের নিকটবর্তী।

পানাগড়- মোরগ্রাম হাইওয়ের থেকে বেরিয়ে ঘুরে আসা যায় বক্রেশ্বরে যেখানে সতীর "মন" পড়েছিল । বক্রেশ্বর নদীর ওপর "নীল-নির্জন" ড্যাম যা একটি ট্যুরিষ্ট স্পটও বটে | এই জলাধারটি বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের জল সরবরাহ করে । এবার আসি বক্রেশ্বরের মাহাত্ম্যে । বক্রেশ্বর শব্দটি এসেছে স্থানীয় বক্রেশ্বর শিবের নামানুসারে। বক্র শব্দটির অর্থ বাঁকা; ঈশ্বর অর্থে ভগবান।সত্যযুগে লক্ষ্মী-নারায়ণের বিবাহের সময় ইন্দ্র সুব্রত নামে এক মুনিকে ভীষণ অপমান করেছিলেন । যার ফলে সেই সুব্রত মুনির শরীরে আটটি ভয়ংকর ভাঁজ পড়ে যার জন্য তার নাম হয় "অষ্টাবক্র" মুনি । এই অষ্টাবক্র মুনি বহুদিন শিবের তপস্যা করার পর শিবের আশীর্বাদে মুক্তি পান । তাই এই বক্রেশ্বর শিব খুব জাগ্রত । এখানে দশটি উষ্ণ প্রস্রবণ আছে যাদের জল গড়ে ৬৫ থেকে ৬৬ডিগ্রি সেলসিয়াস । সতীর "মন" বা ভ্রুযুগলের মধ্যবর্তী অংশ পতিত হয় । আপাত অনাড়ম্বর মহিষমর্দিনি মায়ের মন্দিরে দাঁড়ালে বেশ ছমছমে অনুভূতি হয় । আর সাথে বক্রেশ্বরের শিবমন্দিরটিও দেখে ঘোরা যায় । কত প্রাচীন এইসব মন্দির তা মন্দিরের চেহারা দেখলেই বোঝা যায় ।
বক্রেশ্বর ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম এবং হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ।
বক্রেশ্বরের উষ্ণপ্রস্রবণে স্নানের ব্যাবস্থাও আছে ।

বক্রেশ্বরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এর উষ্ণ প্রস্রবণগুলি। এই শহরে দশটি উষ্ণ প্রস্রবণ আছে; এগুলি হল – পাপহরা গঙ্গা, বৈতরণী গঙ্গা, খরকুণ্ড, ভৈরবকুণ্ড, অগ্নিকুণ্ড, দুধকুণ্ড, সূর্যকুণ্ড, শ্বেতগঙ্গা, ব্রহ্মাকুণ্ড, অমৃতকুণ্ড। খর, ভৈরব ও সূর্যকুণ্ডের জলের তাপমাত্রা যথাক্রমে ৬৬, ৬৫ ও ৬১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অগ্নিকুণ্ডের তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই কুণ্ডের জলে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সিলিকেট, ক্লোরাইড, বাইকার্বোনেট ও সালফেট পাওয়া যায়, যা ঔষধিগুণসম্পন্ন। এছাড়াও এই কুণ্ডের জলে রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদানও পাওয়া যায়। দুধকুণ্ডের তাপমাত্রা ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালের দিকে এই কুণ্ডের জলে ওজোন ঘনীভূত হয়ে সাদা সরের মতো পদার্থ সৃষ্টি করে।

descriptionবক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith EmptyRe: বক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith

more_horiz
হেতমপুর রাজবাড়ী, মামা-ভাগ্নে পাহাড় ও বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবণ পরিক্রমা করলাম।

descriptionবক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith EmptyRe: বক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith

