সিমলা ভ্রমণকথা:-
শিমলা স্টেশন থেকে হোটেলে গিয়ে একটু রেস্ট নিয়ে বেরোলাম সিমলা লোকাল দর্শনীয় স্থান গুলো দেখতে,,, প্রথমেই গেলাম সিমলা কালিবাড়ি
সিমলাতে একটি জায়গায় আপনি বাঙালিয়ানা ছোঁয়া পাবেন,, কালিবাড়ি থেকে আপনি পুরো সিমলা শহরটির অসাধারণ সৌন্দর্য লক্ষ্য করতে পারবেন,,, তবে হ্যাঁ কালিবাড়ি রাস্তাটি সাংঘাতিক খাড়া হাটতে গেলে মনে হয় জীভ বেরিয়ে যাবে,, বয়স্ক লোকেদের ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হতে পারে,,
কালীবাড়ি মন্দির দর্শন করার পর নেমে এলাম এবং রাস্তায় পেটপুজো করলাম এবং স্ক্যান্ডেল পয়েন্ট এর দিকে রওনা দিলাম।। এই পথে হাঁটতে হাঁটতে আপনার মনে হবে সত্যিই এটা ভারতবর্ষে তো,,,, চারদিকে উচু পাহাড় মাঝখান দিয়ে ঝাঁ-চকচকে রাস্তা, সুন্দর স্থাপত্য আপনাকে অভিভূত করবে,,রাস্তার দুই পাশে অনেক বসার জায়গা আছে আপনি হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠলে সেখানে বসে একটু জিরিয়ে নিতে পারেন।।।
স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট থেকে দু মিনিটের রাস্তা রিজ,, এখানেই অবস্থিত বিখ্যাত ক্রাইস্টচার্চ।।। এরপর অনেকটা সময় সিমলা মার্কেটে কাটিয়ে রাতের খাবার খেয়ে চলে এলাম হোটেলে।।। রাত বাড়ার সাথে সাথে ঠান্ডা জাকিয়ে পড়তে থাকলো রাত্রি নটার সময় টেম্পারেচার -1 ডিগ্রী,, রীতিমতো হোটেল থেকে 250 টাকার বিনিময় হিটার ভাড়া করতে হলো,,, কিন্তু ওই হিটারের গায়ে হিটার না লেখা থাকলে আপনি বুঝবেন না ওটা কি জিনিস,, ঘর কেন গায়ের জামা কাপড়ের একটা সুতো গরম হলো না।।।
পরদিন সকালে নটার সময় রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম,, প্রথমে গেলাম কুফরী সেখান থেকে 500 টাকা প্রতি ঘোড়া ভাড়ার বিনিময়ে গেলাম ফাগু,, চড়াই-উৎরাই খাড়া পাহাড়ের মধ্য দিয়ে ঘোড়ায় চড়ার অভিজ্ঞতা অসাধারণ।।।। আপনারা পরবর্তীকালে যারা যাবেন তারা নিচের থেকেই জল ও টুকটাক খাবার নিয়ে যাবেন নাহলে ওপরে সব জিনিসের দাম অস্বাভাবিক বেশি।।।। সেখানে দেখবেন অনেকে দূরবীনে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড দর্শন করাবে বিশ্বাস করবেন কিনা সেটা আপনার ব্যাপার।।। আর উপরে অনেক অ্যাডভেঞ্চার গেম আছে সেটাও করবেন কিনা আপনার মর্জি,,, আপনাদের ঘোড়া ওয়ালা আপনাকে বলবে ওপরে আপেল বাগান দেখানোর জন্য 200 টাকা করে লাগবে সেই সব ব্যবস্থা করে দেবে কিন্তু আপেলের সিজন ছাড়া যাওয়ার কোন মানে হয় না গাছে কোন পাতা পর্যন্ত পাবেন না আপনি যদি মানালি আসেন তাহলে এরকম আপেল বাগান অনেক দেখতে পাবেন।।।
এরপর আমরা চলে এলাম জাখু টেম্পেল।।। এখানকার ও মনোরম পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে,,, তবে হ্যাঁ বাঁদর হইতে সাবধান।।।। এরপর বিকেল নাগাদ চলে এলাম মল রোডে এখানে রাত্রি নটা অবধি সময় কাটিয়ে হোটেলে ফিরে এলাম।।।
পরদিন সকালে সাতটার সময় হোটেল ছেড়ে দিলাম চলে এলাম শিমলা বাস স্ট্যান্ড মানালি যাওয়ার বাস ধরার জন্য।।। প্রায় 8 থেকে 9 ঘণ্টা জার্নি করার পর চলে এলাম মানালি,, হোটেলে ঢুকে একটু রেস্ট নিয়ে মানালি মার্কেটে এলাম এখানে একটু ঘোরাঘুরি করে হোটেলে ফিরে গেলাম,,,,, ক্রমশ
সতর্কীকরণ:-
1. শিমলা শহরে বাঁদরের উৎপাত খুব বেশি, আপনি যদি মনে করেন কলকাতা রাস্তার মত কোন খাবার কিনে রাস্তায় খেতে খেতে হাঁটবেন তাহলে মনে রাখবেন কেউ আপনার ওপর নজর রাখছে।।।।
2. খালি পেটে থাকবেন না সব সময় চেষ্টা করবেন যাতে পেট ভরা থাকে আর খালি পেটে জার্নি করলে সেটা আপনার পক্ষে খারাপই হবে।।।
3. সর্বোপরি রাস্তায় নোংরা ফেলবেন না বা স্থানীয় ভাবাবেগে কোন আঘাত করবেন না।।।।।
