Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.


Churn : Universal Friendship
Welcome to the CHURN!

To take full advantage of everything offered by our forum,
Please log in if you are already a member,
or
Join our community if you've not yet.

Churn : Universal Friendship
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

Churn : Universal Friendship Log in

PEACE , LOVE and UNITY


descriptionকন্যাকুমারী ভ্রমণ Kanyakumari Tour  Emptyকন্যাকুমারী ভ্রমণ Kanyakumari Tour

more_horiz

কন্যাকুমারী ভ্রমণ Kanyakumari Tour



কন্যাকুমারী দেবীর নামেই তীর্থের নাম । সব প্রাচীন তীর্থ ক্ষেত্রের সঙ্গে পুরাণ কাহিনী জড়িত আছে এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়, পুরান মতে কশ্যপ ঋষির পুত্র বানাসুর অমরত্ব লাভের আশায় দীর্ঘ কঠিন তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করলে দৈববাণী হয় যে অমরত্ব ছাড়া দীর্ঘায়ু হওয়ার জন্য অন্য বর প্রার্থনা করলে তা পূরণ হবে। কৌশলী বানাসুর বিবাহিতা নারী বা পুরুষ দেব দৈত্য-দানব মানব এদের কারুর হাতে না নিহত হবার পর প্রার্থনা করলে তা মঞ্জুর হয়। স্বভাবতই আসুরিক অত্যাচারে ত্রিলোক বাসি অতিষ্ঠ হয়ে ব্রহ্মা বিষ্ণুর শরণাপন্ন হলে তারা দেবতা ও ঋষিদের সমুদ্রতীরে একটি যজ্ঞ করতে বললেন এবং ওই যজ্ঞ থেকে উত্থিতা পরমা সুন্দরী কন্যার হাতে বানাসুর বিনষ্ট হবার কথা জানালেন। সমস্ত ঋষি ও দেবতাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভারতের দক্ষিণতম প্রান্তে ভারত মহাসাগর, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের মিলন স্থলের কাছে অনুষ্ঠিত যজ্ঞাগ্নী থেকে আবির্ভূত হলেন এক পরমাসুন্দরী কুমারী কন্যা। সেই কন্যা দেবাদিদেব মহাদেব কে পতি রূপে পাবার জন্য ভারত মহাসাগরের বুকে ভাসমান শিলা খণ্ডে এক পদে দণ্ডায়মান থেকে কঠোর তপস্যা শুরু করলে মহাদেব বিবাহে সম্মতি দিলেন। দেবতারা প্রমাদ গুনে সুচতুর নারদের শরণাপন্ন হলে তিনি দেবীকে স্তুতি বাক্যে ভুলিয়ে মহাদেবের শক্তি পরীক্ষার জন্য তিনটি অসম্ভব বস্তু কে(১, চক্ষুহীন নারিকেল, ২, গ্রন্থিহীন ইক্ষু, ৩, শিরাহীন পান পত্র) বিয়ের রাতে হাজির করার জন্য দেবীকে পরামর্শ দিলেন। শিবশক্তি বলে কথা, তিনি যথারীতি এই সমস্ত দ্রব্য সংগ্রহ করে বরের সাজে সদলবলে কন্যাকুমারীর উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।দেবতারা আবার নারদের শরণাপন্ন হলে তিনি কন্যাকুমারী থেকে 13 কিলোমিটার দূরে মহাদেবের যাত্রাপথে অবস্থান করে মাঝ রাত্রিতে মোরগের ডাক ডেকে উঠলেন, মহাদেব রাত্রি শেষ হয়েছে ভেবে সেইখানে স্থানুবৎ দাঁড়িয়ে রইলেন, নাম হল স্থাণুপুরম আবার এই জায়গায় দেবরাজ ইন্দ্রের অহল্যা গঠিত পাপ থেকে শিবের পূজা করে মুক্তি পেয়ে শুচি হয়েছিলেন বলে আরেক নাম শুচিন্দ্রম। সুচিন্দ্রম এর আরেকটি কাহিনী হল, এখানেই অত্রী ঋষি পত্নী অনসূয়ার সতীত্ব পরীক্ষার জন্যে ব্রহ্মা বিষ্ণু ও মহেশ্বর উপস্থিত হলে, স্বামীর পাদোদক ছিটিয়ে অনুসূয়া তাদের দুগ্ধপোষ্য শিশুতে পরিণত করে স্তন্যপান করান। পরে সাবিত্রী লক্ষ্মী ও পার্বতীর ক্ষমা চাওয়ায় ও অনুরোধে অনুসূয়া তাদের স্বামীদের পূর্বরূপ ফিরিয়ে দেন। এই অপকর্মের চিহ্নস্বরূপ ওই তিন দেবতার অংশ থেকে নেওয়া তিনটি শিবলিঙ্গ এখানে রাখা আছে।এদিকে অভিমানী কন্যা শিবের অনুপস্থিতির জন্য সমস্ত বিবাহের সাজসজ্জা ছিড়ে ফেলে আবার তপস্যারতা হলেন। কন্যাকুমারী সাগর জলের রং ও বালির রং মাঝে মাঝে হালকা গোলাপি, হালকা নীল, পান্নাসবুজ, আবার কালো রূপে দেখা দিতে থাকে। দেবীর পায়ের চাপে ও তাপে পাথরের বূকে খোদিত চরণ চিহ্ন আজও পুজিত হচ্ছে সেই ত্রেতা যুগ থেকে। দশ অবতারের অন্যতম পরশুরাম প্রথম মন্দির নির্মাণ করে কুমারী দেবীর পূজা শুরু করেন। আদি মন্দির কালের গর্ভে বিলীন হলে প্রায় কাছাকাছি সেই স্থানেই বর্তমান মন্দির নির্মিত হয়। এবার বানাসুর বধের কাহিনী, বানাসুরের দুই সেনাপতি মুখ আর দুর্মুখের মুখে কুমারী দেবীর রূপের কথা শুনে তাকে পাবার জন্য এলে দেবী তাকে যুদ্ধে পরাস্ত করতে পারলে সম্মত হবেন কথা দিলেন। দীর্ঘ 