more_horiz
Bakreshwar’s Hot Spring........
বক্রেশ্বর শহরটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি সদর মহকুমার বক্রেশ্বর নদের তীরে অবস্থিত। “বক্রেশ্বর” শব্দটি এসেছে স্থানীয় বক্রেশ্বর শিবের নামানুসারে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, সত্যযুগে লক্ষ্মী ও নারায়ণের বিবাহ অনুষ্ঠানে “সুব্রত মুণি” দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক অপমানিত হন। পরবর্তীতে ক্রুদ্ধ ঋষির দেহ আটটি বাঁকে বেঁকে যায়। সেই থেকে তিনি অষ্টবক্র ঋষি নামে পরিচিত হন। বহুবছর শিবের তপস্যা করে অষ্টবক্র ঋষি সুস্থ হয়ে ওঠেন। বক্রেশ্বর ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম এবং হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ। বীরভূমের শুষ্ক পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এই অঞ্চলের গড় উচ্চতা ৮৪ মিটার। বক্রেশ্বরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এর উষ্ণ প্রস্রবণগুলি(Hot Spring)। এই শহরে দশটি উষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে; সেগুলি হল – পাপহরা গঙ্গা, বৈতরণী গঙ্গা, খরকুণ্ড, ভৈরবকুণ্ড, অগ্নিকুণ্ড, দুধকুণ্ড, সূর্যকুণ্ড, শ্বেতগঙ্গা, ব্রহ্মাকুণ্ড ও অমৃতকুণ্ড। খর, ভৈরব ও সূর্যকুণ্ডের জলের তাপমাত্রা যথাক্রমে ৬৬, ৬৫ ও ৬১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অগ্নিকুণ্ডের তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই কুণ্ডের জলে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সিলিকেট, ক্লোরাইড, বাইকার্বোনেট ও সালফেট পাওয়া যায়, যা ঔষধিগুণসম্পন্ন। এছাড়াও এই কুণ্ডের জলে আছে কিছু রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান। দুধকুণ্ডের তাপমাত্রা ৬৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকালের দিকে এই কুণ্ডের জলে ওজোন ঘনীভূত হয়ে সাদা সরের মতো পদার্থ সৃষ্টি করে।

descriptionবক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith EmptyRe: বক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith

more_horiz
বক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith Fb_im192

descriptionবক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith EmptyRe: বক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith

more_horiz
"প্রাণান্ রক্ষ, যশো রক্ষ, পুত্রান্ দারান্ ধনং তথা।

সর্ব্বকালে, সর্ব্বদেশে, পাহি মাং দক্ষিণকালিকে।।"

গ্রুপের সকল সদস্যদের নমস্কার। প্রথম বার সম্পূর্ণ বাংলা হরফে লেখার চেষ্টা করলাম। কোনরকম ভুল-ত্রুটি হলে, আমি আগাম ক্ষমাপ্রার্থী।

মহাকালীর মহাকৃপালাভ করে, গত ২২ মার্চ তারিখে পৌঁছে গেলাম, "বেহিরা নিম্ববাসিনী কালীতলা "! স্থানটি বীরভূম জেলার পুরন্দরপুর এর কাছাকাছি। পুরন্দরপুর থেকে বোলপুর যাবার রাস্তায়, " বেহিরা কালীতলা" নামক স্টপেজ এ নেমে, হাঁটাপথে মাতৃমন্দির যাওয়া যায়। কথিত আছে, বহু প্রাচীনকালে, মহাসাধক অষ্টাবক্র মুনি, বেনারস থেকে কাশীপুরাধিশ্বরী মহাদেবী অন্নপূর্ণা মাতার বিগ্রহ নিয়ে, বক্রেশ্বর নদীপথে তাঁর সাধনক্ষেত্র, সতীপীঠ বক্রেশ্বর এ নিয়ে আসছিলেন। দুর্ভাগ্যবশতঃ, তাঁর নৌকো, অধুনা বেহিরা গ্রামের কাছে এসে, বালির চড়ায় আটকে যায়। তখন ঐ গ্রামে সাধনরত ভরদ্বাজ মুনির আহ্বানে, দেবী মা কালীরূপে এখানে প্রকটিতা হন, যেহেতু বাংলার মানুষ, দেবীর অন্নপূর্ণা রূপের সাথে, সার্বজনীনভাবে পরিচিত নন। একটি শতাব্দী-প্রাচীন নিমগাছের তলায়, ভরদ্বাজ মুনি মাতৃবিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করায়, দেবী এখানে "নিম্ববাসিনী" নামে পরিচিত হন। মন্দিরটি অরণ্যসঙ্কুল পরিবেশে অবস্থিত, যা একইসাথে মনোরম, অথচ ভীতিপ্রদ - নিরিবিলি ও নির্জনতার মধ্যেই বাস করেন এই কান্তারবিলাসিনী দেবী। অসংখ্য তান্ত্রিক সন্ন্যাসীদের সমাধি ও শ্মশানভূমি এই দেবীমন্দিরের কণ্ঠহার গেঁথেছেে; দেবীকে মেঘনীল মেখলা পরিয়েছে বক্রেশ্বর নদী। বিশাল কারুকার্য করা রৌপ্যমুকুট ধারী নয়নাভিরাম দেবীমূর্তিটি সুখাসনে উপবিষ্টা - সেই সাথে শিবহীনা। কাশীপতি বিশ্বনাথই এঁর ভৈরব। মন্দিরে বলিপ্রথা প্রচলিত আছে। একটি পঞ্চমুখী ত্রিশূল সহ, দুটি শিবমন্দির, একটি যজ্ঞবেদী, তুলসীমঞ্চ ইত্যাদিও রয়েছে মন্দিরপ্রাঙ্গণে। দেবীকে নিত্য আমিষভোগ দেওয়া হয়। সকাল ৯ টার মধ্যে মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানালে, প্রসাদ এর ব্যবস্থা হয়ে যায়, সামান্য কিছু দক্ষিণার বিনিময়ে। ইলামবাজার নিবাসী মুখোপাধ্যায় বংশোদ্ভূত পুরোহিতরা এই মন্দিরের সেবায়েত। পুরোহিতমশাই একেবারে মাটির মানুষ। এতো সুন্দর মন্ত্র পাঠ করে, ভক্তিপূর্ণভাবে আমাদের পুজো- অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন, যে মন ভরে গেলো। তাই আমি বলবো, ' বাংলার নদী-মাঠ-ভাটফুলকে" "ঘুঙুরের মতো" পায়ে বেঁধে, বেরিয়ে পড়াই যায়, একদিন, মাতৃদর্শনে -সবুজের বুক চিরে, নীলিমার নীলাঞ্জন চোখে মেখে!