শিমলা স্টেশন থেকে হোটেলে গিয়ে একটু রেস্ট নিয়ে বেরোলাম সিমলা লোকাল দর্শনীয় স্থান গুলো দেখতে,,, প্রথমেই গেলাম সিমলা কালিবাড়ি
সিমলাতে একটি জায়গায় আপনি বাঙালিয়ানা ছোঁয়া পাবেন,, কালিবাড়ি থেকে আপনি পুরো সিমলা শহরটির অসাধারণ সৌন্দর্য লক্ষ্য করতে পারবেন,,, তবে হ্যাঁ কালিবাড়ি রাস্তাটি সাংঘাতিক খাড়া হাটতে গেলে মনে হয় জীভ বেরিয়ে যাবে,, বয়স্ক লোকেদের ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হতে পারে,,
কালীবাড়ি মন্দির দর্শন করার পর নেমে এলাম এবং রাস্তায় পেটপুজো করলাম এবং স্ক্যান্ডেল পয়েন্ট এর দিকে রওনা দিলাম।। এই পথে হাঁটতে হাঁটতে আপনার মনে হবে সত্যিই এটা ভারতবর্ষে তো,,,, চারদিকে উচু পাহাড় মাঝখান দিয়ে ঝাঁ-চকচকে রাস্তা, সুন্দর স্থাপত্য আপনাকে অভিভূত করবে,,রাস্তার দুই পাশে অনেক বসার জায়গা আছে আপনি হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠলে সেখানে বসে একটু জিরিয়ে নিতে পারেন।।।
স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট থেকে দু মিনিটের রাস্তা রিজ,, এখানেই অবস্থিত বিখ্যাত ক্রাইস্টচার্চ।।। এরপর অনেকটা সময় সিমলা মার্কেটে কাটিয়ে রাতের খাবার খেয়ে চলে এলাম হোটেলে।।। রাত বাড়ার সাথে সাথে ঠান্ডা জাকিয়ে পড়তে থাকলো রাত্রি নটার সময় টেম্পারেচার -1 ডিগ্রী,, রীতিমতো হোটেল থেকে 250 টাকার বিনিময় হিটার ভাড়া করতে হলো,,, কিন্তু ওই হিটারের গায়ে হিটার না লেখা থাকলে আপনি বুঝবেন না ওটা কি জিনিস,, ঘর কেন গায়ের জামা কাপড়ের একটা সুতো গরম হলো না।।।
পরদিন সকালে নটার সময় রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম,, প্রথমে গেলাম কুফরী সেখান থেকে 500 টাকা প্রতি ঘোড়া ভাড়ার বিনিময়ে গেলাম ফাগু,, চড়াই-উৎরাই খাড়া পাহাড়ের মধ্য দিয়ে ঘোড়ায় চড়ার অভিজ্ঞতা অসাধারণ।।।। আপনারা পরবর্তীকালে যারা যাবেন তারা নিচের থেকেই জল ও টুকটাক খাবার নিয়ে যাবেন নাহলে ওপরে সব জিনিসের দাম অস্বাভাবিক বেশি।।।। সেখানে দেখবেন অনেকে দূরবীনে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড দর্শন করাবে বিশ্বাস করবেন কিনা সেটা আপনার ব্যাপার।।। আর উপরে অনেক অ্যাডভেঞ্চার গেম আছে সেটাও করবেন কিনা আপনার মর্জি,,, আপনাদের ঘোড়া ওয়ালা আপনাকে বলবে ওপরে আপেল বাগান দেখানোর জন্য 200 টাকা করে লাগবে সেই সব ব্যবস্থা করে দেবে কিন্তু আপেলের সিজন ছাড়া যাওয়ার কোন মানে হয় না গাছে কোন পাতা পর্যন্ত পাবেন না আপনি যদি মানালি আসেন তাহলে এরকম আপেল বাগান অনেক দেখতে পাবেন।।।
এরপর আমরা চলে এলাম জাখু টেম্পেল।।। এখানকার ও মনোরম পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে,,, তবে হ্যাঁ বাঁদর হইতে সাবধান।।।। এরপর বিকেল নাগাদ চলে এলাম মল রোডে এখানে রাত্রি নটা অবধি সময় কাটিয়ে হোটেলে ফিরে এলাম।।।
পরদিন সকালে সাতটার সময় হোটেল ছেড়ে দিলাম চলে এলাম শিমলা বাস স্ট্যান্ড মানালি যাওয়ার বাস ধরার জন্য।।। প্রায় 8 থেকে 9 ঘণ্টা জার্নি করার পর চলে এলাম মানালি,, হোটেলে ঢুকে একটু রেস্ট নিয়ে মানালি মার্কেটে এলাম এখানে একটু ঘোরাঘুরি করে হোটেলে ফিরে গেলাম,,,,, ক্রমশ
সতর্কীকরণ:-
1. শিমলা শহরে বাঁদরের উৎপাত খুব বেশি, আপনি যদি মনে করেন কলকাতা রাস্তার মত কোন খাবার কিনে রাস্তায় খেতে খেতে হাঁটবেন তাহলে মনে রাখবেন কেউ আপনার ওপর নজর রাখছে।।।।
2. খালি পেটে থাকবেন না সব সময় চেষ্টা করবেন যাতে পেট ভরা থাকে আর খালি পেটে জার্নি করলে সেটা আপনার পক্ষে খারাপই হবে।।।
3. সর্বোপরি রাস্তায় নোংরা ফেলবেন না বা স্থানীয় ভাবাবেগে কোন আঘাত করবেন না।।।।।