18 দিন ঘোরতর যুদ্ধ হলো, কিন্তু দৈবের বিধান ও অহংকারী বাণাসুরের পাপে পরিপূর্ণ কালের শেষ হল,বাণাসুরের প্রার্থনা মত সে স্হান বাণতীর্থ নামে খ্যাত হলো। আষাঢ়ী অমাবস্যায় অনেকেই এখানে পিতৃতর্পণ করেন। দেবী আবার তপস্যায় ব্রতী হলেন। মন্দিরের গোপুরমের গাত্রে দেবদেবীর মূর্তি খোদাইয়ের অপূর্ব কারুকাজ দেখে মুগ্ধ হতে হয়, বিশাল মন্দির চত্বর পাথরে বাঁধানো, পরে নাট মণ্ডপ, পেতলের ধ্বজা, দীপ স্তম্ভ, বেদীতে দেবীর বাহন সিংহ, প্রায়ান্ধকার প্রদীপের আলোয় (পুরুষদের উর্ধাংশ অনাবৃত করে )গর্ভ মন্দিরের ঘোরপ্যাঁচ ঘুরে প্রায় ঘন্টা খানেক লাইনে দাঁড়াবার পরে আমরা চারজন কাল কষ্টি পাথরের প্রায় তিন ফুট কুমারী মায়ের বিগ্রহ দর্শন করলাম যেন এক হাস্যময়ী দণ্ডায়মানা দ্বিভূজা কিশোরী তপস্যারতা। প্রণাম জানিয়ে ধন্য হলাম। উত্তর ও পূর্ব দিকে দুটি প্রবেশপথ থাকলেও পূর্বদ্বারটি বছরে তিনবার খোলা হয় (১ বিজয়া দশমীতে দেবীর বানাসুর বধ উৎসব সমারোহের দিন,২ বৈশাখ মাসে ধ্বজারোহন উৎসবের দশম দিন,৩ আর কার্তিক মাসে দীপাবলীর দিন)! শোনা যায় ওই পূর্ব দ্বার দিয়ে সমুদ্রের প্রতিফলিত রশ্মি মায়ের মুকুটের একটি বড় হীরকখণ্ডের উপর পতিত হওয়ার ফলে তার দ্যুতিতে জলদস্যু বা অন্যান্য সমুদ্রচারী জলযান বাতিস্তম্ভের আলোভেবে এগিয়ে এসে শিলাখণ্ডে, ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যেত, তারপর থেকেই পূর্ব দ্বার বন্ধ রাখা হয়। এবার স্বামীজির কথা না বললে কন্যাকুমারী দর্শন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।সারা ভারত পরিক্রমা শেষে স্বামী বিবেকানন্দ 1892 সালের 24 ডিসেম্বর কন্যাকুমারী মন্দির দর্শনের পরে কুমারী মায়ের চরণ চিহ্ণিত শীলায় নির্জনে ধ্যানে বসার মনস্থ করলেন । কিন্তু কপর্দকশূন্য পরিব্রাজক সন্ন্যাসী পারাপারের চার পয়সা ( বর্তমানে যা 50 টাকা+২০টাকা) দিতে না পারায় নৌকার মাঝিরা তাকে নিতে অসম্মত হয়, তখন স্বামীজী ঠাকুর কে স্মরণ করে সেই ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক জীবে পরিপূর্ণ উত্তাল তরঙ্গ সাঁতরে পার হয়ে ঐ শীলায় উঠে কুমারী মাকে প্রণাম জানিয়ে তিনি দিন একাসনে ধ্যানস্হ থাকার পর জন্ম ভূমি ভারত মাতাকেই দেবী রূপে উপলব্ধি করলেন। এর পরেই তার বিশ্বধর্ম মহাসভায় যোগদান। 1893 সালেরশতবর্ষ পূর্তি কে স্মরণীয় করে রাখতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সভাপতি শ্রদ্ধেয় স্বামী বীরেশ্বরানন্দ জি মহারাজ ১৯৯৩ সালে ঐ শীলায় স্বামী বিবেকানন্দের দন্ডায়মান ব্রোঞ্জ মূর্তি নির্মাণ করান। যা আজ বিবেকানন্দ শিলা হিসাবে বাঙালি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বিবেকানন্দ শীলার অনতিদূরে আরেকটি টিলায় তামিল কবি থিরুভাল্লুভার এর মূর্তি ও একটি দর্শনীয়। কাছাকাছি অন্যান্য দ্রষ্টব্য। রানসম চার্চ, গান্ধী মন্ডপ, ভদ্রকালী মন্দির, পাপবিনাশনম কুণ্ড, ত্রিবেণী সঙ্গম ঘাট, বিবেকানন্দ মিউজিয়াম, ভাট্টাকোট্টাই দুর্গ (৬কিমি), ইন্দ্র কান্ত বিধায়ক মন্দির, নাগেরকোয়েল এ নাগ রাজার মন্দির (১৯কিমি), সুচিন্দ্রম মন্দির (১৯কিমি) ইত্যাদি। আর অবশ্যই ওয়াচ টাওয়ার থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা, যদিও সব সময় দেখা যায় না। যাওয়ার ভালো সময় সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। সরাসরি যাওয়ার ভালো ট্রেন হাওড়া কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস12655up(mon) ছাড়ে1610, কন্যাকুমারী এসটিডি04652, থাকার ভালো জায়গা তামিলনাড়ুর সরকারের অতিথি নিবাস(246257,nacdab800 _1200,acdab1200_3500). এখানকার প্রাতরাশ(দই বড়া, ইডলি, মশালা দোসা,উত্তাপাম ইত্যাদি দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য জায়গার তুলনায় স্বাদে-গন্ধে অপূর্ব), বিচ রোড ধরে পূর্ব দিকে মন্দির ছাড়িয়ে এগিয়ে গেলে একটি বাঙালি হোটেলে ভালো মানের আমিষ ও নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত এই বীচ রোডে ভালো মানের এলাচ লবঙ্গ দারুচিনি ও গোলমরীচ এবং দুষ্প্রাপ্য দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ সংগ্রহ করা যেতে পারে।

descriptionকন্যাকুমারী ভ্রমণ Kanyakumari Tour  EmptyRe: কন্যাকুমারী ভ্রমণ Kanyakumari Tour

more_horiz
||কন্যাকুমারী||
তামিলনাড়ু

ভারতবর্ষের মুল ভূখন্ডের দক্ষিণতম বিন্দুতে অবস্থান কন্যাকুমারীর|কুমারিকা অন্তরীপকে ত্রিমুখী বেষ্টনে আবদ্ধ করেছে তিন সাগরসহেলি---বাঁয়ে বঙ্গোপসাগর,ডাইনে আরবসাগর ও মাঝে ভারত মহাসাগর| এই তিন সুবিশাল জলরাশির তরঙ্গমালা আদিম উল্লাসে নৃত্য করতে করতে আছড়ে পড়েছে কন্যাকুমারীর প্রস্তরাকীর্ণ কঠিন শিলাতটে| তিনসাগরের ভুবনমোহিনী রূপে পাগল হয়ে পশ্চিমঘাট পর্বত আগুন সন্দর্শনে পতঙ্গের মতো আত্মসমর্পণ করেছে অতল জলরাশির গভীরে| যুগনায়ক বিবেকানন্দের পদরেণুধন্য তামিলনাড়ুর এই সৈকতশহরটি একাধারে পবিত্র তীর্থস্থান ও মনোরম পর্যটন কেন্দ্র|

কিভাবে যাবেন--- হাওড়া/শালিমার থেকে সরাসরি কিছু ট্রেন চলে কন্যাকুমারী/নাগেরকয়েল(6কিমি)পর্যন্ত|এছাড়া যেতে পারেন চেন্নাই এগমোর স্টেশান হয়ে| এর্ণাকুলাম, ব্যাঙ্গালোর থেকেও ট্রেন চলাচল করে|
সড়ক যোগাযোগও বেশ উন্নত কন্যাকুমারীকে ঘিরে|

কখন যাবেন--গ্রীষ্মপ্রধান দক্ষিণভারত| তীব্র গরমের সময় সফর করবেন না| শীতকাল আরামদায়ক| আর এখানে ২বার বর্ষা হয় ---জুন থেকে সেপ্টেম্বর, আবার
নভেম্বর-ডিসেম্বর| এইসময়টিও বেড়ানোর পক্ষে অনুকুল নয়|

কোথায় থাকবেন-- আমরা ছিলাম হোটেল গোপিনিবাসে| এছাড়া রয়েছে আরও নানা হোটেল , শহরময়|

দ্রষ্টব্যস্থল---- বিবেকানন্দ রকে বিবেকানন্দ মন্দির, মূল ভূখন্ডে সাগর কিনারে কুমারী আম্মান মন্দির, গান্ধী মন্ডপম, লাইটহাউস, সমুদ্রতীরে কাঠের তৈরি ভাট্টাকোট্টাই দুর্গ(৬কিমি),
নাগেরকয়েল(৬কিমি), শুচিন্দ্রম(১৩কিমি)|

আমার অতিপছন্দের তিনটি জায়গা সম্পর্কে দু-চার কথা লেখার লোভ সামলাতে পারছি না|
বিবেকানন্দ রক----কুমারী আম্মান মন্দির সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে সমুদ্রবক্ষে লঞ্চে চড়ে আসতে হবে এখানে| ভাড়া-৩০টাকা।(সাম্প্রতিক ভাড়া মিলিয়ে নেবেন)
প্রায় ৫০০মিটার উত্তাল সমুদ্র পার হয়ে ১৮৯২ এর
২৫শে ডিসেম্বর স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীপাদপারাই শিলাখন্ডে উপবেশন করে ধ্যানমগ্ন হয়েছিলেন| এই শিলাখন্ডের উপরেই গ্রানাইট পাথরে তৈরি বিবেকানন্দ রক টেম্পলটি নির্মিত হয় ১৯৭০সালে| অজন্তা-ইলোরার কিছু শিল্পকলার অনুসরনে করা হয়েছে মন্দিরটির অলংকরণ| অদূরের আলাদা ছোট ১ শিলাখন্ডের উপর বর্তমানে তৈরি হয়েছে তামিল কবি থিরুভাল্লুভারের ১৩৩ফুট উঁচু প্রস্তরমূর্তি| তিন তিনটি সমুদ্রের সুবিশাল জলরাশি ঘেরা এই স্থানটির সৌন্দর্য নয়নাভিরাম| তিনটি সমুদ্রের জলের বর্ণবিভিন্নতাও স্পষ্টই বোঝা যায়| সামনে সুদৃশ্য বিবেকানন্দ রক টেম্পল, পাশে থিরুভাল্লুভারের মূর্তি,সুনীল সমুদ্র, আর কিছুদূরে মন্দিরময় কন্যাকুমারীর দৃশ্য----স্বর্গীয় সৌন্দর্য|

কুমারী আম্মান মন্দির---- সমুদ্রতীরের এই মন্দিরে প্রবেশের জন্য পুরুষদের ঊর্ধাঙ্গ অনাবৃত করতে হয়| মন্দিরে কতকগুলি মিউজিক্যাল পিলার রয়েছে, রয়েছে গোপুরমও| সাদা পাথরে তৈরি অপূর্ব সুন্দর দেবীমূর্তি| দেবী যেন সোজা তাকিয়ে রয়েছেন অসীম সমুদ্রের নীলিমার পানে|
এই মন্দির তথা দেবীমূর্তি ঘিরে ১টি প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে––অসুররাজ বানকে বধের জন্য দেবরাজ ইন্দ্র এক যজ্ঞ করেন|অসুর বধের জন্য শিবপ্রিয়া দেবী পার্বতী হোমকুন্ড হতে জন্ম নেন পরমাসুন্দরী ১ কন্যারূপে| এই কন্যার বিবাহ হলে বানাসুরকে আর বধ করা যাবে না| এদিকে শুচিন্দ্রমে ঘাঁটি গেড়ে থাকা মহাদেব ঐ কন্যাকে বিবাহের জন্য যাত্রা করেছেন| দেবতাদের ষড়যন্ত্রে শিব আবার ফিরে গেলেন শুচিন্দ্রমে| বিবাহের লগ্ন পার হওয়ায় সেই থেেকে দেবী পার্বতী কুমারীরূপে আজও বিরাজ করছেন এই মন্দিরে|

শুচিন্দ্রম----- কন্যাকুমারী থেকে প্রায় ১৩কিমি দূরে এই মন্দিরটির অবস্থান| ত্রিবান্দমমুখী ৪৭নং জাতীয় সড়কে রাস্তার দুপাশ থেকে হেলে থাকা নারকেলগাছের গ্রীন টানেলের মধ্য দিয়ে কিছুটা এসে বাঁয়ে মোড় নিয়েছে শুচিন্দ্রমের রাস্তা| মন্দিরের পাশে ১টি চতুষ্কোণ সরোবরের মাঝে ছোট্ট ১মন্দির, আর সেই টলটলে জলে শুচিন্দ্রম মন্দিরের সুউচ্চ গোপুরমের প্রতিফলন এককথায় অনবদ্য|
এসে পৌছাই সাদাটে পাথরে তৈরি থানুমালায়ন মন্দিরের ৭তলা উঁচু অনিন্দ্যসুন্দর গোপুরমটির সামনে|(মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে মেয়েদের শাড়ি পরার বাধ্যবাধকতা ,পুরুষদের উর্ধাঙ্গের বস্ত্র উন্মোচন বাধ্যতামুলক)|দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্যে নির্মিত মন্দিরে একটিমাত্র পাথরকে কুঁদে তৈরি হয়েছে সাত-সাতটি মিউজিক্যাল পিলার,অলিন্দের গঠনশৈলীও চমৎকার আর গোপুরমটি তো অনবদ্য|মন্দিরে শিব,বিষ্ণু,কার্ত্তিক ও গণেশের মূর্তি রয়েছে| কথিত রয়েছে শাপগ্রস্ত দেবরাজ ইন্দ্র এখানে শিবের তপস্যা করে পাপমুক্ত বা শুচি হন|এখান থেকেই শিব যাত্রা করেছিলেন ,কন্যাকুমারীকে বিবাহের উদ্দেশ্যে|
এবারে নিতান্তই ১টি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা লিখে শেষ করছি| শুচিন্দ্রম মন্দির দর্শনের শেষে আমরা পুরোহিতের কাছে প্রসাদপ্রার্থী| আমাদের ১০/১২জনের গ্রুপ দেখে উনি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিলেন প্রকান্ড এক কলার কাঁদি| কদলীভক্ত হনুমানের কথা তো সকলেই জানেন| কিন্তু কদলীভক্ত মানুষ!এমন কথা শোনেননি নিশ্চয়| ফেরার ১৩ কিমি পথের শেষে কলার কাঁদির আর কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি😊😊

কন্যাকুমারী ফিরে সূর্যাস্ত দেখি কুমারী আম্মান মন্দিরের পিছনের সমুদ্রতীরে দাঁড়িয়ে| সৈকতভূমি জুড়ে থাকা শাঁক-ঝিনুকের স্টলগুলিও আমার কাছে বেশ আকর্ষনীয় লাগে,আর সস্তাও|
সবমিলিয়ে পর্যটক-তীর্থযাত্রী সবারই মনচুরি করবেই কন্যাকুমারী----একথা হলফ করে বলতে পারি||

descriptionকন্যাকুমারী ভ্রমণ Kanyakumari Tour  EmptyRe: কন্যাকুমারী ভ্রমণ Kanyakumari Tour

more_horiz
"গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান "

ভট্টাকোটটাই ফোর্ট

"দুর্গ" বা "ফোর্ট " এই শব্দটার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে অনেক অজানা রহস্য। ফোর্ট দেখলেই কেন জানি না মনের মধ্যে এক অদ্ভুত সুন্দর রোমাঞ্চকর অনুভূতি হয়। ফোর্ট দেখলেই অনেক অজানা কে জানতে ইচ্ছা করে। আমাদের ভারতবর্ষে অনেক ফোর্ট আছে। প্রত্যেক টা ফোর্ট ই আমার কাছে আকর্ষণীয় লাগে, তার একটাই কারণ, ফোর্ট দেখতে যাওয়া মানেই ইতিহাস কে স্পর্শ করার আনন্দ জাগে।

যাইহোক, আমার আজকের লেখা ভট্টাকোটটাই ফোর্ট কে কেন্দ্র করে। 2016 সালে গেছিলাম কন্যাকুমারী। কন্যাকুমারী আমার পছন্দের জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিন সমুদ্রের মিলন, এক স্বর্গীয় দৃশ্য বলে মনে হয় আমার কাছে। কন্যাকুমারী দর্শন আমার কপালে আগেও আরো একবার হয়েছিলো।

যাইহোক, কন্যাকুমারী থেকে 7km দূরে অবস্থিত, এক অন্যতম দর্শনীয় স্থান হলো ভট্টাকোটটাই ফোর্ট আর ভট্টাকোটটাই বিচ। যদিও যখন ঘুরতে গিয়েছিলাম, তখন কোনোদিনও কোনো বেড়াতে যাবার গ্রূপে লিখবো বা ছবি দেবো, সেই ভেবে কোনো ছবি তোলা হয় নি।

এই ভট্টাকোটটাই বীচ টি, অন্যান্য বীচের তুলনায় বেশ ছোটো হলেও, আলাদা একটা আকর্ষণ আছে। বীচের ধারে বালির রঙ কালো। আর বীচের ধারেই অবস্থিত ভট্টাকোটটাই ফোর্ট। প্রায় 3.5 km জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই ফোর্ট। এটির আকার আয়তক্ষেত্রর মতন। এই ফোর্ট টি ছিলো একটি উপকূলীয় দুর্গ। ত্রিবানকুর সাম্রাজ্যের সময় এই ফোর্ট টি গড়ে ওঠে, এটি ছিলো এই সাম্রাজ্যের বানানো শেষ ফোর্ট, সমুদ্রের ধারে। এই ফোর্ট রাজা MARTHANDA VARMER- র সময় বানানো হয়েছিলো। গ্রানাইট পাথরের তৈরি এই ফোর্ট। এই ফোর্টের দেয়ালগুলো প্রায় 25 - 26 ফিট উঁচু। এই ফোর্টের পাশেই রয়েছে সমুদ্র। এই ফোর্টের এক সাইডে আছে পশ্চিমঘাট পর্বত। এই ফোর্টের ভীতরে একটি সুড়ঙ্গ পথ ও ছিলো, যেটা PADAMANABHAPURAM PALACE এর সাথে যোগাযোগ ছিলো। শোনা যায়, অনেকদিন আগে PADAMANABHAPURAM PALACE দেখা যেতো এই ফোর্ট এর টপ থেকে।

ফোর্টের ভীতর টাও খুব সুন্দর, সাজানো গোছানো সবুজে ঘেরা। ফোর্ট এ দাঁড়িয়ে সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য দেখতে অপূর্ব লাগে। আমার তো অসাধারণ লেগেছিল জায়গা টা। এই ফোর্টের আরও অনেক ইতিহাস অবশ্যই আছে, যেটা আমার হয়তো অজানা।
যাইহোক, সবশেষে বলি সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, পৃথিবী সুস্থ হলে আবার আগের মতন মন প্রাণ খুলে প্রকৃতি কে উপভোগ করুন। অবশ্যই তাড়াহুড়ো করে নয়, একটু ধৈর্য আমাদের সবাই কে ধরতেই হবে। ভালো থাকবেন। 🙏🙏

descriptionকন্যাকুমারী ভ্রমণ Kanyakumari Tour  EmptyRe: কন্যাকুমারী ভ্রমণ Kanyakumari Tour

more_horiz
privacy_tip Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
power_settings_newLogin to reply