বিঃ দ্রঃ- ১.এখানে পিকনিক করার ব্যবস্থা আছে, তবে অবশ্যই মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে।

২. মন্দিরের আশেপাশে কোন খাবার বা পূজাসামগ্রীর দোকান নেই।

পথনির্দেশ: বোলপুর বা আহমেদপুর থেকে, বাসযোগে সিউড়ি বা পুরন্দরপুর যাওয়ার রাস্তায়, "বেহিরা কালীতলা" স্টপেজ এ নেমে, হাঁটাপথে মন্দিরে আসা যায়।

তথ্যসূত্র : জ্যোতিষাচার্য শ্রী শিবশংকর ভারতী।

descriptionবক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith EmptyRe: বক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith

more_horiz
#খগেশ্বর_মন্দির
( গ্রাম - বালিজুড়ি ; ব্লক - দুবরাজপুর ; জেলা - বীরভূম )

গতকাল মহালয়ার ভোরে ঘুম ভেঙেছিল পিসির বাড়ির দুর্গাদালানে ঢাকঢোলের বাদ্যির আওয়াজে । একটু সকাল হতেই বাইরে থেকে হেঁটে আসতে ইচ্ছে হলো । গিয়ে পৌঁছালাম বালিজুড়ির মুখ্য আকর্ষণ কয়েকশো বছরের প্রাচীন খগেশ্বর মন্দির চত্বরে । মিনিট পাঁচেকের হাঁটা পথ । মহালয়ার সকালে অনেকটা সময় কাটলো শান্ত,নিরিবিলি এই মন্দিরে । এ অঞ্চলে রীতিমতো প্রসিদ্ধ ও লোকবিশ্বাস অনুযায়ী জাগ্রত দেবতা হলেন খগেশ্বর মহাদেব । বালিজুড়িতে পিসির বাড়ি হওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই আমিও ছোট থেকেই জেনে আসছি বা চিনেছি এই দেবস্থানটিকে ।

এই বালিজুড়ি,দুবরাজপুর জায়গাগুলোর অবস্থানটা এমন এক জায়গায়,যাদের মধ্যে বা পাশাপাশি রয়েছে একাধিক প্রসিদ্ধ পর্যটন কেন্দ্র ও তীর্থক্ষেত্র । যেমন,এই খগেশ্বর মন্দির,সতীপীঠ তথা শৈব তীর্থক্ষেত্র বক্রেশ্বর,দুবরাজপুরেই রয়েছে বীরভূমের বিখ্যাত মামা-ভাগ্নে পাহাড় ও সুপ্রসিদ্ধ হেতমপুর রাজবাড়ি সহ একাধিক টেরাকোটার মন্দিরসমূহ ।

খগেশ্বর মন্দিরে কিভাবে যাবেন--- হাওড়া থেকে সিউড়ি বা রামপুরহাটগামী যেসব ট্রেন দুবরাজপুর হয়ে আসছে,সেই ট্রেনে দুবরাজপুর স্টেশনে নামতে হবে । দুবরাজপুর স্টেশন থেকে বালিজুড়ির খগেশ্বর মন্দির কিমি চারেকের পথ,স্টেশনেই টোটো পেয়ে যাবেন ।

সড়কপথে আসতে চাইলেও দুবরাজপুর আসতে হবে পানাগড়, ইলামবাজার হয়ে ।

descriptionবক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith EmptyRe: বক্রেশ্বর সতীপীঠ উষ্ণপ্রস্রবণ Bakreshwar Satipith

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply